পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৫৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায়পুর এধন ও ইহার ঝাগরাখাণ্ড নামক তরবারি পূজা করিয়া থাকে। ইংরাজশাসনে কান্‌বারগণ শাস্তমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে। নিরীহ কাল্বারগণ কৃষিকাৰ্য্যাদি পরিশ্রম দ্বার। নিৰ্ব্বিবাদে দিনপাত করে। প্রতিবেশী গোড়দিগের সহিত মিলিত হইয়। মধ্যবিত্ত্ব গৃহস্থ লোকে প্রাচীন সংস্কারবশতঃ বুড়াদেও ও দুলাদে ও নামক গ্রাম্যদেবতার উপাসনা করিয়া থাকে,কিন্তু ধনিগণ আপনাদিগকে উচ্চশ্রেণীর হিন্দু বলিয়াই জানে এবং তদনুরূপ কাৰ্য্য করিয়া থাকে হৈহয়বংশীয় রাজগণ কর্তৃক পুৰ্ব্বপ্রদত্ত ভূসম্পত্তি এখনও ইহার ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। এতদ্ভিয় এখানে বিঞ্জার, ভুঞ্জিয়া, ভূমিয়া, শবর, সাওনর, খন্দ, থরবার ও কোলজাতির বাস আছে । এখানে ক একঘর প্রাচীন ব্রাহ্মণেরও বাস আছে । তাহার আপনাদিগকে কনৌজায় এক্ষিণ বলিয়া পরিচিত করেন। খৃষ্টায় ১৬শ শর্তান্ধে হৈ ছয় বংশীয় প্রসিদ্ধ রাজা কল্যাণশাহী তাহাদিগকে এদেশে আনহয়। ভূম্যাদি দানসহ বাস করান । তৎপরে মরাঠাগ্রাহ্মণসম্প্রদায় এখানে আইসেন। মরাঠীএাহ্মণগণ পূৰ্ব্বোক্ত শ্রেণীকে হীনজ্ঞান করিয়া থাকেন। রায়পুর, বলোদ, সিমগা, রাণীতলাও, ধমতারী, রাজিম, খয়রাগড়, নলগা ও প্রভূতি নগরে নানা দ্রব্যের বিস্তৃত কারবার আছে । সকল কটক, সম্বলপুর, বিলাসপুর, নাগপুর, কামৃথ, ফিঙ্গেশ্বর, বিন্দর বৈরাগড় ও বোম্বাহ প্রভৃতি স্থানে রপ্তানী এবং তত্ত্বৎ স্থানের আবগুকীয় দ্রব্যসমূহ এখানে আমদানী হইয়া থাকে । এক্ষণে রেলপথ বিস্তৃত হওয়ায় স্থানীয় বাণিজ্যের এবং গমনাগমনের বিশেষ সুবিধা হইয়াছে । ২ উক্ত জেলার একটি উপবিভাগ "হীল। ভূপরিমাণ a ৭৯১ বর্গমাইল । ৩ উ গু জেলার প্রধাননগর ও মধ্য প্রদেশের ছত্রিশগড় বিভাগের বিচার সদর । অক্ষা • ২১• ১৫ উঃ এবং দ্রাঘি • b>* 8> সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ৯৫০ ফুটু উচ্চে, নাগপুর হইতে সম্বলপুর ও মেদিনীপুর হইয়া যে রাস্ত কলিকাতায় আসিয়াছে, তাহার ধারে অবস্থিত । ৭৫০ খৃষ্ঠাঝে ব্রহ্মদেব কর্তৃক রায়পুরে প্রথম রাজপাট ৫।তিষ্ঠিত হয় । এখন ও বর্তমান নগরের দক্ষিণপশ্চিমে নদীতীর বওঁ মহাদেবঘাট পর্যাপ্ত বিস্তৃত প্রাচীন নগরের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে কর্ণেল এগ্নিউএর যত্নে বৰ্ত্তমান নগরভাগ সৌধমালার স্থসজ্জিত হয় । নগরের চতুর্দিকেই পুষ্করিণী ও উপবন । কেল্লায় পুৰ্ব্বদিকে ৪•• বৎসরের প্রাচীন বুড়াপুখুর । উছার পরিধি দেশজুতি দ্রব্য "t &68 } রায়পুর প্রায় ১ বর্গমাইল ছিল, বর্তমানকালে উহার সংস্কার করিতে পরিসর কমিয়া গিয়াছে। ফুর্গের দক্ষিণে মহারাষ্ট্ররাজস্বংগ্রাহক মহারাজ দালীর প্রতিষ্ঠিত মহারাজজী পুষ্করিণী। ইহার বিস্তার প্রায় অৰ্দ্ধ বর্গমাইল । দুর্গের অৰ্দ্ধমাইল দক্ষিণে অবস্থিত একটী জঘন্ত জলায় বাধ দিয়া শতাধিকবর্ষ হইল তিনি সাধারণের উপকারার্থ এই দীর্ঘিকা গঠন করিয়া যান । ইহারই সন্নিকটে ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে রায়পুররাজ বিম্বাজী ভোস্লের প্রতিষ্ঠিত রামচন্দ্র মন্দির । ঐ দেবসেবার জন্ত রাজা ভূমিদান করিয়াছিলেন । রায়পুরের কামাবিশদর কোদগুসিংহ কোকে নামক পুষ্করিণী প্রতিষ্ঠা করেন। উহাতে ‘গণেশচতুর্থ উৎসবের সময় গণপতির মুষ্টিসমূহ বিসৰ্জ্জিত হইয়া থাকে। জনৈক হেলা বণিক দুইশত বৎসর পুৰ্ব্বে অম্বা পুষ্করিণী খনন করাইয়! যান। ১৮৫০ খৃষ্টাব্দে শোভারাম মহাজন বহু অর্থব্যয়ে উহার তিনধার পাথরের সিড়ি দিয়া বাধীন । শোভারামের পিতা দীননাথ তেল বাধ দিয়াছিলেন । দুই শতাব্দ পূৰ্ব্বে রাজ। বরিয়ারসিংহের প্রতিষ্ঠিত রাজপুষ্করিণী বা বাধ এবং প্রায় ঐ সময়েই নগরের মধ্যস্থলে কৃপালগির মহন্ত স্থাপিত কস্কালী দীর্থিক ও ইহার ঠিক মাঝখানে একটা মহাদেবমন্দির স্থাপিত রহিয়াছে । শেষোক্ত দীর্ঘিক ব্যতীত অপর সকল গুলিরই জল পানযোগ্য । ১৪৬০ খৃষ্টাব্দে রাজা ভুবনেশ্বর সিংহ কর্তৃক রায়পুর দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । তিনি দুৰ্গরক্ষার জন্ত বাহিরে পরিখ। প্রাকার ও বুরুজাদি স্থাপন করিয়াছিলেন । প্রাচীরের পরিধি প্রায় ১ মাইল হষ্টবে। এই বহিঃ পূৰ্ব্বে বুড়াপোথর এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে মুহারাজঙ্গী পুষ্করিণী দুর্গম দুর্গের গড়খাই রূপে বিদ্যমান রহিয়াছে। ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে ইংরাঞ্জরাজ যখন রায়পুরে প্রবেশ করেন, তথন ঠহার উত্তরদিকের প্রবেশদ্বার ভগ্ন হয় নাই । সম্প্রতি উহার একট বুরুজ ভাঙ্গিবার জন্ত মজুরের যখন ভিত্তি খুঁড়িতেছিল, তখন প্রায় ২০ ফুট মাটির নীচে কতকগুলি প্রাচীন সমাধিস্তম্ভ বাহির হইয়া পড়ে। উস্কার চারিধার প্রস্তর প্রাচীর দিয়া ঘেরা, কিন্তু তাহাতে কোন শিলাফলক উৎকীর্ণ নাই । এখানে দেশজাত শস্তাদি, লাক্ষা, তুল প্রভৃতি দ্রব্যের বিস্তৃত কারবার আছে। বিভাগীয় কমিশনারগণ এখানে থাকেন এবং রাজকাৰ্য্য পরিচালনার্থ দে গুয়ানী ও ফৌজদারী আদালত আছে । কাম্ঠীসেনাদলের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারল এখানে থাকিয় দেশীয় পদাতিক দলের কার্য্যাদি পরিদর্শন করিয়! থাকেন । -- রায়পুর (আমেঠ), অযোধ্যাপ্রদেশের মুলতানপুরঞ্জেলীর