লাঞ্জি [ २०¢ ] লাট “দাহবমাদিত ক্ষমং নিরাং তৃষ্ণয়ৰিতম্। শর্করামধুসংযুক্তং পায়ত্বেরাজতর্পণম্” (ভাবপ্র জরুচি ) দাহ ও বমিতে রোগী অতিশয় কাতর হইলে শর্কর ও মধুসংযোগ করিয়া লাজতপণ প্রয়োগ করা যাইতে পারে। খই উত্তমরূপে চূর্ণ করিয়া ইহা প্রস্তুত করিতে হয়। লাঞ্জপেয়া ( স্ত্রী ) লাজেন কৃত পেয় । খইয়ের মণ্ড । “লাজপেয়া শ্রনী তু ক্ষামকণ্ঠস্ত দেহিন: | ক্ষুন্তুষ্ণায়ানিদে বল্যকুক্ষিরোগবিনাশিনী।” ( রাজব ) লাজভক্ত (পুং) লাজস্ত ভক্ত: । খধিভক্ত, খইয়েয় ভাত। গুণলবু, শীতল, অগ্নিদীপ্তিকর, মধুর, বলকর, নিদ্রা ও রুচিকর, কক্ষ ও পিত্তনাশক এবং ত্রণশোধনকারী। “লাজভক্তে লযু: শীতশ্চাীিপ্তিকরে মধু । বুষ্যে নিদ্রারুচিকর কক্ষপিত্তবিনাশকঃ । ত্রণশোধনকারী স্তাষিভিঃ পরিকীৰ্ত্তিতঃ ” (বৈস্তকনি• ) লাজমণ্ড ( পুং ) লাজত মগু: খইয়ের মগু । লাঞ্জবর্ণ (স্ত্রী) লাজত বর্ণ ইব বর্ণে যন্তাঃ। অসাধ্য লুতা: ধ। (সুশ্রত কল্পস্থা • ৮ অe ) লাজশাসভ (স্ত্রী) লাজত শক্ত। ইয়ের ছাড়, খই উত্তমরূপে চূর্ণ করিলে লাজশক্ত হয়। লাজহোম ( ক্লী ) লাজদ্বারা কৃত হোমবিশেষ। লাজ ( স্ত্রী ) লাজ-ঘঞ টাপ, । ১ অক্ষত। ২ ভৃষ্টধান্ত, খই। পর্যায়-অক্ষত, অক্ষতা । গুণ-তৃষ্ণ, ছীি, অতীসার, প্রমেহ, মেদ ও কফনাশক, কাল ও পিত্তোপশমক, অগ্নিকারক, লঘু ও শীতল। ইহার মগুগুণ-অগ্নিকারক, দাহ, তৃষ্ণ, জয় ও অতীসারনাশক, অশেষ দোষনাশক ও আমপাচক । ইহার পেয়াগুণ-ক্ষমিকণ্ঠের শ্রমনাশক, ক্ষুধা, তৃষ্ণ, গ্লানি, দেীবল্য ও কুক্ষিরোগনাশক । ( রাজনি• ) (পুং ) ৩ ভূম। লাজুক ( দেশজ ) লজ্জাশীল । লাঞ্ছন (ক্লী) লাছ লুট, ১ নাম। ২ চিহ্ন। ( মেদিনী) “দিবাপি নিষ্ঠুতমীচিভাষা বালাদন বিষ্কৃতলাখনেন।" ( কুমার ৭৩৫ ) ( পুং ) ৩ রাগীধান্ত । ( রাজলি' ) কোন কোন পুস্তকে লাঞ্ছনী এইরূপ পাঠাস্তর দেখা যায়। লাঙ্কি, মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার বুর্থ তহসীলের অন্তর্গত একটা নগর। অক্ষা ২১°৩০' উঃ এবং দ্রাফি ا: همه یا এই নগরের চারিদিক্ পুষ্করিণী দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং উত্তরাংশ গভীর জঙ্গলে সমাচ্ছাদিত। ঐ বনাস্তরাল মধ্যে একটী প্রাচীন শিবমন্দির ও কতকগুলি ধ্বন্ত জটালিকান্তপ দেখা যায়। তাহা প্রাচীন লাঞ্জি নগরের অবশেষ বলিয়াই মনে হয়। এখানে XVII 를 একটা দুর্গ অসংস্কৃত অবস্থায় পতিত রছিয়াছে। সম্ভবতঃ ১৭•• খৃষ্টাব্দের নিকটবৰ্ত্ত কোন সময়ে গোড়-রাজগণ ঐ ছৰ্গ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । ঐ দুর্গ পরিখার প্রাপ্তভাগে লাঞ্জকাই মামে কালীমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত একটা দেবালয় আছে। উক্ত দেবীমূর্তির নামানুসারেই এই নগরের নামকরণ হইয়াছে। লাট ( পু: ) দেশবিশেষ। বর্তমান গুজরাট প্রদেশের প্রাপ্তভাগ। "দৌ তস্মৈ সপুত্রায় প্রক্ট বীরবরায় চ। লাটদেশে ততো রাজ্যং সকর্ণাটযুতে নৃপ ॥"(কথাসরিৎসা’৭৮১১৯) নৰ্ম্মদানীর মোহানা ও মহী নদীর তীরস্থ গুজরাত এবং খামেশ বিভাগ লইয়া এই প্রাচীন জনপদ গঠিত ছিল। প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে ইহা লাট নামে প্রসিদ্ধ। মুসলমান ভৌগোলিক মল্পী ( A D. 940 Wol. 1. 581 ), অল বিরুণী ( A D 1020 in Elliot. I 66 ) এবং টলেমি AD. 150, VII. ii. 63), পেরিপ্লাস প্রভৃতি ইহাকে লাড়, লারিস বা লারিয়াক নামে উল্লেখ করিয়াছেন। র্তাহারা এই জনপদের স্থাননির্ণ সম্বন্ধে নানা স্থানের নাম নির্দেশ করিয়া থাকেন। অলবিরুণী, আবুল ফাদা ও ইবন সৈয়দ বলেন যে, ঠান ও সোমনাথ পত্তন লইয়া এই লাটদেশ গঠিত হয়। মুসলমান বণিক সুলেমান কাম্বে উপসাগর হইতে মলবার উপকূল পর্যাস্তু সাগরাংশকে লাটসমুদ্র বলিয়া লিখিয়া গিয়াছেন। মসুী সৈমূর, সুপার, ঠান ও অন্যান্ত মগর লইয়া লারিয়া (লাট) প্রদেশের সীমা নির্দেশ করিয়া যান। বর্তমান প্রত্নতত্ত্ববিদগণের সিদ্ধাস্তু সুরাট, ভরোচ, কৈরা ও বড়োদার কতকাংশ লইয়া এই লাট দেশ গঠিত হইয়াছিল। এই স্থানের অধিবাসিগণ লাট (লাড়) জাতি নামে পরিচিত । ইহারা অনুহিলবাড়রাজের অধীন ছিল । কোন কারণে তাহাদের প্রতি অসস্তুষ্ট হইয়া রাজা কুমারপাল লাটদিগকে রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দেন। তদবধি তাহারা ভারতের নানা স্থানে যাইয়া বাস করিয়াছে। রাজপুতনার মরুদেশে, বেরারের মৈকের বিভাগে এখনও এই জাতির বাস আছে। তবে তাহারা আর সেরূপ সুবিস্তৃত ভাবে ও প্রাচীন নামে পরিচিত নহে। ইহারা সকলেই হিন্দু, আবার অনেকে জৈনধৰ্ম্মও গ্রহণ করিয়াছে। রাজপুতনার লাড়গণ ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত আছে, বেল্লারের লাড়ের রেশমী বস্ত্র বয়ন করে। বিখ্যাত ভ্রমণকারী টাভাৰ্ণিয়ায় মলবার উপকূলে এবং খুনবার্গ সিংহল দ্বীপে লাড়ী নামে এক প্রকার পাকান ধাতব মুদ্রার প্রচলন দেখিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ ঐ মুদ্রা স্বপ্রাচীন লাট দেশে প্রচলিত ছিল এবং পরে সেই নামের অপভ্রংশ লtী নামে খ্যাত হইয়াছিল। [ আৰ্য্যাবর্ভ ও লাহী বলার সেখ। ]
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/২০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।