পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুতনা প্রা ৬ষ্ঠা হয় । এঠ মুসলমানরাজগণ দিল্লীশ্বর অপেক্ষা কঠোরশাসনে রাজপুতগণকে নিগৃহীও করেন । ১৫শ শতাব্দে মুসলমান ও রাজপুতে ঘোরতর যুদ্ধ চলিয়াছিল । খৃষ্টায় ১৬শ শতাদের এরিস্তে কিছুকালের জন্ত রাজপুতশক্তি পুনর্জীবিত হইয়া উঠে। দিল্লীর শেষ আফগানরাজবংশের শাসন-বিশৃঙ্খলা এবং গুজরাত ও মালবের মুসলমান মুলতানগণের পরস্পর বিরোধ লক্ষ্য করিয়া মেবারের শিশোদিয়া বংশধর রাণ। সঙ্গ হিন্দুর জিয়-বৈজয়ী উডঙীন করিতে প্রয়াস পান । তিনি চন্দের,রাঞ্জ মেদিন রা গুর সাহায্যে মালব ও গুঞ্জ রাতপতির বিরুদ্ধে ঘোরতর যুদ্ধ করিয়া তাঙ্গাদিগকে পরাজিত করিয়াছিলেন । ১৫১৯ খৃষ্টাব্দে মালবরাজ ভঁাহার কস্তে বন্দী হন এবং ১৫২৬ খৃষ্টাব্বে গুজরাতপতির সহিত মিত্রত। স্থাপন করিয়া তিনি মালব রাজ্য অধিকার করেন । এছ সময় রাণ সঙ্গ ( সংগ্ৰাম ) প্রকৃতপক্ষে সমগ্র রাজস্থানের ! আধিপতি হইয়াছলেন । ; মালবঞ্জয়ের মধ্যবহিত পরেই, মোগলসম্রাট বাবরশাহ ! দিল্লী অধিকার করেন । ১৫২৭ খৃঃাঞ্চে ফতেপুরাসক্রিতে রাজপুতের সংহ মোগণের ধেরি তর সংঘর্য উপস্থিত হয় । পুদ্ধে রাণার বিপুল বাহিনী পরাজ ও হ ওয়ায় রাজপুত-শক্তি নিরাশ। স্রোতে নিমাতস ৩ হইল ৷ পর বৎসর মেদিনী রাও স্বীয় চন্দেরী রাজ্য রক্ষার জন্য বহুসংখ্যক রাজপুত ধীর লঙ্গ স্থা মোগলপতির সম্মুখীন হইলেন । বাবর শাহ তাঙ্কাকে পরাস্ত করিয়া উক্ত নগর লুণ্ঠন করেন । রাঠোরপতি মালদেব রাও মোগলের বগু হু স্বীকার করিয়াছিলেন। উপযুপিরি গুজরাতের মুসলমানরাজের সহিত এবং দিল্লীশ্বর শেরশাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়৷ যুদ্ধৰ্য রাঠোরগণ হীনবল হইয় পড়ে । সমটুি আকবর শাহ সাম, দান, ভেদ ও দণ্ডদ্বার। রাজপুত জাতিকে পদানত করিতে চেষ্টা পান । cযাধপুররাজ তাছার ওস্তে পরাঞ্জিত হং স্না মোগলের দাসত্ব স্বীকার করেন, } ক স্ত্র শিশোদিয়াবংশধর প্রতাপসিংহ তাহার পদানত হু চতে [ ७१० তোগলক বংশের অবস{নে মালবে স্বাধীন মুসলমানরাজ্যের স্বীকৃত হন নাই । তিনি আকবর শাহের বিপুলবাহিনীর }বকদ্ধে হলুদীঘাট রণক্ষেত্রে যে যুদ্ধ করিয়াছিলেন, তাই। হ{ ৩হাসে জল ও বণি শু হইয়াছে । আকবর শাহ এবং তংপুত্র জাহাঙ্গীর রাজপুত রমণীয় ! পাণি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । শাহ জাহান বালা কাল হইতে রাজ্যের বাহিরে থাকতেন, তদবধি রাজ্যারোহণকাল পর্যস্ত তিন উদয়পুরে রাণীর মাশ্রয়ে বাস করিয়াছিলেন । আকবরের সময় যে রাজপুত জাতি আপনাদের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাথিতে | রাজপুতনা বদ্ধপরিকর ছিলেন, তাহারাই খৃষ্টীয় ১৬ শতাদের শেষভাগে মোগলসম্রাটের সহিত মিত্রতাপাশে আবদ্ধ হইয়। মিত্ররাজ রূপে পরিগণিত হন । অরঙ্গজেবের সুঞ্জ্যিারোহণ কালে মোগলরাজ সরকারে গৃহবিবাদ উপস্থিত হয় । সেই সময় রাজপুত সেনাপতি ও রাজপুত রাজ কৰ্ম্মচারিবৃন্দ সকলেই দারার পক্ষাবলম্বন করেন, তথাপি আরঙ্গজেব রাজপুত সেনাদলের আদুম্যসাহস ও বীরত্ব দেখিয়া তাহাদের পক্ষপাতী হন । তিনি কাবুল শাসনের জুলু রাজপুত প্রতিনিধি প্রেরণ করেন এবং দক্ষিণাতে্যু রাজপুত সেনানায়ক দ্বারা যুদ্ধবিগ্ৰহ পরিচালিত করিতেন । দুঃখের বিষয়, ধম্মান্ধ সম্রাট উভয় রাজপুতসেনাপতিকেই অবশেষে ই ই জগৎ হৃততে অপস্টত করিতে বাধ্য হন । অরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর, শিশোদিয়া, রাঠার ও কচ্ছা! রাজপুতগণ একযোগে স্বাধীনষ্ঠ প্রয়াসী সামাজ্যের বিরুদ্ধে অভূখিত হন। কহয় মোগল নাদিরশাহ উত্তর-ভারত লুণ্ঠন করিলে পর, তাহারা আর একবার মস্তকোত্তোলন করেন । কিন্তু তাইদের পরস্পরের সন্ধিসৰ্ত্তে রাঠোর অথবা কচছু বাহু রাজগণের শিশোদিয়া মহিষীর গর্ভজাত পুত্রের সিংহাসনাধিকারে প্রাধান্ত লিখিত থাকায় পরস্পরের মনোবাদে এ উদ্যম ব্যথ হইয়া যায় । ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দে মহারাষ্ট্রগণ আজমীর অধিকার করে । তদবধি রাজপুতনায় ঘোর বিশৃঙ্খলা ঘটিতে থাকে। এইসময়ে পাঠান ও মহারাষ্ট্রয়দলের উপদ্রবে রাজপুতজাতি, অধঃপত্তিত মোগলসাম্রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গেই অবসাদ প্রাপ্ত কয় । এমন কি, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সর্দারবর্গ দমাবৃত্তির দ্বারা আপনার স্বজাতায়ের প্রতি অত্যাচার করিতে ও সস্কুচিত হন নাই । ১৮০৩ খৃষ্টাকে সমগ্র রাজপুতনা প্রকৃতই মহারাষ্ট্ৰীয়ের কবলিত হইয়াছিল । হোলকর ও সিন্দেরাজগণ রাজপুতনা লুণ্ঠন করিয়া উৎপন্নপ্রায় করিয়াছিলেন। ইংরাজ-সেনাপতি ওয়েলেসলী ও লেকের শুভাগমনে রাজপুত জাতি কঠোর করভার হইতে অব্যাহতি পান । সিন্যেরাজ পরাজিত হইয়। ১৮•৫ খৃষ্ঠাকে রাজপুতনার অধিকৃত প্রদেশ ছাড়িয়া দেন । লর্ড ওয়েলেসূল, ভারত পরিত্যাগ করিলে রাজপুতনার শাসনভার সামন্তরাজগণেরই উপর ন্যস্ত হয় । দমু্যসর্দারগণ সুযোগ পাহয়। পুনরায় অত্যাচার আরম্ভ করে। এমন কি, ইংরাজশক্তিকেও উপেক্ষা করিয় তাহার দশ বৎসরকাল অবিশ্রান্ত অত্যাচার ও আক্রমণে রাজপুতরাজ্য বিলোড়িত করিয়াছিল । ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে পেন্ধারিদমু্যদল আমীর খার অধীনে একত্র হয় । [ পেন্ধারী দেথ । ]