লিঙ্গপরামর্শ [ ২৭১ ? ] লিঙ্গবর্ষ দোৰ তৃতীয় বা চতুর্থ পটল প্রাপ্ত হইলে এই রোগ উপস্থিত হয়। মুশ্রুতে এই রোগ সম্বন্ধে এইরূপ পরিচয় পাওয়া যায়-সৃষ্টিবিশারদ পণ্ডিতেরা বলেন যে, মানবের দৃষ্টি পঞ্চভূতের গুণ হইতে সমুদ্ভূত, বাস্থপটল অধ্যয় তেজ কর্তৃক আবৃত, শীতলপ্রকৃতিবিশিষ্ট এবং খড়োতের বিষ্ণুলিদয়ে নিৰ্ম্মিত মহুয়ালপরিমাণে বিবরাকৃতি দোষ সকল ৰিগুণ হইয়া শিরাসমূহের অভ্যন্তরে গমনপূৰ্ব্বক দৃষ্টিশক্তির হ্রাস করিয়া থাকে। দোষ চতুর্থ পটলে অবস্থিতি করিলে তিমিররোগ হয়। ইহাতে এককালে দর্শনশক্তির রোধ হইলে লিঙ্গনাশ কছে। এই রোগ অতিগভীর না হইলে চঞ্জ, সুর্য্য, বিদ্যুৎ ও নক্ষত্রবিশিষ্ট আকাশ দেখিতে পাওয়া যায় এবং নিৰ্ম্মলতেজ ও জ্যোতিঃপদার্থ দৃষ্টিগোচর হয়। লিঙ্গনাশরোগের এই অবস্থাকে নীলিকাকাচ কহে । এই লিঙ্গনাশরোগ বাতাদি দোষে দুষ্ট হইয়া নানাবিধ হইয় থাকে। লিঙ্গনাশরোগ বায়ুকর্তৃক জন্মিলে সকল পদার্থ অরুণ বর্ণ, সচল ও আবিল দেখায়। পিত্ত কর্তৃক হইলে আদিত্য, খদ্যোত, ইন্দ্ৰধনু, তড়িৎ ও ময়ূরপুচ্ছের স্থায় বিচিত্র নীল অথবা কৃষ্ণবর্ণ দৃষ্ট হয়, অথবা সমস্ত জলপ্লাবিতের ন্যায় দেথায়। রক্ত কর্তৃক জন্মিলে সমস্ত রক্তবর্ণ ও অন্ধকারময় দেখায়। কফজন্তু এই রোগ জন্সিলে—সমস্তই খেতবর্ণ ও স্নিগ্ধ দেখায়। সন্নিপাত কর্তৃক হইলে সকল পদার্থ হরিত, কৃষ্ণ, ধুম্র প্রভৃতি বিচিত্রবর্ণবিশিষ্ট ও বিদ্যুতের স্তায় বোধ হয় । সকল পদার্থই দ্বিধা বা বহুধা দৃষ্ট হয়, অথবা হ্রস্ব, দীর্ঘ, বা জ্যোতিঃস্বরূপ দৃষ্ট হইয়া থাকে। লিঙ্গনাশরোগে ছয় প্রকার বর্ণ হইয়া থাকে । বায়ুজরোগে দৃষ্টমওল রক্তবর্ণ, পিত্ত কর্তৃক পরিয়ারিরোগ বা নীলবর্ণ, শ্লেষ্মকর্তৃক শ্বেতবর্ণ,শোণিত কর্তৃক রক্তবর্ণ এবং সন্নিপাত কর্তৃক বিচিত্রবর্ণ হয়। পরিমায়িরোগে দৃষ্টিমগুলে রক্ত জন্য অরুণবর্ণ মণ্ডলাকার স্থূলকাচ জন্মে, অথবা সমস্ত মওল ঈষৎনীলবর্ণ হয়। এই রোগে কখন কখন আপন হইতে দোষ ক্ষয় হইয়া দৃষ্টিশক্তি প্রকাশ পায় । (স্বপ্রতি উত্তরত” নেত্ররোগাধি” ) [ ইহার চিকিৎসাদির বিষয় লেত্ররোগশৰো দেখ। ] ২ লিঙ্গস্ত নাশঃ । হুঙ্কদেহের বিনাশ, মোক্ষ । বহ্নেধর্থ বােনিগতত মূৰ্ত্তিন দৃপ্ততে নৈব চলিঙ্গনাশঃ ” ( শ্বেতাশ্বতর উপ” ১১৩ ) লিঙ্গমাশঃ হুঙ্কজেহস্ত বিলাশঃ ” (শঙ্কর ) ৩ বঙ্গ রোগ। শিল্পোখানশক্তির রাহিত্য। এ পরিণত মধ্যাৰ চিহ্নাদির বিলয় । -- লিঙ্গপরামর্শ (পুং) হারোক্ত লক্ষশক্তি সীমাংসার প্রকার 繼 ভেদ। যেমন ধূমত, খুমচিহ্নই অগ্নিগ্ধ উৰোধক্ষ । ধুমচিহের অম্বুমান দ্বারা অগ্নি প্রতিপাদিত হইয়াছে বলিয়া উহা লিঙ্গপন্থামর্শে সিদ্ধ হইয়াছে বুঝিতে হইবে। লিঙ্গপীঠ ( ক্লী) মন্দির মধ্যে যে চত্বঘ্নোপরি দেৰলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত থাকে, উহাকে গর্ভপীঠও বলা যায়। (রাজতরঙ্গিণী ২।১২৬) লিঙ্গপুরাণ ( ক্লী) মহর্ষি বেদব্যাস প্রণীত একখানি পুরাণ গ্রন্থ। ইহার বিশেষ বিবরণ পুরাণ শব্দে লিখিত হইয়াছে। [ পুরাণ দেখ। ] লিঙ্গপ্রতিষ্ঠাবিধি (পুং ) শিযাদি লিঙ্গস্থাপনপদ্ধতি। लिन्नडग्ने, जनक अभग्नाकोबीको-ब्रब्रिङ । লিঙ্গমাহাত্ম্য (কী) দেবলিঙ্গের মহৰ। পুরাণাদিতে তীর্থঙ্কর তত্তস্থানের দেবলিঙ্গের মহিমা কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। জলপুরাণের অবস্তিখণ্ডে ইহার বিশেষ বিবরণ পাওয়া যায় । লিঙ্গমুৰ্ত্তি (পুং ) লিঙ্গরূপী মুষ্ট্রিযন্ত । শিব। লিঙ্গয়সূরি, অমরকোপাতিপ্রণেতা। বদলাম জটা পাধ্যায়ের পুত্র। লিঙ্গরোগ (পুং ) লিঙ্গত রোগঃ । গিঙ্গের রোগ, উপদংশরোগ, চলিত গরমির পীড়া । “হস্তাভিঘাতায়খদন্তঘাতাদধাবনাদতুল্লাপসেবনাদ্ধা । যোনিপ্রদোষাচ্চ ভবস্তি শিল্পে পঞ্চোপদংশ বিবিধোপচারৈঃ ॥ ( ভাবপ্র” উপদংশয়োগাধি” ) লিঙ্গদেশে হস্ত, নখ বা দস্ত দ্বারা অভিঘাত হইলে, শিশ্নপ্রক্ষালন না করিয়া অপরিষ্কার রাখিলে, অতিরিক্ত স্ত্রীপ্রসঙ্গ করিলে, দূষিত যোনিতে উপগত হইলে এবং অন্তান্ত মানাপ্রকার অপচার দ্বারা শিশ্লদেশে বাতিক, শ্লৈষ্মিক, সারিপাতিক ও রক্তজ এই পাচ প্রকার উপদংশ রোগ হয়। [উপদংশরোগ শব্দ দেখ ] লিঙ্গলেপ ( পুং ) রোগভেদ। 瞬 লিঙ্গবং (ত্রি) ১ চিহ্নযুক্ত। ( ভাগ” ৭২২৪ ), লিঙ্গোপাসক বা শিবলিঙ্গধারী শৈব সম্প্রদায়ভেদ । অধিকসম্ভব এই লিঙ্গবৎ শক্ষা হইতে দাক্ষিণাত্যের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের নামকরণ হইয়াছে। লিঙ্গবন্ধ (পুং ) লিঙ্গং বন্ধতীতি বৃধ-ণিচ-অৰ্চ, ১ কপিখবৃক্ষ । ( শাচ" ) ২ লিঙ্গকৃদ্ধিকরণ, লিঙ্গের বর্দ্ধন। গরুড় পুরাণে লিখিত আছে- 必 "कष्ट्रेख्न अझाङक् ठूश्डौफ्शनामिभू। ববলৈঃ সাধিতং লিপ্তং লিঙ্গং তেন বিবৰ্দ্ধতে ॥ অপিচ-- কুণ্ঠমাবমরীচালি তগল্পং মধুপিপ্পলী । অপামার্গাখগন্ধ চ বৃহতীলিতসর্বপা ৷ বৰান্তিলং সৈন্ধৰঞ্চ পাণিকোষঙ্গং গুজম্। লিঙ্গৰাহক্সানাঞ্চ কর্ণয়োখঙ্কিভেবেৎ।” (গল্পতৃপু ১৮.স)
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/২৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।