পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুদ্ধক [ ৬৩১ ] করিয়া রুদং শব্দ হয়। এই শব্দের স্ত্রীলিঙ্গে ‘রুদন্তী’ এই পদ হইয়া থাকে। “ধরিত্রি পুষ্পাঞ্জলিরেষ তুভ্যং স্বত্ত মদীয়াস্তব পালনীয়। ইতীব রম্ভ নমিতাগ্রমোলিন ভৃশং রুদন্তী মকরন্দবিন্দুন ॥” (উদ্ভট) রুদাকি, জনৈক পারসী কবি ও প্রসিদ্ধ সঙ্গীতজ্ঞ । ইনি জন্মান্ধ হইলেও সঙ্গীতবিদ্য ও কবিত্বকলায় সম্যক্ পারদর্শিত। লাভ করিয়াছিলেন। রাজা আহুক্ষদ সামানির পুত্র আমীর নশরের রাজ্যকালে ইহার প্রতিভা রাষ্ট্র হইয় পড়ে। ইহার এই অস্তুত ঐশীশক্তির জন্ত রাজ ও রাজদরবারের প্রত্যেক আমার ওমরাহুই ইহাকে সমধিক সম্মান করিতেন । রাজা নশর ইহাকে এরূপ ভালবাসিতেন যে তিনি রুদকি ব্যতীত কোথাও একাকী গমন করিতেন না। রাজামুগ্রন্থে ইনি অতুল সম্পত্তির অধিকারী হহয়। একজন শ্রেষ্ঠ ওমরাহ মধ্যে গণ্য হইয়াছিলেন । ইহার সেবার জন্য দুইশত ক্রীতদাস নিযুক্ত ছিল এবং যখন ইনি স্বীয় প্রভুর সহিত রণক্ষেত্রে গমন করিতেন, তখন ইহায় নিজ আবশ্যকীয় দ্রব্য প্রায় ৪ শত উষ্ট্রে বহন করিয়া লইয়া যাইত। ইনি ৯২৫ খৃষ্টাব্দে আরবী ভাষায় অনুদিত পিলপের উপকথামাল পারস্তকবিতায় রূপান্তরিত করিয়াছিলেন । রাজা নশর উহ! পাঠ করিয়৷ কবিকে ৪• হাজার দর্হামমুদ্র পারিতোধিক প্রদান করেন। এতদ্ভিন্ন ইহার রচিত একখানি দিবা পাeয়া যায় । ইহার প্রকৃত নাম ফরিদ উদ্দীন আবু আবদুল্লা । সমরকন্দ বঁ। বুখার প্রদেশের রুদক নামক স্থানে জন্মছে তু ইনি রুদাকি নামে খ্যাত হন । ৯৫৪ খৃষ্টাব্দে ইহার মৃত্যু ঘটে। রুদিত(ক্লা) রুদ-ক্ত। ১ ক্ৰন্দন। (ত্রি) ২ রোদনবিশিষ্ট । “কেশকীটাবপতিতং ক্ষুতং শ্বভিরবেক্ষিতম্। রুদিতঞ্চাবধূতঞ্চ তং ভাগং রক্ষদাং বিছঃ * , - ( ভারত ১৩:২৩, ৬ ) রুদোলা, অযোধ্যাপ্রদেশের বারবান্ধীজেলার অন্তর্গত নগর ও রুদোলাপরগণার বিচারসদর। অক্ষাৎ ২৬° ৪৪' ৪৫" উঃ এবং দ্রাঘি• ৮১° প্রবাদ, রুদ্রমল্ল নামক একজন ভরজাতীয় সর্দার এই নগর স্থাপন করেন । এখানে স্থানীয় দ্রব্যের বিস্তৃত কারবার আছে । রুদ্ধ (ত্রি) রুধ-ক্ত। নদী প্রাকারাদি দ্বার কৃতবেষ্টন, পৰ্য্যায়— বেষ্টিত, বলয়িত, সংবীত, আবৃত। "মালোকে নরপতিপথে হুটভেগুৈস্তমোভিঃ ” (মেঘদূত ৩৯) झछ्क (क्ली) णद१ ।। কুচক দেখ। ] রুদ্ধমূত্র (णि) भूमङ्गळू, । রুদ্ধ (অব্য) বন্ধ। রুদ্র (পুং) রোদস্থতীতি রুদ্র-শিচ (রোদেনি লুকুচ। উগ,২২২) ইতি রক শ্রেশ লুক্ক। ১ আদিত্যপত্র বৃক্ষ । (রাজনি) ২ শিব। “ত্ৰিজটস্টারবালাশ্চ রুদ্র সেনাপতিবিভুঃ। (ভারত ১৩১৭,৪৬) ৩ গণদেবতাবিশেষ ; এই গণদেবতা অগ্নিমূৰ্ত্তি রুদ্রায় অগ্নিমূর্তয়ে নমঃ’ । তিথিতত্ত্ব ) জগৎস্থষ্টিকালে ব্ৰহ্মার ক্রমধ্য হইতে ক্ৰোধৰূপে রুদ্র দেবের উৎপত্তি হয়। ভূত, প্রেত ও পিশাচাদি রুদ্রস্থষ্টি। ংস্থার কালে ইনিই সমস্ত সংহার করিয়া থাকেম । রুদ্রের সংখ্য একাদশ–১ অজ._২ একপাওঁ,3:অহিত্রঃ, ৪ পিণাকী, অপরাজিত, % অন্ধক, মহেশ্বর, ৮াকুপি, শস্তু, : , ) झेत्रों । ( ভাগবত )

  • অজৈকপাদহিব্রষ্ট্রে বিরূপাক্ষ: সুরেশ্বরঃ । জয়স্তে বহুরূপশ্চ ব্র্যম্বকোইপ্যপরাঞ্জিত: | বৈবস্বতশ্চ সাবিত্রে হরে রুদ্র হমে স্মৃত: ॥’ ( জটাধর ) গরুড়পুরাণে ৬ অধ্যায়ে এইরূপ লিখিত আছে— অজৈকপাদ আহিব্রু, তুষ্ট, বিশ্বরূপইর, বহুরূপ, ত্র্যম্বক, অপরাজিতৰ্বিষাকপি,শম্ভ কপদী ও রৈবত । ( অগ্নিপুরাণে কেবল তুষ্ট স্থানে কৃত্তিবাস নাম দেখা যায়। )

কুৰ্ম্মপুরাণমতে, ব্রহ্ম স্থষ্টির জন্য দুষ্কর তপোহমুষ্ঠান করিয়াছিলেন, কিন্তু কিছুতেই তিনি স্বষ্টি করিতে সমর্থ হইলেন না, এজন্ত বহু দিন পরে তাহার অতিশয় ক্রোধ হইয়াছিল। তিনি ক্রুদ্ধ হইলে তাহার নেত্র হইতে অশ্রুবিন্দু নিপতিত হয়, এই অশ্রুবিন্দু হইতে ভূতপ্ৰেতাদির উৎপত্তি হইল। তৎপরে ব্ৰহ্মার মুখ হইতে প্রাণময় রুদ্র আবিভূত হন, এই রুদ্রদেব সহস্ৰ স্বৰ্য্যসদৃশ এবং যুগান্তকালীন অগ্নির তুল্য, এই রুদ্রদেব প্রাচুর্ভূত হইয়াই অতিশয় রোদন করিতে কেন । ইহাকে রোদন করিতে দেখিয়া ব্ৰহ্মা ‘মারোদী:’ অর্থাৎ রোদন করিও না এবং তুমি উৎপত্তিমাত্রেই রোদন করিয়াছ, এইজন্ত জগতে রুদ্র এই নামে খ্যাতিলাভ করিবে, এই কথা বলিয়াছিলুেন। যথা— “ক্লরোদ সত্বরং বেরিং দেবদেবঃ স্বয়ং শিবঃ । য়োদমানং তদ ব্ৰহ্মা মারোদৗরিত্যভাষত। রোদনাং রুদ্র ইত্যেবং লোকে থ্যাতিং গমিষ্যতি ॥” (কুৰ্ম্মপু-১১) ব্ৰহ্ম এই কথা বলিয়া ইহার অন্ত সপ্তনাম, অঃস্থান এবং স্ত্রী ও পুত্রাদির বিষয় এইরূপ নির্দেশ করিয়াছিলেনস্তব, শৰ্ব্ব, ঈশান, পশুপতি, ভীম, উগ্র ও মহাদেব এই সপ্তনাম ; স্বৰ্য্য, জল, মহী, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, ব্রাহ্মণ ও চন্দ্র