পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজগৃহ [ ৩৫৯ ] রাজগৃহ গণ্য ছিল, এখন সেই সেই স্থানে হিন্দুদেবদেবী প্রতিষ্ঠিত ও হিন্দুতীর্থ কল্পিত হইতে লাগিল। এইরূপে কত বৌদ্ধকীৰ্ত্তি ব্ৰাহ্মণগণ হিন্দুর বলিয়। আত্মসাৎ করিয়া ফেলিলেন। এখন স্থির হইল ঃ– “কাকটেধু গয়া পুণ্য নদী পুণ্য পুনঃপুন । চ্যবনস্তাশ্ৰমং পুণ্যং পুণ্যং রাজগৃহং বনম্ " ১২৪। মগধে গয়া, পুনপুন্নী, চ্যবনের আশ্রম ও রাজগৃহবন এই কয়ট পুণ্য প্রদ। তৎকালে সমস্ত রাজগৃহ অরণ্যে পরিণত হইয়াছিল । রাজগৃহমাহাঝে বহুতীর্থস্থানের উল্লেখ আছে, তীর্থযাত্রীদিগকে পাণ্ডার সেই সকল তীর্থ এখনও দেখাইয় থাকেন। নিয়ে স্থানমাহাত্ম্য বর্ণিত তীর্থসমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিতেছি ঃ– ১ সরস্বতী—এই পাৰ্ব্বতীয় ক্ষুদ্রকায় স্রোতস্বতী পুণারণ্য হঠতে বাহির হইয়া বৈভার ও বিপুলগিরির মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইতেছে। সরস্ব তীতে স্নান করিলে সকল পাপ দূর হয়। এই সরস্বতী ব্ৰহ্মমুৰ্ত্তি + এবং ইহার উত্তরাংশ প্রাচীসরস্বতী বলিয়া গণ্য। ২ গোমতী—জালাদেবীর নিকট প্রবাছিত একটী সামান্য স্রোতস্বর্তী। ৩ মার্কণ্ডেয়ক্ষেত্ৰ—প্রাচী সরস্বতীর পশ্চিমভাগে বৈভার পৰ্ব্বতের পাদদেশে । এখানে গঙ্গাযমুনা নামে দুইট উষ্ণ প্রেস্রবণ অাছে। + ৪ মাধবালয়-প্রাচীর উত্তরর্তীরে মাধবের আলয় ; এখানে স্নান করিলেও সকল পাপ দূর হয়। ( রাজ"মাত ) এক্ষণে ঐস্থান বেণীমাধব নামে খ্যাত। এই মুর্ভিট দেখিলেই পদ্মপাণি বুদ্ধমুৰ্ত্তি বলিয়া মনে হইৰে । ৫ শালগ্ৰামতীর্থ-প্রাচীসরস্ব তাঁর উত্তরাংশ, ভরতকুপের fল কট। এখানে পঞ্চ শিবলিঙ্গ আছে, এতন্মধ্যে শালগ্রামের পুঞ্চে বিস্তাওক, উত্তরে দৃভমর্দন, পশ্চিমে কপর্দক, দক্ষিণে ব্রতমোক্ষণ ও মধ্যস্থলে ধৰ্ম্মেশ্বর অবস্থিত ছিল । ; এখন

  • “আজন্মসঞ্চিতং পাপং জ্ঞানাজ্ঞানকৃতঞ্চ যৎ । তৎসৰ্ব্বং খিলগ্নং যতি সকৃৎ স্নাত্ব। সরস্বতীম্।। ১১৫ গঙ্গা বিষ্ণুময়ী মূৰ্ত্তি: ব্রহ্মমূৰ্ত্তি: সরস্বতী।” ১২১ ( রাজগৃহমান ) + “প্রাচ্যাপ্ত পশ্চিমে ভাগে মাকণ্ডেয়ক্ষত্রমুত্তমম্ | 3 |Rసి

তয় প্লাজ! মহাদাণাৎ প্রাপ্যতে বর"ালয়ে । BDD BBBS BB BBBBBBBS BBS KS “শালগ্রামাচ্চতুর্দিষ্ণু পঞ্চলিঙ্গব্যবস্থিতম্। ৰ্ব্বে বিতাগুৰুং নাম চোত্তরে জশুমৰ্দ্দন । ১৪• কপদকঞ্চ বারুণ্যং দক্ষিণে ব্রতমোক্ষণম্। মধ্যে ধৰ্ম্মেশ্বরং বিদ্ধি দৃষ্ট, ধৰ্ম্মপ্রদং নৃপাম।" ১৪১ { রাজ মা- ) প্রাকারের নিকট কেবল ধৰ্ম্মেশ্বর বিদ্যমান, আর সমস্ত বিলুপ্ত হইয়াছে। ৬ বানরীতরণ-প্রাচীসরস্বতীয় দক্ষিণাংশে বৈভারের পাদদেশে শ্মশানের নিকট। এখানে স্নান করিলে ব্ৰহ্মলাযুজ্য লাভ হয় । ৯ বঞ্জ তারার মূৰ্ত্তিয় মত্ত এখানে একটা ভাঙ্গণ বৌদ্ধ দেবীমূৰ্ত্তি পড়িয়া আছে। ব্ৰহ্মকুণ্ড-বৈভাল্পের পাদদেশে সপ্তর্ষি-কুণ্ডের পার্থে প্রসিদ্ধ উষ্ণধার। দেখিতে একটা বৃহৎ চৌবাচ্ছার মত । পাথর দিয়া অতি সুন্দর বাধান। উপরে চকমকি লাগান ৷ রাজগৃহের সকল কুও অপেক্ষ এখানকার জল গরম । রাজগৃহমাহাত্ম্য-মতে ব্ৰহ্মার যজ্ঞান্তে তাহার ষজ্ঞকুণ্ডে নাতুষ্ণসলিল পাতালগঙ্গা আবিষ্ণুত হন, পরে তাহাই ব্রহ্মকুও নামে খ্যাত হইল। এই ব্ৰহ্মকুণ্ডে স্নান করিলে ব্ৰহ্মহত্যায় পাপ ও মষ্ট হয়। গয়ায় প্রাদ্ধ করিলে যে ফল, এখানে শ্রাদ্ধ করিলে সেই ফল হয়। এই ব্ৰহ্মকুণ্ডের মধ্যে নৈঋতকোণে হংসতীর্থ। এখানে স্নান ও দান করিলে সকল পাপ দূর হয় । { ব্ৰহ্মকুণ্ডের উত্তরে যক্ষিণী নামক চৈত্য। এখানে যক্ষিণীয় পুঞ্জ করিলে ব্ৰহ্মহত্যায় পাপও যায়। (রাজ- মা.) বাস্তবিক উক্ত চৈত্য দশন করিলে পুৰ্ব্বতন বৌদ্ধচৈত্যের অবশেষ বলিয়াই মনে হয় । ব্ৰহ্মকুণ্ডের পশ্চিমে বারাহক্ষেত্র। এখানে বারাহদেবের পুজা করিলে নিৰ্ব্বাণপ্রাপ্তি ঘটে । (রা মা ২অঃ) ৮ সপ্তর্ষিকুও—বৈভারগিরি মধ্য হইতে পর পর সাতটা উষ্ণপ্রস্রবণ বাহির হইয়া একটা জলাধারে পতিত হইতেছে, সেই বিস্তৃত জলাধারের নাম সপ্তর্ষিকুও। রাজগৃহমাহাত্ম্য মতে মহর্ষি ব্যাস যজ্ঞ করিবার জন্ত এই রাজগৃহবনে আগমন করেন। যজ্ঞান্তে ব্রাহ্মণভোজন করাইবার জন্য তিনি মুনিদিগকে আহবান করিলেন। মুনির গঙ্গ, যমুনা ও নৰ্ম্মদার জল থাইতে চাহিলেন। তখন ব্যাস তপোবলে গঙ্গা, যমুনা ও নন্মদাকে উপস্থিত করিলেন। সেই পুণ্যনদীত্রয়ের তীর্থজল মার্কণ্ডেয়, ব্যাস, জমদগ্নি, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র, গৌতম, দুৰ্ব্বাস, বশিষ্ট ও অনন্ত এই নামে বিখ্যাত হইল।” এই .aঞ্জামাপ্ত দক্ষিণে ভাগে বানরীতরণ স্মৃতম্। তর স্নান নয়: কুৰ্য্যৎ ব্রহ্মসাযুজ্যমাগ্ন য়াং !” + aযজ্ঞকুণ্ডং সমুৎপন্নং যজ্ঞান্তে গ্রন্তবং কিল । পাতালজাহ্নবীতেীয়ং কবোঞ্চবিমলোদক ॥ ৪ ব্ৰহ্মকুওমিতি থ্যাতং ত্ৰিষু লোকেষু পাৰ্ব্বতি । ৭ শ্রদ্ধাবা মানৰে দেবি স্বাত্ব পাতালজাহ্নবীম্‌ । ১৪ 諡をそ ব্ৰহ্মহত্যাদিপাপেভ্যে বিমুক্ত সোহপি তৎক্ষণাৎ।” ইত্যাদি হল: