← I , V L २०७ J লাট ബ*് ২ বসু । ( মেদিনা ) ৩ জাৰ্ণছুৰণাদি । ( শঙ্কল্পত্নী” ) লাট (ইংরাজী Lord শঙ্গের অপভ্রংশ)। বাদাগার লাট সাংেৰ অৰ্থে গবর্নর-জেনারল এবং ছোট লাট সাহেব অর্থে লেফটেনাণ্ট গবর্ণরকেই বুঝায়। কখন কখন সামরিক ও রাজকায় বিভাগের প্রতিনিধিদ্বয়কে জঙ্গীলাট সাহেব ও মুল্লুকী লাট সাহেব বলা হয়। হিন্দুস্থানীয় চিফ জাষ্টিসকে লাট জাষ্টি সাহেব এবং লর্ড বিশপকে লাটু পাঞ্জি সাহেব বলেন। ১৮২৪ খুঃঙ্গে বিশপ হেবার লাট সাহেব ও লাট পাত্র শব্দের উল্লেখ रु{ब्रम्न ?%ुछ्न् । দেশীয় ভাষায় লাট শব্দে লর্ডের স্তায় সম্মানসূচক অর্থ ও প্রকাশ করে, যেমন, বাবু যেন লাট। কখন কথন লাট শব্দ শ্লেষাত্মক অর্থে ব্যবখন্ত হইয়া থাকে ; যেমন, মেয়ে লাট কোরে झेिर् ! লাট (ইংরাজী Lot শব্দ ) । বিক্রয়ার্থ দ্রব্যসমূহের বিভাগ । লাট (ংিলা ও সংস্থত) স্তম্ভ। উত্তরপশ্চিমভারতে বহু প্রাচীন কাল হইতে কতকগুলি প্রস্তরস্তস্তু বিরাজিত রহিয়াছে । প্রাচীন কাষ্ট্রর আদশ বলিয়া ঐগুলি বিশেয বিখ্যাত ও সাধারণের আদরের জনস। ইহা ভিন্ন এই সকল স্তম্ভের উপর অতি প্রাচীন অক্ষরে যে সকল ইতিবৃক উৎকীর্ণ রহিয়াছে, তাহ প্রত্নতহবিগণের বড়ই চিত্তাকর্ষক, তাহারা বহুপরিশমে ও আগেচন। দ্বারা ঐ সকল লিপমাল পাঠ করিয়া উহার প্রকৃতত স্তু নির্ণয় করয় ণিয়াছেন। মহামাত জেমস্ প্রিসেন্স প্রথমে এই নিলামেয় সময় উচ্চ মূল্যে বর্ণমালা আবিষ্কায় করেন। উহা এখন লাট বর্ণমালা ( Lat ! Char o teu ) fois of lET I ভারতবর্যের বিভিন্ন জনপদে এইরূপ লাট-স্তম্ভ উন্নতমস্তকে দণ্ডায়মান আছে, তন্মধ্যে আলাহাবাদের লাটই সুপ্রসিদ্ধ । ի ভস্তুের একপার্থে ও রাজবংশের সাময়িক অক্ষরে এবং অপর পাখে বেী,সস্থা অশোকের প্রশস্তির অনুরূপ অক্ষরে খোদিত লিপি উৎকীর্ণ হইয়াছে। দিল্লীর লাটের লিপির সহিত কটকের শেলালিপির ও গির্ণরের পাৰ্ব্বত্যলিপির বর্ণমালার অনেক সাপ্ত লক্ষিত হয়। এতuি তাছাতে কপদাগিরির সেমিতিক অক্ষরমালার অনুরূপ লিপিও দৃষ্ট হইয়া থাকে। ঐ লাটে ২১টা মাত্র aক উৎকীর্ণ আছে। তাহাতে ভারতবর্ষস্থিত জনপদাদির বভাগ ও তাৰায় নাম, তৎকালীন রাজবংশের বিবরণ এবং পারত ও শকজাতির বিবরণ লিখিত হইয়াছে। হস্তিনাপুরে চন্দ্রবংশীয় রাজগণের রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হইলেও এবং মনুসংহিতা ৰ মহাভারতে শূরসেন (জেলায় ) বিশেষ কোনরূপ উল্লেখ না থাৰিলেও আমরা এই লাট হইতে জানিতে পারি যে, খৃষ্টপুৰ্ব্ব ৩য় শতাদে বৌদ্ধসম্রাটু অশোকের রাজত্বকালে এই আলাহাবা ভূভাগ একটা প্রসিদ্ধ স্থান বলির গণ্য হইয়াছিল। ২ ভিতর লাট—গাজিপুর জেলার অন্তর্গত একটা স্তম্ভ । উহাতে আলাহাবাদ লাটের অনুরূপ রাজবংশের পরিচয় ও বংশতালিকা বিদ্যমান আহে । ৩ দিল্লীলাট-ফিরোঞ্জগুস্তু নামে পরিচিত। পাঠানরাক্স ফিরোজ তোগলক ( ১৩৫১-১৩৮৮ ) ইহার শিরোভাগে স্বর্ণময় একট কলস লাগাইয়া দেন। তদবধি উহা স্বৰ্পলাট বলিয়া খ্যাতি লাভ করিয়াছে। পুৰ্ব্বকালের স্বপ্রসিদ্ধ ভারতীর রাজধানী সমগ্ৰ দিল্লী বিভাগে ইহাপেক্ষা আর কোন প্রাচীন নিদর্শন নাই । ইহাই কেটল্য বিষয়ের অন্তভুক্ত একটী অস্তুত কীৰ্ত্তিস্তম্ভ। পুৰ্ব্বকাল হইতে এই স্তম্ভ সম্বন্ধে নানা কিংবদন্তী প্রচলিত ছিল,— হি দুগণ উহাকে ভীমসেনের গদ, মুসলমানের সম্রাটু ফিরোজের ভ্রমণষষ্টি এবং কেহ কেহ উহাকে মহাত্মা আলেকসান্দারের পুরুবিজয়স্কৃতিস্তম্ভ এবং টম কোরিয়েট প্রভৃতি প্রাচীন ইংরাজ ভ্রমণকারিগণ উহাকে অশোকস্তম্ভ বলিয়াই জানিতেন। পরবর্তিকালে য়ুরোপীয় প্রত্নতত্ত্ববিদগণের চেষ্টার উহার প্রকৃত পাঠ উদ্ভূত হওয়ায় সাধারণের ভ্রম অপনোদিত হইয়াছে । ঐ স্তম্ভ পূৰ্ব্বে যমুনার অপর পারে সালোর জেলার শিবালিক পাদমূলস্থ খিজিরাবাদের সন্নিকটে ছিল। পরে উহা দিল্লীদ্বারের বহির্ভাগে আনিয়া স্থাপিত করা হঠয়াছে। ডা: কানিংহাম বলেন যে, ঐ স্তম্ভ প্রাচীন শ্রীর রাজধানীর কোনস্থানে ছিল, চীনপরিব্রাজক হিউএন্সিয়াং উহার পার্শ্ববৰ্ত্তী বৌদ্ধবিহার ও বুদ্ধস্মৃতি সংযুক্ত সম্রাট অশোকের সমকালীন সুবৃহৎ স্ত,পের উল্লেথ করিয়া গিয়াছেন। স্থানীয় প্রবাদ, উক্ত প্রাচীন গুণপদ হইতে এই স্তম্ভ শকটসাহায্যে খিজিরাবাদে আনীত হয়, পরে তথা হইতে নদীবক্ষে নৌকার উপরি স্থাপিত করিয়া নুতন দিল্লী রাজধানী ফিরোজাবাদে সমানীত হইয়াছিল। আনুমানিক ১ ৫৬ খৃষ্টাব্দে ফিরোজশাহ হিন্দুর মুখে উহার নিশ্চলত অবগত হইয়া বহু অর্থবায়ে উহাকে দিল্লীতে আনয়ন করেন । তিনি উংfর শিরোদেশ শ্বেত ও কৃষ্ণবর্ণ প্রস্তরে সুশোভিত করিয়া স্বর্ণকলস স্থাপন করিয়াছিলেন। তৎকালে উহা মিনার জরিন নামে প্রসিদ্ধ ছিল। ১৬১১ খৃষ্টাব্দে উইলিয়ম ফিঞ্চ, দিল্লী নগরে আসিয়া ইহার স্বর্ণময় কলস ও অৰ্দ্ধচন্দ্রাকৃতি চূড়ার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । তাছার মতে উছার নিম্ন কএকতলের উপরিভাগ ভীমসার প্রস্তরস্তম্ভ বলিয়া কথিত । ইহা অদ্যান্য অশোকস্তম্ভের স্তায় গাঢ় লালবর্ণ প্রস্তরে গঠিত । উচ্চ ৪২ ফিটু ৭ ইঞ্চ। উহার উপরিভাগ ৩৫ ফিটু উৎকৃষ্ট পালিশযুক্ত ও মসৃণ,নিম্নভাগ খসখসে। উহার পরিমাণ প্রায় ৮শষ্ঠ মণ।
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/২১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।