পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতনা [ ৩৬৯ ] রাজপুতনা দুঙ্গরপুর ة،ة ه م ه لاit اجية মেবার বা উদয়পুর ఏ చిఱ 9 দক্ষিণপশ্চিমে— পিরোহী కి c ని ఆ भ६J ड{c१-- আজমীর ২৭১১ কিষণুগড় १२8 শাহপুর 8е в টোঙ্ক నిd ల సి লাব। ᎼᏑ আরাবল্লী পৰ্ব্বতমালার মনোহর দৃপ্ত ব্যতীত এখানে নয়নমুখকর আর কোন দৃশুই নাই ; পশ্চিম ও উত্তরের কতকাংশ মরুময় বলিয়া এই স্থান পুরাণাদিতে মরুস্থলী বা মরুদেশ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। ইহা অারাবল্লী পৰ্ব্বতের উত্তরপশ্চিম কোণ হইতে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। ইহার দক্ষিণাংশে আবু শিখর। প্রবাদ, এখানে বশিষ্ঠ ঋষি অগ্নিযজ্ঞ করিয়াছিলেন । এই মরুময়ুদেশে সামান্ত বৃষ্টিতেই চাষ হইয়া থাকে । লোনা নদী ব্যতীত এখানে জল সরবরাহের আর কোন ও মদী নাই । চন্দারার জল অত্যপ্ল কাল মধ্যেই লবণাক্ত হঠয়া যায়। সমগ্রদেশের অবস্থা মরুময় ও বনমালাবিভূষিত হইলেও রাজধানী নগরাদির অবস্থা ততদূর সমৃদ্ধিহীন নহে । রাজপুতনা মালব-রেলপথ আরাবল্লীর উত্তর দিয়া বিস্তৃত থাকায় স্থানীয় বাণিজ্যের বিশেষ উন্নতি সাধিত হইয়াছে । ইহার দক্ষিণপুৰ্ব্বাংশ বিন্ধ্যগাত্রবিধৌত শাখানদীসমূহ বনাশ ও চম্বল নদীদ্বয়ে মিলিত হইয়া উত্তরপূৰ্ব্বদিকে জলধারা ঢালিয়া দিতেছে। পুৰ্ব্বদিকে ঝালরা-পাটনের উত্তরে পাথর শৈলের অধিভ্যকা প্রদেশ । ইহার উপরে কোটারাজ্য অবস্থিত । লোনী, বাণগঙ্গা, বনাশ, চম্বল, পাৰ্ব্বতী, শাবরমতী, মহী, সোম প্রভৃতি নদীই প্রধান। লবণজলপূর্ণ সম্বরভুদ ব্যতীত ( মেবাররাজ্যে) কএকটা কৃত্রিম হ্রদ দেখা যায় । ১৬৮১ খৃষ্টাব্দে রাজা জয়সিংহ-বিনিৰ্ম্মিত দেবার ও কাঙ্করেীলী নামক নগরে দুই হ্রদ আছে। প্রথমোক্ত জলাশয়ট -জয়সমুন্দর” নামে খ্যাত, উহার পরিধি ৩০ মাইল । মুসলমানাধিকারে পূৰ্ব্বে রাজপুতজাতির ইতিবৃত্ত্ব স্বসম্বদ্ধভাবে লিপিবদ্ধ ছিলন ৷ ভট্ট কবিগণ রাজপুতনাবাসী রাজংশধরগণের ষে কীৰ্ত্তিকাহিনী এতদিন গান করিয়া আসিতেছেন, তাছাই অবলম্বন করিয়া কর্ণেল টড, রাজস্থানের XVÍ 3ళ) ধারাবাহিক ইতিবৃত্ত সঙ্কলনে অগ্রসর হন। বর্তমান সময়ে রাজপুতজাতির কীৰ্ত্তিমগুপসমূহে প্রাপ্ত শিলালিপি হইতে রাজপুতরাজগণের কাল ও বংশধারায় যে তালিকা পাওয়া গিয়াছে, তাহা আলোচনা করিলে রাজপুত আখ্যায়িকার একটী নুতন সংস্করণ লাভের আশা করা যায়। মুসলমানসমাগমের পূৰ্ব্বে কনোজসিংহাসনে একমাত্র রাঠোররাজগণই প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন এবং গুজরাতের অনহলবাড়ে রাজধানী স্থাপন করিয়! চোলুক্যরাজপুতগণ সমগ্র দক্ষিণপশ্চিম রাজপুতন। শাসন করিতেছিলেন । এইসময় আরও কএকটী রাজপুত রাজবংশ সমুন্নত হইয় উঠে। খৃষ্টীয় ১১শ শতান্সে যখন গজনীপতি মাদ ভারতবিজয়ে আগমন করেন, তখন অনহলবাড়ে শোলান্ধীবংশীয়গণ, আজমীরে চৌহানগণ এবং কনোঙ্গে রাঠোরগণ ভারতের রাজগণ মধ্যে মুখপাত্র স্বরূপ বিরাজ করিতেছিলেন । এইসময়ে গহলো তবংশ ধীরে ধীরে মেবার ( উদয়পুর ) সিংহাসনে এবং কচ্ছবাহগণ জয়পুর রাজধানীতে থাকিয়। রাজপুতগৌরবের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করিতে বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন । মাস্ক, ভারতে আসিয়া শোলাদিগকে পরাজিত করিলে ও তাহাদের শক্তি হ্রাস করিতে সমর্থ হন নাই । ইহার পরেই রাজপুতদিগের মধ্যে গৃহবিবাদের স্বত্রপাত হয়। শোলাক্কী ও চৌহান রাজগণ নিজে নিজে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত হইয়া আপন আপন বলক্ষয় করেন । কনোঞ্জের রাঠোরসর্দার জয়চাদের কন্যার স্বয়ম্বর: উপলক্ষে জয়চাদের সহিত চৌহানপতি পৃথ্বীরাজের ঘোর বিরোধ উপস্থিত হয়। এই গৃহবিবাদই ভারতের সর্বনাশের মূল । রাজা জয়চাদ জ্ঞাতিশত্রুর অপমানে উত্তেজিত হইয়া সাহাব উদ্দীন ঘোরীকে আমন্ত্রণ করেন। এদিকে পৃথ্বীরাজ চমেদল্লরাজ পরমর্দিদেবকে পরাজিত করিয়া মহোবা অধিকার করিলেন । মহম্মদ স্বরাজ্য-সীমাস্তবাদী বিধৰ্ম্মী শত্রু দিল্লীশ্বরকে বলবৃদ্ধ দেখিয়া তাহার ক্ষমতাচ্ছ্বাসের জন্য সদলে ভারতাভিমুখে অগ্রসর হইলেন। ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে তিরোরী রণক্ষেত্রে মুসলমানের হস্তে ভারতের অদৃষ্ট্রলিপি পরিবর্তিত হইয়া গেল । পর বৎসর কনোজ অধিকৃত হইল। মুসলমান-প্রতিনিধি কুতব উদ্দীন আসিয়া আজমীর ও অন্‌হলবাড়ে সেনাস্থাপন করিলেন । ভারত রাজধানী দিল্লীনগরে মুসলমানের রাজপাট প্রতিষ্ঠিত হইল । ১৩শ শতাব্দে মালবরাজ্য দিল্লীর অধিকারভুক্ত হয় । ১৪শ পঞ্চাকের প্রারম্ভে আলাউদ্দীন খিলিঙ্গী গুজরাতের রাজপুতগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া ঠাহাদিগকে সমূলে বিধ্বস্ত করেন ।