পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬৫ ] রাজপুত রাজপুত-ইতিহাসলেখক স্ন প্রসিদ্ধ টণ্ড, সাহেব লিখিয়াছেন ঘে, জিট (জাট), তক্ষক ও অসি প্রভৃতি শকগণ খুষ্টজন্মের ৬• • বৎসর পূর্বে ভারতে আলিয়। উপনীত হইয়াছিলেন । ভারতীয় হিন্দুগণের সংস্রবে পড়িয় তাহার ক্রমে হিন্দুভাবাপন্ন হইয় পড়েন। এমন কি, ক্রমে আপনাদের পূৰ্ব্বতন সংস্কার পরিত্যাগপুৰ্ব্বক হিন্দুর পর্যাদির অনুকরণ করিতে আরম্ভ করেন। তাছার মহাক্ষত্রপ প্রভৃতি উপাধি দ্বার আপনাদিগকে হিন্দু ক্ষত্রিয় বলিয়। পরিচিত করিতে বিশেষ সচেষ্ট হইয়াছিলেন । কনিষ্ক, ছবিষ্ক, বামুদেব প্রভৃতি শককুষণবংশীয় কোন কোন নরপতি "দেবপুত্র’ উপাধি ব্যবহার করিতেন। সেই “দেবপুত্র’ কালে ‘রাজপুত্র হইয় পড়ে, সম্ভবতঃ তাহা হইতেই শাকদ্বীপীয়-ক্ষত্রিয়-রাজগণের রাজপুত নামের উৎপত্তি । শক রাজগণের থরোষ্ট্ৰী অক্ষরে উৎকীর্ণ মুদ্রায় ণ পরিত্যক্ত এবং সংস্কৃত রাজপুত্র” স্থলে “রাজপুত’ শব্ব প্রযুক্ত হইয়াছে। এখন ও রাজপুতনার অধিবাসিবুদ আপনাদিগকে রাজপুত বলিয়াই পরিচিত করেন । ঐতিহাসিক টড বলেন, রাজপুতনায় আসিবার পূৰ্ব্বে । রাজপুতেরা জাবুলি স্থান ও গান্ধারে রাজত্ব করিতেছিলেন। তাহার শক বংশসস্তুত হইলে ও হিন্দুক্ষত্রিয় বলিয়া গণ্য ছিলেন । ৯৫৬ খৃষ্টাব্দে ভৌগোলিক মস্বর্দী কান্দাহারকে ( গান্ধায় ) রাজপুতের রাজ্য বলিয়। বর্ণনা করিয়াছেন। ভারতীয় ইতিহাসপাঠে জানা যায় যে, কিদারকুষণবংশীয় শাহিরাজ হুণদিগকে পরাজয় করিয়া গান্ধীর অধিকার করেন। খৃষ্টীয় ১০ম শতাব্দ পর্য্যস্ত গান্ধার রাজ্য কুষণবংশের অধিকারে ছিল । আলবিরুনি কিদারবংশীয় রাজগণকে কনিষ্করাজের বংশধর বলিয়। উল্লেথ করিয়াছেন। আবার তিনি রাজতরঙ্গিণীকার কহলণের মত এই কিদারবংশকে তুরুষ্কবংশোদ্ভব অথচ কাবুলের হিন্দুরাজা বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন । খৃষ্টীয় ৫ম শতাদের একখানি শিলালিপি হইতে টড সাহেব দেখাইয়ছেন যে, শক রাজপুতগণ যাদব-কন্যায় পাণিগ্রহণ করিয়া ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিচিত হইয়াছেন । গান্ধারের শেষ কিদাররাজের মন্ত্রী কল্পট ব্রাহ্মণ ছিলেন । তিনি অর্থবলে কিদাররাজের হস্ত হইতে গান্ধাররাজ্য কাড়িয়া লন। পরে কিদারবংশ পুনরায় প্রবল হইয়া গান্ধাররাজ্য উদ্ধার করেন । ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে এই রাজবংশের অধঃপতন ঘটিলে মুসলমানের অভু্যদয় হয় । এই রাজবংশের সহিত কাশ্মীরের ক্ষত্রিয়রাজগণ সম্বন্ধস্থত্রে আবদ্ধ ছিলেন । কাশ্মীরের জনেক রাজমহিষী এই গান্ধাররাজবংশসস্তৃত। এই গান্ধার XVI 33 রাজবংশ জখুচরাজপুত বলিয়া ও গণ্য ছিলেন । টড বলেন— গান্ধারের শকবংশীয় রাজপুতশাখাই রাজপুতনায় আধিপত্য বিস্তার করেন । এই শকগণ প্রথমে সুর্য্যোপাসক ছিলেন । মগাচাৰ্য্য জরথুস্থ কর্তৃক অগ্নিপূজা প্রচার ও পারস্তাধিপতিগণ কর্তৃক তস্মতাবলম্বনে সৌর শকগণ অগ্নিপূজক হম । ভারতে যে সকল শকমুদ্র পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে হুর্য্যোপাসনা ও অগ্নিৰেদীর চিত্র দৃষ্ট হয়। ভারতেও তাছায় প্রথমে সৌর ও অগ্নিপূজক বলিয়া গণ্য ছিলেন। তাই তাছাদের বংশধর রাজপুতগণ পুৰ্ব্বপুরুষদিগের ক্ষীণধৰ্ম্মস্থতির পরিচায়কস্বরূপ আপনাদিগকেও স্বৰ্য্যবংশীয় ও অগ্নিকুলেtঞ্জব বলিয়া পরিচিত করেন । ভারতে যখন শকাধিপত্য বিস্তৃত হয়, তখন বৌদ্ধ ও জৈনধৰ্ম্ম প্রবল ছিল । ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে শিবোপাসনা তখন ও বিলুপ্ত হয় নাই। ব্ৰাহ্মণদিগের প্রভাবে শকের অধিকাংশই হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া শৈব হইয়াছিলেন। পরে কনিষ্কের সময় হইতেই এই বংশে বৌদ্ধ ও জৈনধৰ্ম্মের প্রতি অতুরাগ ও আস্থা বন্ধিত হয় । ভারতীয় ক্ষত্রিয়প্রভাবে বৌদ্ধ ও জৈনধৰ্ম্মের অভু্যদয় ঘটে । সেই ক্ষত্রিয়প্রভাব বিলুপ্ত করিবার মানসে নীতিকুশল ব্রাহ্মণগণ অভ্যর্গত শকমৃপতিগণের আশ্রয় লইলেন। শক রাজগণ ক্রমশঃই নিতান্ত গোত্রাহ্মণভক্ত হইয় পড়িলেন, পক্ষান্তরে ব্রাহ্মণেরা ও তাহাদিগকে বিশুদ্ধ ক্ষত্রিয় বলিয়া স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হইলেন না। এই সকল রাজগণের সাহায্যে ব্রাহ্মণ্যধন্মের পুনরভু্যদয় ঘটে । ব্রাহ্মণসহায়ে শক রাজবংশীয়গণ ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিগণিত হইলে, তাহদের ভারতীয় উৎপত্তি ও বিশুদ্ধ ক্ষত্ৰিয়ত্ব প্রতিপাদনার্থ ব্রাহ্মণ ও ভট্টকবিগণ বশিষ্ঠকর্তৃক অগ্নিকুলেtৎপত্তি প্রচারকাহিনী প্রচার করিলেন এবং তাহাই কালে প্রকৃত বিবরণ বলিয় রাজপুতসমাজে গৃহীত হয় । ভবিষ্যপুরাণেও দেখা যায়—“অগ্নিজাত্য মগfঃ প্রোক্তা: সোমঞ্জাত্যাঃ দ্বিজাগুরু" অর্থাৎ শাকদ্বীপীয় মগগণ অগ্নি হইতে উৎপন্ন। এইরূপে শাকদ্বীপীয় ব্রাহ্মণগণের স্তায় ক্ষত্রিয়গণ ও ‘অগ্নিকুল বলিয়া পরিচিত হন। এখন আর রাজপুতগণ আপনাদিগকে শকবংশীয় মনে করেন না । মহাত্মা টড নানা প্রমাণ দ্বার দেখাইয়াছেন যে, এখনও রাজপুতদিগের ভ্যাচারব্যৰচায়, ইতিনীতি ও উৎসধাদিতে ওতপ্রোতভাবে শকপ্রভাব বিদ্যমান রহিয়াছে । [ শক দেখ । ] উক্ত শৌৰ্য্যবীৰ্য্যশালী রাজপুতজাতি কালে স্বীয় ভুজৰলে छेद्धब्रडाब्राङब्र अ१िकtश्* श्ॉन अधिकांग्न कब्रिब्र छख९शांनौब्र