পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম করে। সেই সময় গোড়া পলুকে প্রত্যহ চারি পাচ বার পাতা দিলে ১৮১৯ দিনের মধ্যে পাতা খাইয়। কোয় প্রস্তুত করিতে পারে। শীতের সময় সচরাচর ৩৮৪• দিনে কিন্তু ঘর গরম করিয়া রাথিয়া ২৪।২৫ দিনেও কোয় প্রস্তুত করিতে পারে। পলুর স্বর অতি সাবধানে ও আস্তে আস্তে ঝাঁট দিতে হয়, যেন ধূলা না উড়ে। ধূলা লাগিলে পলুর কালশিরা নামে রোগ জন্মে। পলুর রোগ । পলুর নানাপ্রকার রোগ জন্মে। তন্মধ্যে কটারোগই কিছু বেশী সংক্রামক । পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, এক গৃহে এক স্থানে ১২ জাতীয় পলু পালিত হয়, তন্মধ্যে ১১ জাতীয় পলু বিশুদ্ধ বীজ হইতে উৎপন্ন এবং কেবল এক জাতীয় কটারোগযুক্ত বীজ হইতে উৎপন্ন। এই বার জাতীয় পলুর মধ্যে অয়দিন মধ্যেই রেড়ীর পলু ও তুত গাছের বন্ত পলু ভিন্ন অপর সকল পলুই একত্র সংস্রবে অল্পবিস্তর কটারোগাক্রাস্ত হইয়াছিল । স্বতরাং রোগী পলুকে মুস্থ পলুর সহিত একত্র রাখিতে নাই । কালশিরা ও রস রোগের কথা পুৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে। নানা জাতীয় পলু একই ছোট ঘরে রাখিয়া দেখা গিয়াছে, যে ছোট পলু যত সহজে রোগাক্রান্ত হয়, নিস্তারী পলু তত সহজে হয় না। আবার নিস্তারী পলু যত সহজে রোগে পড়ে, বড় পলু তত সহজে রোগে পড়ে না। গৃহপালিত পলুগুলি বেশী সংক্রামক রোগগ্ৰস্ত হয়, কিন্তু বন্য পলুগুলি বিশুদ্ধ বায়ু সেবন দ্বার সহজে সেরূপ রোগগ্ৰস্ত হয় না, পোষ পলু অপেক্ষ বহু পলু স্বভাবতঃ চঞ্চল ও বলিষ্ঠ। কোন কোন পোষ পলু আবার দেখিতে বহু পলুর মত। ফ্রান্সদেশে গরিকে বা কাফ্র নামক এক প্রকার পলু দেখা যায়, তাহারা অত্যন্ত কৃষ্ণবর্ণও অতিশয় বলবন। এসিয়া মাইনরের স্মার্গ-নগরের নিকট বুর্ণাবৎ গ্রামে পলুর বীজের একটা বড় কারখানা আছে। ঐ কারখানায় পলুর গায়ে জিব্রার স্তায় কাল कांश cख्द्र श्छ। dरें জাতীয় পলু বড় বলবান ও সহজে রোগক্রাপ্ত হয় না। ঘরের মধ্যে পলুর পালনই পলুর রোগের কারণ। প্রত্যেক থোপে বা ঘরায় ১৬১৭ ডালা পলুন রাখিয়া কেবল ৮১০ খানি ডালামাত্র রাখিলে এবং প্রত্যেক ডালায় ২৩ কাহন পলু না রাখির দেড় কাহন বা দুই কাহল রাথিলে পলু পোক বেশ সুস্থ ও সবল থাকিতে পারে। উপরোক্ত șð (Pebrine) sisi (Grasserie) s **** (Flacherie) cats Uors go a fit (Muscardine), * * রাঙ্গী, মাছি, কোয়াকাট পোকা বা কাণ কুটুর ও লোরেপোক, গাজল কোয়, ডবল কোয় বা গেঠে কোয় প্রভৃতি রোগ এবং পিপীলিকা, মাকড়সা, টিৰুটকি, বোলন্ত গ্রন্থতির উৎপাত পলুর অনিষ্টকর। XVI [ १80 ] --- ›vግ রেশম ১৮৪৯ খৃষ্টাৰে মেলভিল সাহেব প্রথমে কটারোগের বীজ আবিষ্কার করেন, কিন্তু তৎকালে তিনি ইহাকে চুণারোগের বীজ বলিয়া অনুমান করেন ; তৎপরে ১৮৬৫-৬৬ খৃষ্টাবো পাস্তুর সাহুেৰ বিশেষ পরীক্ষা করিয়া ইহাকে চুণারোগের বীজ হইতে ভিন্ন বলিয়া প্রকাশ করেন। কিন্তু এদেশের রেশমজীবিগণ তাহার বছপুৰ্ব্ব হইতে কটা ও চুণা ভিন্ন রোগ বলিয়াই জানে। কটা রোগের বাহ লক্ষণ য়ুরোপ ও বাঙ্গালার এক প্রকার নহে । এদেশে সাধারণতঃ এইরূপ লক্ষণ দেখা যায়— ১। পলু মুখাইবার সময় ৩• দিন পরে হঠাৎ বহুসংখ্যক পলুর প্রাণহানি । ২ । মৃত্যুর পূৰ্ব্বে পলুর বর্ণ কটা ও স্বচ্ছ। ৩ । আকারে ছোট হয়, অথবা নিয়মিত পালন করিলেও ছোট বড় দেখায়। এদেশে যেমন বাহুলক্ষণে পলুর রঙ কট হয়, বিলাতে সেইরূপ পলুর গায়ে গোলমরিচের গুড়ার মত বাহিরে ছোট ছোট কাল দাগ হয়। কিন্তু অণুবীক্ষণদ্বারা দেখিলে উভয় স্থানের রোগের বীজে পার্থক্য লক্ষিত হয় না। বিলাতে ও অদ্যান্য দেশে যেখানে বৎসরে একবার মাত্র পলু পোকা হয়, সেখানে অনায়াসেই কটারোগ দমন করা যায়, কারণ তথায় অওগুলি ১ মাস কাল ফোটে না, ঐ সময় বেশ পরীক্ষা চলিতে পারে, কিন্তু এদেশে ৮ হইতে ১৫ দিনের মধ্যে পলু মুখায় বলিয়া পরীক্ষার সময় থাকে না। কটারোগেরও আবার তারতম্য আছে। যদি চোকৃড়ি বা প্রজাপতি পরীক্ষাকালে শতকরা ৮০৷৯০ টার প্রত্যেকটাতেই যদি ভুরি ভূরি কটারোগের বীজ দেখা যায়, তবে সেই চোকৃড়ির ডিম হইতে কখনই পলু হইতে পারে না, কিন্তু যদি ঐ গুলিতে ২৪টা কটার বীজ দেখা যায়, তবে চোকৃড়ির ডিম হইতে কোয়া ইলেও হইতে পারে। এই কটারোগই চুণ, রস, কালশিরা ও লালী ইত্যাদি রোগের সহায়তা করে। এ কারণ অণুবীক্ষণযন্ত্রের দ্বারা পরীক্ষা করিয়া কটার প্রতিকার সর্বাগ্রে করা আবশ্যক । কেমন করিয়া কোথা হইতে নির্দোষ পলুর মধ্যে কটারোগ আসে, তাহা কেহ বলিতে পারে না। এ কারণ যেখানে যেখানে বীজের কারখানা আছে, সেখানে অণুবীক্ষণযন্ত্র রাখা আবহুক, পরীক্ষা না করিয়া কোন চোকুড়ী কারখানায় পোষা উচিত নয়। প্রত্যেকবারেই পরীক্ষা করিয়া ডিম রাখা উচিত । কটার বীজটা যে কি তাহাও এখনও ঠিক নির্ণত হয় নাই । কটার মধ্যে যে আবার অতি সুগ যুগ্ম বিন্দু দেখা যায়, তাহাই কটার বীজাণু এই বীজাণু দীর্ঘজীবী। ৮ মাস পর্যন্ত নষ্ট হয় না। চোড়া ও কোরাতেই অধিক পরিমাণে বীজাণু থাকে। এ কারণ পলু পকি উঠিলে পাক পলুগুলি চঙ্গীতে দিয়া সে গুলি কিছু