लिछ ί 8αι ] লিঙ্গপূজাপ্রবর্তন ও লিঙ্গোৎপত্তি বিষয় বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্নরূপ বর্ণিত হইয়াছে। বামলপুরাণের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে লিঙ্গোৎপত্তিপ্রকরণে লিখিত হইয়াছে, ব্রহ্মা শিবলিঙ্গমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া স্বীয় উপাসনা প্রচার জন্য শৈব, পাণ্ডপত, কালবদন ও কপালী নামে চারিট শৈবসম্প্রদায় প্রবর্ধিত করেন। বশিষ্ঠপুত্র শক্তি ও তাহার শিষ্য গোপায়ন প্রথম শৈব, তপস্বী ভারদ্বাজ ও র্তাহার শিক্ষা সোমকাধিপতি রাজা ঋষভ পাশুপত, আপস্তম্ব ও বক ক্রাথেশ্বর নামক বৈপ্ত কালবদন, ধনদ ও তাহার শুদ্রবংশীয় শিষ্য কন্দোদর কপালী হইয়াছিলেন, ইহাতে স্পষ্টই বুঝা যায়, লিঙ্গোপাসনাপ্রসঙ্গে কালে শৈবসম্প্রদায়ে চারিটী শাখাবিভাগ ঘটিয়াছিল এবং চারিজন প্রধান যোগী ঐ বিভিন্ন মত প্রচার করেন । স্বলপুরাণে লিঙ্গশস্কোর ব্যুৎপত্তি সম্বন্ধে লিখিত আছে ; “আকাশং লিঙ্গমিত্যাহু: পৃথিবী তস্ত পীঠিকা । আলয়ঃ সৰ্ব্বদেবানাং লয়নাল্লিঙ্গমুচ্যতে ॥” ( স্বলপু ) "গেহে লিঙ্গন্ধয়ং নার্চ্যং শালগ্রামস্বয়ং তথা । ঙ্গে চক্রে দ্বারকায়াস্তু নার্চ্যং স্বৰ্য্যদ্বয়ং তথা ॥ অভক্ষ্যং শিবনিৰ্ম্মাল্যং পত্রং পুষ্পং ফলং জলম্। শালগ্ৰামশিলাযোগাং পাবনং তদ্ভবেৎ সদা ।” আকাশ শঙ্কে লিঙ্গ এবং পৃথিবী তাহার পীঠিকা। ইহা সকল দেবতার আলয় । ইহাতে সমস্ত লয়প্রাপ্ত হয় বলিয়া ইহাকে লিঙ্গ কহে ৷ একগৃহে লিঙ্গস্বয় পূজা করিতে নাই, এইরূপ শালগ্রাম শিলাদ্বয়েরও পূজা নিষিদ্ধ। শিবের নিৰ্ম্মাল্য গ্রহণ করিবে না, কিন্তু শালগ্রাম শিলার যোগে নিৰ্ম্মালা গ্রহণীয়। লিঙ্গশকে সাধারণতঃ শিবলিঙ্গই বুঝায়। দেবাদিদেব মহাদেব হিন্দুঞ্জগতে কি কারণে লিঙ্গরূপে প্রকটিত হইয়াছিলেন এবং কেনই বা হিন্দুপ্রধান ভারতভূমে ঠাচার প্রতিষ্ঠা ও পূজা প্রচারিত হইয়াছিল, লিঙ্গপুরাণ, শিবপুরাণু ও পাদ্মোত্তরখণ্ডে তাহার যথাযথ বিবরণ লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। হিমালয় হইতে সিংহল পর্য্যস্ত সুবিস্তীর্ণ ভারত-সাম্রাজ্যে জুড়াই হাজার বর্ষের পুৰ্ব্ব হইতে এই লিঙ্গমূৰ্ত্তির উপাসনা প্রচলিত দেখা যায়। মনুসংহিতায় শিবশক্তি ভদ্রকালী এবং বিষ্ণুশক্তি ঐর উল্লেখ আছে (মস্থ ৬৮৯ )। উক্ত গ্রন্থের ৩১৫১-১৫২ গ্লোকে বছ যাজক ও দেবলদিগের লিঙ্গাবাদ এবং দেব-প্রতিমার (মন্ত্র ৯২৮৫ ) প্রসঙ্গ থাকায় মনে হয়, উহ্য রচিত হইবার পূৰ্ব্বে প্রতিমাপূজা প্রবর্তিত হইয়াছিল। রামায়ণ ও মহাভারতের প্রসঙ্গাধীন আখ্যায়িকা ঐতরেয় (৮২১-২৩) ও শতপথব্রাহ্মণে ( ১৩।৪১ ) থাকায় এবং মনুতে রাম ও লিঙ্গ কৃষ্ণের নামোল্লেখ না দেখিয়া অনুমান হয় যে, মনুসংহিতাখানি অপেক্ষাকৃত প্রাচীন। মনুসংহিতা-কালে দেবগণকে ঘৃতাহুতি দিবার বিধি ছিল, এখনকার স্থায় পুষ্পচন্দনলিপ্ত লৈবেস্তাৰি দানের ব্যবস্থা ছিল কি না বলা যায় না। যে বিষ্ণু ও শিব মমুসংহিতা-সঙ্কলনকালে পদ ও বলের অধিষ্ঠাত বলিয়া পূজিত ছিলেন, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ ও তন্ত্ৰাদি গ্রন্থে উহাদের মহিমা পরিবর্দ্ধিত হইয়াছে ; তদবধি তাহারা পরাৎপর পরমেশ্বর রূপে পূজিত হন। - রামায়ণ ( ৭৩১।৪২) ও মহাভারতে সৌপ্তিক পর্বে ৭ম অঃ শিবলিঙ্গের পরিচয় আছে। রাজতরঙ্গিণী (১১৯৪ ও ২১২৯১৩০ ) পাঠে জানা যায় যে, জলেীক ( Seleukos ) রাজার জধিকারকালে বিজয়েশ্বর, নন্দীশ ও ক্ষেত্ৰজ্যেষ্টেশ নামক, শিবলিঙ্গের পূজা প্রচলন ছিল। সুতরাং স্বীকার করিতে হইবে যে, বুদ্ধদেবের পূর্ব হইতেই ভারতবর্ষে লিঙ্গপূজা প্রচলিত ছিল। খৃষ্টপূৰ্ব্বে শককুষণ ও খারাষ্ট্র রাজগণের সময়েও লিঙ্গোপাসনার যথেষ্ট আদর হইয়াছিল। গুপ্তরাষ্ট্রগণের শিবভক্তি কাহারও অবিদিত নাই । তাহদের মুদ্রায় ঞ্জঙ্কিত বৃষ, ত্রিশূল ও শিবশক্তি সিংহবাহিনী প্রভৃতির প্রতিরূপই তাহার সাক্ষ্যদান করিতেছে । কেবল উত্তরভারত বলিয়া নহে, দক্ষিণভারতেও খৃষ্টপুৰ্ব্ব ৫ম শতান্ধে লিঙ্গারাধনা প্রচারিত ছিল । ষ্ট্রাবোর বর্ণনা হইতে জানা যায়, পাগু্যরাজ রোমকসম্রাট, অগাষ্ঠাসের সভায় দূত প্রেরণ করেন, খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৩৫০ হইতে ২১৪ অন্ধ মধ্যে পাণ্ড্য ও চোলরাজ্য এক হইয়া যায়। উভয় রাজ্যের প্রথমকার ভূপতিগণ লিঙ্গস্থাপক ও শিবভক্ত ছিলেন । দাক্ষিণাত্য হইতে শৈব ধৰ্ম্মস্রোত খৃষ্টীয় ৫ম শতাব্দে যবদ্বীপ ও বালিদ্বীপে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। তথাকার প্রম্বনন নামক স্থানে দুইশত অপেক্ষা অধিক দেবমন্দির এবং শিব, দুর্গা, গণেশ, স্বৰ্য্য প্রভৃতির পাষাণময় ও পিত্তলময় প্রতিমূৰ্ত্তি অদ্যপি বিদ্যমান আছে । [ যব ও বালি দেথ। ] গ্রীক্ৰ ভৌগোলিক আরিয়ান্ কন্যাকুমারীর বর্ণনাস্থলে লিথিয়াছেন, কুমারীনামী দেবীর নামে ঐ স্থানের নামকরণ হইয়াছে। শক্তিসংযোগমাত্ৰেণ কৰ্ম্মকৰ্ত্ত সদাশিৰ । জঙএৰ মহেশামি পূরেছিম্বলিঙ্গৰুৰু "
- লিঙ্গসম্বন্ধে Soument লিখিয়াছেন,- the lingann muy be looked upon as the phallus or the figure representing the virile member of Atys, the well-beloved of Cybele, and the Bacchus which they worshipped at Heiropolis. The Egyptians, Greeks and Ronians had temples ded; ** to Priapus, under the same form as that of the ಕ್ಗ The Israelites worshipped the same figure, and erected statues to it."
- Vide Journal of the Indiam Archipelego, vol. iii,