পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাক্ষাদিতৈল ২ শতপত্রী। ৩ সেবতী ! ( ভাবপ্র” ) লক্ষগুগগুলু, আয়ুৰ্ব্বেলোক ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালীলাক্ষা, হাড়জোড়া, অর্জুনছাল, অশ্বগন্ধ, গোরক্ষচাকুলে প্রত্যেক এক ফুে এক গুগগুল্ম তোল একত্র মর্দন করিয়া লইবে । ভগ্ন স্থানে ইহার প্রলেপ দিলে ভগ্ন ও স্থানচ্যুত অস্থির বেদন निबॉब्रिउ श्हेब्रा अन्न गरूण दाबग्न छांद्र ट्र श्छ । কেহ কেহ বলেন, উক্ত পাঁচ প্রকার চুর্ণের তুল্য পরিমাণ গুগগুলু মিশাইলে যথেষ্ট হয়। سهم, লাক্ষাতরু (পুং ) লাক্ষোৎপাদকস্তকঃ পলাশ বৃক্ষ। (শব্দমা) লাক্ষাতৈল ( ক্লী ) লাক্ষাদিভিঃ পঙ্কং তৈলং। পকতৈলবিশেষ, লাক্ষাদি দ্বারা এই তৈল প্রস্তুত হয়, এজন্য ইহাকে লাক্ষাতৈল কহে। এই তৈল দ্বিবিধ স্বল্প ও বৃহৎ । প্রস্তুতপ্রণালী— স্বল্পলাক্ষাতৈল – সমপরিমাণ লাক্ষা, হরিদ্র ও মঞ্জিষ্ঠা স্বার তৈল পাক করিয়া পাক শেষ হইলে উহাতে গন্ধদ্রব্য মিশাইয়া নামাইতে হয়। এই তৈল দাহ, শীত ও জরনাশক । (মুখবোধ) ২ বালরোগাধিকারে তৈলভেদ। প্রস্তুতপ্রণালী-তিল তৈল ৪ সেয়, লাক্ষার কাথ ৪ সের, দধির মাত ১৬ সের। কন্ধার্থ– রাঙ্গা, রক্তচন্দন, কুড়, মুখ, অশ্বগন্ধ, হরিদ্র, দারহরিদ্রা, ওলফা, দেবদার, যষ্টিমধু, মুগরামুল, কটুকী ও রেণুক মিলিত ১সের; এই সকল কস্ক দ্বারা যথাবিধানে তৈল পাক করিতে হয় । এই তৈল মর্দনে বালকের জরাদির উপশম হয় ও বলবৃদ্ধি পায়। (ভৈষজ্যরত্না, বালরোগাধিকাe ) অন্তবিধ-কুটিত লাক্ষ ৩ শরাব, জল ১৬ শরাব, ২১ বার দোলাযন্ত্রে পরিশ্রত করিয়া ১৬ শরাব গ্রহণ করিবে । অথবা লাক্ষ ৮ শরাব, জল ৬৪ শরাব, পাক করিয়া শেষে ১৬ শরাব গ্রহণ করিতে হইবে। পরে তিলতৈল ৪ শরাব, লাক্ষারস বা কাৰ্থ ১৬ শরাব, দধিমত্ত্ব ১৬ শরাব, কন্ধার্থ শুলফ, হরিদ্র, মূৰ্ব্বামূল, কুষ্ঠ, রেণুক, কটুকী, যষ্টিমধু, রাম, অশ্বগন্ধ, দেবদারু, মুস্তা ও রক্তচন্দন প্রত্যেকে ২ তোলা, বথাবিধানে পাক সিদ্ধ হইলে কপুর, শিলারস ও নর্থী প্রত্যেকে ২ তোলা করিয়া উহ। মিশ্রিত করিতে হইবে। এই তৈল জরাদি রোগনাশক । (রসব০) লালদিতৈল, জররোগে উপকারক তৈলৌষধবিশেষ। গ্রস্বতপ্রণালী--মূৰ্ছিত তিলতৈল ৪ সের, পুরাতন কাজি ২৪ সের ; কদ্ধার্থ-লাহা, হরিদ্র, মঞ্জিষ্ঠা মিলিত ১ সের। এই তৈলমৰ্দ্দনে জর এবং তঞ্জনিত দাহ ও শীত নিবারিত হয় । মহালাক্ষাদি তৈল নামে ইহার আর একপ্রকার তৈল প্রস্তুত হইয়া থাকে। প্রণালী-মুস্থিত তিলতৈল ৪ সের, লাক্ষার কাথ ১৬ সের (লাক্ষ ৮ সের, ৬৪ সের জলে সিদ্ধ করিয়া শেষ ১৬ সের।) দধির মাত ১৬ সের। কন্ধাৰ্থ-গুলফা, হরিদ্র, মূৰ্ব্বা { ১৯6 1 লাক্ষাদ্বীপ মূল, কুড়, রেণুক, কটকী, ষষ্ঠমধু, রাম, অশ্বগন্ধ, দেবদারু,মুখা, রক্তচন্দন প্রত্যেক ২ তোলা। পাক সমাপ্ত হইলে কপুর ২ তোলা, শিলারস ২ তোলা, ও মর্থী ২ তোলা ঐ তৈলে মিশ্রিত করিবে। এই তৈল মৰ্দ্দনে বিষম-জরাদি নানারোগ दिनष्ठे झग्न । লাক্ষার ছয় গুণ জলে অর্থাৎ ১৮ সের জলে ৩ সের লাক্ষা কুটিয়া নিক্ষেপ করিবে। তদনন্তর ঐ জল দোলাযন্থসাহায্যে পরিস্রাবিত করিয়া সেই জল ১৬ সের গ্রহণ করা যাইতে পারে, উহার অবশিষ্ট ভাগ পরিত্যাগ করা কর্তব্য । অথবা ৮ সের লাক্ষ ৬৪:সের জলে পাক করিয়া তাহারই এক পাদ কাথ ঔষধপ্রস্তুতকালে প্রয়োগ করা যাইতে পারে। (ভৈষজ্যরত্নান জরাধিকাe ) লাক্ষাদিবগ (পুং ) সুশ্ৰুতোক্ত লাক্ষাদি গণভেদ। এই গণ যথা-লাক্ষা, রেবত, কুটজ, অশ্বমার, কট ফল, হরিদ্র, দারুহরিদ্র, নিম্ব, সপ্তচ্ছদ, মালতী ও ত্রায়মাণা। (সুশ্রুত স্বত্র০৩৮অe) লাক্ষাদ্যতৈল, মুখরোগে হিতকর ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী-তিলতৈল ৪ সের, লাক্ষায়স ৪ সের, দুগ্ধ ৪ সের, খঘিরের কাথ ১৬ সের। কন্ধার্থ—লোধ, কটুফল, মঞ্জিষ্ঠ, পদ্মকেশর, পদ্মকাষ্ঠ, রক্তচন্দন, উৎপল, ষষ্ঠমধু, প্রত্যেক ১ পল। এই তৈলের গণ্ডব করিলে,দালন, দস্তচাল, দস্তমোক্ষ, কপালিকা, শীতাদ, মুখদেীর্গন্ধ্য, অরুচি ও মুখের বিরসতা নষ্ট হইয়া দস্তু সকল সুদৃঢ় হয়। লাক্ষাদ্বীপ, দক্ষিণভারতের মলবার উপকুলের অদূরবর্তী একটা দ্বীপপুঞ্জ। ভারতমহাসাগরে অবস্থিত। অক্ষা ১০° হইতে ১৪° উঃ এবং দ্রাঘি ৭১°৪• হইতে ৭৪ পূঃ মধ্য। ভারত উপকূল হইতে প্রায় ২০০ মাইল ব্যবধান। ১৪টা দ্বীপ লইয় এই দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। উহার ১টতে লোকের বাস আছে। ২টতে আদে বসতি নাই এবং ৩ট কেবলমাত্র সাগরজলের উপর ভাসমান রহিয়াছে। ইহার উত্তরাংশ দক্ষিণকণাড়ার কলেষ্টারের অধীন এবং অবশিষ্ট দক্ষিণভাগ কোরনুরের আলীরাজার শাসনাধীন। উহা মলবার জেলার একটী অংশ বলিয়া পরিগণিত । এখানে একত্র বহুসংখ্যক দ্বীপ থাকায় লক্ষদ্বীপ শব্দ হইতে লাক্ষাদ্বীপ শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে। সম্ভবতঃ একসময়ে মালদ্বীপ ও লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জ একযোগে শ্রেণীবদ্ধভাবে গঠিত হইয়াছিল। তখন লোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষীপ দেখিয়া উহার নাম লাক্ষাদ্বীপ রাখে। আবার অনেকে বলেন, প্রবালসমষ্টিযোগে এই দ্বীপের উৎপত্তি। প্রবাল ও লাক্ষার আকৃতিগত সাপ্ত দেখিয়া লোকে ইহাকে সাক্ষাদ্বীপ বলিয়া থাকে। অধিক সম্ভব,আরবীয় বলি৭