পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৬৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুষিয়া [ ૭:૦ j রুমিয়া লেন । যুরোয়াফ, পেচেনেগুদিগের যুদ্ধেও জয়ী হইয়াছিলেন। তাহারই যত্নে সৰ্ব্বপ্রথম “কৃষকীয় প্রবদা” অর্থাৎ রুষ প্রবন্ধ নামক রাষজাতির আদি ধৰ্ম্মশাস্ত্র-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। য়রোসুফের পর রুষরাজ্যে নানাপ্রকার অত্যাচার ও অরাজকতার সূত্রপাত হয়। ক্লধরাজ্য বিভিন্ন রাজার শাসনাধীনে নানাথণ্ডে বিভক্ত হইয় পড়ে। যুরোসুফের পুত্র ইঞ্জিয়া,াধ, অতিকষ্ট্রে বিরক্তিকর অস্তবিদ্রোহের মধ্যে ২৪ বর্ষকাল রাজ্যশাসন করেন। ১৯৭৮ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যুকালে দুষ্টপুত্র থাকিলেও তিনি নিজ সহোদর সেবেলোদকে কিফ রাজ্য দিয়া যান, কিন্তু ১০৯৩ খৃষ্ঠান্সে সেবোলোদের মৃত্যু ঘটিলে ইঞ্জিয়াসুফের পুত্র শ্বিঅটোপোল রাপ হইয়াছিলেন। আবার তাহার মৃত্যু হইলে সেবেলোদের পুত্ৰ ( বৈজষ্ঠীসম্রাট • কনস্তাশ্বিন মনমেকাশের দৌহিত্র ) ব্লদিমীর মনমখ ১১১৩ হইতে ১১২৫ পৰ্য্যস্ত রাজত্ব করেন । তিনি ‘পুকে নী' নামধেয় (পুত্রগণকে সম্বোধন করিয়া) একখানি উপদেশগ্ৰন্থ লিখিয়া যান ; তাহাতে প্রাচীন কৃষসমাজের সরল আলেখ্য দেখিতে পাই । তাহার মৃত্যুর পর তাহার পুত্ৰগণের মধ্যে রাজ্য লইয়। দীর্ঘকাল বিবাদ চলিয়া ছিল। অবশেষে ১১৯৭ খৃষ্টাব্দে জর্জ-দোলগোরুকি কিফ,রাজ্য অধিকার করিয়৷ বসেন। অল্পদিন মধ্যেই তাহাকে রাজ্যচুত করিবার জন্ত এক ষড়যন্ত্র হইল। যড়যন্ত্রীরা তাহাকে তাড়াহয় দিয়া তাহদের দলপতিকে রাজ্যের অধিপতিপদে বরণ করিল। ১১৬৯ খৃষ্টাকে উক্ত দোলগোরুকির পুত্র বোগোলিও-উবস্কি সেই দলপতিকে তাড়াষ্টয়া নগর অধিকার করিলেন । এই সময় কিফ রাজধানী হইতে সমস্ত পবিত্র দেবচিত্র, অলঙ্কার ও গির্জার ঘণ্টাগুলিও গৃহীত হইয়াছিল। দোল-গোরকির কিফ সহরে রাজপাট স্থাপনের ইচ্ছা বলবতী থাকিলেও তাহার উদ্দেশু সিদ্ধ হয় নাই। স্বজ দলে তিনি রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন। কিন্তু তৎপুত্র আওর অপরদিকে রাজ্যবিস্তারে আগ্রহ ছিল। তিনি বড় নবগোরোদে আপন ভ্রাতুপুত্রকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন। ১১৭৯ খৃষ্টাকো তিনি নবগোরোদ সহর আক্রমণ করিতে গিয়া যথেষ্ট নিগ্ৰহ ভোগ করেন। তাহার সৈন্তসামন্ত অনেকেই নবগোরোদীয়গণের হস্তে বন্দী ও কৃতদাসরূপে বিত্ৰণত হইয়াছিল। ১১৭৪ খৃষ্টাব্দে তিনি আপনার সভাসদুগণের হস্তেই নিহত হন। আও, একজন দৃঢ়চেতা e মহাবীর ছিলেন । তাহার হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতকগণের উপযুক্ত সাজ না হওয়ায় রাজ্যের চারিদিকে সমরানল জলিয়া উঠিল। নবগোরোদ, পস্কোফ ও স্নোলেনস্কবাগী একত্র হইয়া আওর ভ্রাতা জর্জকে ১২১৫ খৃষ্টাম্বে আক্রমণ ও যুদ্ধে পরাজয় করিল। ১২২০ খৃঃ, নিজনি নবগোরোদনগর প্রতিষ্ঠিত ও বোলহিনিয়ার এক রোমকের হস্তে শাসনতার প্রদত্ত হইল। কিন্তু বুদিমীর নামে আয় একব্যক্তি তাহাতে সস্তুষ্ট না হইয়৷ সিংহাসন অধিকার করিয়া বসিল । ক একটা ভীষণ যুদ্ধের পর সেই রোমকধীর সিংহাসন গতি করিয়াছিলেন । র্তাহার অত্যাচার ও কঠোরতায় প্রজাবৃন্দ সকলেই অসন্তুষ্ট ছিল। ১২০৫ খৃষ্টাব্দে পোণদিগের সহিত যুদ্ধে তিনি নিহত হইগেন । ১২২৪ খৃষ্টাকে মোগলের ধ্রুবরাজ্য আক্রমণ করিল। এই সময় পোলোব,তেজের তাহাদিগকে সাহায্য করিয়াছিল । কিন্তু এ যাত্রা মোগলদিগকে ব্যথমনোরথ হইয়। ফিরিয়৷ আদিতে হয়। ১২৩৮ খৃষ্টাকে তাহার। আবার রুষরাজ্যে দেখা দিল । তাহার। বল্গানদীতীরস্থ ফিনিস বুলগেরিয়দিগের রাজধানী বোলাগরী ধ্বংস করিয়া রয়ঞ্জানে আসিল । ঐ নগরও লুষ্ঠিত ও বিধ্বস্ত হইল। মুজালিরাজের বিপুল বাহিনী আসিয়া তাহীদের গতিরোধ করিল । ওকানদীতীরে কোলমা নামক স্থানে তাহারা ও পরাজিত হইল । তৎপর্ক্সে মোগলের মস্কে, স্বজদল, য়ুরোসবন ও অপর বহু শহরে অগ্নিদান কল্পিয়৷ পৈশাচিক কাও করিতে লাগিল । স্বজদলের মহাসামন্ত যুরি নবগোরোদ-রাজ্যের সীমারক্ষার্থ পীতনদীতীরে শিবিরসন্নিবেশ করিয়াছিলেন, তিনি ও মোগলদিগের সহিত সন্মুখ যুদ্ধে নিহত হইলেন। এই সময় গালিসিয়ার রুষরাজকুমার দানিএল আসিয়া মোগলপতি ধটুর আনুগত্য স্বীকার করিলেন। পরবর্তী বর্ষে মোগলের। ত্বের অধিকার করিয়া রুষের দক্ষিণাংশ লুট করিতে লাগিল । অতঃপর চেঙ্গিস খার পৌত্র ঋজু কিফ, দখল করিতে অগ্রসর হইলেন । কিফের আবালবৃদ্ধবনিত প্রাণভয়ে সম্বর ছাড়িয়৷ পলাইল । সমৃদ্ধিশালী রুষের প্রাচীন নগর মোগলকরে বিলুষ্ঠিত ও হতঐ ছছল। নবগোরোদ ব্যতীত একে একে সমগ্র রুষরাজ্য মোগলদিগের করাল কবলে পতিত হইয়াছিল । অল্পদিন পরে মোগলনায়ক বটু সসৈন্তে পূৰ্ব্বাভিমুখে ফিরিলেন। বল্গানদীতীরে “লরাই” নামে তাহার রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হইল । পেচেলেগ, পোলোব জেস প্রভূতি বৰ্ব্বরগণ আসিয়াও এখানে মিশিল । তৎপরে কুম্বিয়৷ বহুদিন ঐ সকল ৰৰ্ব্বরের করদ রহিল। ১২৭২ খৃষ্টাব্দে মোগলের ইসলামধৰ্ম্ম গ্রহণ করিল। যুরির মৃত্যুর পর তাহার ভ্রাতা যুরোপুফি স্বজ দলরাজ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন যে, রাজ্য ছারখারে গিয়াছে, পুৰ্ব্ব