রাজসাহী [ ৩৯১ ] রাজসাহী করিয়া মেরামত করিয়া দেন। দীঘাপতিয়ার উচ্চশ্রেণির ইংরাজী স্কুল ও রামপুরবোয়ালিয়ার চিকিৎসালয়ের জন্য এককালে লক্ষটাকা দান করেন। দীঘাপতিয়ার “প্রসন্নকালী” র্তাহারই প্রতিষ্ঠিত, দেবীর নিত্য সেবার জন্য প্রত্যহ একমণ চাউল, তদুপযোগী উপকরণ এবং রাত্রিতে ১০১৫ জন ব্রাহ্মণভোজনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে ২০এ এপ্রেল তিনি “রাজ বাহাদুর” উপাধি লাভ করেন। তিনি বড় শিকারী ছিলেন, অনেক বড় বড় সাহেব ও জমিদার भिकाय्द्र शश्वाब छछ ॐाशत्र সহিত মিলিত হইতেন । র্তাহার পুত্রসস্তান হয় নাই। তিনি সুধী প্রমথনাথকে দত্তকগ্রহণ করেন । ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে রাজা প্রসন্ননাথের মৃত্যু হয়। এ সময় প্রমথনাথ নাবালক থাকায় তাহার সম্পত্তি কোট অব ওয়ার্ডে যায়। কোট অব ওয়ার্ডের তত্ত্বাবধানে কলিকাতায় থাকিয়া রাজা প্রমথনাথ সুশিক্ষিত হন ও র্তাহার চরিত্র উচ্চ আদর্শে গঠিত করিবার অবসর পান। ওয়ার্ডে তিনি সুপ্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ ডাক্তার ( পরে রাজা ) রাজেন্দ্রলাল মিত্রের তত্ত্বাবধানে থাকিতেন। ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে তিনি সাবালক হইয়া স্বহস্তে রাজ্যভার গ্রহণ করেন । এ সময় তাহার সম্পত্তির আয় ও নগদ টাকা যথেষ্ট বাড়িয়া ছিল। ১৮৭১ খৃষ্টাকে তিনি “রাজা বাহাদুর” উপাধিতে ভূষিত হন। র্তাহার সময়ে কেবল পুৰ্ব্বতন জমিদারীসমুহের আয়ু বৃদ্ধি হইয়াছিল এমন নছে ; রাজশাহী, হুগলী, যশোর ও নদিয়া জেলার অধীনে অনেক জমিদারী তিনি খরিদ করিয়াছিলেন । তাহার যত্নে ও মিতব্যয়িতাগুণে তিনি রাজশাহী জেলার মধ্যে একজন প্রধান জমিদার বলিয়। গণ্য হন । তিনি স্বদেশহিতৈষী, দেশীয় শিল্পভক্ত ও প্রজাপ্রিয় ছিলেন। যে রাজশাহী জেলা একসময়ে শিল্পে ভারত মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলিয়া গণ্য হইয়াছিল, সেই রাজশাহীর শিল্প তংপুৰ্ব্বেই এককালে বিলুপ্ত হইয়। আসিতে থাকে। রাজা প্রমথনাথ নানা স্থান হইতে শিল্পী আনিয়। দেশীয় শিল্পের পুনরুদ্ধারে যত্নবান হইয়াছিলেন । অকালেকালক বলে পতিত ন হইলে তাহাদ্বারা দেশের যে কত উপকার সাধিত হুইত, তাহ বলা যায় না । শিল্পে উৎসাহদান ব্যতীত তিনি নানা সদসুষ্ঠানে যথেষ্ট অর্থব্যয় করিয়া গিয়াছেন। তিনি মিতব্যয়ী, মিতাহারী, পরিশ্রমী ও সকল কাৰ্য্যে র্তাহার একটা নিয়মশৃঙ্খল ছিল । প্রমদানাথ, বসন্তকুমার, শরৎকুমার ও হেমন্তকুমার এই চারিপুত্র ও এককন্স রাখিয়া রাজা প্রমথনাথ ১৮৮৩ খৃষ্টাবে ডিসেম্বর মাসে ইহলোক পরিত্যাগ করেন। রাজ্য বিচ্ছিন্ন হইলে পুৰ্ব্বপুরুষের আচরিত ক্রিয়াকৰ্ম্ম সম্পাদনে ও পূৰ্ব্ববৎ রাজসন্মান রক্ষায় অসুবিধা হইতে পারে ভাবিয়া তিনি দীঘাপতিয়া-রাজ্যভুক্ত সমুদয় সম্পত্তি জ্যেষ্ঠ প্রমদানাথকে দিয়া যান এবং নুত্তন সম্পত্তি খরিদ করিয়া ও বহু নগদ টাক। অপর তিন কুমারকে সমান্নাংশে ভাগ করিয়া দেন। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে ২৯এ জানুয়ারী প্রমদানাথ “রাজা স্বাহাদুল্প” উপাধিতে সম্মানিত হক্টলেন। রাজা প্রমদানাখ ও র্তাহার অনুজগণ সকলেই সুশিক্ষিত, বিদ্যোৎসাহী ও নান সৎকার্য্যে উৎসাহদাতা। তিন কুমার এক্ষণে পিতৃ আজ্ঞা অমুসারে দয়ারামপুরে স্বতন্ত্র রাজবাটী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া তথায় বাস করিতেছেন। छूयलङ्कँौग्नांछ । কুবলহাটরাজবংশের উৎপত্তি সম্বন্ধে তদ্বংশীয়ুদিগের নিকট এইরূপ প্রবাদ শুনা যায় যে, বর্তমান রাজার বহুপুরুষ পুৰ্ব্বে মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত যজ্ঞেশ্বরপুর গ্রামে “জগৎরাম রায়” নামে এক শোণ্ডিকজাতীয় ধনী বণিকের বাস ছিল। তিনি শ্ৰীমন্ত সওদাগরের ন্যায় জলপথে নৌক৷ বোঝাই সহ বর্তমান দুবলহাট গ্রামের নিকট আসিয়া উপস্থিত হন। এখানে দেবী রাজরাজেশ্বরীর আদেশে নিকটবৰ্ত্তী গ্রামসমূহ অধিকার করিয়া ও এখানকার বনজঙ্গল কাটাইয়। দেবী রাজরাজেশ্বরীকে উদ্ধার করিয়া তাহার সেবাহতরূপে এখানে বাস করিলেন । অর্থ ও লোকবলে অল্পদিন মধ্যেই দুবলহাটীর নিকটবৰ্ত্ত ২৩ ক্রোশ জমি তাহার অধিকারভুক্ত হইল। তৎপরে বহুপুরযের নাম জানা যায় না। মুসলমান নবাবের নিকট তুলসীরাম এই বংশের মধ্যে প্রথম রায়চৌধুরী উপাধি লাভ করেন । তুলসীরামের পর যথাক্রমে রায়চৌধুরী উপাধিধারী মুক্তারাম ও কৃষ্ণরাম দুইভ্রাতা, তৎপরে পুত্রাদিক্রমে রঘুনাথ, পরমেশ্বর, শিবনাথ, কৃষ্ণনাথ, আনন্দনাথ ও হরনাথের নাম পাওয়া যায় । পুর্বে স্থানীয় লোকে ঐ বংশকে “রাজা” বলিয়া সম্বোধন করিলে ৪ বুটশগবর্মেন্ট হরনাথকেই প্রথম "রাজা” উপাধি দিয়া সন্মানিত করেন । নবাবী আমলে দুবলহাটীর জমিদারের এক প্রকার নিষ্কর জমিদারী ভোগ করিতেন । এ সম্বন্ধে প্রবাদ আছে যে, নবাব দুবলহাটর জমিদারের নিকট রাজস্ব তলব করিলে তিনি বলিয়াছিলেন—“আমার রাজ্য অতি ক্ষুদ্র, বিল ও জঙ্গলময়, প্রজার কর অতি কম ; রাজার রাজস্ব দিতে গেলে আর আমার কিছু থাকিবে না। নবাব সেই কথায় বিশ্বাস করিয়া তাহার রাজকর প্রতিবৎসর ২২ কাহন কই মাছ নির্দিষ্ট
পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৩৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।