বঙ্গদেশ (খিলজীবংশ ) [ 8ર ] বঙ্গদেশ (খিলজীবংশ ) বাঙ্গালা রাজ্যের পশ্চিম অংশ হস্তচু্যত হওয়ার বহুদিন পর পর্যন্তও হিন্দুরাজগণ পূৰ্ব্ব-বাঙ্গালার সোশারগাও প্রভৃতি স্থানে রাজত্ব করিয়াছিলেন। কিন্তু ১২৯৯ খুঃ অন্ধের পুৰ্ব্ব হইতেই সোণারগাও মগরে মুসলমানগণের সমাগম ঘটিয়াছিল। খুষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতেও বসোরার আরব সওদাগরগণ ভারতবর্ধ ও চীনের সহিত বহুল পরিমাণে সামুদ্রিক বাণিজ্যে নিযুক্ত ছিলেন। তাহারা যে সকল দেশে পরিভ্রমণ কল্পিতেন, তথায় এক একটা বাণিজ্যাবাস স্থির করিয়া যান। বাঙ্গালার বাণিজ্যপ্রাধান্ত হইতে আমরা বেশ বুঝিতে পারি যে, অতি পূৰ্ব্বকাল হইতে বাঙ্গালায় মুসলমানদের উপনিবেশ স্থাপন করার স্বৰোগ ঘটিয়াছিল। প্রাচীনকালে পশ্চিম জগতেয় সহিত এ দেশের যেরূপ ৰহুল পরিমাপে ৰাণিজ্যাদি চলিত, খৃষ্টীর ৯ম শতান্সে লিখিত দুই জন মুসলমান গরিব্রাজকের ভ্রমণবৃত্তান্তে তাহার সবিশেষ উল্লেখ আছে। তাহার “এ দেশকে স্বামি রাজার দেশ বলিয়া” উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । আরও বলিয়াছেন—“র্তাস্কার অসংখ্য হস্তী আছে । বাঙ্গালার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য যুগ্ম তুলার কাপড় (ঢাকাই মসলিন ? ), অগুরু চন্দন, এক প্রকার চৰ্ম্ম, গণ্ডারের খড়গ ইত্যাদি। এই সকলই কড়ি বিনিময়ে ক্রয় করা যায়। কড়িই এ দেশের প্রচলিত মুদ্ৰা ।” মুসলমান রাজত্বের ইতিবৃত্ত । ( প্রথম শাসনকাল। ) মহম্মদ-ই-বখতিয়ার খিলজী ঘোরের একজন অমাতা ছিলেন। সুলতান গিয়াস উদ্দীন মহম্মদ শাহের রাজত্ব সময়ে তিনি গজনীতে আসেন। সেই স্থানে কিছুদিন থাকিয়৷ তিনি ভারতবর্ষে উপনীত হন এবং মালিক মুয়াজ্জিম হিসাম উক্ষীনের অধীনে চাকরী গ্রহণ করেন। ইনি সুলতান শাহাব, উদীনের একজন প্রসিদ্ধ সদস্ত ছিলেন । ১১৯৯ খৃঃ অৰে তিনি বাঙ্গাল আক্রমণপূৰ্ব্বৰ ১৯•৩ খৃঃ অন্ধের মধ্যে রাঢ় ও বরেন্দ্র নামক প্রদেশ জয় করেন । “তৰকৎ ই-নাসিরী” নামক ইতিহাসে লিখিত আছে, লক্ষণरुउँ बामक ब्रोरखाब अस्वर्गड मौज्ञ मणब्र ब्रात्र गइभगिग्नाश द्रात्रशानैौ । श्रजांनौब्र फेउग्नकूरण भै ब्राह्छाद्र शृंहे? दाह আছে । পশ্চিম বাছকে রাঢ় বলে। লক্ষ্মণাবতী নগরী এক্ট অংশে অবস্থিত। পূৰ্ব্ব বাহর নাম বরেন্স বা বয়েজ, দেওকোট নামক নগরী এই বরেন্দ্রভূমে অবস্থিত। নদীরা এবং লক্ষ্মণাবতী উভয় मश्वब्रहे ब्रांङ्ग «थरक्ष दिछमांन । किब्रिजांब्र निश्ऊि श्रांरह, भश्झम३-२५डिशंद्र मशैश जरबङ्ग जवावश्डि रब्रहे नकनीषर्डौ ७ জন্তা রাখাগুলি জঙ্কিা করিলেন। তাছার নামে খুৎবা পাঠ এবং মুত্র প্রচারিত হইল। যে সকল মুসলমান তাহার সহিত আসিয়াছিলেন, বা পরে র্যাহারা আলিরা তাহার সহিত যোগদান করিয়াছিলেন, তাহার এই নূতন বিজিত প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হইলেম । তাহারা জায়গীরস্বরূপ অনেক ভূসম্পত্ত্বি লাত করিয়াছিলেম। গৌড় বা লক্ষ্মণাবতী নগরে বখতিয়ার রাজধানী স্থাপন করেন। [ লক্ষ্মণসেন দেখ। ] বরেন্দ্র এবং রাঢ় ১২০৩ খৃঃ অন্ধে মুসলমান শাসনাধীন হইলেও, প্রকৃত বঙ্গদেশ বা বাঙ্গালার পূৰ্ব্বাংশ মহম্মদ তোগলক শাহের রাজত্বকালে মুসলমানকর্তৃক ১৩৩০ খৃঃ অন্ধে অধিকৃত হয়। গৌড়, সপ্তগ্রাম এবং সুবর্ণগ্রাম নগর বা বন্দরে উক্ত সম্রাটের প্রতিনিধিগণ রাজধানী স্থাপন করিয়া রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন। মহম্মদ-ই-বখতিয়ার খিলজী হইতে আরম্ভ করিয়া কাদর খার শাসন সময় পৰ্য্যন্ত বাঙ্গালী দিল্লী-সাম্রাজ্যভূক্ত ছিল। তৎকালে দাস, খিলজী ও তোগলকবংশীয় দিল্লীশ্বরগণ আপন আপন প্রতিনিধি দ্বারা বাঙ্গাল শাসন করিতেন। কিন্তু সুলতান ফথর উদ্দীনের রাজত্ব সময়ে বাঙ্গালা দিল্লীর অধীনতা উন্মোচন করিয়া স্বাধীন হইল ( ১৩৪০ খৃঃ অঃ )। তিনি বাঙ্গালা রাজ্যের সমগ্র শাসনশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করিয়া আপনাকে স্বাধীন বাদশাহ বলিয়া ঘোষণা করেন। যতদিন মা অকৰয় বাদশাহ দায়ুকে পরাজিত করিয়৷ খৃষ্টীয় ১৫৭৬ অম্বে বাঙ্গালার স্বাধীনতা হরণ করিয়াছিলেন, ততদিন বাঙ্গালা পাঠানজাতির অক্ষুঞ্জ প্রতাপ ও অপরিসীম অত্যাচার অকুষ্ঠিত চিত্তে সহ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। কবিকাহিনীতে তাছা বিশেষরূপে বিবৃত আছে। মহম্মদ-ই-বখতিয়ার স্বীয় অধিকৃত বাঙ্গলা প্রদেশ দুই খণ্ডে বিভক্ত করিয়াছিলেন। বরেন্দ্রভূমি ও বগড়ীর কিয়দংশ লইয়া ষে বিভাগ গঠিত হয়, দিনাজপুরের নিকটবর্তী দেবকোট নামক স্থানে তাহার রাজধানী ছিল । অপর বিভাগের রাজধানী গৌড় বা লক্ষ্মণাবতী। রাঢ় ও মিথিলার কিয়দংশ তাছার অন্তভুক্ত । মুসলমানপতি উত্তর-প্রদেশবাসী হিন্দুরাজগণের আক্রমণ হইতে স্বাধিকৃত গৌড়রাজ্যরক্ষার জন্ত রঙ্গপুরে দ্বর্গ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । অতঃপর কামরূপ ও তিব্বত অধিকারে মানস করিয়া তিনি কামাতপুর-রাজের সহিত সন্ধিস্থাপন করেন; কিন্তু কামৰূপসেনার পরাক্রমে পাঠানগৈল্প সমূলে বিনষ্ট হয়। যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করিয়া মহম্মদ-ই-বখতিয়ার দেবকোটে প্রভাবৃত্ত হইলেন, তথায় বলক্ষয়ে ও চিন্তাজনিত জয়ে অল্পদিনের মধ্যেই • फेबइ बाढ़ी ऐष्टिशन, बोजनकोछ, sम ज१ण अिहेदा १
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৪২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।