পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র [ 8૭૦ l রামচন্দ্র এই মুখের পূৰ্ব্বাভাস প্রাপ্ত হইয়। রামচন্দ্র বিন্দুমাত্র অমৃত পানে তৃষাতুর যেরূপ আরও পাইবার জন্য ব্যাকুলকুই উঠে, তেমনই আগ্ৰহান্বিত হইয়া উঠিলেন। সুগ্ৰীবোত্ত এই কর্ণমুখবাণী তাহাকে সীতার সংবাদ প্রাপ্তির জষ্ঠ প্রস্তুত করিল। তংপরে সুগ্ৰীবের আজ্ঞাক্ৰমে বানর সকল সেই স্থানে আগমন করিল। হনুমান রামচঞ্জের নিকট অভিজ্ঞানমণি দিয়া সীতার অবস্থা বর্ণন করিল —মৃত্তিক{-শয্যায় সীতার অঙ্গ বিবর্ণ হইয়াছে,-তিনি শীত-ক্লিষ্ট নলিনীর স্থায় মলিন হুইয়া গিয়াছেন। রাম সেই মণি বক্ষে ধারণ করিয়া বালকের দ্যায় কাদিতে লাগিলেন, সেই মণির স্পশে যেন সীতার অঙ্গস্পশের সুখ অনুভব করিলেন ; সুগ্ৰীবকে বলিলেন,—“বৎস দর্শনে যেরূপ ধেমুর পয়: আপন আপনি ক্ষরিত হয়, এই মণির দর্শনে আমার হৃদয় সেইরূপ স্নেহাতুর হইয়াছে।” পুনঃ পুন: হনুমানকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন—“আমার ভামিনী মধুর কণ্ঠে কি কছিয়াছেন, তাহা বল। রোগী যেমন ঔষধে জীবন পায়, সীতার কথায় আমার সেইরূপ হইয়াছে—দুঃখ হইতে অধিকতর দুঃখে পড়িয়া সীতা কেমন করিয়া জীবন ধারণ করিতেছেন ?” হনুমানের নিকট সমস্ত অবস্থা অবগত হইয়া রামচন্ম বলিলেন, “এই অপূৰ্ব্ব মুখাবহ সংবাদ প্রদানের প্রতিদানে অামি কি দিব, আমার কি আছে ? অামার একমাত্র অtয়ন্ত পুরস্কার তোমাকে অলিঙ্গনদান” এই বলিঙ্গ সাশ্রনেত্রে রামচন্দ্র তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন। কিন্তু হনুমান লঙ্কাপুরীর যে বৰ্ণনা করিল, তাহ অতীব ভীতজনক । বিশাল লঙ্কাপুরীর চারিদিক্‌ ধিরিয়া বিমানস্পৰ্শী প্রাচীর,—তাহার চারিটি মুদৃঢ় কপাট, সেইখানে নান প্রকার যুগ্ম-নিৰ্ম্মিত অস্ত্রাদি সুরক্ষিত, সেই প্রাচীর পার হইলে ভয়ঙ্কর পরিথl, —তাহাতে কুম্ভীরাদি বিরাজ করিতেছে। সেই পরিখার উপর চারিটি যন্ত্রনিৰ্ম্মিত সেতু । প্রতিপক্ষীয় মৈধু সেই সেতুর উপর আরোহণ করিলে ধৰ্ম্মবলে তাহার। পরিথায় নিক্ষিপ্ত হইয়া থাকে। যন্ত্রকৌশলে সেই সকল সেতু ইচ্ছানুসারে উত্তোলিত হইতে পারে,—একটা সেতু অতি বিশাল, তাছার বহু-সংখ্যক সুদৃঢ় ভিত্তি স্বর্ণমণ্ডিত । চিত্রকূট পৰ্ব্বভের উপরে অবস্থিত লঙ্কাপুরী দেবতাদিগেরও অগম্য । শত শত বিকৃষ্ণমুখ, পিঙ্গলকেশ, শেল ও শূলধারী রক্ষস-দৈন্তু সেই বিরাট প্রাচীর ও পরিখার প্রবেশপথ রক্ষ। করিতেছে । তৎপর লঙ্কাপুরী, বীরগণের পরাক্রম,—তাহ: ন্ধের কেহ ঐaাবতের দন্তোৎপাটন করিয়াছে, কেহ যমপুরী অৰুরোধ করিয়া যমরাজকে শাসন করিয়াছে। এই বিশাল, দুরধিগম্য লঙ্কাপুরী হইতে সীতাকে উদ্ধার করিতে হইবে। শক্ৰপক্ষ তাছাদের আগমনের পূর্বাভাষ প্রাপ্ত হইয়া সাবধান হইয়াছে। হনুমানের নিকট লঙ্কাপুরীর অবস্থা শুনিয়া রামচন্দ্র বিচলিত হন নাই । তিনি সুগ্ৰীবের সমস্ত সৈন্তসহ পাৰ্ব্বত্যপথে সমুদ্রের উপকূলবৰ্ত্তী হইতে লাগিলেন। পথে ক্রমরাজি অপর্যাপ্ত পুষ্প ও ফলসস্তারে সমৃদ্ধ। কিন্তু রাম সৈন্তদিগকে সাবধান করিয়া দিলেন, পরীক্ষা না করিয়া যেন কেহ কোন ফলের আস্বাদ গ্রহণ ন করে, কি জানি যদি রাবণের গুপ্তচরগণ পুৰ্ব্বেই তাহ বিষাক্ত করিয়া রাখিয়া থাকে। এই সময়ে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কর্তৃক অপমানিত ৰি ভীষণ আসিয়া রামচন্দ্রের শরণাপন্ন হইলেন । তাহার আশ্রয়দান সম্বন্ধে অধিকাংশেরই নান আশঙ্কাজনিত অমত প্রকাশিত হইল, বিশেষতঃ আজ্ঞাতাচার শত্রুপক্ষীয়কে স্বীয় শিবিয়ে স্থান দে ওয়া সম্বন্ধে সুগ্ৰীব নিভাস্তষ্ট প্রতিবাদ করিলেন, কিন্তু রামচন্দ্র কোন ক্রমেই শরণাগতকে প্রত্যাখ্যান করিতে সম্মত হইলেন না। সমুদ্রের উপকুলবী হইয়। বিশাল সৈন্ত অসীম জলরাশির অনন্ত প্রসারিত ক্রীড়া লক্ষ্য করিল। সমুদ্র আকাশে মিশিয়াছে, আকাশ সমুদ্রে মিশিয়াছে। মৌন বিস্ময়ে তীরে দাড়াইয়া অসংখ্য মুগ্ৰীবলৈ ভাতচক্ষে এই অসীম জলরাশি দর্শন করিতে লাগিল, ইহা উত্তীর্ণ হইবে কিরূপে ? মহাবাচ্চমূলে শির রক্ষা করিয়া কুশ-শয়নে রাম তিন রাত্রি তিন দিন অনশনত্রত অবলম্বন করিয়া মৌনভাবে যাপন করেন,—“আজ আমি সমুদ্র উত্তীর্ণ হইব নতুবা প্রাণ বিপজ্জন দিব,” এই সংকল্প করিয়া সেতুবন্ধনোদেশে সমুদ্রের উপাসন করেন। রক্তমাল্যাম্বরধর, কিরাটচ্ছটাদীপ্ত শুভকুণ্ডল সমুদ্র কৃতাঞ্জলি হইয় তাহার নিকট উপস্থিত হন, এবং সেতুবন্ধের উপায় বলিয়া দেন । অপার সমুদ্রব্যাপী বিশাল সেতু নিৰ্ম্মিত হইল। সেতু বক্র না হয় এই জন্য সৈন্যগণের মধ্যে কেহ স্বত্র ধরিয়া, কেহ বা মানদণ্ড ধরিয়া দণ্ডায়মান থাকিত। শিল ও বৃক্ষ প্রভৃতি উপাদানে নীল অল্প সময়ে এই সেতুগঠন সম্পন্ন করেন। সেতু রচিত হইলে রামচন্দ্ৰ সসৈন্ত লঙ্কাপুরীত্তে প্রবিষ্ট হইয়া সীতার জন্য ব্যাকুল হইয়া পড়েন । “যে বায়ু তাছাকে স্পর্শ করিতেছ, তাহ আমাকে স্পর্শ করিয়া পবিত্র কর ; যে চন্দ্র আমি দেখিতেছি, তিনি ও কয় ত সেই চন্ত্রের প্রতি অশ্রুসিক্ত দৃষ্টি বদ্ধ করিয়া উন্মদিনী হইতেছেন–দিনরাত্রি অtাম তাছার বিরহের অগ্নিতে দগ্ধ হইভেছি । কৰে তাহার স্নচাঙ্গ দন্ত ও জখরযুগ্ম, তাছার পদ্মতুল্য মুন্দর মুখ, ঈষৎ উত্তোলন यद्विश्रं। ८*५िब् ॥“