পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজসাহী বঙ্গের ছোটলাটের ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হইয়াছিলেন। ইনিই নাটোরের বর্তমান মহারাজ । রাজা শিবনাথেরও পুত্র হয় নাই । দত্তক গ্রহণ করেন । তিনি আনন্দনাথকে আনন্দনাথের যত্নে দেবার সম্পত্ত্বির উন্নতি হয়। তিনি রামপুরবোয়ালিয়ার সাধারণ পুস্তকালয়ের জন্ত দশহাজার টাকা দেন, সেই পুস্তকালয় এক্ষণে “আনননাথ লাইব্রেরী” নামে খ্যাত । তজ্জস্য বুটশগবমেণ্ট তাহাকে "রাজ বাহাদুর” ও তৎপরে সি, আই, ই উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে চারিপুত্র ও দুইকন্ত। রাথিয় পরলোক গমন করেন। তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ চন্দ্রনাথ সুপণ্ডিত ও বুদ্ধিমান ছিলেন । তিনিও বুটশগবমেন্টের নিকট হইতে “রাজা বাহাদুর” উপাধি ও ‘ফরেণ আপিসে’র *আটাচী” পদ লাভ করেন। তিনি ২য় ও ৩য় সহোদর কুমুদনাথ ও নগেন্দ্রনাথের অকালমৃত্যুতে শোকসগুপ্ত হইয়। স্থ হলোক পরিত্যাগ করেন । তাহtয় সৰ্ব্বকনিষ্ঠভ্রাতা যোগেন্দ্রনাথ কিছুদিন ছোটতরফের কর্তৃত্ব করিয়াছিলেন। অল্পদিন হইল, তিনিও একমাত্র পুত্রের অকালমৃত্যুতে ভগ্নহৃদয় হইয়। প্রাণপরিত্যাগ করেন ; তাহার একমাত্র নাবালক পৌত্ৰ এথন জীবিণ্ড । দীঘাপতিয়ারীজ । দয়ারাম রায় হইতে দীঘাপতিয়া-রাজবংশের উৎপত্তি । তিনি নাটোরের রাজ রামজীবন ও রঘুনন্দনের দক্ষিণহস্তস্বরূপ ছিলেন। দয়ারাম লেখাপড়ায় তেমন কৃতবিদ্য না হইলেও তাহার লোকচরিত্র বুঝিবার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল । মুখ দেখিলেই তিনি কে কেমন লোক বলিয়া দিতে পারিতেন । এই শক্তি বলেই স্থিলি সামান্ত পদ হইতে রাজ রামজীবনের প্রধান মন্ত্রিত্বলাভ করেন । মুশিদাবাদে অবস্থানকালে নবাব জমিদারসৈম্ভের অধিনায়ক করিয়। তাহাকে রাঙ্গ সীতারামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার জন্ত পাঠাষ্টয়া দেন। তাহারই কৌশলে রাজা সীতারাম পরাজিত ও বন্দী হন ; তজ্জন্ত নবাব অতিশয় সপ্তষ্ট হইয়। তাছাকে “রায়রায়|” উপাধি এবং রাজ রামজীবনের প্রতি প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ কৰ্ত্তকগুলি জমিদারী প্রদান করেন । বলিতে ৰুি, এই দয়ারামের সদযুক্তি ও পরামর্শে অল্পদিনের মধ্যে রাজা রামজীবন ও রঘুনন্দন অতুল সম্পত্তির अशौर्श्वग्न झ्छेब्रांछ्रिटन । দয়ারাম প্রথমতঃ পরগণা ভাতুরিয়ার অন্তর্গত তরফ নন্দকুজা, জেল বগুড়া ও ময়মনসিংহের অন্তর্গত তরফ ডুমরাই, জেল যশোরের অন্তর্গত তরফ মাউলকালন, পাবনাজেলার অন্তর্গত তরফ সিলিমপুর ও রাজা সীতারামের [ ৩৯০ ] রাজসাহী অধিকারভুক্ত কএকটা তরফ লাভ করেন। ইহাতে র্তাহার লক্ষাধিক টাকা অtয় ছিল । ক্রমে অপরাপর সম্পত্তি ক্রয় করিয়া তিনিও একজন প্রধান জমিদার ও বিপুল অর্থশালী বলিয়া গণ্য হইয়াছিলেন । এরূপ অর্থশালী হইলেও তিনি নাটোর-রাজসরকারের মন্ত্রিত্ব কখনও ত্যাগ করেন নাই । মধ্যে রাজ রামকাস্তের সহিত মনান্তর ঘটিলে তিনি কৰ্ম্মত্যাগ করিলেও রামকান্তের পুনরায় রাজ্যপ্রাপ্তিকালে আবার তিনি মন্ত্রিত্বগ্রহণ করিয়াছিলেন । তৎপরে রাণী ভবানীর সময়েও দয়ারাম রাণীর প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন। রাণী ভবানী দয়ারামের সহিত পরামর্শ ব্যতীত কোন কাৰ্য্যই করিতেন না। নাটোরসরকারে দয়ারামের এতদুর প্রভুত্ব ছিল যে, এখান হইতে সহস্ৰ সহস্র ব্রাহ্মণকে যে সকল ব্ৰহ্মত্র দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে ও দয়ারাম রায়ের স্বাক্ষর দৃষ্ট হয়। এমন কি, রাণী ভবানীর বিবাহের লগ্নপত্রেও দয়ারাম রায় স্বাক্ষর করেন । গুনা যায় যে, দয়ারামের স্বাক্ষর ভিন্ন নাটোরের কোন দানই সিদ্ধ হইত না । দয়ারাম লিঞ্জ উন্নতির সঙ্গে বহু সংকীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া স্মরণীয় হইয়াছেন। মহম্মদপুর ছহতে রাজা সাঁতারামপ্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণচন্দ্রবিগ্ৰছ আনি নিজ রাজধানীতে প্রতিষ্ঠিত করেন, এতদ্ভিন্ন বিনোদগোপাল ও কৃষ্ণজী বিগ্রহ স্থাপন করিয়া তাহদের নিত্য সেবা ও পুজার জন্য যথেষ্ট সম্পত্তি দান করেন। তিনি বহু চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন ও সেই সকল চতুষ্পাঠীর সমস্ত খরচই যোগাইতেন । এ ছাড়া সাধারণের জলকষ্ট নিবারণের জন্য নানাস্থানে পুষ্করিণীপ্রতিষ্ঠা এবং সেই সকল স্থানের ব্রাহ্মণদিগকে ব্ৰহ্মত্ৰ দিয়া शिबाइन | বুদ্ধবয়সে দয়ারামের মৃত্যুর পর তৎপুত্র জগন্নাথ রায় অল্পদিনের জন্তু রাজ্যভোগ করেন। তাহার ১৬টী সস্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র প্রাণনাথ রায় জীবিত ছিলেন ; পিতার মৃত্যুর পর তিনিই রাজ্যলাভ করেন । তিনি মহা ধূমধামের সহিত পিতৃশ্ৰাদ্ধ সম্পন্ন করিয়াছিলেন। প্রাণনাথ দানেও মুক্তহস্ত ছিলেন । তাহার পুত্রসস্তান না থাকায় তিনি প্রসন্ননাথকে দত্তক গ্রহণ করেন । প্রসন্ননাথের নাবালক অবস্থায় প্রাণনাথের মৃত্যু হয়। তাছার সম্পত্তি কোট অব ওয়ার্ডের হাতে যায়। কতকগুলি ধুৰ্ত্ত ও অসচ্চরিত্র ইংরাজ তাহার সঙ্গী হয় ; কুসঙ্গে তাহার উচ্চপ্রকৃতি কুপথগামী হইবার উপক্রম হইয়াছিল। কিন্তু অল্পদিনমধ্যেই তাহার চৈতন্য হইল। : তিনি কুসংসর্গ পরিত্যাগ করিয়া সৎকার্য্যে মনোনিবেশ করিলেন। দীঘাপতিয়া হইতে রামপুত্ৰবোঙ্গালিয় ও বগুড়া যাইবার রাজপথ তিনি এককালে ৩৫ হাজার টাকা খরচ