পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৭৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেশম সম্রাটের ইচ্ছা নয় যে আর পারস্ত হইতে রেশম খরিদ করেন । তখন তাহার সম্রাটকে জানাইলেন যে, যদি তিনি অনুমতি করেন, তাছা হইলে তাহার রোমরাজ্যের মধ্যেই রেশম জন্মাইক্তে পারেন, আর কাহারও মুখাপেক্ষী হইতে হইবে না। তাহারা আরও জানাইলেন যে নানা জাতিসমাকুল ভারতের সেরিন ( সরহিন্দু, ) নামক স্থানে তাহদের বহুকালের বাস । ঐ স্থান হইতে র্তাহার রেশমকীট আনিয়া দিতে পারেন । আবার বৈপ্লক্ট্ৰীবাসী থিওফানেশ (Theophaues of Byzantitun) খুষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে লিথিয়াছেন - সম্রাটু জষ্টিনিয়ানের রাজত্বকালে একজন পারসিক লাঠির মধ্যে লুকাইয়া কতক গুলি রেশমকীটের ডিম বৈজ স্ত্রীরাজধানীতে জানিয়াছিল । তাহা হইতেই রোমকের রেশম কীট-পালনপ্রথা ও রেশমোৎপাদন শিক্ষা করিয়াছিল, তৎপূৰ্ব্বে রোমরাজ্যে আর কেই রেশমপ{ণন ব্যাপার জানি ত না । উস্থত প্রমাণগুলি হইতে মনে হইতেছে—যে যুরোপীয় সাধারণের বিশ্বাস থাকিলেও চীন হইতে রোম-রাজধানীতে রেশমকীট যায় নাই। ভারতসীমান্ত সৰ্বহিল, অথবা তাহারই নিকটবর্তী পারস্তসীমা হইতে সম্ভবতঃ রেশমীজ রোমরাজ্যে গ্রচলিত হইয়াছিল। যাহা হউক, ভারতে বহুকাল হইতে রেশমের চাষ প্রচলিত, এবং ভারত হইতেও যে প্রাচীন স্বসভ্য দেশসমূহে রেশমের বীজ গিয়া থাকিবে, তাছাও অসম্ভব নহে। ভারতে এখন যত প্রকার রেশমকীট দেখা যায়, তাহার সকল গুলিকে আমরা ভারতীয় বলিতে প্রস্তুত নহি । রেশমতত্ত্ববিদগণের গবেষণা ফলে এই ভারতেই প্রধানত: ১৫ প্রকার পলু কীট ও ৩১ প্রকার তসরকাটের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। ঐ সকল জাতির মধ্যেও আবার কতকগুলি উপজাতি দেখা qfa i è HFCFR ICK; fqs fĒ oz (Bombyx mori), s চীনা পলু (Boulyx sinensis) এবং এই দুই শ্রেণীর কতকগুলি উপজাতিকে আমরা ভারতীয় বলিতে প্রস্তুত নছি, উহার বিভিন্ন সময়ে ভারতে আনীত ও প্রতিপালিত হইয়াছে। উহুদের মধ্যে চীনাপলু কতদিন হইল এদেশে আনীত হইয়াছে, তাহ কেহ ৰলিতে পারে না । উহ। বহুকাল হইতে বঙ্গবাসী হইয়। পড়িয়াছে। বিলাতী পলু চীনের সকল প্রদেশে, কাশ্মীর, আফগানিস্থান, পারস্ত, বোখার, সিরীয়, ফ্রান্স, ইতালী, স্পেন, সুইদেন, কুষিয়া, তুরুষ্ক, ইজিপ্ট, আলজেরিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিক প্রভৃতি সকল দেশেই এখন জন্মিতেছে, কিন্তু ইহার আমি জন্মস্থান চীনদেশ। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলে বঙ্গদেশে বিলাতী পলু-পালনের আন্দোবস্ত হয়। কিন্তু ইহু! &ীয় প্রধান বৰদেশ অপেক্ষ। শীত প্রধান স্থানেই ভাল রকম জন্মে । [ 46.8 J রেশম - ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে ডাক্তার স্পিড সাহেব লিখিয়াছেন যে, ১২• বর্ষ হইল বড় পলু ইতালী হইতে এদেশে জ্ঞানীত হইয়াছে । হটন লাহেবের মতে, এই রেশমকীট চীন হইতে বাঙ্গালার্ক্স আসিয়াছে ; তবে কতকাল হইল আনা হইয়াছে, তাহ কেহ বলিতে পারে না। কিন্তু এই পলুকে আমরা বিদেশগত বলিতে প্রস্তুত নহে । ইহা “দেশ” পলু নামে এদেশে সৰ্ব্বত্র প্রসিদ্ধ ; এই নাম হইতেই এই পলুকে গৌড়ীয় বা ভারতীয় বলিয়া গ্ৰহণ করিতে আপত্তি নাই। ১২০ বর্ষের পূৰ্ব্বে প্রকাশিত ফরাসী বাণিজ্যকোষ হইতে জানিতে পারি ধে তৎপূৰ্ব্বে কাসিমবাজার, হরিপাল, জঙ্গীপুর, রাধানগর, সোণামুখী, নদীয়া, বগুড়, রঙ্গপুর ও নিম্ন আসামে এই কীট প্রচুর পরিমাণে পালিত হইত। কাশ্মীরে পুৰ্ব্বাপর রেশমের চাষ চলিতেছে। এখানে চীন ও বোখার হইতে ভাল রেশমকীট আনা হইতেছে। পাস্তুর প্রণালীতে এখানে ইতালীয় রেশমকোষ আমাইয়! চাষ আশ্বস্তু হইয়াছে। বুটশ-গবমেন্টের কৃষিবিভাগের যত্নে ও য়ুরোপীয় রেশম বণিকগণের যত্নে কেবল বঙ্গদেশ বলিয়া নহে, ভারতের } নানাস্থানে দেশীয় ও বিদেশীয় নানা প্রকার রেশমের চাষ বিস্তার হইয়াছে । দুঃখের বিষয়, যে রেশম-ব্যবসায়ে দেশীয়গণ এক সময় জগদ্বিখ্যাত হইয়াছিলেন, এখন তাহাদের রেশম ব্যবসায় আর সেরূপ আগ্রহ নাই । রেশমের বাণিজ্য । সকল সভ্য দেশেই সৌধীন জিনিস বলিয়া রেশমের আদর ও বাণিজ্য আছে। বহু সহস্র বর্ষ হইতে চীনদেশে সমভাবে রেশমবাণিজ্য চলিতেছে। অন্ত দেশে অল্প বিস্তর রেশমের জামদানী রপ্তানী হটলেও চীনদেশে আমদানী নাই, কেবল রপ্তানী হইয় থাকে । ইহাতেই বুঝা যায় যে, চীন বরাবর কাছারও নিকট রেশমের জন্য মুখাপেক্ষী নহে । চীনের সকল জেলাতেই যেমন প্রভূত রেশম উৎপন্ন হয়, তেমুনি নানা দেশে চীন হইতে সেই সকল উৎপন্ন রেশম রপ্তানী হইয় থাকে। ঐ সকল রেশম হইতে রুমাল, চাদর, শিরস্ত্রাণ, সাটিন, ফিতা প্রভৃতি নানা জিনিস প্রস্তুত হইয়া থাকে । চীনের মত জাপানেও যথেষ্ট রেশম উৎপন্ন হয় । জাপানে একপ্রকার আজি পোকা জন্মিয়া বহু রেশমের কোয়া নষ্ট করিয়! থাকে। তথাপি এখানে রেশমী বস্ত্রাদি যথেষ্ট প্রস্তুত হয় এবং ধিলত ও ভারতের বাজারে যথেষ্ট আমদানী হুইয়া থাকে। পূৰ্ব্ব উপদ্বীপ, শুামদেশ, পারস্ত প্রভৃতি স্থানে যে ৱেশষ $९*छ श्ध्न, डीशग्न अभिरूi१* श्रखर्दीभिtख,हे कछ । श्राज्ञtछ যেছপ্রেদেশে হোসেন কুলী ধ। নামে এক প্রকার উংকৃষ্ট রেপী বস্ত্র প্রস্তুত হয় । মধ্য এসিয়ায় বোখার রেশমব্যবসার এফষ্ট্র