লহুল [ 5b8 . लछ्ल মল্ল ১৩ট তপ্পা লইয়া এই পরগণার গঠন করেন। গৌড় ও জানবার রাজপুতগণ এখানকার স্বাধিকারী। ১৭•৭ খৃষ্ঠাম্বে মোগল-সম্রাট অরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর, রাজ্য অরাজক দেখিয়া গৌড়রাজ চন্দ্রসেন সীতাপুর আক্রমণ করেন। তাহারই বংশধরগণ এই সম্পত্তির অধিকারী। স্থানীয় জানবার রাজপুতগণ কুশী পরগণার সৈন্দুর গ্রাম হইতে এখানে আসিয়া বাস করায় সৈন্দুরী নামে খ্যাত হইয়াছে। ইহার গৌড়রাজবংশের পূৰ্ব্বে এখানে সমাগত হইয়াছিল। ২ উক্ত পরগণার প্রসিদ্ধ নগর । ঘর্ঘরনদ-তীরবর্তী মল্লাপুর নগর যাইবার পথে অবস্থিত। অক্ষা" ২৭°৪২'৪৫ উঃ এবং গ্রাঘি’ ৮৯°৫৬২৫% পুং। এই নগরে প্রায় ১১৫০০ লোকের বাস আছে। তন্মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান আধাআধি। এই নগরে ১৩ট মসজিদ, ২ট মুসলমানের সমাধিমন্দির, ৪টা হিন্দুদেবমন্দির ও ২ট শিখদিগের মন্দির বিদ্যমান আছে। রবি-উস্-সানি মাসে এখানে এস্কট মেলা হয় এবং মহাসমারোহে মহরম-পৰ্ব্ব নিৰ্ব্বাহিত হইয় থাকে। ১৩৭০ খৃষ্টাব্দে সম্রাটু ফিরোজ তোগলক স্কুইচে সৈয়দ সালর মসায়দের সমাধিমন্দির সন্দর্শনে আসিয়া এই নগর স্থাপনপূর্বক স্বনামে প্রতিষ্ঠিত করেন, উহার ৩• বৎসর পরে লহরী নামক একজন পালী এই নগর অধিকার করিয়া উহার লহারপুর নাম দেন। ১৪১৮ খৃষ্টাব্দে কনোজ হইতে প্রেরিত মুসলমান সেনাপতি শেখ তাহির গাজি পাসীদিগকে সমুলেনিহত করিয়া এই স্থান অধিকার করেন। ১৭•৭ খৃষ্টাব্দে গৌড় রাজপুতগণ মুসলমানদিগকে নগর হইতে তাড়াইয়া দিয়া আপনার রাজ্যশাসন করিতে থাকেন। সম্রাটু অকবর শাহের রাজস্বসচিব ও সেনাপতি রাজা টোডর মল্ল এই নগরে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । লহুল (লাল), পঞ্জাবপ্রদেশের কাঙড় জেলার অন্তর্গত
- . . . с - - 4 | একটা উপবিভাগ। অক্ষা- ৩২৮ হইতে ৩২-৪৯%উঃ এবং
দ্রাঘি• ৭৬°৪৯′ হইতে ৭৭°৪৬৩৯ পূঃ মধ্য। ভূপরিমাণ ২২৫e বর্গমাইল। উত্তর-পশ্চিমে বিস্তৃত চম্বা পৰ্ব্বতমালা ও দক্ষিণপুৱে কামগিরিমালার মধ্যবর্তী উপত্যকাভূমি লইয়া ইহ গঠিত। ইহার উত্তর-পশ্চিম সীমায় চম্বাশৈল। উত্তর ও পূৰ্ব্বে লাদকের অন্তর্গত রূপস্থ উপবিভাগ, দক্ষিণপশ্চিমে কাণ্ডড়া ও কুলু এবং দক্ষিণপূর্কে স্পিতি বিভাগ। হিমালয়ের সামুদেশস্থিত এই উপত্যক ভূমি গওশৈলে পরিপূর্ণ। তাছার মধ্যদিয়া তুষারমণ্ডিত হিমশিখর বিগলিত চন্দ্র ও ভাগ নামক নদীদ্বয় পাৰ্ব্বত্য বেলা ভূমি ভেদ করিয়া খরস্রোতে প্রবাহিত রছিয়াছে। ঐ নদীদ্বয় বড়-লাচ গিরিসঙ্কটের ঢালু গ্রদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১৬৫০- কিটু উচ্চস্থান হইতে উদ্ভূত হইয়া তাওঁী গ্রামের নিকট মিলিত হইয়াছে, পরে চন্দ্রভাগ নামে চম্বার মধ্যে প্রবেশ করিয়া পঞ্জাবের সমতল ८कtद्ध ॐदांश्ऊि श्ब्रां८छ् । এই নদীদ্বয়ের অববাহিক প্রদেশের উভয় পার্থেই চিরতুষারবৃত ও সমুন্নত হিমালয়শিখর বিরাজিত রহিয়াছে। দেখিলে বোধ হয় যেন সেই ভয়াবহ ও বনমালা-সমাচ্ছন্ন পৰ্ব্বতকদের ভেদ করিয়া নদীদ্বয় এই ক্ষুদ্র উপত্যক মধ্যে প্রবাহিত হইতেছে। বড়-লাচ গিরিপথ সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১৬২২১ ফিটু উচ্চ এবং তাহার উত্তরপুৰ্ব্বে যে সকল শৈলমাল সমুন্নত শিরে দণ্ডায়মান রহিয়াছে, উহারাও ১৯ হইতে ২১ হাজার ফিটু পর্য্যন্ত উচ্চ। এই নদীদ্বয় পরিবেষ্টত ভূখণ্ডেও একটা বিস্তৃত পৰ্ব্বতপঙক্তি দৃষ্ট হয়। উহার শিখরদেশও বরফে আবৃত। দক্ষিণদিকের শৃঙ্গট ২১৪১৫ ফিট, উচ্চ। এই স্থানের চতুষ্পার্শ্বে প্রায় ১২ মাইল স্থান ব্যাপিয়া বরফ জমিয়া থাকে, ঐ বরফরাশি ধীরে ধীরে বিগলিত হইয়া চন্দ্রা ও ভাগার কলেবর পুষ্টি করিতেছে। এই পাৰ্ব্বত্য উপত্যকার অধিকাংশ স্থানই লোকালয়শূন্ত। মনুষ্যের বাসোপযোগী নগর বা গ্রামাদি দেখিতে পাওয়া যায় না । গ্রীষ্মকালে কুলুবাসী রাখালের এই বিভাগে মেষচারণে আসিয়া থাকে। তৎকালে তাহারা আপন আপন বাসোপযোগী গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকে। হিমালয়ের পুষ্পমালমণ্ডিত পাৰ্ব্বতীয় শিখরের সৌন্দৰ্য্যরাশির মধ্যে রাখালদিগের কুটারগুলি বড়ই মনোরম। এইরূপ কতকগুলি কুটর যেখানে আছে, সেইখানেই এক একট মদীপ্রবাহিত, মধ্যে মধ্যে লামা বা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদিগের স্মৃতিরক্ষার্থ প্রতিষ্ঠিত কোণাকার গৃহ ও বৌদ্ধসঙ্ঘারামাদি স্থানীয় বঙ্গীতের মধ্যভাগে দণ্ডায়মান থাকিয়া সাধারণের চিত্ত আকর্ষণ করিতেছে। চন্দ্রাতীরবর্তী কোকৃসার হইতে ভাগাতীয়ে অবস্থিত দার্চ পৰ্য্যন্ত প্রায়ই বাসোপযোগী স্থান নাই। এই উপত্যকাভূমের " নিম্নভূভাগে অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে প্রায় ১০ হাজার ফিট, উচ্চ স্থানে মানবজাতির বাসোপযোগী গ্রামাদি দৃষ্ট হয়। ১১৩৪৪ ফিট, উচ্চ অধিত্যকাভূমে কাঙশের নামক গ্রাম অবস্থিত। ইহাপেক্ষ উচ্চ স্থানে আর কোন গ্রাম নাই। রোহতঙ্গ ও বারলাপ গিরিপথ দিয়া লাদক ও ইয়ারথন যাইবার প্রশস্ত পথ এই উপত্যকাদেশে বিস্তৃত রহিয়াছে। এখনও বণিকেরা এইপথ দিয়া যাতায়াত করে। * * বিখ্যাত চীনপরিব্রাজক হিউএন্সিয়াং খৃষ্টীয় ৭ম শতাৰে এই স্থান পরিদর্শনে জাগমন করেন। পূৰ্ব্বকালে এখানে