পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লড়ি কসাব লাড়ধানী হইয়া থাৰে । ইহারা সকলেই থাকি, ভ্রাক্ষণের প্রতি সকলেই বিশেষ ভক্তিমান। বিবাহাদি কার্ঘ্যে ৰাক্ষণেরাই পৌরোহিত্য করে। পঞ্চরপুর ও তুলজাপুরে দেবদর্শনে যায় এবং হিন্দুর প্রধান প্রধান সকল পৰ্ব্বাহেই উপবাসাদি করিয়া থাকে। বারাণসীতে ইহাদের ধৰ্ম্মগুরুর বংশ আছে। র্তাহারা জাতিতে গোসাবি(৫ তাহার সময় সময় দক্ষিণাত্যে শিষ্যদিগকে মন্ত্র দিতে আসিয়া থাকেন। অল্প জাতির শিষ্য গ্রহণ করেন না। বালকের জন্মের পর মাভিচ্ছেদ করা হইলে প্রস্তুতিকে স্নান করান হয়। পঞ্চমদিবসে বীপুজান্তে আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবগণকে ভোজ দেওয়া হয় । ত্রয়োদশ দিনে সকলে বালককে ক্রোড়ে লয় এবং ঐ দিনেই জাতবালকের নামকরণ হইয়া থাকে । উহার পর তিনমাস পর্য্যন্ত প্রতি সোমবারে প্রস্থতি ষষ্ঠদেবীর পূজা করে। এইরূপে তিনমাস অতীত হইলে প্রস্থতি পুত্র লষ্টয়া নিকটবৰ্ত্তী কোন দেবালয়ে গমনপূর্বক দেবতাকে পুত্র সম্প্রদর্শন করায় এবং দেবতার তৃপ্তিবিধান জন্য পান ও কদলী দিয়া পুত্র কোলে লইয়া ঘরে ফিরিয়া আইসে। ঐ দিন হইতে বিবাহ পৰ্য্যন্ত আর কোনরূপ সংস্কার নাই । বিবাহের পুঞ্চদিন “দেবন্ধতা", ঐ দিনে কুলদেবতার পুজা দেওয়া হয়। বিবাহদিনে বর ও কস্তাকে হরিদ্র মাথাইয়া স্নান করান হইয় থাকে। বিবাহের সময় বর ও ক’নেকে একত্র বসাইরা যাজক ব্রাহ্মণ মন্ত্রপাঠ করে এবং তাহারমাথায় সিন্দুরমাখা চাউল ছড়াইয়া দিলেই বিবাহকার্য সম্পন্ন হইয়া যায়। বিবাহন্তে একটা ভোজ হয় । ইহার মৃতদেহ সমাহিত করে এবং দশদিন মাত্র অশৌচ পালন করিয়া থাকে। পাচ দিন হইতে ত্রয়োদশ পৰ্য্যন্ত মৃতের প্রেতকৃত্যু হয়। শেষ দিনে জ্ঞাতিকুটুম্বের ভোজ হইবার পর সকল চুকিয়া যায়। ইহাদের মধ্যে পরম্পরে বেশ মিল আছে। সামাজিক কোন গোলযোগ ঘটলে জাতীয় প্রধানগণের বিচায়ে তাহীর নিম্পত্তি হইয়া থাকে। তদপেক্ষা গুরুতর অপরাধের নিম্পত্তি গুরুর দ্বারাই হয়। যদি কেহ এই ৰিচার লঙ্গন করিয়া কাৰ্য্য করে, তাছা হইলে তাহার জাতিচু্যতি ঘটে এবং দণ্ডস্বরূপ দশ টাঙ্ক দ্বিলে পুনরায় স্বজাতিসমাজে মালিতে পায় । লাতু কলাব, ঘোৰাই-প্রদেশবাসী মুসলমান-শ্রেণীতে। ভেড়া इ* अङ्गकि निशठ कग्निग्न क्किब्र कब्राहे ऐशएशग्न जाउँौद्र यादगा। ইহাঙ্গা পূৰ্ব্বে হিন্দু ছিল। মহিমুররাজ টিপুস্থলতানের (১৭৮৭১৭৯৯ খৃ: ) প্রভাবে সকলেই ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছে। স্ত্রী ও পুরুষদিগের বেশভূষা স্থানীয় হিন্দুদিগের মত। কোন কোন পুরুষ কেবল মাত্র দক্ষিণকৰ্ণে একটী বড় কাশৰালী |[ २ss } ফুলাই থাকে। স্ত্রীলোকের পুরুষের অপেক্ষ কুমারী, তাহারা রাস্তায় বাহির হইতে লজ্জ বোধ করে না । স্বচ্ছন্দে দোকানে বসিয়া মাংস বিক্রয় করে। ইহার মিতব্যয়ী, কৰ্ম্মঠ, চতুর ও বিনয়ী, কিন্তু স্বভাবতঃ কিছু অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন। ইহারা আপনাদের সমাজেই বিবাহাদি করে। পাটিল’ নামক নিৰ্ব্বাচিত সমাজের অধ্যক্ষের আদেশ সকলেই পালন করিয়া থাকে। কোনরূপ সামাজিক গোলমাল উপস্থিত হইলে পঞ্চায়তে তাহার নিপত্তি হয়। পঞ্চায়ন্তে দোষ্ট্ৰীয় অপরাধ সাব্যস্ত করিলে, পাটিল তাহাজের ইচ্ছামত অর্থাও করিয়া থাকেন। ইহারা হিন্দুদেবদেবীর প্রতি যথেষ্ট ভক্তি দেখাইয়া থাকে। হিন্দুর দেবতার পূজাদিতে এবং পর্বোৎসব পালন করিতে ইহার বিশেষ সমারোহ ও উপবাসাদি করে; কেহই গোমাংস ভক্ষণ করে না। কাজির স্বারা বিবাহকাৰ্য্য ও সমাধি সম্পাদন ব্যতীত অস্তান্ত সকল বিষয়েই ইহারা হিন্দু গ্রথার অমুসরণ করিয়৷ থাকে। ইহার কোরাণ বা কলা পড়ে না অথবা মসজিদে যায় না। অন্যান্ত মুসলমান-সম্প্রদায়ের সহিত একত্র ভোজন করিতে ইহারা ঘুণ বোধ করে । লাড়খান, একজন মুসলমানরাজ । ইনি অনঙ্গরঙ্গপ্রণেতা কল্যাণ মল্লের প্রতিপালক । লাড়বানী, বোম্বাই-প্রদেশবাসী জাতিবিশেষ। রাজা কুমারপাল কর্তৃক দক্ষিণ-গুজরাতের লাটদেশ হইতে বিতাড়িত হইলে ইহীরা সম্ভবতঃ এখানে আসিয়া বাস করে। ইহার হিন্দু। ইহাদের মধ্যে অগস্ত্য, ভরদ্বাজ, গর্গ, গৌতম, জমদগ্নি, কৌশিক, কাগুপ, নৈঞ্জব ও বিশ্বামিত্র গোত্র প্রচলিত। সগোত্রে অথবা একপদবীযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ইহাদের বিবাহ হয় না। ইহার প্রত্যহ স্নান ও কুলদেবতার পূজা করিয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন তুলজাপুরের ভবানীদেবী, সাতারার অন্তর্গত লিঙ্গনাপুরের মহাদেব, পশ্চরপুরের বিঠোবা প্রভৃতি দেবতীর্থে ইহারা সচরাচর গমন করে। ইহাদের লৌকিক আচার ব্যবহার ও বেশভূষাদি স্থানীয় ব্রাহ্মণগণের মত । ইহায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, কৰ্ম্মঠ, আতিথেয় ও চতুর। চাউল, কাপড় ও নানা মসলা বিক্রয় করাই ইহাদের জাতীয় ব্যবসা । গ্রামবাসী লাড়গণ অনেকেই কৃষিকাৰ্য্য করে। বর্তমান সময়ে অনেকে শিক্ষালাভ করিয়া গৰমেন্টের অধীনে কৰ্ম্ম করিতেছে। স্ত্রীলোকের পুরুষদিগের সহিত আপন আপন দোকানে ক্রিয় কাৰ্য্য করিয়া থাকে। তথ্যতীত তাহারা গৃহস্থালীর সকল কৰ্ম্মই করে। ইহার স্থানীয় ব্ৰাহ্মণগণের অপেক্ষা লৰাজে নীচ এবং কুনবিদিগের অপেক্ষী উচ্চ। দেশস্থ ব্রাহ্মণগণ ইহাদের সকল কাখৈাই পৌরোহিত্য করেন । হিন্দুর সকল দেবদেবীর পূজার ইহাদের .