পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র [ 88१ ] রামচন্দ্র হইয়া আপনার কাৰ্য্যতৎপরতার যথেষ্ট পরিচয় দিয়া যান। যুরোপীয়গণ তাহার গুণের গুরুত্ব উপলব্ধি করিয়াছিলেন। মাননীয় প্রসন্নকুমার ঠাকুর যখন মহামতি থিওডোর ডিকেন্সকে বিদায়-ভোজ দান করেন, তখন রামগোপালকে নিমন্ত্রণ করিবার জন্য প্রসন্নকুমার ঠাকুর ডিকেন্স মহোদয়ের অনুমতি প্রার্থনা করেন। রামগোপালের সহিত রাজনৈতিক বিষয়ে ডিকেন্সের ঘোরতর শক্রত থাকিলেও তিনি ভোজের সময় সাহলাদে সৰ্ব্বাগ্রে রামগোপালের স্বাস্থ্য-পান করিয়৷ একটা জ্ঞানগর্ভ বক্তৃত করেন, তাহাতে তিনি রাম গোপাল সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন যে, He was the only man fit to take the position of the leader of the Hindu }ommunity. রামগোপাল স্বভাবতঃই দয়া চিত্ত ছিলেন । মৃত্যুকালে দরিদ্র সাধারণের জন্ত তিনি রাজতুল্য দান করিয়াছিলেন । দেশীয় লোকের বিদ্যাশিক্ষার সুবিধাৰ্থ তিনি স্বীয় উইলে কলিকাতা ইউনিভার্সিটিতে ৪০ হাজার, ডিঃ চেরিটেবল সোসাইটতে ২০ হাজার, ঋণগ্রস্ত বদ্ধৃদিগকে ঋণদায় হইতে মুক্তি দিবার জন্য ৪০ হাজার-এবং অন্যান্য বিষয়েও অনেক টাকা লিখিয়া দিয়া বান। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে ২৫শে জামুয়ারী তাহার পরলোক গমন ঘটে। রামগোপাল শৰ্ম্মন, বর্ণভৈরবতন্ত্র প্রণেতা। ইনি রামনাথের পুত্র ও লক্ষ্মীনারায়ণের পৌত্র। 娜 রামগোবিন্দ, শান্ধিতরিরচয়িত। পিতার নাম রূপনারা চক্রবর্তী । , রামগোবিন্দ চক্রবর্তী, ব্যবস্থাসারসংগ্রহ রচয়িতা । রামগোবিন্দ তীর্থ, জনৈক প্রসিদ্ধ পণ্ডিত। সাংখ্যচজিক প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণেতা নারায়ণ তীর্থের গুরু এবং গোবিন্দ তীর্থের শিষ্য । রামগোবিন্দৰ্তীর্থ (পুং) আচাৰ্য্যভেদ। রামগ্রাম ( পুং ) জনপদভেদ। রামযুঘু ( দেশজ ) একজাতীয় ঘুঘুপক্ষী (Chaleophaps indicus ) , রামচক্র (ক্লী) মন্ত্রাত্মক চক্রবিশেষ। (শস্বরত্না-) রামচন্দ্র, জনৈক হিন্দুরাজা। রত্নপুরে ইহার রাজধানী ছিল । ইহার সভায় থাকিয় ১৪৫০ খৃষ্টাব্দে রামচন্দ্র নৈমিষন্থ কুণ্ডাকৃতি প্রণয়ন করেন । ब्रांभळ्ड (*) ब्रांभळ्ख हेर आलामकश९ । • डैशम । ২ লক্ষ্মণভট্টমৃত স্বনামখ্যাত কবিবিশেষ। এই কবি অযোধ্যানগরে রসিকরঞ্জন নামে একখানি কাব্য প্রশ্ন 盜小 করেন, এই কাব্যের প্রত্যেক শ্লোক দ্ব্যর্থক, ইহার এক জর্থে শৃঙ্গার ও এক অর্থে বৈরাগ্য বর্ণিত হইয়াছে। ইনি এই কাব্যের টীকাও প্রণয়ন করেন । এই কাব্যের আদি শ্লোক “শুভারম্ভেইদন্তে মস্থিত মতিদিম্ভেঙ্গিত শত্তং মণিস্তম্ভে রম্ভে ক্ষণসকুচকুম্ভে পণুিতম্ | অনালম্বে লম্বে পথিপদবিলম্বেছমিতসুখং তমালম্বে স্তম্বে বদনমস্বেক্ষিতমুখম্।।” ( রসিকরঞ্জন ১১) কবি রামচন্দ্র রোমাবলীশতক প্রভৃতিও প্রণয়ন पङ्किन | রামচন্দ্র, স্বৰ্য্যবংশাবতংগ আদর্শচরিত্র ভারতের একজন অদ্বিতীয় মহাবীর ও অবশেষে অবতার বলিয়৷ পূজিত। তাছায়ই সাধুচরিত অবলম্বন করিয়া আদি কবি বাল্মীকি ভারতের অাদি মহাকাব্য রামায়ণ রচনা করেন । পরবর্তিকালে নান অলঙ্কার দ্বারা এষ্ট অসাধারণ মহাপুরুষের চরিত রামায়ণ নানা ভাবে প্রকাশিত হচলে ও আদি কবি বাল্মীকি যে ভাবে এই পুরুষসিংহকে অঙ্কিত করিয়াছেন, তাহাই আমাদের প্রথম আলোচ্য। মহর্ষি বাল্মীকি বর্ণনা করিয়াছেন,— সূৰ্য্যবংশে ধৰ্ম্মন্দ্র রাজ দশরথ জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালে উtছার মত বীর ও প্রভাবসম্পন্ন কেহই ছিলেন না। বংশধর পুত্র না থাকায় তিনি নিয়ন্তঃ অমৃত্তপ্ত থাকিতেন। পুত্রেষ্ট যজ্ঞ করাইবার জন্য সুমন্ত্রের পরামর্শে অঙ্গদেশ হইতে তিনি ঋষ্যশৃঙ্গকে অযোধ্যায় তানষ্টিলেন। সরযুর উত্তরতীরে যজ্ঞভূমি নিৰ্ম্মিত হইবা । দশরথের পুত্র প্রাপ্তিনিমিত্ত তেজস্বী ঋধ্যশৃঙ্গ পুত্রেষ্টি যজ্ঞ আরম্ভ করিলেন। তঁহার যজ্ঞাবশেষ চরু ভক্ষণ করিয়া দশরথের প্রধান তিন মহিষী গর্ভবতী হইলেন । যজ্ঞসমাপ্তির পর ছয় ঋতু অতীত হইলে জ্যেষ্ঠ মহিষী কৌশল্য। চৈত্রমাসের শুক্ল নবনী তিথিতে পুনর্ব স্ব নক্ষত্রে কর্কটলগ্নে দিব্যলক্ষণসম্পন্ন রামকে প্রসব করিলেন । তাহার জন্মকালে রবি মেষ রাশিতে, মঙ্গল মকর রাশিতে, শনি তুলা রাশিতে, বৃহস্পতি ও চন্দ্র কর্কট রাশিতে এবং শুক্র মীন রাশিতে ছিলেন। তৎপরে কৈকেয়ীর গর্ভে মীন লগ্নে পুষ্যানক্ষত্রে ভরত এবং সুমিত্রার গর্ভে কর্কটলগ্নে ও অশ্লেষী নক্ষত্রে লগণ ও শক্রয় জন্মগ্রহণ করেন । দশরথের উক্ত চারিপুত্রই বেদজ্ঞ, শৌর্য্যসম্পন্ন, সকল লোকের চিন্তাকাজী, বিজ্ঞ ও ক্ষত্রিয়োচিত সমস্ত গুণে বিভূধিত ছিলেন। তন্মধ্যে রাম সৰ্ব্বাপেক্ষ সমধিক তেজস্বী,সত্যনিষ্ঠ পরাক্রমী, সৰ্ব্বজনপ্রিয়, ধনুৰ্ব্বেদরত, পিতৃসেবাপরায়ণ এবং হস্তী, অশ্ব ও রুথারোহণে বিশেষ দক্ষ। লক্ষ্মণ সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ রামের নিয়ত অনুগত, শত্রুঘ্নও সেইরূপ বয়োজ্যেষ্ঠ ভরতের অনুরক্ত । রামের বিশাল বক্ষ ও স্কন্ধদ্বয়ের সন্ধি-স্থল মাংসল, এজস্ত