লাক্ষাদ্বীপ বহুকাল হইতে লাক্ষার বাণিজ্যের জন্ত মলবার উপকূলে যাতায়াত করিত। তাছার লাক্ষার নাম হইতেই এই দ্বীপের নাম লাক্ষাদ্বীপ বলিয়া ঘোষিত করিয়া থাকিবে । ১৫১৬ খৃষ্টাব্দে বার্বোস লাক্ষাদ্বীপকে মলনস্বীপ ও মালদ্বীপকে পলনীপ শব্দে অভিহিত করিয়া গিয়াছেন। তুহফৎ-উল-মজাহিদীন গ্রন্থে ইহা মলবারদ্বীপপুঞ্জ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। নিম্নে বর্তমান দ্বীপপুঞ্জগুলির নাম প্রদত্ত হইল,— দক্ষিণ কণাড়া বা আমীনদীবি দ্বীপাবলী- লোকসংখ্যা জার্মানি বা আমীনদীবি ఇది అని চেৎলাৎ ¢ ፃፃ কদম ૨ BR কিলতান ፃሕ¢ বিত্র ( বসবাস নাই ) *smo কোয়লুর দ্বীপাবলী অগত্তি ›©ፃ¢ কবরক্তি *> R。 অন্দ্রোথ &brャ8 কালপেণি ॐ ३ ३३ মিনিকোই (মীনকট ) V) సి মুহেলী ( বসবাস নাই ) " -" -- মিনিকোই দ্বীপবাসীরা লাক্ষাদ্বীপবাসীর দ্যায় মলয়ালম ভাষায় কথা কয় না। ইহাদের কথিত ভাষায় লাক্ষাদ্বীপ ভাষার অনেকটা পার্থক্য ও মালদ্বীপবাসীর ভাষার সহিত অনেক সাপ্ত দেখিয়া এই দ্বীপকে মালদ্বীপপুঞ্জের অন্তৰ্ভুক্ত করা ছইয়া থাকে। ইহার প্রত্যেক দ্বীপগুলিই প্রবালসমষ্টির সংযোগে উৎপন্ন। সকলগুলিই সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১০ বা ১৫ ফিট উচ্চ এবং ভূপরিমাণ ২ হইতে ৩ বর্গমাইল। ইহাদের চারিপাশ্বে ই প্রবালজ পৰ্ব্বতশিখর দৃষ্ট হয়। পূৰ্ব্বাংশের প্রবাল গিরি পশ্চিমের অপেক্ষ কম। পশ্চিম দিকে উহা ৫০০ গজ হইতে কোন কোন স্থানে এক মাইলের তিন পোয়া ভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। ঐ স্থানের স্বল্প-গভীরতা নিবন্ধন জল ‘লেগুশের মত স্থির। এমন কি, ভীষণ ঝটিকার সময় সেই জলে নিৰ্ভয়ে কয়ার (नॉब्रिारुणद्र ८झांबङ्ग) डिजनि যাইতে পারে। ভাসিয়া बईवान ८कन डद्र थाश्रु न । सूर्याप्प्रब्र गनत्र पहे रित्र डी' ३. ५४२ार्, खो भज्रिण शष्टं मं विा जग म* निकाय हहेश पात्र । ऊषन ७शत्र डेब्रिडl१७* cाशत्र *a oই নাগ দিয়া দেশর বড় বড় নৌকাগুলি চালিত হইয় লেstণর বলরাংশে বেখানে অধিক জল আবদ্ধ থাকে, ન [ ১৯১ ] লাক্ষাদ্বীপ অংশে সরিয়া আইসে। উক্ত দ্বীপসমূহের পশ্চিম ভাগে যেরূপপ্রশস্ত প্রবালজ গিরি বিদ্যমান, পূৰ্ব্বভাগে সেরূপ নাই। সেদিকের উচ্চ পৰ্ব্বতগাত্র একেবারে সমুদ্রগর্তে নামিয়া গিয়াছে। ভূতত্বের আলোচনা দ্বারা জানা যায় যে, পশ্চিম অপেক্ষা পুৰ্ব্বদিক্ অনেক পুৰ্ব্বে গঠিত হইয়াছে। এই* দ্বীপপুঞ্জের প্রত্যেকের উপরি ভাগে চুণা পাথর বা প্রবালজম্বর দৃষ্ট হয়। উহার উপর কখন জল উঠে না। ঐ স্তর ১ হইতে ১॥• ফুট পৰ্য্যন্ত মোটা। ইহা খনন করিলে নিয়ে বালুমাট পাওয়া যায়। কোদালে করিয়া ঐ বালুক তুলিয়া ফেলিলে সেই গর্ত জলে পূর্ণ হইয়া পড়ে। এইরূপে কূপ, তড়াগ ও পুষ্করিণ্যাদি কাটিয়া জল উৎপন্ন হইলে কয়ার ভিজান হইয়া থাকে। এখানে প্রভূত পরিমাণে নরিকেল বৃক্ষ জন্মে। অন্য কোন প্রকায় সবজি সেরূপ উৎপন্ন হয় না। ইম্মর ব্যতীত অন্ত কোন চতুষ্পদ পশু নাই। ইহায়া নারিকেলের পরম শত্রু। কচ্ছপ ও মৎস্ত প্রচুর পাওয়া যায়। প্রায় সান্ধ শিতাব্দ কাল এই দ্বীপপুঞ্জ কোরনুর রাজ্যের শাসনাধীন রহিয়াছে। ১৫৫ খৃষ্টাব্দে কোলত্তিরী-রাজ স্বপ্রসিদ্ধ চিরক্কল এখানকার সর্দারকে জায়গীর স্বরূপ দান করেন। ইহার অনেক পরে মালদ্বীপের সুলতানের নিকট হইতে মিনিকোই দ্বীপ অধিকার করিয়া লওয়া হয়। ১৭৮৬ খৃষ্টাৰে উত্তর দ্বীপবাসিগণ বিদ্রোহী হইয়া রাজার অধীনতাপাশ ছিন্ন করিয়া মহিমুররাজের বগুতা স্বীকার করে। ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দে কণাড়া বিভাগ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর করতল গত হয়, তদবধি এই সকল দ্বীপ কোন্ননুরের নবাষ-জাদীকে আর প্রত্যপিত হয় নাই; কেবল র্তাহার রাজস্বের ৫২৫০ টাকা ইংরাজরাজ কমাইয়া দেন। সেই সময় হইতেই এই দ্বীপমালার দুইটী বিভাগ হইয়াছে। ১৮৫৫ হইতে ১৮৬০ খৃষ্টান্ধ পৰ্য্যস্ত দক্ষিণ দ্বীপাংশের খাজনা বাকী পড়ায় উহার রাজস্ব-সংগ্রহের জষ্ঠ স্থাসী নিযুক্ত হয়। তদনন্তর ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে পুনরায় রাজস্বের অনাদায় ঘটিলে উক্ত frétot R&R!o fox-ofoto (Collector of Malabar) অধীনে স্থাপিত হইয়াছিল। ইহাতে প্রজাবর্গের মধ্যে অসন্তোষ ঘটে। ইংরাজ গৰমেন্ট উত্তর বিভাগে এবং কোন্ননুরের আলী রাজা স্বীয় অধিকৃত বিভাগে উৎপন্ন কয়ারের উদ্ভূক্ত হইতে রাজস্ব আদায় করিয়া থাকেন । র্তাহারা উভয়েই প্রজাবর্গের নিকট নির্দিষ্ট মূল্যে করার খরিদ করিয়া উপকূলস্থ বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করেন। মূলধনবাদে যাহা লভ্য হয়, তাহাই উত্তয়ে রাজস্ব বাদে বাণিজ্যের লভ্যাংশ বলিয়া গ্রহণ করিয়া থাকেন। জালীরাজা স্বয়ং যে অংশ শাসন করেন, তাহার জন্য ইংরাঞ্জ গৰমেণ্টকে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা পেসকল দিয়া থাকেন।
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।