পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেব [ १७१ ] রেব . বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিল । এই সময় বাঘেল রাজকুমার সুলতানের সাহায্য করিয়াছিলেন । সম্ভবতঃ এই কারণে দিল্লীশ্বর আর কোন অত্যাচার না করিয়া বাঘেলরাজ্য ছাড়িয় যান। ইহারই অত্যয়কাল পরে মুলতান সিকন্দর লোদীর বাঘেল-রাজকুমারীর পাণি গ্রহণে ইচ্ছা হঠল । বাঘেলপতি শালিবাহন দিল্লীশ্বরের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করিলেন। মুসলমান ঐতিহাসিক ফেরিস্তা লিথিয়াছেন যে, ৯০৪ হিজরীতে (১৪৯৮-৯৯ খৃষ্টান্ধে ) শালিবাহন ভগিনী | দানে অসম্মত চইলে সি কদর পুনরায় ভাট আক্রমণ করিলেন। তাহার দুদ্ধৰ্ষ সৈন্তগণ ভেষ্ঠ বান্ধোগড় জয় করিল। সিকদের সমস্ত রাজ্য ধ্বংস ও জনশূন্ত করিয়া জৌনপুরে | ক্ষিরিলেন । i শালিপাঙ্কনের পর বীরসিংহদেব রাজা হইলেন। তৎপুত্ৰ রাঞ্জ বীরভাসুদেব । বর্ণনা করিয়াছেন,— | “দিল্লী কে জিতেক মাৰ্দ্দার মনসবদার রাজা রাও উমরাও সভি কে নিপাত ভণ্ড । বেগম বিচারি বহি কিতই ন পাই থl, বান্ধীগড় গাঢ় গুঢ় তাকে পছ,পাত ভও। শেরশাহ সলিল প্রলেয়ে কে বঢ়ো তত্ত্বেশ বৃরং হুমায়ু কে মহ! কি উৎপাত ভণ্ড । বসূগন বালক অব বর বচাই-বে কে, বরস্থাৎ "তি অখবর কে পাত ভও " অর্থাৎ দিল্লীতে সর্দার, মন্যৰদার, রাজা, রাs, উমরাও সকলই নিপুত হইল । অভাগিনী বেগম ( কুমায়ুনপত্নী ) কোথাও তাশ্রয় পাইলেন না। অবশেষে সুদৃঢ় বান্ধোগড় তাহার মাও সুস্থল হইল । অজেশ বলেন, তৎপরে শেরশাহের প্রভাব চলিল।” যদিও ছুমায়ুন জলমগ্ন হইতে রক্ষা পাইলেন, তাহার মহ উৎপাত ঘটিল এৰং কেবল বীরভানুরূপ অক্ষয়বট আশ্রয় করিয়া বালক আকবর রক্ষা পাইয়াছিলেন । বাস্তবিক শেরশাহের অত্যাচারে হুমায়ুন রাজচ্যুত হইলে আকবরের মাত শিশুকে লইয়া বান্ধোগড়ে পলাষ্টয়া যান । এখানেও প্রবাদ আছে যে, বীরভাসুদেব সৈন্ত দিয়া বালক আকবরকে সাহায্য করিয়াছিলেন। অকবরের সিংহাসনলাভের পুঞ্চেই বীরভাল্লুর পুত্র রামচন্দ্র দেব পিতৃরাজ্য লাভ করেন। অকৰয় দিল্লীর মসনদে অধিষ্ঠিত হইলে তিনি বাঘেলরাজের উপকার কখন বিশ্বত হন নাই । অকবরের শাসনকালের ইতিহাসে রাজ রামচন্দ্রের নাম ও গ্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। ১৫৪৫ খৃষ্টাব্দে রামচন্দ্র রাজা হন। ঐ বর্ষে সিকলার রাজভাট অস্ত্রেশ বারভানু সম্বন্ধে | পুরের পুত্র ইয়াছিম আসিয়া রামচন্ত্রের আশ্রয়গ্ৰহণ করেন। XVI >y& গঙ্গাতীরস্থ করাগ্রাম হইতে রামচন্দ্রের তাম্রশাসন বাছির হইয়াছে। এই শাসনপত্র খানি “অকৃবরশাহু-গাপ্পী"র ৩য় বর্ষে অথাৎ ১৫৫৭-৫৮ খৃষ্টাব্দে উৎকীর্ণ । ভারত প্রসিদ্ধ গায়ক তানসেন প্রথমে এই রামচন্দ্রের সভাতেহ গান করিতেন । অকবর তাহার ৭ম বর্ষে (১৫৬২ খৃষ্টাম্বে ) রামচন্দ্রের নিকট লোক পাঠাষ্টয়া তানসেনকে আনাইয়া ছিলেন, তাছাতে রামচন্দ্র বড়ই মৰ্ম্মাহত হন। যখন আসফ খান গড় আক্রমণে যায় করেন, রামচন্দ্র তাহার গতিরোধ করিবার জন্য অস্ত্রধারণ করেন। অবশেষে পরাজয়ের সম্ভাবনা বুঝিয় তিনি অকবরের বহুতস্বিীকার করিতে বাধ্য হইলেন । অকবরের ১৪শ বর্ষে রামচন্দ্ৰ কালঞ্জর দুর্গ হারাইলেন। তজ্জন্তু অপমানের ভয়ে নিজে না গিয়া রামচন্দ্র পুত্র বীরভদ্রকে দিল্পীদরবারে পাঠান । তাহাতে আকবর রামচন্দ্রের উপর অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন। তাছার ২৮শ বর্ষে যখন তিনি শাহাবাদে উপস্থিত, তৎকালে তিনি ভাট অভিমুখে আপনার সৈগুচালনা করিয়াছিলেন । এ সময় বীরভদ্র অকবরকে অনেক বুঝাইয়া ঠাণ্ড করেন। পরে রামচন্দ্র নিজে অকবরের নিকট হাজিয়ু হইলেন । আকবর কিন্তু অতি সন্মানের সস্থিত তাহাকে গ্রহণ করিয়াছিলেন । রামচন্দ্রের পর তৎপুত্র বীরভদ্র বাজা হন । তিনি দিল্লী হইতে নিজ রাজধানীতে ফিরিবার সময় পালকা হইতে পড়িয়া গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাচাতেই তাহার মৃত্যু হয় । বিকানেরের রাঠোররাজ কল্যাণমলের কস্তার সহিত বীরভদ্রের বিবাহ কয় । সেই রাজ কহু পতির সহমরণে উদ্যত হইয়াছিলেন । কিন্তু দিল্লীশ্বর আকবর তাহার শিশু পুত্ৰগণের দিকে চাহিয়া রাণীর অমুমরণে বাধা দেন । অকস্মাৎ বীরভদ্রের মৃত্যুতে বাস্কোগড়ে বিশৃঙ্খলা ঘটিল ; এই সময়ে বিক্রমাদিত্য বা বিক্রমজিৎ নামে রাজসম্পর্কিত এক যুবক বাঘেলসিংহাসন অধিকার করিয়া বসলেন । হানহ বৰ্ত্তমান রেবানগরীর প্রতিষ্ঠাতা। এ দিকে অকৃবর বিক্রমলিংকে ধরিয়া আনিবার জন্ত ইসমাইল কুলিধানকে সসৈন্তে বান্ধোগড়ে পাঠাইলেন । বিক্রমজিৎ মোগলসেনাপতির নিকট লোক পঠাইয়া রাজধানী অবরোধ করিতে নিষেধ করেন । अंब्र বিক্রমজিতের কথায় কর্ণপান্ত করেন নাই । আটমাস অবরোধের পর আকবরের ৪২৭ বর্ষে বান্ধোগড় মোগল-অধিকারভুক্ত হইল । অকবর তাহার ৪৭শ বর্ষে রামচন্ত্রের পৌত্র দুৰ্য্যোধনকে ভাটরাজ্যে স্থতিৰিক্ত করিলেন । তিনি দুৰ্য্যোধনকে উপযুক্ত খেলাত পঠাইয়্যও লক্ষ্মানিত করিয়াছিলেন। তৎপয়ে