পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম খাট রেড়ীর কোয় অপেক্ষা প্রায় দশগুণ রেশম দিয়া থাকে, কিন্তু এই রেশম তুতের রেশম অথবা গরদ বা এণ্ডিয় রেশমের স্থায় কোমল নহে। Attacus cynthia নামক যে বস্ত রেশমকীট পাওয়া যায়, তাং গৃহপালিত রেড়ীর কীটেরই জাতিভেদ মাত্র। ক্লকিউল (Cricula) জাতীয় নিকৃষ্ট রেশম-কীট ভারতবর্ষের নান স্থানে পাওয়া যায়। র"াচী অঞ্চলে ইহার স্থত ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া আর শত শত প্রকার নিকৃষ্ট রেশম কীট আছে, কিন্তু তাহাদের রেশম কাজে আসে না । ফ্রান্স দেশে নাসপাতি ফলের গাছে এক প্রকার মাকড়স রেশম কোষ প্রস্তুত করিয়া থাকে । তাহার কোয় হইতে সুত বাহির করিয়া ছোট ছোট দুই একখানি কাপড়ও প্রস্তুত করা হইয়াছে । কিন্তু ইহা কোন কালে ব্যবসায়ের উপযোগী হুইবে বলিয়া বোধ হয় না । গৃহপালিত রেশম-কীটের মধ্যে বড় পলুই শ্রেষ্ঠ । কাহারও বিশ্বাস, মণিপুর হইতে প্রথম এদেশে বড় পলু আনীত হয় । বস্ত রেশম কোষসমূহের মধ্যে বিলাতী কোয় সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । যে কীট এই কোষ প্রস্তুত করে, উহা কোয়ারকাস্ আইলেক্স নামক গাছের পাত খায়। যত প্রকার বিলাতী কোয় আছে, সমস্তই চীন দেশ হতে কোন না কোন সময়ে বিলাতে গিয়াছে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, বঙ্গদেশে যত প্রকার রেশমকীট পালিত হয়, তন্মধ্যে বড় পলুই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ প্রভৃতি জেলায় পলু উৎপন্ন করিবার জন্য বিস্তৃত তুতের চাষ আছে । বাঙ্গালায় কিরূপে তুতের চাষ হয়, সঙ্ক্ষেপে তাহাই লিখিতেছি । पूंलिङ्ग षि । শীতকালে কোদাল দিয়া এক এক হাত গভীর করিয়ু৷ জমি খুড়িয়া রাখতে হয়। বৈশাখ পৰ্য্যন্ত এইরূপে জমি ফেলিয়া রাখিয়া পরে বৃষ্টি পড়িলেই দুইবার চাষ দিতে হয়। জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসেও একবার চাষ দেওয়া হয়। বর্ষশেষ হইয়া গেলেই জমিতে লাঙ্গল ও মৈ দিতে হয়। এইরূপে চাষ দিলে জমি উত্তম প্রভত হইবে। তখন একট দড়ি দিয়া লাইন ঠিক করিয়া কোদাল দিয়া এক হাত অস্তুর মাটীতে একটা কোপ দিয়া যায়। পরে সেই কোপান জমিতে ছোট ছোট এক একটা ডাল পোত হয় । মাঘ ফান্ডনে ডাল লাগাইতে হইলে অগ্রহায়ণে জমি খুড়িয়া পৌষ মাসে চাষ শেষ করিতে হয়।" পরে ভাল লাগাইবে । মুর্শিদাপাদ অঞ্চলে আশ্বিন কাৰ্ত্তিক মাগে ও মেদিনীপুর অঞ্চলে মাথ ফাল্গুন মাসে জমিতে ডাল লাগান ছয় । সেই ডাঙ্গগুলি পাকা অথবা আঙ্গুলের মত্ত সঙ্ক সঙ্ক হইবে। কাটা হইলে ७क भांग "ऍख इब्राग्न छाथिब्रां ७६ शिम अञ्चद्र फॉक्ष्tएक छटा [ १8२ ] রেশম प्डि श्हेन। गरुण खरिब्ह छुङ थाइ अन्त। अरु ভাল চাষ হইলে শীঘ্র শীঘ্র গাছ বড় হয় । ডাল লাগাইবার পর যখন গাছ গুলি ঠিক লাইন করিয়া ৫।৬ অঙ্গুলি উচ্চ হইয়৷ উঠিলে, তখন একবার খুপি দিয়া নিড়াইতে হুইবে । আড়াই মাস পরেই সেই গাছ এক হাত দেড় হাত উচ্চ হইয় উঠিবে। এই সময় গাছের পাত নিতান্ত নরম ও পাতলা হয় । এই পাতাকে নৈচ পাতা বলে। নৈচ পাতা যদি রেশমের পলুকে শেধাবস্থায় দেওয়া যায়, তাহ হইলে পোকার রস নামে এক প্রকার রোগ হয় । এই কারণ ঐ সময় গাছগুলি একবার গোড়া খেসিয়া কাটিয়া মধ্যবর্তী স্থানে লাঙ্গল দিতে হয়। তৎপরে যে নুতন গাছ বাহির হইবে। তাহাই প্রথম পোক পুষিবার জন্ত ব্যবহৃত হয়। ওঁতের জমিতে পুষ্করিণী বা পগারের মাটা উত্তম সার। নীলের সিট প্রতি বিঘায়,পাচ গাড়ী, পচা গোবরের সার প্রতি বিঘায় ১• গাড়ী, পচা পলুর নাণী প্রতি বিধায় দুই গাড়ী, সোর! প্রতি বিধায় আধমণ—ততের জমির পক্ষে ইহাই উত্তম যার। সার ভিন্ন তঁ,তের আবাদের তেজ থাকে না । এ ছাড়া আরও পাইট করিবার ব্যবস্থা আছে। ততের জমিতে প্রায় জল দিবার রীতি নাই। যেখানে জল দিবার সুবিধা আছে, সেখানে জল সিচাইলে বৎসরে একই জমিতে দুইবারের অধিক পাত কাটিতে পারা যায়। অর্থাৎ অগ্রহায়ণ, চৈত্র, ভাদ্র ও আষাঢ় এই চারি মাসে চারিবার পাত কাটিয়া পলু পোষা যায়। পরে মাধী ও বৈশাখী আরও দুইটী বন্দ অর্থাৎ বৎসরে ছয়বার পলু পোষার রীতি বঙ্গদেশের কোন কোন স্থলে প্রচলিত আছে। রীতিমত আবাদ করিলে দুই বৎসর পরে প্রক্তি বিষয় একশত মণ পাত হইতে পারে ৷ পলুকে একশত মণ পাত খাওয়াইতে পারিলে পাচ মণ আন্দাজ কোয় হইতে পারে। বীজের উপযুক্ত কোয় হইলে দুই টাকা সের বিক্রয় হয় । অর্থাৎ ২৫ টাকা খরচ করিয়া' এক বিঘা জমিতে বৎসর ১• as হইতে ৪০০ টাকার কোয় হইতে পারে। এদেশে সাধারণে যে নিয়মে চাষ করে তাহাতে কিছু বেশী খরচ পড়ে। কিন্তু इति ॐ,ड भाइ २फ़् श्रेंड cगeब्रा बाह, उद चाब्र আবাদের খরচ লাগে না । অস্কান্ত দেশে বড় গাছের পাত। খাওয়াইয়া রেশমের পলু পালন করে। এ কারণ এদেশ অপেক্ষা অম্লান্ত দেশের রেশমের কোয় সন্ত। এদেশেও অপর দেশের স্থায় বড় ತ গাছ প্রস্তুত করা আবশ্বক। গাছ বড় করিতে হইলে চারি পাঁচ বৎসর গাছের পাতা খরচ করিতে নাই। পরে পাঁচ বৎসর পরে গাছ ব্যবহারোপযোগী হয়। অবগু কুম্বকদিগের পক্ষে এরূপ গাছ রক্ষা করা সাধারন্তু নয়।