পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসিকেন্দ্র ধানী পুনরুদ্ধার করিয়া রাজ্যশাসন করেন । ইহার রাজত্ব কালের ঐতিহাসিক বিবরণ সংগৃষ্ঠাত না হইলেও তদেশবাসীয় মুখনিঃস্থত উপাখ্যানমালা হইতে কিংবদ স্ত্রী পরম্পরায় তাহার বীরত্বের যথেষ্ঠ পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি শেষ জীবনে গৰুররাঞ্জ হুড়ীর নিকট যুদ্ধে পরাঞ্জিত হওয়ায় তাহাকে কন্যা সম্প্রদান করেন। রসালুর সন্তানাদি না থাকায় তাহার দৌহিত্রগণই রাজ্যশাসন তার প্রাপ্ত হন। প্রবাদাগুরে প্রকাশ, রসালুর মৃত্যুর পর, তাছার সন্ন্যাসী ভ্রাতা পূরণ এই রাজ্যের প্রতি অভিসম্পাত প্রদান করেন । তদবধি দুভিক্ষে ও দম্য উপদ্রবে সেই সমৃদ্ধ শিয়ালকোট রাজ্য ছারখার হয় । রসালেফু (পুং । ক রঙ্কশালি নামক চক্ষু । ( রাজনি• ) রসাবেষ্ট , পুং ) প্ৰবেষ্ট নামক মুগন্ধিদ্রব্য। ( রাজনি ) রসাশ (পুং ) মঞ্চপান । রসাশিন (এ ) ১ মদ্যপায়ী । ২ মঙ্কসোবাঁ । রসাশির (fএ ) দুগ্ধমিশ্রিত । ( সায়ণ ) র:ার্শ্বাস। ( স্ত্রী) পলাশীলতা । ( রাজনি• ) রসাষ্টক (ক) মহারসাষ্টক, পারদ, দরদ, অভ্রক, কাস্ত-গোঁহ, বিমল, মাক্ষিক, বৈ ফ্রান্ত ও শঙ্খ এই ৮ট রসকে রসা&ক কছে । ( বৈদ্য কনি0 ) রসাস্বাদ (পুং ) রসন্ত আম্বাদ: রসের আস্বাদ, অখণ্ড বস্তুর অনবলম্বন দ্বারা চিত্তবৃত্তির সবিকল সমাধিতে আনন্দ আস্বাদনের নাম রসাস্বাদ । সমাধির আরম্ভ সময়ে সবিকল্প আনন্দ স্বাদ ন । ( বেদস্তিসার ) রসাস্বাদিন (পুং ) রস আস্বাদগ্নিতুং শলমন্ত আ-স্বাদ-ণিনি। ১ ভ্রমর । ( শঞ্চমাণ1 ) (ত্রি ) ২ রসাম্বাদবিশিষ্ট । রসহ (পুং ) রস আহা আখ্যা যন্ত । সরলদ্রব। লবণখোট। গ্রিক্সং টাপ, । ২ লঘুশতাবরা । ৩ রাম । ( বৈস্তকনি• ) রসিক (পুং ) রসোংস্ত্যস্যাড্রেতি বা রস-ঠন। ১ সারস্পক্ষী । ৩ হস্তী । ( t ) ৪ সরস । ( মেদিণী ) ৫ রসঞ্জ, রসবোধবিশিষ্ট, স্বাদ গ্রাহী । “পব ৩ ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরছে রসিক ভূবি 'કાનૂન 1: । ( કાનસડ >1sા૦ ) রসিকত ( স্ত্রী ) রসিকত ভাব তল-টাপ, ১ রসিকের ভাব १॥ ५'प्र, १६ ॐ । २ ठेtgी दl *प्रेिशन । রসিকা ( ঐ ) রসিক-টাপ, । ১ রসালা । ২ ইক্ষুরস । (মেদিনী) ৩ কাঞ্চী । ৪ রসনা । ( বিশ্ব ) ৫ রসজ্ঞ । রসিকেন্দ্র, নীলাচলের সামন্ত অচ্যুতানদের পুত্র ও বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ গুণমানদের শিষ্য। উড়িষ্যায় মল্লভূমের অন্তর্গত সুবর্ণরেখাতটবর্তী স্কৃহিণী ( য়উনী ) গ্রামে তাছার জন্ম। কবি গোপী ২ তুরঙ্গ । [ ৩২২ ] রসিকেন্দ্র ধল্লভ দাস কৃত ‘ব্ললিক মঙ্গল’ গ্রন্থ র্তাহারই জীবনী অবলম্বনে রচিত । অচ্যুতের কনিষ্ঠ পত্নীর নাম ভবানী, এই ভবানী হইতেই ভূবনপাবন রসিকের উৎপত্তি। রসিকের জন্মাদ ১৫১২ শক (১৫৯০ খৃঃ) কাৰ্ত্তিক রবিবার প্রতিপদ তিথি। রসিক গ্রামের সকলেরই অতি স্নেহের পাত্র ছিলেন, বালককে সকলেই ভাল বাসিত। পাঁচবৎসরের সময় রসিকের হাতে খড়ি হয়,তাহার পর তিনি গুন্ড বিদ্যারম্ভ করেন । রসিকের অলৌকিক প্রতিভা ও স্মরণশক্তি ছিল। একবার পাঠ করিলেই শিথিয়া ফেলিতেন, রসিকমঙ্গলে লিখিত আছে— “মীমাংসা খণ্ডন পড়ায়েন রসিকশেখরে। একবার শুনে মাত্র গুর মুখ হৈতে । ধাতু পুত্র বখানয় রসিক ত্বরিতে। দেখিয়া পুত্রের ব্যাথ্যা লাগে চমৎকার। ভট্টাচাৰ্য্য বলে নয় নহে এ কুমার ॥" তারপর তিনি বলভদ্র সেনের নিকট ব্যাকরণ অধ্যয়ন করেন, অনস্তর অমুকূল চক্রবন্ত্রী ও কবিচন্দ্রের নিকট কতক দিন এবং যদুনন্দন চক্ৰবৰ্ত্তীর নিকট আর কত্তকদিন অধ্যয়ন করেন, এইরূপে তিনি— “বিদ্যাবিনোদে প্রভু না জানে রাতি দিন । যড়শাস্ত্রবেত্ত হৈল বুদ্ধিতে প্রবণ।" হিজলীর অধিকারী বলভদ্রের ইচ্ছাদেবী নামে একটা পরমসুন্দরী কন্ত ছিল, তাহার সহিত রসিকের বিবাহ হয় । বিবাহের কিছুদিন পরেই তিনি বিবিধরণে ভক্তির অনুষ্ঠান আরম্ভ করেন ; কখন বৈষ্ণবভোজন, কথন সংকীৰ্ত্তন, কথন বা ভাগবত পাঠ ইত্যাদি । এই সময়েহ হামানন্দ প্ৰভু নীলাচলে আগমন করেন ; ফুরন্মুখ বহি পবনসাহাধ্যে অমিততেজে যেমন প্ৰজলিত হইয় উঠে, গুণমানন্দের সঙ্গে রসিকও তেমনি ভক্তিপ্রবাহে দক্ষিণদেশ ডুবাইয়া দিলেন। খামান রসিকানন্দকে দীক্ষা প্রদানান্তর কিছুদিন নীল। চলে থাকিয়া, একবার বৃন্দাবনে গমন করেন, তাহার কিছুদিন পরেই রসিক ও বৃন্দাবলে যান ; তথা হইতে আসিয়াই তিনি নীলাচলের রাজা প্রজু। সকলকেই কৃষ্ণপ্রেম দান করেন। তাহার শিষ্যগণ মধ্যে ময়ূরভঞ্জের প্রাচীন রাজা বৈদ্যনাথ ভঞ্জ একজন। রলিকের ভক্তির আকর্ষণী শক্তি এরূপ ছিল যে, তিনি করণকুলোদ্ভব হইলেও শতাধিক উচ্চ কুলোদ্ভব ব্রাহ্মণ তাহার শিষ্যত্ব স্বীকার করেন। রসিকানদের অনেক,মুসলমান শিষ্যও ছিল, তন্মধ্যে জাহম্মদ বেগ একজন । আহম্মদ ৰেগ অতি অত্যাচারী ছিল, এমনকি—