পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণদেব রামকৃষ্ণদব এই সময়ে পণ্ডিত এবং সাধুভক্তদিগের সস্থিত সৰ্ব্বদ। বাস করিতেন। তিনি যে একজন আদর্শপুরুষ, এ কথা তখন ও সাধারণে প্রচারিত হয় নাই, তথাপি ভারতবর্ষের বহু সাধু ও ভক্তগণ তাহাকে জানিতেন । অনেকে তখন তাহাকে গুপ্তভাবে অবতার বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন । সৰ্ব্বসাধারণের নিকট তাহার প্রচ্ছন্নভাব প্রকাশ করিবার নিমি ও ব্রাহ্মণী তাহাকে বায় বার অনুরোধ করেন ; কিন্তু তিনি তাহাতে বিরক্ত হন ও ব্রাহ্মণীকে তথা হইতে চলিয়া য{ষ্টতে অাদেশ করেন । e/কেশবচন্দ্র সেন রামকৃষ্ণদেবের আদেশে প্রচারকার্য্য অরিস্ত করেন । মধ্যে মধ্যে সংবাদপত্রে ছাপাটতেন, তদ্বারা সাধারণে তাছাকে জানিতে পারিয়াছিল । [নববিধান দেখ। ] কেশব বাবু ও তাহীর মতাবলম্বীরা ধে সময়ে রামকৃষ্ণদেবের নিকট গমনাগমন করিতেন, সে সময়ে তিনি নিজ ভাব সমাগরুপে প্রকাশ করেন নাই ; তজ্জন্ত কেই তাহার নির্দিষ্ট উপাসক ও হন নাই । তিনি যে কি জন্তু সে সময়ে ভাব সঙ্কোচিত করিয়া রাখয়tiছলেন, তাহ অঙ্গুধাবন করা যায় না। পরে ইংরাজ। ১৮৭৯ সাল হইতে র্তাহার নির্দিষ্ট উপাসকের স্বাক্ট হইতে আরম্ভ হয় । এই উপাসকের ক্রমে ক্রমে দলপুষ্ট হইয়া এক্ষণে প্রায় ভারতবর্ষের সব্বস্থানেই বিরাজিত থাকিয় ; তাহার কায্য সম্পাদন করিতেছেন । অঙ্গঃপর তিনি দক্ষিণেশ্বরে কিছুদিন অতিবাহিত করিলেন, এখানে তাহার কণ্ঠদেশে ব্যাধি জন্মে। এই ব্যাধিচিকিৎসার জষ্ঠ তাহার উপাসকবৃন্দ তাছাকে কলিকাতায় লহয়। আসিলেন। সুবিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার বিশেষ যত্নে তাহার চিকিৎসা করিয়াও তাহাকে রোগমুক্ত করিতে পারেন নাই । এষ্ট সময়ে কালী পূজার দিন আসিয়া উপস্থিত। তিনি সেই দিন প্রাতঃকালে জনৈক ভক্তকে ডাকিয়া বলিলেন, অস্ত মহামায়ার পুজার দিন, তোমরা পূজার আয়োজন কর। ভক্তেরা তাহাই করিল। সন্ধ্যার পর পুজা দেখিতে অনেক লোক আগিল । পূজা সমাপন করিয়া তিনি মহামায়ার প্রসাদ তক্ষণ করিলেন; ষে কণ্ঠে দুগ্ধাদি তরল পদার্থও পান করিতে পারিতেন না, আজ অনায়াসে তিনি কঠিন বস্থ ও গলাধঃকরণ করিলেন । এই ঘটনার কিছু পরেই তাছাকে কলিকাতা হইতে কাশীপুরের উদ্যানে আনা হয় । এই স্থানে তিনি আট মাস ছিলেন। কাশীপুরে অবস্থানকালে তিনি অনেক তত্ত্বকথা উপদেশ দেন । XVI তাহার ভাবপূর্ণ উপদেশাদি কেশববাবু [ 88: 1

  • Y 2

রামকৃষ্ণদেব -- এতদিন অতিবাহিত হইয় গেল, তবুও তাহার বাtধির কোন প্রকার উপশম হইল না দেখিয়া, একদিন কয়েক জন ভক্ত তাহাকে কৃতাঞ্জলিপুটে নিবেদন করিল, "প্ৰভু ! কি জম্ভ এরূপ ব্যাধির ভাণ করিয়াছেন, আমরা বিধিমত চেষ্টা করিলাম ; কিন্তু কেহই রোগের কিছুষ্ট করিতে পারিলাম না। আমরা এক্ষণে বুঝিয়ছি যে, আপনি নিজে আপনার ব্যবস্থা না করিলে অভ্যার উপায় নাই ।” তখন তিনি উত্তর করিলেন যে ‘ব্যাধির কেতু তোমরা এখনও বুঝিতে পার নাই ! প্রত্যেক কাণ্যের ফল আছে। সৎকার্য্যের স্বফল—মসৎ কার্য্যের কুফল, কাৰ্য্যাকুসারে এই রূপ ফলাফল ভোগ করিতে ছয় । তোমরা থে সকল অসৎ কাৰ্য্য করিয়াছ, যে সকল পাপ করিয়াছ, যদ্যপি তোমাদিগকে তাহার ফল ভোগ করিতে হয়, তাহ হইলে তোমাদের ভবিষ্যং অতিশয় ভয়ানক 嘯 । কিন্তু কার্থ্যের ফল ভোগ করা ভগবামের নিয়ম । সুতরাং তোমাদের সেই পাপরাশি আমি অঞ্জলি পান্তিয় গ্রহণ করিয়াছি । যে দিন বকলম দিয়াছ, সেই দিন হইতেই তোম বা তোমাদের পুকাসঞ্চিত পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়াছ । পাপ ৰিমোচন ন! হটলে শরীর শুদ্ধ হয় না ৪ ভগবানের সঠিত লম্বন্ধ ও কইতে পারে না। মানবদেহে পাপের ভোগ ভুগিতে হয়, এই নিমি ওঁ আমার শরীরে ব্যাধি হইয়াছে । আমার এই ব্যাধি দ্বারা তোমরা পাপবিবজ্জিত হইয়াছ এবং যে কেহ আমাতে আত্ম-সমপণ করবে, তাহারাও বিমুক্ত হইবে। অতএব তাছাদের পাপের ভোগ ও আমি সম্ভোগ করিয়া যাই লাম।” রামকৃষ্ণদেব এই রূপ নান ছলনায় দিনাতিপাত করিতে লাগিলেন, চিকিৎসক, নানা প্রকার সাধু, ও অপর সাধারণ লোক, তাছাকে পেখিতে যাইতেন । তিনি কোন দিন নীরোগ হইয়। উদ্যানে ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইতেন, কোন দিন কণ্ঠস্তিত ক্ষতস্থান হষ্টতে কলসী কলসী শোণিত বমন করিতেন । রহস্তের বিষয় এই যে, চিকিৎসকের। যে দিন যে উপসর্গের প্রতিকার করিবার দ্য যে ঔষধ প্রদান করিতেন, সে দিন সেই উপসর্গই বৃদ্ধি হইত। তাহার শরীরে ঙ্গোমিওপ্যাথি ঔষধ পৰ্য্যস্ত সহ ছহত না । একটি দান। সেবন করিলে সৰ্ব্বশরীর বিকৃত হইয়া উঠিত । এই নিমিত্ত কোন চিকিৎসক ঔষধ প্রয়োগ করিতে সাহস করিতেন না । ভক্রদিগের নিকটে এইরূপে নানা ভাবের লীল করিয়া ১৮e৮ শকের ৩১শে শ্রাবণ কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথির नक्षtब्र श्रैवानाम ठिनि गौणl-द्रजङ्गभिद्र बदनिका निभ४िड করেন । নানা প্রকার