পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণদেব [ ৪৩৮ ] রামকৃষ্ণদেব অtবগুক নাই । যে লেখাপড়ায় চাল কল লtভ হয়, তাহ। আমি শিথিব না। তাই বলিয়। তিনি সকলকে মুর্থ হইতে উপদেশ দেন নাই। তিনি বলিতেন বুদ্ধির শুদ্ধিহেতু শিক্ষা। যে বিষ্ঠায় বুদ্ধর উৎকর্য সাধিত হয়, যে বিস্কায় বুদ্ধিকে ভগবানের নিকট ধাবিত করে, ধেই বিষ্ঠা—সেই ব্রহ্মবিদ্যা আজীবন অভ্যাস করাই সকল নরনারার কৰ্ত্তব্য। গৈরিক বসন পরিধানপুৰ্ব্বক সন্ন্যাসী লাঞ্জ বা ভিক্ষুক। শ্রমাবলম্বী হওয়ায় তাহার অভিমত ছিল না । তিনি বলতেন, কম গুলু লওয়া,গৈরিক বসন পরিধান বা লোকের মাথায় কাঠাগ ভাঙ্গি। আত্মমুখভোগ করা সন্ন্যালি-সন্ম ১ নহে। ভগবানের । প্রতি যাহার মন ধাবিত হয়, তাহার সধ্ববিষয়ে ঔদাস্য জন্মে । | এই ভাব তাঁচার চরিত্রে পূর্ণভাৰে প্রকটত হয়েছিল। রাসমণির ঠাকুর-বাড়ীতে তিনি কিছুদিন পুজারি রূপে মথোপার্জন করেন। এই অবস্থা হইতে যখন তাহার অবস্থা স্তুর ' হয়, তখন তিনি আর পুলাদি করিতেন না ; সে অবস্থায় তাহার যাবজ্জীবন দৈহিক বায়াদির ভীর মন্দিরের ব্যয় হইতে সস্কুলান হইবার ব্যবস্থা হইয়াছিল। এই সময়ে শম্ভুচন্দ্র মল্লিক ও রাসমণির জামাত। মথুর বাবু তাছার নিত্যসেবার স্বত ব্যবস্থা করিবার প্রয়াগ হইলে তিনি বলিলেন, চলিয়। যাইতেছে, আবার নুতন ব্যবস্থা কেন ? কালীর ইচ্ছায় সকলি হয়, ইহা জানিয়া শুনিয়া মধুর! তুমি শেষে এই কথা বলিলে। মথুর বাবু তাছাকে যে সব বারাণসীর চেলা ব্যবহারের জন্য প্রদান করিতেন, তাহ। তিনি প্রায়ই মন্দিরের কাঞ্চনীয়া বা যাত্রাওয়ালাদিগকে দিতেন। তিনি যে স্ত্রীকাঞ্চনের মায়া পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহার বহু হর । हेिiश्व १tst षtा । বাল্যকালেই তাহার পিতা পরলোক যt it করেন, সুতরাং সে বিষয়ে বলিবার কিছুঠ মাই। মাতার প্রতি তাহার যথেষ্ঠ ভক্তি ছিল । রামকৃষ্ণrদৰ যখন রাসমণির কালীবাটতে কাৰ্য্য করিতেন, সে সময় এবং তাহার পরেও তাহার মা ত প্রায় নিকটেই থাকিতেন । ভ্রাত্ত ভ্রাতুপুল ভগিনী ভাগিন, ইত্যাদি সকলের সহিত সম্বন্ধ রাখিয়াছিলেন । কিশোর কালাস্থে তিনি পরিণয়সূত্রে ও আবদ্ধ হইয়াছিলেন । বৰাছের পর আর তাছার স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ হয় নাই । যদি স সময় সময় শ্বশুরালয়ে গমন করিবার তাছার ইচ্ছ। ইষ্ট , কিন্তু কাৰ্য্যগতিকে তাহ ঘটিয়া উঠিত না। যখন তিনি । &বীবনে পদাৰ্পণ করেন, সে সময়ে উঠোর মীর বাহ জগতে i দৃষ্টি ছিল না । তিনি সৰ্ব্বদ ঐশ্বরিক ভাবে বিভোর ইষ্টয়া DBBBS BB BBBB BB BBBB BBB BBB BBB বিচার করিয়৷ কাৰ্য্য করিতে পারিতেন না। এমন কি, তাছার নিজের দেহের প্রতি ও দৃষ্টি ছিল না। তিনি নিজে আছার করিতে পারিতেন না এবং শৌচ-প্রস্রাবাদি ত্যাগ করিবার সময় বুঝিতেন না। ফলে সকলের সহিত তাহার দৈহিক সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল । এই সময়ে তাহার স্ত্রীকে তন্ত্রমষ্ঠে পুঞ্জ করিয়াছিলেন। সাধারণ ভাবে স্ত্রীকে আমরা যেরূপ মনে করি, তিনি তাহ করেন নাই। তিনি তাহাকে মাতৃস্থানে সংস্থাপিত করিয়াছিলেন এবং স্ত্রীজাতিকেই তিনি মাত বলিয়া সম্বোধন করতেন। তিনি বলিতেন যে, মেছুয়া বাজারের বারাণ্ডায় ছকে। হাতে আমার অবিদ্যা মা দণ্ডায়মান থাকেন এবং গৃহস্থের অন্তঃপুরে ঘোমটা দিয়া আমার বিদ্যা মা অবস্থিতি করেন। স্ত্রীজাতিতে যখন মাতৃভাব উপস্থিত হইয়াছিল, তখন তাহার স্ত্রীতে অপর ভাব থাকা সম্ভব নহে । তিনি বলিতেন যে, একদিন গণেশ ভগবতীর ললাট দেশে ক্ষত চিহ্ন দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মা ! তোমার কপাল কাটিয়াছে কেন ? ভগবতী কছিলেন, "বাছ। একটি দুরন্ত ছেলে ইট মারিয়া বিড়ালের কপাল কাটিয়া দিয়াছে। আমি সৰ্ব্বত্র প্রকৃতিরূপে বিরাজ করিয়া থাকি, সুতরাং বিড়ালকে আঘাত করায় আমারই নি গ্রহ করা হইয়াছে।’ গণেশ এই কথা শ্রবণ করিয়া বুঝিলেন যে, তাহ হইলে সকলেই আমার ম, সেই নিমিত্ত তিনি বিবাহ করেন নাই। রামকৃষ্ণদেবও এই গণেশের মত সকলকেই মাতৃজ্ঞান করিতেন । রামকৃষ্ণদেব সেইজন্য বিবাহ করিয়া স্ত্রীকে নিকটে রাখিয়াও তাহার সহিত স্ত্রীসম্বন্ধে সম্বদ্ধ হইয়। স্ত্রীর দ্যtয় ব্যবহার করেন নাই । সৰ্ব্বসাধারণকে এই জন্য শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন যে, স্ত্রী নিকটে থাকিলে পশুভাবের উদ্রেক হয়, তাহাকেই আবার ভাবী স্তরে রাখিয় দিনযাপন করা কঠিন কথা নহে। এক্ষণে জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে, রামকৃষ্ণদেব কি বাস্তবিক জিতেন্দ্রিয় পুরুষ ছিলেন ? তিনি বলিতেন,— কাজল কি ঘরমে ক্ষেত্ত সেয়ান হেীয়ে, খোড়া বুদ লাগে পরলগে । যুবতির্কী সাৎমে, কেন্তু সেয়ান হোয়ে, থোড় কাম যাগে পর্যাগে । এস্থলে তিনি যে নিজে জিতেন্দ্রিয় হইয়াছিলেন তfহু!র প্রত্যক্ষ প্রমাণ কি ? রামকৃষ্ণদেব কোনকালে ৰীেবনাবস্থায় স্ত্রীলোকের সংস্রব রাখেন নাই। এমন কি, তাহার স্ত্রীর মুখাবলোক নও করেন নাই এবং যে সময়ে উtহার নিকট সৰ্ব্বপ্রথম গমন করেন, সে সময়ে তাহীকে ষোড়শী রূপে পূজা করিয়াছিলেন । প্তাহার প্রকৃত মনের ভাব জ্ঞাতৃ হইবার জগু অনেক বার অনেকে তাহtকে পরীক্ষা করিয়াছিলেন। একবার ঠাকুর