পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামপুর এই স্থান সমতল ও উৰ্ব্বর। কোশিলা ও নাহল নদীর জল প্রচুর পরিমাণে শস্তক্ষেত্রাদিতে সরবরাহ হওয়ায় সেই সেই স্থানের উৰ্ব্বর শক্তি বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে। ইহার দক্ষিণবিভাগ দিয়া রামগঙ্গা নদী প্রবাহিত হইতেছে । প্রথমে শাহ আলম ও হুসেন খ৷ নামক দুই ভ্রাত। এই প্রদেশে আসিয়া বাস করেন। তাহারা খৃষ্টীয় ১৭শ শতাদের শেষভাগে মোগলরাজসরকারে কৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া স্ব স্ব ভাগালক্ষ্মীকে উন্নতির পথে আনয়ন করিয়াছিলেন। শাহ আলমের পুত্র দাউদ খাঁ মহারাষ্ট্রযুদ্ধে বিশেষ বীরত্ব দেখাইয়। বদাউনের নিকট একটা জায়গীর লাভ করেন। তাহার দত্তকপুত্র আলীমহম্মদ ১৭১৯ খৃষ্টাব্দে নবাব উপাধি সহ রোহিলখণ্ডের অধিকাংশ স্তল জায়গীরস্বরূপ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । আলীমহম্মদের শক্তি ও সমৃদ্ধিতে অযোধাtর স্ববাদার নবাব সফদরজঙ্গ বিশেষ ঈর্যাম্বিত হন। তাহার উপর, আলীমহম্মদ কোন কারণে নবাব-সুবাদারের অপ্রিয় আচরণ করায় নবাব বাহাদুর তাহার উপরবিরক্ত হইয়। ১৭৪৬ খৃষ্টাব্দে তাহার অধিকৃত জায়গীরসমূহ বাজেয়াপ্ত করিয়া লন এবং তাহাকে ছয়মাস কাল দিল্লীতে কারারুদ্ধ করিয়া রাখেন । অতঃপর তিনি সরহিন্দের শাসনকৰ্ত্ত হইয়। তদেশে গমন করেন। এখানে এক বৎসর কাল অবস্থানের পর, আহ্মদ শাহ আবদালীর আক্রমণকালে দিল্লীর রাজসংসার বিশৃঙ্খল দেধিয়। তিনি সুযোগমত ১৭৪৭ খৃষ্টাব্দে রোছিলখওে অtসিয়া আপনাব আধিপত্য বিস্তার পুৰ্ব্বক রাজ্যশাসন করিতে লাগিলেন । সম্রাটু মহম্মদ শাহের পুত্র তাহাকে বলপুষ্ট জানিয়া আর তাঁহার শক্ৰতাচরণ করিলেন না, বরং তাছাকে ঐ প্রদেশের রাজা বলিয়। স্বীকার করিয়া লইলেন । আলীমহম্মদের মৃত্যুর পর, তাহার পুত্ৰগণ রোল্লিখও রাজ্য বিভাগ করিয়া লন। র্তাহার কনিষ্ঠপুত্র ফৈজউল্লা রামপুর-কোটেরার জায়গীর প্রাপ্ত হন । মহারাষ্ট্র-সেনাদলের আক্রমণে উত্তাক্ত হইয়া রোহিলা সর্দারগণ অযোধ্যার নবাবউীরের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন। মনস্তুর ৪০ লক্ষ টাক। দিবার অঙ্গীকারে নবাব-উঞ্জীর সেনা-সাহায্য পাঠাইয়া দেন, কিন্তু রোহিলীগণ ঐ টাকা এককুলে পরিশোধ করিতে ম! পারায়, এই স্বরে তাছার সহিত রোহিলাদিগের শক্রতা বদ্ধিত হইতে থাকে। অবশেষে তিনি রোহিলাগণের बिझैक যুদ্ধার্থ সেনাচালনা করেন । শাহজাহানপুর জেলার অন্তর্গত মীরাণ-কাটুর নামক স্থানে উভয়দলের যুদ্ধ হয় । রণক্ষেত্রে রোহিলাসর্দার হাফিজু রহমৎ ধ। নিহত হইলে আফগানগণ পরাজয় স্বীকারপূর্বক পলায়ন গ্ৰঞ্জ। অবশেষে ইংরাজ [ ৪৯১ } রামপুর রাজের মধ্যস্থতায় ১৭৭৪ খৃষ্টাব্দের সন্ধিতে উল্পীরকে পেনসাঙ্গাধ্য করিবার অঙ্গীকার করার নবাব ফৈজউল্লা খাঁ রামপুররাজ্য লাভ করেন। অযোধ্যাপতি সেনাসাহায্যের পরিবক্ত পরে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা লইয়াছিলেন । ফৈজ উল্লার মৃত্যুর পর ১৭৯৩ খৃষ্টাব্দে তাহার পুত্রদ্বয় রাজ্যাধিকার লইয়া বিবাদ আরম্ভ করেন। এই স্বত্রে কনিষ্ঠভ্রাতা স্বীয় জ্যেষ্ঠকে গোপনে নিহত করিয়া জায়গীরি-মসনদে উপবিষ্ট হন। পরে ইংরাজরাজ অযোধ্যার নবাবের সেনাসাহায্যে রাজ্যাপহায়ককে সমুচিত শাস্তিদান করিয়া মৃতের পুত্র আহ্মদ আলী থাকে রামপুররাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন । ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে রোহিলখণ্ড ইংরাজের হস্তে সমৰ্পিত হয়। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্যের সিপাহীবিদ্রোহে এখানকার নবাব মহম্মদ যুমুফ আলী থা ইংরাজরাজের প্রতি বিশেষ রাজভক্তি প্রদর্শন করায় ১২৮৫২০ টাকা রাজস্বের একখানি জায়গীর এবং সম্মানসূচক উপাধি ও তোপ লাভ করিয়াছিলেন । ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে য়ুসুফআলীর পুত্র নবাব মহম্মদ কলব আলী খ' জি,সি, এস, আই, সি, আই, ই উপাধি সহ রাজা হন । দিল্লীর দরবারে ইনি ধ্বজ ছত্র ও সম্মানসূচক অধিকসংখ্যক তোপ পান । তৎপরে নবাব মস্তক অালী থ" রাজা হন । ২ উক্ত রাজ্যের প্রধাননগর । কোশিল নদীর বামকুলে অবস্থিত। অক্ষ1• ২৮° ৪৮′৩- উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৯° ৫' ৩০′ পূঃ। মোরাদাবাদ নগর হইতে ৯ ক্রোশ পুৰ্ব্বে অবস্থিত। এথানকার অট্টালিকাদির মধ্যে নবাব-প্রাসাদ, জুমা-মসজিদ, সফদরগঞ্জ-উস্তান, দেওয়ান-ই-আম, খুশিদ-মঞ্জিল, মচ্ছি-ভবন ও জনান উল্লেখযোগ্য । নবাব ফৈজ উল্লা খণর দুর্গ ও সমাধিমন্দিয় এথন ও বিদ্যমান আছে । এই নগর বিশেষ সমৃদ্ধশালী ও বাণিজ্য প্রধান। এখানকার থেশ নামক রেশমীবস্ত্র ভারতের নানাস্থানে আদরে ও অধিক মূল্যে বিক্রীত হইয় থাকে। রামপুর, যুক্তপ্রদেশের শাহারাণপুর জেলার অন্তর্গত একটা নগর। অক্ষা ২৯° ৪৮′ ১৫ উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৭° ২৯ ১৫% পুঃ। রাজা স্নাম এই নগর স্থাপন করেন। তাহার নামানুসারে এই নগর রামপুর নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। পরে সৈয়দ সলির মসাউদ এই নগর জয় कैग्निब्र गन । এখানে নানা শিল্পপরিপূর্ণ একটী জৈনমন্দির আছে । মুসলমানসাধু শেখ ইব্রাহিমের সমাধিস্থানে প্রতিবৎসর জ্যৈষ্ঠমাসে একটী মেলা হইয় থাকে । এখাদৰুৱ জৈনমহাজনগণ সরোগী নামে খ্যাত । 3. রামপুর, যুক্ত প্রদেশের ইটজেলার অন্তর্গত একট গওগ্রাম ।