পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশ (নদীমাল ) [ ৩৯২ ] বঙ্গদেশ (ভূতত্ত্ব ) - -T ক্টাকশিয়ালী, কাল, কাসবাশ, কাপ্তাই, কর্করী, উত্তর ও দক্ষিণ কারো, কাশাই, কসালঙ্গ, কাশীণs, কন্তুয়াখাড়ী, কটুকী, কটুনা, কয়, কেলে, কিউল, খয়রাবাদ, খালানী, ধারী, খড়িয়া, খরখাই, খগুয়া, খাটস, খোলপেটুয়া, খুম্বিয়া, কিমিরিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ কোয়েল, কোহের, কোইনা, কুষ্টয়া, কুকুষ্ট, কুলটগাঙ্গ, কুমারী, কুলুর, কুশভদ্র, কৌশিকী বা কুশ, লাহাওাই, লক্ষ্মীয়া, লক্ষ্মীদোন, লালবক্য, লীলাজন, ছোট রণজিৎ, ছোট বগান, লোক, লোরান, মাদার, মাতামুড়ি, মহোন, মহানমা, মাষ্টপাড়া, মান, মন্ত্র, মরা হিরণ, মেঘনা, মরানী, মরা-তিস্ত, মর্জাত বা কাজানদী, মরিচ্ছাপ-গাঙ্গ, মসান, মাতাভাঙ্গা বা হাউলী, মাতাই, মাথামুড়ী, মাতলা বা রায়মাতলা, ময়ূরাক্ষী, মেচ, মেনিথালী, মোহনী, মুছর, মুজনাই, মুরহর, মুড়িখাণী, নাগর, নক্তি, নমাকুজা, নারদ, মরশিলা, নর্তা, নেয়ুর, নীলকুমার, নুননদী, মুনা, পর, পাইকা, পণার, পঞ্চান, পাচপাড়, পাগুষ্ট, পাঙ্গালী, পৰ্ব্বাণ, পসর, পাটকি, পাতরে, পটুয়াখালী, ফন্তু, ফেণী, ফুলঝুর, পিয়ালী, পীতামু, পিথ রাগঞ্জ, প্রাচী, পুণ পুন, পূর্ণভবা (পুনর্ভবা , রায়ঢাক, রায়-ম, রাম্মান বা রন্মান, রামরায়ক, রন্থেওঙ্গ, রংগুন, রণজিৎ, রারো, রাগদা, রড়য়া, রেহর, রোলী, রূপনারায়ণ, রূপসা, সালী, শালী, শালিগ্রাণী, গেণ্ডকাংশ), সন্দীপ, সঞ্জয়, সঙ্কোশ, সরস্বতী, সপ্তয়, সাতখড়িয়া, সৌরী, শাহবাজপুর, শিয়ালডাঙ্গা, শিয়ালমারী, শিবসা, শিথারণা, শিঙ্গ, সিংস্করণ, সিঙ্গিয়া, সিংহামারী, শোভনী সোণাই, সোণাখালী, শঙ্কুয়, ঐ, সুবর্ণরেখা, শুল্ক, শূরা, তলাব, তালেশ্বর, তাম্লানদী, তঙ্গন, তেরলে, তিলেয়া, তিলাই, তিলযুগ, তিতাস, তুলসীগঙ্গা, তুণীনদী প্রভৃতি । উপরোক্ত নদী বা তাহার শাখাসমূহ এবং তাঙ্গদের সংযুক্ত খালগুলি বাঙ্গালার বিভিন্ন স্থানে বিস্তারিত থাকায় কৃষিকে এাদিতে জলদানের যেরূপ স্ব,বধা ঘটিরছে, নৌকাযোগে পণ্যদ্রব্য লষ্টয়া যাতায়াতেরও সেক্টরূপ স্থাযাগ আছে। ছুঃখের বিষয়, পারুতিক পরিবর্তম নদীর গন্ধি ভিন্মদিকে চালিত হওয়ায় অনেক নদীর প্রাষ্টীম পাত প্রায় শুষ্ক ষ্টয়া পড়িয়াছে । ঐ খাতগুলিতে বৰ্ষাঋতু ব্যতীত অল্প সময়ে অতি সামান্তই জল থাকে। এরূপ খাতগুলি মরাতিস্তা, বর্তীগঙ্গা প্রভৃতি নামে পরি চিত্ত । অপর কয়েকগুলিতে স্থানে স্বাrন আদে জল থাকে না । ইগর উপর, মালামানে রেলপথ বিত্বত হওয়ায় নদীবক্ষে সেতু BBB DDDDS BBB BB BB BBB BB DD DD পলিঙ্কাত চন্ন দ্বারা উহায় পরিসর ক্রমশঃ কম হুইয়া পড়িয়াছে। ভনেক মরা নদী ভরাট করিয়া তন্থপন্ধি লৌহবা বিস্তারিত চুইয়াছে। আবার রাজস্বের সুবিধা ও ৰাণিজ্যের ৰিস্তারকল্পে গবর্মেন্ট বাহাদুর স্থানে স্বামে নূতন খাল কাটিয়া একদেশবাসীর মঙ্গল এবং কোথাও নদীর গতি খালদ্বারা ভিন্ন দিকে চালিত করিয়৷ অপর প্রজার অমঙ্গল সাধন করিয়াছেন। পূৰ্ব্বতল অনেক নদীগর্ভ শুষ্ক হইয়া এখন শস্তক্ষেত্রে পর্য্যবসিত হইতেছে। তক্ষেণবালী জলকঃে হাহাকার করিতেছে। বারিপাতরূপ জগদীশ্বরের অনুকম্পা ব্যতীত তথাকার প্রজাবর্গের প্রাণরক্ষার আর অঙ্গ উপায় নাই। কোথাও বা লক্গেট, বাধ প্রভৃতির দ্বারা দেশরক্ষার বিধান হইয়াছে ; কিন্তু বস্তুতঃই সেগুলি স্থানীয় লোকের উপকারার্থে সাধিত বলিতে হইবে। স্বর্ণপ্রস্থ বাঙ্গাপায় নীর বাহুলা থাকিতেও এখন জলাভাব বশতঃ দুর্ভক্ষে ও জল্পকষ্টে প্রজাবৰ্গ প্রপীড়িত । নদী ব্যতীত স্থানে স্থানে কুপতড়াগাদি হইতে স্থানীয় জলাভাব বিদূরিত হইতেছে। সিংহভূম, মানভূম, হাজারিবাগ প্রভৃতি ছোট-নাগপুরের নানাস্থানে পাৰ্ব্বতীয় ক্রমোচ্চ-নিম্ন ভূমিতে বাধ দিয়া জলরক্ষার ব্যবস্থা আছে। তথাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলধারা ব্যতীত এই বাধগুলিই স্থানীয় লোকের বিশেষ উপকারী। উড়িষ্যার চিলকাভুদ ব্যতীত বাঙ্গালার আর সেরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যপূর্ণ হ্রদ দৃষ্ট হয় না। উহার জল লবণাক্ত থাকায় সাধারণের নিকট ততদূর আদরণীয় নহে । কলিকাতার দক্ষিণস্থ বিস্তৃত “বাদা ভূমি” গবর্মেন্টের তালিকায় Salt lak” বলিয়। উক্ত আছে। মুঙ্গের, রাজগৃহ, ভাগলপুর, সিংহভূম, বীরভূম প্রভৃতি নানা স্থানে নানা শীতল, লবণ ও উষ্ণ জলপূর্ণ প্রস্রবণ দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ সকল স্থান বহু প্রাচীনকাল হইতেই তীর্থক্ষেত্ররূপে বিদিত হইয়া আলিতেছে । আকাশগঙ্গা, লবণাখ্যা, মোতিঝরণা, ঋষিকুও, সীতাকুগু, স্বৰ্য্যকুও প্রভৃতি নামে ঐ সকল প্রশ্ৰষণতীর্থ বিদিত । ইহান্ধের বিশেষ বিবরণ জেলা প্রসঙ্গে লিখিত হইয়াছে। প্রস্রবণগুলি যে প্রাচীনত্বের পরিচায়ক, তাহা ৰাঙ্গালার খুৰঞ্জলোচনা করিলে সহজেই উপলদ্ধি হইতে পারে। छूडच । ভূতত্ত্ববিদগণ বিশেষ গবেষণা ও কলঙ্ক হইয়া স্থির করিয়াছেন যে, নিম্নৰঙ্গর অধিকাংশধৰ সমুদ্রগঞ্জে নহত ছিল। কালবংশ সমুদ্রগণ্ড ৰতই পশ্চাতে ছটিয়া গিয়াছে, ততই নিমবঙ্গ চৱন্ধপে অদ্ভু্যথিত্ত হইয়া জনসমান্ডের বাসভূমিৰূপে পরিণত হইয়াছে। ভূগর্ভনিছিন্ত শংক মৎস্কাদির প্রস্তরীভূত অস্থি এবং নীভূত মৃন্তরানি ডাহা সপ্রমাণ করিতেছে। মহাভারতেৰ বনপর্কের ১১৩ অধ্যায় যুধিষ্ঠিরের তীর্থযাত্রাবিষয়শে