পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম জমিদারগণের এবিষয়ে মনোযোগী হওয়া আবশুক। ইহাতে জমিদারের যথেষ্ট লাভের সম্ভাবনা আছে । সকল প্রকার তৃত গাছই যে পলুর পক্ষে উপযুক্ত তাহ নয়। বড় বড় কাল ফলপ্রদ যে তুত গাছ দেখিতে পাই, তাহাতে পলু সুবিধা হয় না। ছোট পলুঙ্গাতীয় পোকা এই গাছের পাতা থাইয়া প্রায়ই কালশি a রোগে মরিয়া যায়। তবে অদ্যান্স জাত এই প্রকার পাতা খাইয়া অতি সামান্ত রেশম প্রস্তুত করে। ছোট পলু বাঙ্গালার দেশ ইত ভিন্ন অন্ত কোন উত পাত খাই সুবিধা মঠ কোয় প্রস্তুত করিতে পারে না। বিলাতী ওঁত, চীনে তঁত, ফিলিপাইনের তত প্রভৃতি কয়েক জাতীয় ওঁতের গাছ বড় হয়। ইহাদের পাতা খাইয়া পলু উত্তম কোয় প্রস্তুত করিতে পারে। রোপণের সময় উপস্থিত হইলে একটী বোতল মধ্যে কপুরের জলে দুই ঘণ্টা কাল তুতের বীজ ভিজাইয়া রাখবে। দুই ঘণ্টা পরে বোতল হইতে বীজ বাহির করিয়া রোপণ করিতে হইবে। এরূপ ভাবে বীজ রোপণ করিলে শীঘ্রই অঙ্কুরিত হয়। এদেশে সাধারণতঃ গাছের ছোট ছোট ডাল কাটিয়া তাহাই লাগান রীতি। গুড়ি মোটা হইবে, পাতা ও ডাল বেশী হইবে, গাছে না চড়িয়া নিম্ন হইতেই সহজে ডাল নামাইতে পারা যাইবে, এইরূপ নিয়মে তুত গাছ প্রস্তুত করা কর্তব্য। এরূপ করিতে হইলে প্রথম চারি বৎসর পৌষ বা মাঘ মাসে সাত হাতের উপর যত ডাল হইবে, সেই সব ডাল নামাইয়া কাটিয়া দিতে হইবে। তুত পাতাই রেশমকীটের জীবন এবং রেশমলাভের প্রকৃষ্ট উপায়। তাই প্রথমেই উত্তের চাষ উল্লেখ করা হইল। , - " - b রেশম-কীটের বিৰয়ণ । প্রথমেই ছোট পলু বা দেশী পলু, চক্রা কেনের বা মাদ্রাজী পলু, চীন ও বুল বড় পলু এই পাঁচ প্রকার রেশম পোকার উল্লেখ করা হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে চীনা, বুলু ও বড় পলু মেদিনীপুর জেলাতেই অধিক দেখা যায়। মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলাতেও অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়। এই পোকা বৎসরের মধ্যে একবার মাত্র স্বভাবতঃ জন্মে। ইহার কোয় বা গুটী অতি সুন্দর, শ্বেতবর্ণ ও বৃহদাকার। বড় পলুৱ রেশম সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট। দুঃখের বিষয়, বড় পলুর কোর প্রস্তুত করা প্রায় উঠিয়া গিয়াছে এবং ইহার রেশমের झागान७ धान्न पक श्हेब्राप्छ। बङ्ग भनू श्हेप्ङ शाश्। क्लि ধলী রেশম, তাহ প্রায় দেশীয় তাঁতীরা বেশী স্বরের কাপড় প্রস্তুত कब्रिबाङ्ग अध्रु निम्न प्रिl८° । মেদিনীপুর অঞ্চলে সাদা লালী লহরিাবণ পাটখিলা ও সবুজের আভাযুক্ত সাদা এই চরি একার রংএর বড় পলু দেখ বায় । বস্তু পশুর প্রজাপতি [ १8७ ] রেশম চৈত্রমাণে ডিম পাড়ে, সেই ডিম পুনরায় মাঘমাসে মুখায় অর্থাৎ তাহাতে পোকা বাহির হয়। এদেশে অতিযত্নে পলু পুষিবার নিয়ম আছে । এদেশে রেশম উৎপাদনকারিগণ পলু পুধিবার জন্ত উপযুক্ত ঘর করিয়া রাখে। প্রায় মাটির দেওয়ালযুক্ত দুই খানি शग्न झग्न । cरुश् ८कश् छ्रुश cदफुी निम्नां७ घब्र 2खङ क८द्र । ঘরট এমন ভাবে প্রস্তুত করিতে হয়, যেন তাহাতে শীতের বা গ্রীষ্মের হাওয়া চলাচল করিতে না পারে। ঘর গুলিতে একট করিয়া প্রশস্ত দ্বার ও ঘরের উপরদিকে একটী বা ছুইটী ছোট খিড়কী থাকা আবশ্যক। ঘরটর কোন দিক্ দিয়া যেন মাছি আসিতে না পারে। এই জন্ত খিড়কীতে ও স্বারের উপরে দুই খানি চিক ফুলাইয়া রাখিতে হয়। যতক্ষণ রৌদ্র থাকিবে, ততক্ষণ চিক ফেলিয়া রাখা উচিত। যে সময়ে মাছির উপদ্রব বেশী, সেই সময় বেশী সাবধান থাকিতে হয়। যে ঋতুতে সচরাচর যে মুখে হাওয়া বহে, তাহার বিপরীতমুখী ঘরে পলু পোয উচিত । পলু যখন কোয় কাটিয়া প্রজাপতিরূপে বাহির হয়, তখন তাহারা বীজেfৎপাদনের উপযোগী হয়। প্রজাপতি কোষ হইতে বাহির হইয়াই স্ত্রীপুরুষে সঙ্গত হয়। দুই এক দিনের মধ্যেই ডিম পাড়িতে থাকে। এক একট প্রজাপতি ৪০০৫, • ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডিম পাড়িয়া ফেলে। ডিম পাড়িবার পরেই কোষজীবিগণ প্রজাপতিকে মারিয়া ঘর হইতে বাহির করিয়া ফেলে। সব ডিমই যে কাজে লাগে তাহ নয়। কতক ডিম ফেটে না, কতক ডিম মাকড়ে খায়, কতক বা টিকটিকী ও ইদুরের ভক্ষ্য হয়। এইরূপে যাহ অবশিষ্ট থাকে, তাহারও সকল প্রজাপতির ডিমে সমান কোয়া হয় না। বড় পলুর চারিট মাত্র প্রজাপতির ডিমে, নিস্তারী পলুর ছয়ট মাত্র প্রজাপতির ডিমে এলঃ ছোট পলুর দশটা প্রজাপতির ডিম হইতে এক সের কোয়৷ হইতে পারে । ভূতপাতাই পলুর জীবন। ডিম হইতে যখন পলু কেবল মাত্র মুখাইবে, তখন দেড়মণ কোয়ার পলু বড় ডালায় আধ খানিতে থাকিৰে । দেড়মণ কোধা প্রস্তুত করিতে গেলে ৪০ খানি বড় বড় ডাল চাই। প্রত্যেক ডালা আন্দাজ ৪ হাত লম্বা ও ৩ হাত চওড়া অথবা যদি ডালাগুলি গোল হয়, তাহ হইলে তাহদের ব্যাস ৩। • হাত হওয়া চাই । ডাল ছোট হইলে পরিশ্রমও বেশী হয়। ডালায় রাখিবার প্রথমাবস্থায় পলুকে ফাৰু ফাক করিয়া সাধিতে হয়। এ সময় যত পাতা খাওয়াইতে পরিবে, ততই পলু বড় হইবে। ৩• দিন পাতা খাইয়া ক্রমশঃ বাড়িয়া প্রায় ১•• গুণ স্থানে ছড়াইয়া পড়িবে। ঐ ৩. দিনের মধ্যে ৪ বার কলপ অর্থাৎ পলু ৪ বার খোলস