পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেবারি বিক্রয় করিয়া থাকে । গয়া নগরে ইহাদের কত্রক ঘর অাছে । রাজপুতনা ও হিন্দুস্তানের অপরাপর স্থানে ইহাদের বাস আছে । তথায় ইহারা উঠু, ছাগ, ভেড়া প্রভৃতি পালন করিয়া জীবিকার্জন করে। অধিকাংশ লোকই হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী,কোথাও কোথাও ইসলাম ধৰ্ম্মাবলম্বী রেবারিও দেখা যায়। রাজপুতমার চিন্দু রেবারিগণ বিশেষ সুচতুর এবং ভট্টি অথবা দাউদপুত্ৰগণের দ্যায় দুর্দান্ত দম্য । ইহার অপরের দলবদ্ধ বিচরণকারী উষ্টাদি পশু এরূপ কৌশলে অপহরণ করে যে, তাহ। মনে করিলে চমৎকৃত হইতে হয়। প্রথমে তাছাদের দলস্ত এক ব্যক্তি ভীমবেগে পণ্ডদল মধ্যে প্রবেশ করিয়। প্রথম লক্ষ্য পশুর গাত্রে বধ বিদ্ধ করে। ঐ ক্ষতস্থান দিয়া রক্ত নিৰ্গত হইলে সে বরষার মুখে বস্ত্রখও জড়াইয়া রক্তসিক্ত করিয়া লয়। পরে গেষ্ট সরক্ত বস্ত্রখণ্ড লইয়া ঘুরাইতে ঘুরাইতে প্রস্থান করে। রক্ত গন্ধে মোহিত হইয়া দ্বিতীয় পশুটী ধেমন তাছার পদানুসরণ করিতে থাকে, অমনি দলস্থ অপর পশুগুলি গড়লৈ ক। প্রবাহের দ্যায় তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিতে থাকে । এষ্টরূপে তাহারা ঐ পশুগুলিকে কোন নিভৃত স্থানে লহয়। যায় এবং আপনার পরস্পরে বিভাগ করিয়া লয় । গুজরাতের রেবারগণ আপনাপন উষ্টছাগাদি পশুদল লইয়া ইতস্ততঃ বিচরণ করে এবং তাছাদের দুগ্ধ ও পশমাদি বিক্রয় করি। জীবিকানিৰ্ব্বাছ করিয়া থাকে। রেবারি, পঞ্জাব প্রদেশের গুগণও জেলার একটা তহশীল । ভূপরিমাণ ৪২৬ বর্গমাইল। উক্ত জেলার উত্তরপশ্চিম পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ লইয়। এই উপবিভাগ গঠিত। এখানকার মৃত্তিক বালুপূৰ্ণ হইলেও স্থানীয় আহাঁর অধিবাসীদিগের যত্নে প্রচুর জল সরবরাহের জন্য কৃষিক্ষেত্রসমূহ প্রভূত শগুশালী হইয়াছে। জয়পুর নামক শৈলদেশ হইতে কএকটা পৰ্ব্বতগাত্রবাহিনী খরস্রোত। ক্ষুদ্র নদী এই উপবিভাগের মধ্য দিয়া প্রবাহিত দেখা যায়। ঐ নদীমালার মধ্যে হংসবর্তী ও সাহেবী নদীই প্রধান । ২ উক্ত জেলার একটা মগর এবং তইশীলীর বিচার-সদয় ; দিল্লী হইতে জয়পুর যাইবার পথে ( অক্ষা ২৮°১২ উঃ এবং দ্রাঘি" ৭••৪° পূ: ) অৰস্থিত। এখানে রিবারি-ফিরোজপুর এবং রাজপুত্তন মালৰ রেলপথের একটা জংসন আছে। এই নগর মতি প্রাচীন। এখনও পিত্তল বাসনের কারবার এখানকার প্রাচীন সমৃদ্ধির স্মৃতি জাগাইয়। রাখিআছে । ইংরাজাধিকারে আলিবার পর এই স্থান পুৰ্ব্বাপেক্ষ আরও অধিকতর সমৃদ্ধিতে পদার্পণ হইয়াছে। এখানকার ৰাণিজ্যভাণ্ডায় এখনও মুক্ত হস্তে বৈদেশিকের নিকট [ १8० J রেবারি আপনার স্বদেশীয় রজুরাশি ঢালিয়া দিতেছে । মিউনিসিপীলিটার অধীন থাকায় এইস্থান পুৰ্ব্বাপেক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যায়। বৰ্ত্তমান নগরের পুব্ব প্রাচীর পার্শ্বে বুধিরেবারি নামক স্থানই প্রাচীন রেবারি নগরের ধ্বংসাবশেষের নিদর্শন । স্থানীয় লোকে বলে যে, কোন সময়ে রাজা কৰ্ম্মপাল এই নগর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। বর্তমান নগরভাগও সহস্রান্ধের কম হইবে না। রাজা রেব স্বায়ু রেবতী নামী কম্ভার নামানুসারে এই নগরের নামকরণ করেন। এখানকার দেশীয় • সামন্তরাজগণ মোগল অধিকার কালে প্রায় অদ্ধ স্বাধীন ভাবে রাজা শাসন করিয়াছিলেন। নগর প্রাস্তুবী গোফানগড় নামক স্থানে একটা দুর্গ নিৰ্ম্মাণ তাহার এই করান। উহ! এখন ভগ্নাবস্থায় পতিত হইলেও তাহাদের রাজশক্তির পরিচয় দিতেছে। তাহারা যে স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করিয়া গিয়াছেন তাহ অঁতাদের প্রচারিত মুদ্রাদি হইতে বেশ বুঝা যায়। ঐ সকল রাজস্তবর্গের প্রচলিত মুদ্র। আজি ও গোলকশিঙ্কা নামে প্রসিদ্ধ । মোগল-সাম্রাজ্যের অধঃপতনের পর, এই নগর প্রথমে মহারাষ্ট্রকরে ও পরে ভরতপুরের জাটরাজগণের হস্তে নিপতিত হয়। ১৮০৩ খৃষ্টাব্দে দিল্লী প্রদেশ ইংরাজ করে আসিবার কাল পর্য্যন্ত এই নগর ভরতপুররাজের অধীন ছিল । পরে ১৮৯৫ খৃষ্টাকে রেবারি পরগণা ইংরাজ শাসনাধীন হইলে এই নগরে বিচার সদর স্থাপিত হইয়াছিল। ১৮১৬ খৃঃ পৰ্য্যস্ত সদরের নিকটবর্তী ভপাবাস নামক স্থানে একটা সেনানিবাস বা গোয়াবাজার প্রতিষ্ঠিত হয়। উস্থা নশিল্পাঞ্চদে স্থানান্তরিত হইলে, স্থানীয় বিচারসদরও গুরগাঁও নগরে উঠিয়া গিয়াছিল। ইংরাজয়াজের কঠোর শাসনে দম্যর লুণ্ঠনভয় সাধারশের মন হইতে তিরোপিত হইল । পাশ্ববৰ্ত্তী সামন্তরাজ্য সমূহ হইতে দলে দলে বণিকূদয় আসিয়া এখানে বসতি করিতে লাগিল। দেখিতে দেখিতে নগরের শ্ৰীবৃদ্ধি বাড়িয়া উঠিল । ইংরাজরাজ ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে এই নগর ভরতপুররাজের হস্ত হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া তেজসিংহ নাম জনৈক সর্দারকে ইজার দেন। তাহার বংশধরগণ সিপাহীবিদ্রোহ পর্য্যস্ত এখানে পূর্ণগ্রস্তাপে রাজ্য শাসন করিতে থাকেম। কিন্তু গৃহবিবাদে, যথেচ্ছচারিতায় ও অমিতব্যয়িত দোষে এই সামন্তবংশের বিশেষ ক্ষতি হইয়াfছল । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে বিদ্রোহবহ্নি প্ৰজলিত হুইবামাত্রই তেজসিংহেল্প পৌত্র রাও তুলারাম স্বয়ং স্বাধীনভাবে রেবারির শাসনভার গ্রহণ করিলেন। তিনি রাজস্ব সংগ্ৰহ করিষ্কা