cलीश् গবর্ণমেণ্ট বরাকর আয়রণ গুয়ার্ক একটা স্বতন্ত্র কোম্পানীকে বিক্রয় করেন । উপরোক্ত পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক এখানে সৰ্ব্বপ্রথমে যুরোপীয় প্রথায় লৌহ গলাইবার কৌশল প্রদর্শন কম্নিয়াছিলেন । পরীক্ষা লৌহ এবং ইস্পাতের পার্থক্য-নির্দেশ করিতে হইলে, এক বিদু তীব্র নাইটিক এসিড উছাতে নিঃক্ষেপ করিবে; যদ্যপি তাহাতে কৃঞ্চবর্ণের দাগ হয়, তাহা হইলে উহাকে ইস্পাত বলিয়া জানিবে, আর লৌহ হইলে সবুজ চিহ্ন দেখিতে পাইবে। ধৰ্ম্ম বিশুদ্ধ লৌহ রূপার ন্যায় সাদা, পালিশ করিলে উজ্জ্বল দেখায়। লৌহকে ঘর্ষণ করিলে এক প্রকারীগন্ধ পাওয়া যায়। স্বত্রগুচ্ছের ন্যায় ইহার গঠন, এই নিমিত্ত ইহা ভারবহন করিতে সমর্থ। আপেক্ষিক গুরুত্ব-৭৭ ৷ লৌহ চুম্বকশক্তি ধারণ করিতে পারে। ইহা অকৃসিজেনের বিশেষ পক্ষপাতী, এইজন্ত ইহাকে অতি কণ্ঠে রক্ষা করিতে হয়। ক্লোরিণ, রেমিণ এবং আইওডিনের সঠিত সহজে যৌগিকভাব লাভ করে। জলমিশিত সালফিউরিক এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড়ে গলিয়া যায় এবং সেই সময়ে হাইড্রোজেন বাষ্প বহির্গত হইয়া থাকে। ১৪৫ আপেক্ষিক গুরুত্বের নাইটিক এসিডে লৌহের কোন পরিবর্তন হয় না, কিন্তু জলমিশ্রিত নাইটকৃ এসিডে ইহা সহজে গলিয়া যায় । ইহার আণবিক গুরুত্ব ৫৬ ৷ शुरुट्? লৌহের ব্যবহার সম্বন্ধে বর্ণনা করা অত্যুক্তি মাত্র। বালক, বৃক্ষ, যুৱা সকলেরই লৌহের উপযোগিতা বিয়ে জ্ঞান আছে। লৌহ প্রচুর পরিমাণে ও নানাবিধ রূপে ঔষধে প্রযুক্ত হইয় থাকে। এলোপাথিক মতের ঔষধাদিতে লৌহের যে যৌগিকগুলি প্রধানতঃ ব্যবহৃত হয়, তাহার বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হইল। বৈষ্ঠকমতের ঔষধাদি ও লৌহের গুণাগুণ যথাস্থানে বিবৃত হইয়াছে । [ রসায়ন ও লোহশক দেখ । ] লৌহের যৌগিকবৃঙ্গ । লৌহ প্রধানত দুই শ্রেণীর যৌগিক উৎপাদন করিয়া থাকে। যথা,-ফেরাস এবং ফিরিক্ । Ferrous oxide Fe0 Ferrous liydrate Fe (O{1)2 Ferroso-ferric OxideFe3O4 Ferrous chloride FeCla Ferrous iodide Fel2 Ferrous sulphide Fe8 Ferrous carbonate FeC08 Forrous Phosphate Fe3P2 O8,8520-FeFO4, 2H20. Ferric hydrate Fe2(OH)6 Ferrous sulphate FeSO4 Ferric oxido Fe2O3 Ferric Chloride Fe2Cl6 Ferric sulphide FeS2 [ లిబిసి ) cतौर _ _ ফেরাস্ অক্সাইড।—ইহা ক্ষণস্থায়ী পদার্থ। হিরাকসের জলে ক্ষারঘটিত দ্রাবণ মিশাইলে শ্বেতবর্ণের হাইড্রেট অধঃস্থ হয়, কিন্তু উহ। তৎক্ষণাৎ বায়ুর অকৃসিজেনের দ্বারা ফেরিক অবস্থায় পরিণত হইয়া থাকে। শ্বেতবর্ণ হইতে ক্রমে ক্রমে সবুজবর্ণ এবং পরে লোহিতাভাযুক্ত হয়। ফেরাস্ ক্লোরাইড।-গোঁহকে হাইড্রোক্লোরিক এসিডে দ্রবীভূত করিলে প্রস্তুত হয়। ইহা অতিশয় জলশোষক পদার্থ। দেখিতে সবুজ, জলে এবং আল্কহলে দ্রাবণ উৎপাদন করিয়া থাকে। বায়ুতে ইহা বিকৃত হইয়া ফেরিক ক্লোরাইড, এবং অক্সাইডরূপ ধারণ করে। ফেরাস্ আইওড়াইড।—আইওডিনের দ্রাবকের সঠিত লৌহ মিশ্ৰিষ্ঠ করিলে ইহা প্রস্তুত হষ্টয়া থাকে। ইহা বায়ুতে বিকৃত হইয়া যায়। এই নিমিত্ত চিনির রসের সহিত ঔষধ ব্যবহার করিধার বিধি আছে । ফেরাস সালফাইড।—ঙ্গিরাকসের দ্রাবকে ক্ষারঘটিত সাল ফাইড সংযোগ করিলে কৃষ্ণবর্ণের সালফাইড অধঃস্থ হয়। ইহাকে বায়ুতে রাখিয়া দিলে ফেল্লিক্ অক্সাইড এবং গন্ধক উৎপন্ন হয় । ফেরাস সালফেট বা হিরাকস —জলমিশ্রিত সালফিউরিক এসিড দ্বারা লোহকে দ্রবীভূত করিলে ইহা প্রস্তুত হইয়া থাকে। ইঙ্গ সবুজবর্ণ ও দানাদার পদার্থ। ইহার এক অণুতে ৭ অণু জল সংযুক্ত করিলেও দানার আকার নষ্ট হয় না। জলে এবং আল্কহলে সহজে গলিয়া যায়। লোঠিতোন্তাপে হিরাকস বিকৃত হইয়া সালফার ডাইঅক্সাইড, ও ট্রাইঅক্সাইড, বাপ এবং ফেরিক অক্সাইডে পর্যবসিত হয়। নট মন্ ( Nordhausen) সালফিউরিক এসিড, প্রস্তুত করিতে ইহা ব্যবহৃত হয়। হিরাকদের দ্রাবণ বায়ুপূষ্ট হইলে বেসিক ফেরিক সালফেট, জন্মিয় থাকে। ফেরা কাৰ্ব্বণেট।-হিরাকসের দ্রাবকে কাৰ্ব্বৰ্ণেট, অব, সোডা সংযোগ করিলে শ্বেতবর্ণের কার্কণেট, অধঃস্থ হয়, কিন্তু হাইড্রেটের স্তায় বায়ুস্থ অৰুধিজেনের সংযোগে ফেরিক হাইড়েট হইয়া থাকে। ফেরাস্ফটে —ফকেট অব সোডার দ্রাবণ হিরাকসের দ্রাবণে ঢালিয়া দিলে শ্বেতবর্ণের ফেরাস্ফস্ফেট অধঃপতিত হয়। ফেরিক অক্সাইড –ফেরিক ক্লোরাইডের দ্রাবকে ক্ষরঘটত দ্রাবক মিশ্রিত করিবামাত্র পটিকিল বর্ণের গুড়াবৎ পদার্থ নীচে পড়ে। ইহাকে হাইড্রেট কহে। হাইড্রেটের জল বিরিত করিলে অক্সাইড পাওয়া যায়। ফেরিক অক্সাইড ক্ষারাদি পদার্থে দ্রবীভূত হয় না। ইহা এসিডে গলিয়া থাকে ।
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৩৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।