লাখনৌ [ २०y ] नांथएनौ সাধারণ লোককে হিন্দুস্থানী ভাষায় বুঝাইয়া দেন যে, ইংরাজশাসন হিন্দু ও মুসলমানের পক্ষে বিশেষ হিতকর ; স্বতরাং সকলেরই ইংরাজশাসনের পক্ষপাতী হইয় তাহারই অমুগামী হওয়া কৰ্ত্তব্য। উক্ত তারিখের পরদিন প্রভাতে মিরাটের হত্যকাণ্ডের সংবাদ লাখ নেী নগরে আসিয়া পৌছিলে, এখানে সেনাদলের মধ্যে বিপ্লবের সূচনা হইতে লাগিল । ১৯শে তারিখে সর হেনরী লরেন্স অযোধ্যস্থি সেনাদলের সর্বময় কর্তৃত্ব লাভ করিয়া রেসিডেন্সি মধ্যে য়ুরোপীয় নরনারী সংস্থাপনপূর্বক দুর্গ এবং মচ্ছিভবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করিলেন । ৩১শে মে রজনীতে লাখ নে নগরে বিদ্রোহী সেনাদলের হৃদয়নিহিত অগ্নি ধূম উদগীরণ করিতে লাগিল। ৭১ সংখ্যক সেনাদলের ও অন্তান্ত দলের কতকগুলি লোক একত্র হইয়া অধ্যক্ষগণের বাঙ্গালায় অগ্নি প্রদানপূর্বক জালাইয়া দিল এবং গৃহস্থিত ব্যক্তিবর্গকে নিহত করিল। পরদিন প্রাতে য়ুরোপীয় সেনাদল তাহাদিগকে আক্রমণ করিয়া হটাইয়া দিল। কিন্তু ৭ম সংখ্যক অশ্বারোহিদল বিদ্রোহিদলে যোগ দিয়া একত্র সীতাপুর অভিমুখে প্রস্থান করিল। ১২ই জুন পর্যন্ত লাখনে নগর ইংরাজ অধিকারে থাকিল বটে, কিন্তু অযোধ্যার অপরাপর অংশ বিদ্রোহীরা অধিকার করিয়া লইল । ১১ই জুন সামরিক পুলিশ ও দেশীয় অশ্বারোহী বিদ্রোষ্ট্ৰী সেনাদল প্রকাশে ইংরাজদিগের প্রতি গোলাবর্ষণ করিতে লাগিল। পরদিন দেশীয় পদাতিক দল তাঁহাদের সহিত যোগ দিয়া নগর ভাগ আলোড়িত করিয়া ফেলিল। ২০এ জুন কশিপুর বিদ্রোহিদলের হস্তগত হইয়াছে সংবাদ পাইয়া সিপাহীগণ উৎফুল্ল হইয়া উঠিল । ২৯এ জুন ৭• • • হাজার বিদ্রোহী ফৈজাবাদ পথে অগ্রসর হইয়া রেসিডেন্সীর আট মাইল অদূরবর্তী কিন্ছাট গ্রাম আক্রমণ করিলে সর হেনী লরেন্স যুদ্ধার্থ অগ্রসর হইলেন, কিন্তু তিনি শক্রর সন্মুখে অধিকক্ষণ থাকিতে না পারির পরাজয় স্বীকারপূর্বক প্রত্যাবৃত্ত হইলেন । তিনি শত্রুপক্ষের বল অধিক দেখিয়া মটীভবন পরিত্যাগ করিয়া রেসিডেন্সীর বলপুষ্টি করিতে তথায় সমস্ত সৈন্ত সমবেত করিলেন। ১লা জুলাই শক্রদল রেসিডেন্সী অবরোধপূর্বক গোলাবর্ষণ করিতে লাগিল। ২য় শত্রুপক্ষের একটী গোলা সৱ হেনরীর শয়নকক্ষে প্রবিষ্ট হইয়া উহাকে श्रांझड कब्रिल । cनहे चांशांरङद्र शङ्गश्रीब्र अश्ङ्गि हईग्नां छिनि aঠ তারিখে পঞ্চৰ প্রাপ্ত হইলেন। তখন মেজর বাক্ষস সিভিল বিভাগের ও ব্রিগেডিয়ার ইন্মিল সামরিক বিভাগের অধ্যক্ষ হইলেন। ২-এ জুলাই শঙ্কগণ পুনরায় ইংরাজদিগকে আক্রমণ कब्रिन । *ब्रबिन cमबब्र वांकन् निरँडै रशन, ব্রিগেডিয়ার XVII * go ইনগ্নিস্ সৰ্ব্বময় কর্তী হইলেন। ১•ই ও ১৮ই আগষ্ট তারিখে উপযুপিরি দুইবার আক্রমণ করিয়াও শক্রদল ইংরাজদিগকে বিপৰ্য্যস্ত করিতে পারিল না। রেসিডেন্সীস্থিত ইংরাজগণও পুনঃ সাহায্যলাভের আশায় ক্রমশই হতাশ হইয়া পড়িতেছিলেন। এমন সময়ে জাউট্টাম ও হাবেলকের আগমন বার্তা শুনিয়া তাহারা কিঞ্চিৎ উৎফুল্ল হইয়া উঠিলেন। ২২শে সেপ্টেম্বর হাৰেলক আলমৰাগে উপনীত হইয়া তথার্কার বিদ্রোহীদিগকে বিপৰ্য্যস্ত করিলেন এবং ২৫এ পর্য্যন্ত শত্রদিগের সহিত খণ্ডযুদ্ধ করিতে করিতে বীরপে ২৩শে রেসিডেন্সীর দ্বারদেশে আসিয়া সমুপস্থিত হইলেন। তৎপুর্কেই শত্রুপক্ষের আক্রমণে জেনারল নীল নিহত হইয়াছিলেন । শত্রুদল ইংরাজের বলহীনতার পরিচয় পাইয়া পুনরায় নগর আক্রমণ করিল, আউটুমি ও হাবেলক বিশেষ বিচক্ষণতার সহিত দিবারাত্র যুদ্ধ করিয়া নগররক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন। অক্টোবর মাস পর্য্যন্ত ইংরাজগণ বিশেষ বীরত্বের সহিত আত্মরক্ষা করিতে লাগিলেন। ১১ই নবেম্বর সর কলিন কাম্বেলের অধীনস্থ সেনাদল কাণপুর হইতে আলমবাগে আসিয়া উপনীত হইলে তিনি কলিকাতার উপনীত হইয়াই লাখনীে উদ্ধারমানসে নানাস্থান হইতে সৈন্তসংগ্রহের ব্যবস্থা করিয়া-" ছিলেন। ১২ই নবেম্বর তিনি সদলে আলমবাগ আক্রমণ করিলেন। ক্ষণকাল যুদ্ধের পর শত্রদল পরাস্ত হইল। তদনন্তর তিনি দিলখুল প্রাসাদ অধিকারপূর্বক মাটিনেয়ার অভিমুখে অগ্রসর হইলেন। এখানে কামানাদির দ্বারা সুরক্ষিত হইয়া § 努、 বিদ্রোহী সিপাহী দল অবস্থান করিতেছিলেন। উক্ত স্থান । অধিকার করিয়া তিনি খাল উত্তরণপুৰ্ব্বক ১৬ই তারিখে শক্রদলের প্রধান কেন্দ্র সিকেন্দরাবাগ আক্রমণ করিলেম । এখানে উভয় পক্ষে ঘোরতর যুদ্ধের পর বিরোহিঙ্গল পরাজিত হইল । ইংরাজসেনা দুর্গ অধিকারান্তে নববলে বলীয়ান হষ্টয়া মোতিমহল পর্য্যস্ত অগ্রসর হইলে হাবেলক রেসিডেন্সী হইতে বহির্গত হইয় তাহদের সহিত সদলে মিলিত হইলেন। এইরূপে বিজয়ী দ্বিতীয় সাহায্যকারী সেনাদল লাখনৌ নগরে উপস্থিত হইলেও ইংরাজের পক্ষে নগর-রক্ষা অসম্ভব হইয়া উঠিল। তখন সৰ্ব কলিন কাম্বেল শত্রুপক্ষের প্রতিপক্ষতাচরণ ছক্কহ বিবেচনা করিয়া ইংরাজ পুরুষ, রমণ ও বালকবালিকাদিগকে এখান হইতে উদ্ধারপূর্বক কাণপুরে লইয়া কলিকাতায় পাঠাইতে মনস্থ করিলেন। তানুসারে তিনি ২-এ নবেম্বর সালে অগ্রসর হইলেন। রেসিডেন্সী পুনৰ্ব্বার শক্রয় হস্তগত হইল । পথিমধ্যে লয় হেনরী হাৰেলকের মৃত্যু হওয়ায় অলিমৰাগে স্থিার সমাধি হয়। ج۔
- ...
ياًلي گسی