পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাস *-* . [ ৫৯৪ ] রাস অনন্তর তাহার মিলিত হইয়। উচ্চৈঃস্বরে গান করিতে করিতে তাহার অন্বেষণে উন্মত্তের স্থায় বনে বনে ভ্রমণ করিতে আরম্ভ করিল এবং যিনি আকাশের স্তায় প্রাণীiদগের বাহ ও অভ্যন্তরে অবস্থিত সেই পরম পুরুষের কথা বনস্পতিদিগকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “হে অশ্বথ ! হে প্লগ ! হে গুগ্রোধ ! শ্ৰীনন্দের নন্দন প্রেম ও হাস্তবিলাসত কটাক্ষদ্বার। আমাদের চিত্তহরণ করিয়া পলায়ন করিয়াছেন, তোমহ। কি তাহাকে দেখিয়াছ ! হে কুরুবক ! হে নাগ । যাহার হাস্ত মানির্মীদিগের মানহরণ করে, সেই রামানুজ কি “हे निक् नि ब्रा श्रभन 蠶 |” ইত্যাদি রূপে তাহার। প্রতি বুক্ষ ও লতার নিকট গমন করিয়৷ অতি করুণভাবে জিজ্ঞাস করিতে লাগিল । কিন্তু কোথা ও শ্রীকৃষ্ণের সন্ধান পাইল না। তখন তাহার শ্ৰীকৃষ্ণে অন্বেষণে অতিশয় বিহবলা হইয়া র্তাহার বিবিধ ক্রীড়ার অমুক ঝুণ করিতে লাগিল। এক গোপী কৃষ্ণ হইল, আর এক গোপিকা পুতনা হইয়৷ স্তন্যপান করাইতে লাগিল । একজন শকট হইল, অপর একজন কৃষ্ণ হত য় তাহাকে পদ প্রহার করিল। এইরূপে গোপিকাগণ বৃন্দারণ্যে ভগবানের সকল প্রকার লীলারই অমুকরণ করিতে লাগিল । গোপিকাগণ কৃষ্ণবিরহে উন্মত্তপ্রায় হইয়। কখন হাস্ত, কথন ক্রনন, কথন স্তব করিতে লাগিল । কাস্ত বদন, .# হইলেন । গোপিকাগণ প্রিয়তমকে সন্মুখে দেখিয়৷ আনন্দিত হুইল । তাছাদের নয়ন কমল প্রফুল্ল হইয়া উঠিল । তথন তাহারা যেন পুনর্জীবন প্রাপ্ত হইল। তাহারা সকলে শ্ৰীকৃষ্ণের নিকট মানা প্রকার তাহাদের মনোব্যথা জানাইতে লাগিল । যেমন মুমুক্ষুব্যক্তিগণ ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হইয়া সংসারতাপ মোচন করে, সেক্টরূপ গোপিকাগণ কেশবদশন জল্প পরমানন্দ লাভ করিয়া বিরহজ সত্তাপ পরিত্যাগ করিল। ভগবান কৃষ্ণ ৰিধূতপাপ। সেই সকল গোপিকায় পরিবুত হইয়া সত্বাদিগুণসমুছে বেষ্টিত পরমাত্মার স্থায় সাতিশয় শোভা পাইতে লাগিলেন। তখন মদনমোহন সেই সকল গোপিকাকে লইয়া কালিনীর মুখকর পুলিনে গমনপূৰ্ব্বক ক্রীড়। করিতে লাগিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণের দর্শন পাষ্টয়া গোপিকাগণের মনোব্যথা দূরীভূত হইল। শ্রুতিসমূহ ধেরূপ কৰ্ম্মকাণ্ডে পরমেশ্বরকে দেখিতে না পাই। কৰ্ম্মেৱ জয়গমনপূর্বক যেন অপুর্ণকামের স্কায় থাকে, পরে জ্ঞানকাণ্ডে পরমেশ্বরকে তাহাকে ७aभं न शृ*घ्र বনমালী কৃষ্ণ তাছাদের সম্মুখে আবিভূত দেখিয়া আহলাদে পূর্ণকাম হইয়া কামামু বন্ধ পরিত্যাগ করে, শ্ৰীকৃষ্ণদৰ্শনে গোপীগণের কাম সেইরূপ পূর্ণ হইল । তাহার কুচকুঙ্কুম রঞ্জিত স্ব স্ব উত্তরীয় ৰসনদ্বারা অন্তর্যামী ভগবানের আসন রচন। করিয়া দিল । যোগীশ্বরের হৃদয়ে যাহার আসন বিস্তৃত আছে, আজি সেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোপীসভাগত হইয়। তাহাদিগের সচিভ সেই আসনে উপবিষ্ট হইলেন । ত্ৰৈলোক্যে যত শোভা আছে, তিনি তত শোভার একমাত্র স্থান স্বরূপ শরীরধারণ করিয়া গোপীমণ্ডলের মধ্যে সম্মাণিত হইয়৷ শোভা পাইতে লাগিলেন। তথন গোপিকার শ্রীকৃষ্ণকে বেষ্টন করিয়া কহিল, সথে কৃষ্ণ ! কোন ব্যক্তি একজন ভজনা করিলে পর তাহাকে ভজন করেন ? কোন ব্যক্তিই বা ইহার বিপরীত করিয়া থাকেন, আর কোন ব্যা ওই বা উভয়ের কাহাকেও ভজনা করেন না ? ইহার বিষয় আমাদিগকে বলুন। ভগবান কৃষ্ণ গোপীগণক স্তৃক এই রূপ জিজ্ঞাসিত হইয়। কহিলেন,—সর্থীগণ যাহার। স্বাথসাধন করিতে সচেষ্ট্র, তাহারাই পরস্পর ভজনা করিয়া থাকেন। তাচাতে ধৰ্ম্ম বা ষ্ট্ৰেঞ্জা নাই। স্বার্থ তাহার উদেখ, তদ্ভিন্ন শার কিছু নছে। কিন্তু যাহারা ভঞ্জন করেন না, ধে সকল ব্যক্তি তাহাদিগকে ভঞ্জন করে, পিতামাতার স্তায় তাহারা দুইপ্রকার—এক দয়ালু, দ্বিতীয় স্নেহময় । উক্ত ভজনাদ্ধার দয়ালুব্যক্তিরা নিস্কৃতিধৰ্ম্ম এবং স্নেহময় ব্যক্তিগণ সৌহাৰ্দ্দলাভ করিয়া থাকে। এস্থলে অনিন্দিতধৰ্ম্ম ও সোহার্দ এই দুষ্টই আছে। সখীগণ! যাহার। আমাকে ভঙ্গুন করে, আমি তাহাদিগকে ভঞ্জন করি না ; কেননা, তাহ হইলে তাহার। নিরস্তর আমাকেই চিন্তা করিতে থাকিবে । যেমন নির্ধন ব্যক্তি ধনলাভ করিয়া যদি সেই ধন হামাইয় ফেলে, তাহা হইলে সেই ধনেরই চিন্তায় নিমগ্ন থাকিয়৷ অন্তচিন্ত ভুলিয়া যায় । এষ্ট রূপ তোমরাও আমার নিমিত্ত ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম না ভাবিয়া লোক ও জ্ঞাতিগণকে পরিত্যাগ করিয়া, তোমরা নিরস্তর আমাকেই চিগু করিবে, এই জন্ত আমি আগুহিত হইয়াছিলাম। অথচ তোমরা না দেখিতে পাও, এইরূপে তোমাদিগকেই ভজনা করিয়াছিলঞ্চ, অতএব হে প্রিয়াসকল ! গ্রিন্থের প্রতি দোষরোপ কষ্ট। তোমাদের উচিত नtश् । cठामद्रा भृकुडग्न গৃহমন্ত্র ছেদন করিয়া আমার সঞ্ছিত মিলিত হইয়াছ, আমি তোমাদের ঋণ পরিশোধ করিতে পারিব স । গোপীগণ ভগবান কৃষ্ণের এইরূপ সাত্বনাবাক্য শ্রবণপূর্বক পূৰ্ণৰাম হইয়া ছিল সম্ভাগ পরিত্যাগ করিল।