পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামদাস স্বামী সবিশেষ চেষ্টা করিবেন। কিছুকাল পরে, রামদাস পীড়িত হইলেন । ক্রমে অন্নজগ ত্যাগ করিয়া দেবতার সমক্ষে পড়িয়া রছিলেন। শিষ্যগণ র্তাহার অবস্থ৷ দেখিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। স্বামীজী তাহাদিগকে সাস্বন করিয়া বলিলেন যে, রোদন করিবার প্রয়োজন কি ? কে বলিল তাহার মৃত্যু হইবে ? তিনি জীবিত কহিবেন, তাহার দেহমাত্র রূপান্তরিত হইবে । ইহা গুনিয়া শিষ্যগণ বলিলেন যে, এখন যেমন সাক্ষাৎসস্বন্ধে তাহার দর্শনে ও উপদেশগ্রহণে তৃপ্তিলাভ হইতেছে তাহ হইতে তাহাঙ্গ বঞ্চিত হুইবে । রামদাস বলিলেন যে, তাহার রচিত দাসবোধ ও আত্মারাম গ্রন্থদ্বয় পাঠ করিলে তাহার সৰ্ব্বদাই তাছার সাক্ষাৎকার লাভ করিবে । এই সময়ে রামদাস স্বামীর পাছক স্থাপন কঞ্ছিার কথা উঠিল। স্বামীজীর আশঙ্কা হইল পাছে শিষ্যগণ এরামচঞ্জকে ভুলিয়া গিয় তাহার পুজা করে, এই জন্ত তিনি আদেশ করিলেন যে, একটা গহবর মধ্যে র্তাহার পাড়কা স্থাপন করিয়া তাহার উপর ক্রীরামচন্দ্রের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় । শিষ্যগণ এই আদেশ পালন করিবেন বলিয়। অঙ্গীকার করিলেন। তাহার পর, ভজন ও কীর্তন হইতে লাগিল । স্বামীজী মনের আনন্দে তাহ গুলিতে লাগিলেন এবং নিজেও কএকটা অভঙ্গ গাইলেন । তাহার শেষ অভঙ্গট এই – “এই আশে করিলাম তোমায় ভজন, আসন্নকালেতে মোরে করিবে রক্ষণ । জানি আমি ভুলিবে না আমারে কখন, তোমার স্বরূপ কালে করিয়ে গ্রহণ । করেছি তোমারে সদ অস্তরে ধারণ, এখন নিকটে এসে দাও দরশন । নিষ্কাম ভাবেতে ভাই পুজেছি তোমায়, অস্তিমকালেতে, দেব ! স্থান দিবে পায়।” কথিত আছে যে এই কএকটী অভঙ্গ গীত হইলে পর, স্ত্রীরামচন্দ্র ঘনশ্যাম মূৰ্ত্তিতে রামদাস স্বামীর সমক্ষে আসিয়া তাঙ্কাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন এবং স্বামীজী তাছার সারাপ্য লাভ করিয়া, “জয় জয় রঘুবীর সমর্থ” উচ্চারণ করিতে কবিতে স্বর্গারোহণ করিলেন। ১৬৪৩ শকে ( ১৬৮২ খৃষ্টাকে ) भा५भाcग याभैौछौग्न cनश्ॉरुग्न श्ब्रांछ्णि । ब्रा छ। लप्लासँौ ७हे ज१रुाश अरुणठ झ्हेग्न जउँौरु दक्षिङ হটলেন । তিনি স্বামীর আদেশানুসারে পয়েলিতে একট গ্রামচন্সের মন্দিয় নিৰ্মাণ করান ও তাছার নিম্নস্থলে রাম [ 8at I রামদুর্গ দাসের পাদুকা স্থাপন করেন। প্রতিবৎসর এখালে রামদাস স্বামীর স্মরণার্থ উৎসব হয়। সন্ন্যাপীদিগের মধ্যে, রামদাস স্বামীতে একটী বিশেষ ভাব লক্ষিত হয়। অনেক মহাপুরুষ আছেন, যাহারা ঈশ্বরের ধ্যানধারণায় জীবন যাপন করেন, পৃথিবীর লোকের প্রতি দৃষ্টি রাখেন না। তাছাদের পবিত্র ভাব হৃদয়ঙ্গম করিয়া লোকে উন্নত হইতে পারে বটে। কিন্তু, তাহারা লোকালয়ে থাকেন না । সকলে তাহাদের দেখিতে পায় না। সুতরাং র্তাহাদের দ্বারা সাধারণের বিশেষ উপকার হয় না। রামদাস সেরূপ ছিলেন না। তিনি নিজের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য যেমন মধ্যে মধ্যে বিজন বনে কিংবা পৰ্ব্বতের উপরে থাকিয়া ঈশ্বরের ধ্যানে জীবন যাপন করিতেন, আপামর সাধারণের মধ্যে ধৰ্ম্মভাব উদ্দীপন করিবার জন্য তাহার সেইরূপ যত্ন ছিল । তিনি একদেশদশী ছিলেন না। তিনি যেমন সামান্ত ব্যক্তিকে উপদেশ দিতেন, তেমনি রাজা শিবাজীকেও উদ্বোধিত করিতেন। প্রাচীনকালের ঋষিগণের দ্যায় তাহার আচরণ ছিল । তাহারা যেমন মধ্যে মধ্যে নগরে আসিয়া নৃপতিগণকে নানা প্রকার উপদেশ দিতেন, রামদাস স্বামীও সেই প্রকার সাতারায় আসিয়া শিবাজীকে, কি রাজনৈতিক কি ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় নানা মত উপদেশ প্রদান করিতেন। কারণ, তিনি জানিতেন যে, রাজা কৰ্ত্তব্যপরায়ণ হইলে প্রজার মঙ্গলসাধন হইয়া থাকে । রাজার উন্নতির জন্ত তিনি এত দূর পর্য্যন্ত যত্নবান হইলেন যে, তাহার জন্য “দাসবোধ” নামক একথানি সর্পদেশপুর্ণ গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন । আমরা দেখিতে পাই যে পার্থিব পদার্থ সকলকে তুচ্ছ জ্ঞান করাতে অনেক মহাপুরুষ উদ্যমহীন হইয় পড়েন । কিন্তু, রামদাস স্বামীর ভাব সে প্রকার ছিল না । পরোপকারসাধন তাহার জীবনের ব্রত ছিল, এজন্ত তিনি নিক্তে শারীরিক পরিশ্রম করিতেন । তাহার চেষ্টায় কত স্থানে যে ঐ রামচন্দ্রের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহার সংখ্য। নাই । রামদুর্গ, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর দক্ষি৭:মহারাষ্ট্র ভূভাগের পলিটিকাল এজেন্সীর দ্বারা পরিচালিত একটি দেশীয় সামন্ত রাজ্য। ভূপরিমাণ ১৪• বর্গমাইল। এই ভূভাগ পৰ্ব্বতসামুদেশও সমতলক্ষেত্রে পরিপূর্ণ। ভূমির মৃত্তিক কৃষ্ণবর্ণ ও উৰ্ব্বর। এখানে প্রচুর তুলা, গম, যব, ছোলা, জোয়ার প্রভৃতি শস্ত উৎপন্ন হইয়া থাকে। মালগ্রভ নী এই রাজ্যের মধ্য দিয়া প্রবাহিত স্থানীয় চাষবাসের বিশেষ সুবিধ ঘটিয়াছে। এখানে একপ্রকার মোট কার্পাস दद्ध cंडरू हरेब्र ६८क् !