পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসিকেন্দ্র [ ৩২৩ ] রস্থলপুর “উড়িষ্যা দেশেতে যত রাজ ভূঞা বৈসে। সবাকার ঘর দ্বার ভাঙ্গিল ৰিশেৰে ॥” “বড়ই প্রতাপী দুষ্ট যবন রাজন। খর থর কাপে সব ভুঞারাজাগণ ।” ইনি রসিকের আচরণে ক্রুদ্ধ হইয় তাহাকে ডাকাইয়া নিলেন, এবং কহিলেন-- “হিন্দুগণে শিষ্য করু সাহি তার দায় । যবনেরে শিষ্য করিবারে না জুয়ায় ৷" ( রসিকমঙ্গল ) এই সময় আহম্মদের বাসস্থান বাণপুরে এক বস্ত হস্তী আসিয়া বিবিধ উৎপাত করিতেছিল। যখন রসিক মুসলমান সঙ্গে আলাপ করিতেছিলেন, সেই সময় দৈবে ঐ চন্তী আসিয়া পৌছায় । আহম্মদ কহিল, যদি ঐ প্রম ও হস্তাকে রসিক দমন করিতে সমর্থ হন, তবে সে তাহাকে যথেচ্ছ ব্যবহার করিতে বাধা দিবে না। রসিক অগ্রসর হইলেন। এদিকে হস্তী তাহাকে দেখিয়া ভীষণ গৰ্জ্জন পুৰ্ব্বক শু"ড় গুটাহয় তাহার দিকে ধাবিত হইল। কিন্তু ভক্তের কি অজেয় শক্তি, হরিনামের কি অদ্ভুত মহিম, বনের হাতী রসিকের নিকটে আসিয়া মন্ত্রমুগ্ধের স্থায় দাড়াহয় তাহার মুখনিঃস্ব ত হরিনাম শুনিতে লাগিল। এই অদ্ভুত ঘটনা দর্শনে অগণ্য লোক চতুর্দিকে রসিকের মহিম গাইতে লাগিল, এই সময় অগণ্য লোক-ব্লাহ্মণ, শূদ্র, নীচ, মুসলমান, সকলেই তাঙ্গার শরণ গ্রহণ করে। যথা—

  • সবে প্রতিদিন গিয়া দেখে রসিকেরে ।

শত শত ষ বনাদি শিষ্য হৈল হেলে ৷” ইতিহাস প্রসিদ্ধ শাহাবুজ। এই বুত্তাস্তুটী শ্রবণ করিয়া স্বসিকের প্রভাব দেখিবার জন্য উৎসাহান্বিত হইয়াছিলেন। ঘথা রসিকমঙ্গলে— “শুনি পাতসাহ কহে খোজারে চাহিয়া । হাতি ধরি দেউন রসিকে কহ গিয় ॥" }শুনিয়া তুরিতে গেল খেঙ্গ দুষ্ট মতি । অশ্বগঞ্জ সহস্ৰেক করিয়া সংহতি ॥” “নিবেদন করিলেন রসিকের স্থানে । শাহ সুজ। পাঠাইল মোরে যে কারণে { এই কেরামত তিনি দিবেন আমারে। আজ্ঞ দিল অরণ্যের হাতি আলিবারে ।” যাহা হউক, এইরূপে রসিক তখন নীলাচলে একজন অদ্বিতীয় পুরুষ বলিয়। সৰ্ব্বত্র পরিজ্ঞাত হইয়াছিলেন। কথিত আছে, রপিকচন্দ্রের এরূপ কৃষ্ণভক্তি ছিল যে, তাহার প্রভাবে বনের বাঘ পর্য্যস্ত র্তাহার কাছে হিংস ভুলিয়া যাইত । তাহার चाङाग्र शूक्ष्माश्ब्र अििनर्विान श्हें ङ, 4११ cटवाङ:"ठॉक्लिङ নিমগ্ন প্রায় তরী ভাসিয়া উঠিয়া নিরাপদ হইত। কেবল ময়ূরভঞ্জের রাজা নহেন, ত্বলিকের এই সকল এভাবে আকৃষ্ট হইয়া শেখরদেশাধিপতি ও কেরল অধিপতিও एठtझ्द्र °लांनऊ इन । রসিকের তিন পুত্রের নাম যথা-রাধাননা, কৃষ্ণগতি ও রাধাকৃষ্ণ। রসিক ১৮শ বর্ষ বয়সে গুণমানদের নিকট দীক্ষাএাহণ করেন এবং ২০শতি বর্ষকাল গুরুর লেখা করেন। তৎপর চতুৰ্ব্বিংশ বর্ষকাল উৎকলের সর্বত্র বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচার করেন। রসিকমঙ্গলে তাহার এইরূপ পরিচয় অাছে,— “এই রূপে বাষটি বৎসর চারিমাস । কৃষ্ণের ভঞ্জন লীলা করিলা প্রকাশ ॥” রসিক ১৫১২ শকে শুক্ল প্রতিপদে জন্মগ্রহণ করেন ; ৬২ বর্ষ বয়সে ১৫৭৪ শকে ফাঙ্কনমাসের শুক্ল প্রতিপৎ তিথিতেই দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে রসিক বলেন, যেন রেমুণার গোপালের মনিীরের নিকট র্তাহার দেহ সমাহিত করা হয়, তদনুসারে ঐ স্থানেই রসিকের দেহাবশেষ রক্ষিত হয় । রসিকের সমাধি এখনও আছে । রসিকেন্দ্র দেব, ভাববতাষ্টকপ্রণেতা। ইহার অপর নাম রসিকানন্দ গোস্বামী। রসিকেশ্বর (পুং ) রসিকানাং রসজ্ঞানামীশ্বরঃ । শ্ৰীকৃষ্ণ ।

  • বৃন্দাবনাস্তরে রমে রাসোংসবসমুৎমুকম্। রাসমণ্ডলমধ্যস্থং নমামি রসিকেশ্বরমৃ ৷”

( ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপু• গণপতিখন ৩২ অ• ) রসিকোত্তংশ, প্রেমপত্তনিকা-রচয়িতা। রসিত (ত্রি) ১ আশ্বাদিত। ২ স্বর্ণাদি দ্বারা আচ্ছাদিত (গিণ্টি করা ) । ৩ দ্রীক্ষাজাত মস্ত । ৪ শৰ্ম্ম মাত্র। রসিতৃ ( ত্রি ) রসয়িত, আস্বাদনকারী।

  • So fois" (Receipt) * * রসা (দেশজ ) > রজ্জ্ব, দড়ি । ২ রন্ধন। ৩ বস্ত্র ছানিত

সুপক্ক আমাদি ফলের রস । রহই (দেশ) রন্ধন। রহস্টয় শঙ্গে পাচককে বুঝায়। রত্নডী ( দেশজ ) ১ পীড়ন । ২ দড়ি দিয়া বাধা । ब्रश्नं (পুং ) রস-উনন । রসোন, লগুন। রহম (পারী) ১ মাশুল। ২ মকৰ্দমার দাবী দিবার সময় বিবাদী সম্পত্তির মূল্যনিৰ্দ্ধারণ করিয়া গবর্মেন্টের ব্যবস্থমত শতকরা যে ধাৰ্য্যমূল্যের ষ্ট্যাম্প দিয়া দরখাস্ত করিতে হয় । ৩ পত্রাদিতে যে পরিমাণ ষ্ট্যাম্প দে ওয়া যায়। রস্থলপুর, বাদাগার মেদিনীপুর জেলায় প্রবাহিত একটী নদী। ইছা হলীর সহিত মিলিত হইয়। কাউখালির নিকট ভাগীরখাতে আলিয়া পড়িয়াছে।