পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৬৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে সংজ্ঞা উভয়াবৃত্তি ধৰ্ম্মাবচ্ছিন্ন সঙ্কেতযুক্ত র্তাহাকে নৈমিত্তিক, যথা আকাশ ও ডিখাদি। আর যে শব্দ অমুগত উপধ্যবচ্ছিন্ন সঙ্কেতযুক্ত, তাহাকে ঔপধিকরূঢ় কহে। যথা ভূত দুভ প্রভৃতি শব্দ যোগরা শব্দ দেখ। ] রূঢ়কি , রুরকি) যুক্তপ্রদেশের শাহরাণপুর জেলার একটা তহদৗল। গঙ্গার পশ্চিমকুলে শিবালিক শৈলমালার পাদমুলে অবস্থিত। ভূপরিমাণ ৭৮৯ বর্গমাইল । ২ উক্ত জেলার একট সমৃদ্ধিশালী নগর । একটা নতু্যচ্চপৰ্ব্বতগণ্ডের শিখরদেশে সোলানী নদীগর্ভের অদূরে অবস্থিত। অক্ষা ২৯°৫২২৫ উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৭°৫৫' ৪০" পূ: মিউনিসিপালিটী থাকায় নগরভাগ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাণিজ্যসমৃদ্ধিতে পূর্ণ। গঙ্গার খাল কাটার পুৰ্ব্বে এই নগর সামান্ত একট ক্ষুদ্র পল্লিতে পরিণত ছিল। ১৮৪৫-৪৬ খৃষ্টাব্দে পৰ্ব্বতগাত্র কাটিয়া যখন গঙ্গার পাল এই নগরের পাশ্ব দিয়া বিস্তৃত হয়, তখন এখানে থালকাটার কারখানা ও লৌহের কারখানা এবং পরে ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দে দেশীয় ছাত্রবৃন্দকে স্থাপত্যবিদ্যা ও ইঞ্জিনিয়ারিং foot facià of gwitz. The Thomson Civil Engineering college স্থাপিত হইয়াছিল। সমগ্র ভারতে હાફે শ্রেণীর এইরূপ স্ববৃহৎ বিদ্যালয় আর দ্বিতীয় নাই। ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে এখানে প্রথমে সেনাদলের একটা ছাউনী হয়। পরে ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে এখানে প্রকৃত প্রস্তাবে একটা গোরাবাজার স্থাপিত হইয়াছিল । এতদ্ভিন্ন জলবায়ুর পরিমাণ-নির্দেশক *এখানে zginą Meteorological observatory stČE ! রূঢ়প্রণয় (ত্রি । রূঢ় প্রণয়: প্রগাঢ় প্রণয়, অতিশয় প্রণয় । রূঢ়বংশ ( ত্রি) রূঢ়: বংশ: | প্রসিদ্ধবংশ, খ্যাতবংশ । রূঢ় ( স্ত্রী ) রুষ্ট-ক্তিন ',० छद्म । २ প্রাদুর্ভাব। ৩ প্ৰসিদ্ধ । “রূঢ়ি পরম্পরায়াত সেয়ুমন্মগ্রহে স্থিতা।"(রাজতর ৪২৭১) ৪ অারোহণ । “গচ্ছত্যধকৃণগুণঃ শ্রিতকুপযন্ত্রঃ পুষ্পাশ্রয় স্বরশিরো ডুবি রূঢ়িমেতি ॥” (রাজতর- ১২৮-) ও রূঢ় শকনিষ্ঠ শক্তি, রূঢ় শক । rপদ্ধত্মিক সতী রূর্তিবেদধোগাপছারিণী | কল্পনীয়া তু লভতে নাত্মানং যোগবাধত: m” ( কুমারভট্টকারিক ) রূপ, তৎকৃতি, রূপকরণ, এই ধাতু অদন্তচুরাদি, পরস্মৈ সক • - 2 সেটু। লক্ট্র রূপয়তি । পুঙ, অরুরূপং । রূপ (ক্লী) রূয়তে কীৰ্ত্তত্তে রৌষ্ঠীতি বা রু (থম্পশিল্পশম্পেতি । উণ ৩২৮) ইতি দীর্ঘশ্চ, রূপরতীতি রূপ-অচ্‌ বা । ১ স্বভাৰ । XVI রূপ - [ ৬৮৯ ] * রূপ ২ সৌন্দৰ্য্য। ৩ নামক । ৪ পশু । ৭ নাটকাদি । ৮ আকার। “তদধ্যাস্তোদ্বহেম্ভাৰ্য্যাং সবর্ণাং লক্ষণান্বিতাম্। কুলে মহতি সভূতাং হৃদ্যাং রূপগুণান্বিতাম্ ॥” (মহু ৭৭৭) ৯ শুক্লাদি। (বিশ্ব) হেমচন্দ্র প্রভৃতিতে নামক স্থানে’মাণক’ এই অর্থ দেখিতে পাওয়া যায়। রূপ ১৬ প্রকার, যথা—১ হ্রস্ব, ২ দীর্ঘ, ৩ স্থল, ৪ চতুরস্ৰ, ৫ বৃত্ত, ৬ শুক্ল, ৭ কৃষ্ণ, ৮ নীলারুণ, ৯ রক্ত, ১• পীত, ১১ কঠিন, ১২ চিঙ্কণ, ১৩ শ্লষ্ম, ১৪ পিচ্ছিল, ১৫ মৃদ্ধ, ( মহাভারত মোক্ষধৰ্ম্মপ• ) রূপের লক্ষণ— “অঙ্গান্তভূষিতান্তেব কেনচিাৰ্ভুষণাদিন। যেন ভূষিতবদুভাতি তন্দ্রপমিতি কথাতে ॥” ( উজ্জ্বলনীলমণি ) অভূষিত অঙ্গ কোন ভূষণাদি দ্বারা ভূষিত হইয়৷ শোভমান হইলে তাহাকে রূপ কহে । নৈয়ায়িকদিগের মতে—ইহা চক্ষুরিস্ক্রিয়গ্রাহ, চক্ষুরিস্ক্রিয় এই রূপ গ্রহণ করিয়া থাকে। রূপ প্রত্যক্ষ করিতে হইলে চক্ষুরিস্ক্রিয় দ্বারাই করিতে হয়। রূপ দ্রব্যাদি প্রত্যক্ষ কারণ, চক্ষু ইহার সহকারিকারণ। এই রূপ শুক্লাদি ভেদে অনেক প্রকার । নিত্য ও অনিত্যভেদে দুই প্রকার ; জলদি পরমাণুরূপ নিত্য এবং তদ্ভিন্ন অদ্য অনিত্য । “চক্ষুগ্রহিং ভবেন্দ্রপং দ্রব্যাদেরুপলস্তকম্। চক্ষুষ: সহকারি স্তাচ্ছক্লাদিকমনেকধা। জলাদিপরমাণে তন্নিত্যমন্তত সহেতুকম্।।” রূপ শব্দ উত্তর পদস্থিত হইলে উপমানবাচক হইয়া থাকে। "স্ব্যরুত্তরপদে প্রখ্যঃ প্রকার: প্রতিমো নিভঃ। ভূতরূপোপমা: কাশ: সন্নিভ: প্ৰথিত: পর: ॥’ (হেম ) শাস্ত্রে অতিশয় রূপের নিলা আছে । যাহারা অতান্ত রূপবান তাহারা প্রায়ই দুঃখী হইয়া থাকে। দেবীপুরাণে লিখিত আছে যে, একদা উমা মহেশ্বরকে জিজ্ঞাসা করিয়tছিলেন, অতিশয় রূপসম্পন্ন নারী নানাগুণবিভূষিত হইয়াও কেন তাহারা দুঃখিত ও কাস্তসৌখ্যবিবর্জিত হইয়। থাকে । ইহাতে মহাদেব বলিয়াছিলেন, অতিশয় রূপঃ দুঃখের কারণ, এইজন্ত লক্ষশজ্ঞ ব্যক্তিগণ রূপ ইচ্ছা করেন না, পুরুষ বা স্ত্রী যে কেহ হউক অতিরূপ দ্বারা অল্পায়ুঃ বা সুখহীন হইয় থাকে। দময়ন্তী ও সীতা অতিশয় রূপবতী ছিলেন, এইজন্ত ইহার দুঃখিত ও কাস্তমুখবর্জিত হইয়াছিলেন। এই ৫ শকা। ৬ গ্রন্থাবৃত্তি। ১৬ দারুণ ।