পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রৌপ্য অষ্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণখনি আবিষ্কৃত হওয়ার পর হইতে স্বণ ও রৌপ্যের বাজারে যুগ-প্রলয় ঘটিয়াছে। শোধিতরূপ রূপার পাত বা রূপালি (Silver leaf ) সাধারণতঃ আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্রে ঔষধার্থে প্রয়োগ হইয় থাকে । cgfriste riforŝiptra (Pnyllanthus Einblica) fez রূপার পাত অজীর্ণ অথবা স্নায়বিক দৌৰ্ব্বল্যজনিত রোগে সেবনের ব্যবস্থা দিয়া থাকেন। যোজকত্বগোষরোগে (Conjnnetivitis ) Argentum Nitrus • • cai* w * fa- fèri | কজ্জল দিলে উপকার দর্শে। জালা অধিক বোধ হইলে যন্ত্রণাস্থানে লবণজল লাগাইয়া দিলে বেদনায় উপশম হয়। কচ্ছপ্রদেশের ভুঞ্জনগরের স্বপ্রসিদ্ধ চিকিৎসক বেরেন সাহেব স্বায়ুর বলকারক । ঔষধৰূপে রৌপ্যভরে উল্লেখ করিয়া যান। উহার প্রস্তুতপ্রণালী-একভাগ সেঁকোবিষ অন্ধগ্রেণ নেবুর রস ও /• ভাগ [ ون ه لا ] রূপার পাত খলে উত্তমরূপে পেষণ করিয়া বটিক প্রস্তুত করিবে । পরে তাহা নববস্ত্র ও মৃত্তিকা দ্বারা লেপন করিয়া । অগ্নিতে দগ্ধ করিবে । যথেষ্ট উত্তাপে অভ্যস্তরস্থ ঔষধ ভক্ষ্মীভূত । ইষ্টলে তাহাকে পুনরায় লইয়। ঐ রূপে বস্ত্র ও মৃত্তিকালেপন । দ্বারা চতুৰ্দ্দশবার দগ্ধ করিলে রৌপ্যভন্ম প্রস্তুত হয়। ! রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা রূপার অনেক পরিবর্তন সাধিত । হর। রূপার বাসন বা খেলান প্রস্তুত করিতে ক্ষার বিশেষ । কাৰ্য্য করে । নাইটিকএসিড় রূপার উপর বিশেষ কাৰ্য্য । করে, হাইড্রোক্লোরিক ও উত্তপ্ত সালফিউরিক এসিড এবং | উত্তপ্ত লবণজল ও একোয়া-রিজিয়া কতক পরিমাণে রূপান্তর ; ঘটাইতে সমর্থ। afés, oft's owtū ā'i ( Commercial silver) ডুবাইলে বিশুদ্ধ রূপ পাওয়া যায়। পাত্রে যে হাইড্রোক্লোরিক । এসিড থাকে, তাহ জাল দিলে ক্লোরাইড অব সিলভার বাছির হয়। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় রূপার যে কয়টা মিশ্রপদার্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে, নিম্নে তাহার একট তালিকা দেওয়া গেল,— Snboxide of silver, Molybdate of Suboxide of silver, "Protoxide of silver, Peroxide of silver, Sulphide of silver, Sub & Proto Chloride of silver, Bromide of silver, Iodide of silver, Sulphate of Silver Nitrate of silver ni Luner caustic. এতদ্ভিন্ন রৌপ্য *śr's triphosphate, pyrophosphate, metaphosphate, Calbonate, borate, chlorate, monochromate, bichromate s arseniate đạf$ *R" stf## ##i &fr# ! ঔষধাদি প্রস্তুত করিতে হইলে শোধিত রৌপ্যের অভাবে কাণ্ডলৌহ দেওয়া যাইতে পারে। রৌপ্যমুদ্রা


"হুবর্ণমথবা রৌপ্যং মৃতং যত্ৰ ন লভ্যতে । তত্ৰ কাস্তেন কৰ্ম্মাপি ভিযক্ কুৰ্য্যাৰিচক্ষণ ॥” ( ভাৰপ্ৰe ) (ত্রি ) ২ রৌপ্যবিশিষ্ট । t “স্বর্ণরোপায়সৈ: শৃঙ্গে সছুলাং সৰ্ব্বতে গৃহে ।” ( ভাগবত ৪৷২৫৷১৪ ) রৌপ্যগিরি, প্রাচীন বিদেহরাজের অন্তর্গত একটা শৈল। রৌপ্যময় (ত্রি) রৌপ্য-স্বরূপে ময়টু। রৌপ্যস্বরূপ, রৌপ্যনিৰ্ম্মিত । রৌপ্যমুদ্র, (Silver coinage) cool, off oro &o রাজচিহ্নাঙ্কিত রৌপ্যচক্র বা চতুষ্কোণ খও । ইহা মুদ্র বা তস্ক। নামে রাজাদেশে কাৰ্য্যব্যাপারে বিনিময়স্বরূপ গৃহীত হইতে থাকে। ইংরাজরাজত্বে বর্তমান যেরূপ রৌপ্যমুদ্র বা টাকা = ষোল আন বা ২৪টা তাম্রমুদ্র প্রচলিত আছে,মুসলমান অধিকারে সেরূপ সিঙ্ক প্রভৃতি মুদ্র ছিল,ঐ মুদ্রার পরিমাণও স্বতন্ত্র। প্রাচীন হিন্দুরাজগণের অধিকারে নানারূপ স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্র প্রচলিত ছিল । ভারতবর্ষে বিভিন্ন রাজগণের অধিকারে ছেনী কাটা বা ছাচে ঢালাই যে সকল মুদ্র প্রচলিত হইয়াছিল, তাহার সকলগুলিই কিছু কিছু খাদ মিশ্রিত। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে সার্জন মেজর সেকল্টন (Surgeon Major Sheklton ) or visa of of: ১০২ প্রকার স্বণ মোহর, ৩২ প্রকার চূণ বা পাগোড, ১ প্রকার অৰ্দ্ধপাগোডা, ২৪ প্রকার সোণার ফানম ( পরিমাণ ২.৬ হইতে ৫•৯ গ্ৰেণ ) ও ২১ প্রকার বৈদেশিক স্বর্ণমুদ্র, এবং রৌপ্যের মধ্যে ৪৫৬ প্রকার রূপী, ২৩ প্রকার আধুলী, ৬ প্রকার ফানম্ ও ১ট দামী মুদ্রার খাদের পার্থক্য নির্দেশ করিয়া যান। আবুলফজলের লেখনী হইতে জানা যায় যে, ১৫৪২ খৃষ্টাব্দে হুমায়ুনের নিকট হইতে দিল্লীসিংহাসন অধিকার করিয়া শেরশাহ প্রথমে ভারতে স্বনামে মুদ্রাঙ্কণ করেন । ঐ শেরশাহী মুদ্রার এক পৃষ্ঠে ইসলামধৰ্ম্মের নিশান ও অপর পাশ্বে পারস্যভাষায় শেরশাহের নাম লেখা ছিল । তাহার পূৰ্ব্বে ভারতে আরবদেশীয় রূপার দরুহাম্, স্বণ দিনার ও তামার ফুলস্ প্রচলিত থাকে। পাঠান ও মোগলের আধিপত্য বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ঐ সকল মুদ্রাও এদেশে আনীত হয়। প্রাচীন হিন্দু ও শকরাজগণের নামাঙ্কিত মুদ্র সেই বিপ্লবের দিনে একরূপ লোপ পাইয়াছিল । [ বিস্তৃত বিবরণ মুদ্রাতত্ত্ব শব্দে দেখ । ] সম্রাট আকবর শাহ শেরশাহীমুদ্রার সংস্কার করিয়া চতুষ্কোণ রৌপ্য জালালীমুদ্র প্রচলন করেন। উহার ওজন ১১।• মাষ । ইহাকে ‘চারি-ইয়ারী মুদ্রাও বলিত। কারণ ইহার চারিকোণে মহম্মদ, আবুবকর, ওমার ও ওসমানের নাম এবং কিনারায় আলীর নাম খোদিত ছিল। তৎকালে ভারতের নানান্থানে