পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম সংশ্রবের কোন প্রকার আভাস পাওয়া যায় না। চীন ভাষায় শো (Tsa ) অর্থে কোয়, শি , Ti ) অর্থে পলুকীট বোঝায়, এই শি হইতেই মোগল মিকে, কে রং সির, গ্ৰীক সেরিকেন, লাটিন সেরিকম্ (Suricum ) জৰ্ম্ম সিডেন ( Seiden ), FAIR (Hlf (Soie , F fs + (Sheolk), আগ্নে-সাক্সন সিওলক ( Seale) আইসলগুীয় মিত্ত্বে { Silke ), ও ব্রহ্মদেশীয় সা (Tsu)। উক্ত নামগুলি দেখিলে স্পষ্টই মনে হয়, চীন ও মোঙ্গোলিয়া হইতে রেশম যুরোপে গিয়া পহুছিয়াছে। আসামী ভাষায় পাট শব্দে কোয়, কাশ্মীরি ভাষায় পাট শকে রেশন, এমন কি তামিল ভাষায়ও পটু শৰে রেশম বুঝাইয়া থাকে। বিভিন্ন ভাষার ঐ শব্দগুলি সংস্কৃত পট শব্দের অপভ্রংশ, তাহতে সন্দেহ নাই। উদ্ধৃত বিভিন্ন ভাষার শব্দ সমূহ হইতে কি বোঝা যাইতেছে না যে ভারতের পূৰ্ব্বপ্রাস্তবাসী ব্রহ্মপাধিগণ চানদিগের নিকট হইতে রেশমের লামগ্রহণ করিলেও কি দক্ষিণভারতে কি সুদূর উত্তর ভারতে কোথাও বৈদেশিক নাম গৃহীত হয় নাই। ইহদ্বারা অংগুপট্ট বা ভারতীয় রেশম যে ভারতবাসীর নিজস্ব তাঁহাই প্রতিপন্ন হইতেছে। মহাভারতে পলুপোক কৃমি নামে উক্ত হইয়াছে * এখনও কাশ্মীর অঞ্চলে পলু-পালনকারিগণ ক্রিমিকনামে খ্যাত । এমন কি রামায়ণেও আসামের উত্তরাংশ কোষকার বলিয়৷ थिङ इंडेकाछ “মাগধাংশ্চ মহাগ্রামান পুণ্ড শুঙ্গাংস্তথৈব চ। ভূমিঞ্চ কোশকারাণাং ভূমঞ্চ রজতাকরাম্ * 3. ( কিষ্কিন্ধ্য ৪০৷২৩ ) - রামণের বর্ণনা হইতেই মনে হয়, হিমালয়ের ক্রোড়ন্থ কোষকার নামক জনপদ হইতে অতি পুৰ্ব্বকালে চীন ও ভারতবাসী রেশম বা তসরের সন্ধান পাইয়া থাকিবে ।" বাইবেলের ੱਜ zer çiftet" ( Sherikoth öf Issiah 19. Ix) নামে রেশমের উল্লেখ আছে। ভাষাবিদগণ, હૈો wর হইতে চীনের.সুহিত সংশ্ৰব স্বীকার করেন। এদিকে হিব্রু মেশি ও দোমলেক, আরবী দিমস্কে ও কুশ এবং পারসিক অত্রেশম বা রেশম একপর্য্যায়বাচক শব। এই সকল শব্দের गहिउ हैन द अब्रडौ cब्राय "ग ८°न প্রকার সংশ্রব নাই । চীন-ইতিহাসে লিখিত আছে, ফোহি নামক চীন-সম্রাটের अजैो निगिtो २१•• भूहे भूर्लीएक cप्र"नक र” আবিষ্কার হলে, কিন্তু বর্ধমান ঐতিহাসিকগণ বলি থাকেন যে, চীনের ইতিহাসে যে সকল প্রাচীনতম গল্প লিপিবদ্ধ হইয়াছে, তাহ ーニエcmい下 নদনদৰে বাবে পরিাংr (or user) XVI 》伊》 [ १¢७ ] রেশম খৃষ্ট জন্মের তৃতীয় শতাব্দীর পূর্ববর্তী, বলিয়া স্বীকার করা যায় না। ঐ সময়ে চীনের মতাশ্চর্ঘ্য প্রাচীর-নিৰ্ম্মত চীন-সম্রাটু চি-হোয়াঙ-তি সমস্ত প্রাচীন চীন গ্রন্থ পোড়াইয় ফেলেন। র্তাহার পরলোকগমনের পর চীনের প্রাচীন ইতিহাস স্থত হইতে পুনরায় লিপিবদ্ধ হইয়াছে। এরূপ স্থলে চীন ইতিহাসের অতি প্রাচীন ঘটনাবলী নিঃসনোহে প্রকৃত বলিয়া গ্ৰহণ করা যাইতে পারে না। অবশু খৃঃ পূঃ তৃতীয় শঙ্গদে চীনে যে রেশম ও তলরের বাণিজ্য চলিতেছিল, ঐ সময়ের গ্রন্থে তাহার প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। সাধারণের বিশ্বাস, রোমসম্রাট জষ্টিনিয়ন্‌ খৃষ্টীর যষ্ঠ শতকে কয়েকজন সন্ন্যাসী যতির নিকট চীনের রেশমী বন্ত্রের সন্ধান পাইয় তাহাদিগকে চীন দেশে পুনরায় যাইতে অনুরোধ করেন। তঁহীয়াই চীনদেশ হইতে চীনাপলুর উৎকৃষ্ট ডিম লইয়া রোমে ফিরিয়া আইসেন। সেই বীজকোষ হইতেই য়ুরোপে রেশম প্রস্তুতের সূত্রপাত ও সেই সময় হইতে রেশমের ব্যবসাও ক্রমে ক্রমে যুরোপের সর্বত্র বিস্তৃত হইয়া পড়িল । এইরূপে চীনের রেশম যুরোপে প্রচারিত হইলেও তৎপুর্কে রোমকলাম্রাজ্যে রেশম অপরিজ্ঞাত ছিলনা। প্লিনির বণনা হইতে জানা যায়— আসিরীয় দেশে পলু পোকা জন্মিত। দক্ষিণ যুরোপ হইতেও বন্ত পলুপোকা ও রেশম প্রস্তুতপ্রণালী অতি সামান্ত ভাবে BBBBB BB BBS BBB BB BBBBB BBS BBB (Pauphile) কোষ নামক দ্বীপ হইতে রেশম কাটাই ও রেশম শোনার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই সকল প্রমাণে । দেখা যাইতেছে, চীনের রেশম এখন যুরোপের সর্বত্র আদৃত ও প্রচলিত হইলেও অতি পুৰ্ব্বকালেও দক্ষিণ যুরোপের লোকের বহু রেশমকীটের বৃত্তাস্ত অবগত ছিল । খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর পর সমস্ত যুরোপে চীনের রেশম আদৃত হওয়ায় একমাত্র চীনকেই সাধারণে রেশমের আদি জন্মভূমি বলিয়া মনে করিয়া থাকে । ফরাসীপণ্ডিত বৈতাড় (M. Boitard) বলেন যে, রেশম ভারতের জিনিস। তঁহার মতে, সম্রাটু জষ্টিনিয়ান (J ແຕ່ມ) সন্ন্যালিগণের দ্বারা যে রেশমকীটের ডিম্ব আনাইয়া ছিলেন, তাহা চীনদেশ হইতে নহে, পঞ্জাবের প্রাস্তে সিদ্ধৃহিন্দ নামক উত্তরভারত হইতে লষ্টয়া গিয়াছিলেন। চীনের দুর্তেস্তু প্রাচীর হইতে বহির্গত হইয়া সুগন্ধি ও গরমমসলার পরিবর্তে হিন্দুকে রেশম দিয়া বাইত। অত্যুৰ্ব্বর অমুগাঙ্গ প্রদেশে পরে ঐ রেশমেরও চাষ বিস্তৃত হইয়াছিল। czttt*if*ivt'ri$ (Procopius de Bello Gallico) afai হইতেও জানিতে পারে যে, ৫• • হইতে ৫৬৫ খৃষ্টাদের মধ্যে কএকজন সন্ন্যাসী ভারত হইতে রোমক-সম্রাট, গুটিনিয়ানের সভায় উপস্থিত হইয়াছিলেন । র্তাহারা শুনিতে পাইলেন,