লড়াবই { ২১১ ] লাদখ । 較} বিশেষ ভক্তি দেখা যায়। ইহারা ছিলুর সকল পৰ্ব্বই পালন এবং প্রতিবৎসর শ্রাবণী পৌর্ণমালীতে (নারিকেলপুর্ণিমা নামে খ্যাত ) সকলে জনাও বা যজ্ঞসূত্র পরিধান করিয়া থাকে। বালাবিবাহ ও বহুবিবাহ ইহাদের মধ্যে প্রচলিত আছে, কিন্তু বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ। বালকের অষ্টমবর্ষই উপনয়নের প্রশস্তকাল। ১৫ হইতে ২০ বৎসরের মধ্যে বালকের বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহের মন্ত্র বৈদিক,সংস্কৃত নহে। উহাদেশীয় ভাষায় অনুদিত। ইহারা শৰদাহ করে। ১• দিন মাত্র অশৌচ থাকে। তদনন্তর শ্ৰাদ্ধান্তে শুদ্ধ হইয়া জ্ঞাতিভোজ দেয়। সামাজিক গোলযোগ জাতীয় পঞ্চায়তের স্বারা নিষ্পত্তি হইয়া থাকে। অপরাধী ব্যক্তির অর্থদণ্ডই ব্যবস্থা। কখন কখন সে জাতিভোজ দিয়া পরিত্রাণ পায়। র্য্যবংশী, বোম্বাই-প্রদেশের ধারবাড়-জেলাবাসী নিয়শ্রেণীর জাতিবিশ্যে। ছাগাদি নিহত করিয়া বিক্রয় করাই ইহাদের জাতীয় ব্যবসা। ইহার অশুদ্ধ হিন্দুস্থানী ভাষায় কথা কয়। ইহাদের মধ্যে কোনরূপ শ্রেণীবিভাগ নাই। পুত্র জন্মিলে নাভিচ্ছেদের পর ইহারা জাতবালকের মুখে কএক বিলু রেড়ীর তৈল ঢালিয় দেয় এবং পঞ্চমদিনে একটা ছাগহত্যা করিয়া আত্মীয় স্বজনকে ভোজ দিয়া থাকে। ত্রয়োদশ দিনে জাতাশৌচান্তে সকলে বালককে ক্রোড়ে লয় এবং নামকরণ করে। তাহার পর বিবাহ পৰ্য্যস্তু আর কোন সংস্কার নাই। বিবাহের দিন বর ও কস্তাকে একটা উচ্চ বেদীর উপর বসাইয়া গ্রামজ্যোতিষী কন্যা সম্প্রদান করেন। মন্ত্রপাঠকালে তিনি উভয়ের মস্তকোপরি হরিদ্রারঞ্জিত চাউল ছড়াইয়া দেন। তদনন্তর বর ও কন্যা পরম্পরের কপালে হরিদ্র মাখাইলে পুরোহিত বৰ্ত্তিকা জালিয়া উভয়কে নীরাজন করেন। বিবাহান্তে আত্মীয় স্বজনের ভোজ হইয়া থাকে। মৃত্যুর পর ইহার শবদেহ স্নান করাইয়া উপবিষ্টভাবে রাখিয় দেয় এবংনুতন বস্ত্র পরিধান করায়। তার পর তাহাকে পুষ্পমালা ও অলঙ্কারাদিতে সুশোড়িত করিয়া সমাধিক্ষেত্রে লইয়া সমাহিত করে। তৃতীয় দিনে ইহার সেই কবরে আসিয়া দুগ্ধ ঢালিয়া দেয়। যদি কোন অশুভদিনে মৃত্যু হয়, তাহা হইলে সেই বাড়ীর সকলে তিনমাস কাল ঐ গৃহ পরিত্যাগ করিয়া অন্তর যাইয়া বাস করে। তৎকালে ঐ বাটতে চাবি দিয়া দ্বারদেশে ইহারা-কাট ছড়াইয়া রাখে। ইহাঙ্গের বিশ্বাস এই যে, অশুভক্ষণে মৃত্যু জত যে দোষ হয়, তাহা ঐ বাটতে থাকিলে গৃহস্থিত অপর ব্যক্তিকে নিঃসন্দেহই স্পর্শ করিতে পারে। ইহাদের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রচলিত আছে। বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ। সামাজিক কোন বিষয়ের মীমাংসা পঞ্চারতের দ্বারাই নিম্পাদিত হয়। যদি কেহ তাহাজের বাক্য জগাভ করে, তাহ হইলে সেই ব্যক্তি সমাজচ্যুত হইয় থাকে। ইহারা ধাৰ্ম্মিক, ধর্শ্বকৰ্ম্মেও ইহাঙ্গের মতি আছে। ৰেলগায়জেলার সত্তি নগরস্থ ঘেরা দেবীতীর্থে এবং নৰলগুণ্ডের মুসলমান সাধু দবল-মালিকের সমাধি-সন্দর্শমে ইহার আলিয়া থাকে। ব্রাহ্মণাদির প্রতিও ইহাদের ভক্তি অচল । বিবাহাদি ক্রিয়াকর্ণে ব্ৰাহ্মণেরাও যাজকতা করে। ইহাঙ্গের কোন ধৰ্ম্মগুরু নাই । লাড়া (দেশজ) আলোড়ন। লাড়ালাড়ি (শেল) স্থানান্তরিত করণ। লাড়ি (পুং) পাণিনীয় ক্রেীড়াদি গণোক্ত একটা শব্দ। (প ৪১৮-) লাডু (দেশজ) লজুক, লজুক শব্দের অপভ্রংশ। do, लां%ी (जैौ) कूगठै जैौ। (cश्म) লাং (হিন্দী ) লাথি । লাতব্য (পুং ) বিক্রমোর্কশীবর্ণিত রাজপুরয়ক্ষিভেদ। লাতি ) (দেশজ ) পদাঘাত । লাথি । ( দেশজ ) পদাঘাত। লাথালাথি ( দেশজ ) পরম্পরে পদাঘাত। লাখ ( লদাক্ ), কাশ্মীর-মহারাজের অধিকৃত হিমালয়সীমান্তবর্তী একটা বিভাগ। ইহা কাশ্মীরের পূর্বাংশে স্থাপিত এবং একজন স্বতন্ত্র শাসনকর্তার স্বারা পরিচালিত। হিমালয়শৈলের চিরতুষারাবৃত শৈলশৃঙ্গে অবস্থিত থাকায় ইহার সীমা নির্দেশ করা মুকঠিন। এইস্থান দিয়া সিন্ধুনদ ও তাহার শাখাপ্রশাখাসমূহ প্রবাহিত থাকায় ইহাকে সিজনদের উপত্যক ভূমি বলা যায়। অক্ষা” ৩২ হইতে ৩৫° উঃ এবং দ্রাখি" ৭৫' ২৯ হইতে ৭৯২৯ পূঃ মধ্য। রূপমু ও নিওএা নামক মধ্যভাগের দুইটী জেলা, হিমালয়ের. তুষারাবৃত শৃঙ্গসমূহ এবং জনশূন্ত কুএন্লুনের অধিত্যক ভূমি ও লিন্ঝিথঙ্গের পাৰ্ব্বত্য প্রান্তর লইয়া এই বিভাগ গঠিত হইয়াছে। ডাঃ কনিংহামের মতে জানস্কর সহ ইহার ভূপরিমাণ ৩০ হাজার বর্গমাইল । 蠍 হিমালয় পৰ্ব্বতের মধ্যাংশবর্তী সুবিস্তৃত শৈলপৃষ্ঠে স্থাপিত হওয়ায় ইহার জনতানিরূপণ করা সুকঠিন। উক্ত মহাত্মার গণনানুসারে এখানকার লোকসংখ্যা ১৬৮•••, কিন্তু মুরক্রফট ১৬৫০•• ও ডাঃ বেলিউ ২ • • • • • সংখ্যা নির্দেশ করিয়াছেন। লাদকের বর্তমান ইতিবৃত্ত-সঙ্কলয়িতা এফ, ডুর ১৮৭৩ খুটান্ধের আদমসুমারি মতে লোকসংখ্যা ২০৬৫১। ডাঃ বিলিউ ও মিঃ দ্ভ একই বৎসরে এরূপ লোকসংখ্যার পার্থক্য নির্দেশ করিয়াছেন দেখিয়া মনে হয় যে, সম্ভবতঃ মিঃ স্তু নিদিষ্ট জেলাদ্বয়েরই লোকসংখ্য গ্রহণ করিয়াছিলেন। লাদকের কায় পৃথিবীর জীয় কোথাও এরূপ উচ্চ স্থানে 韃
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/২১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।