[ &s& ) বর্ণলিপি - “ সক্ষত্ৰ বর্ণলিপি গণ আলোকিত হইয়া থাকিবেন । এ সম্বন্ধে এস্থলে দুই এক কথা বলা অপ্রাসঙ্গিক মনে করি না । ফিনিক-(Phoenician)-গণ প্রাচীন গ্রীক ও জৰ্ম্মণগণের নিকট ফোনিক বা ফনিক নামে পরিচিত। ফনিক্ জাতিকে আদি বণিক্জাতি বলা যাইতে পারে। ফণিক ও বণিক শবে উচ্চারণগত বেশী পার্থক্য নাই। সেমিটক ক্ষে = প। ঋগ্বেদের বহুস্থানে পণি" শব্দের উল্লেখ আছে। ৬ষ্ঠ মগুলের ৩ স্থক্তের ভাস্থ্যে সায়ণাচাৰ্য্য পশি শব্দের বণিকৃ অর্থ করিয়াছেন। এদিকে পাণিনির উণাদিসূত্র অনুসারে ‘পণধাতু হইতে বণিকৃ’ শব্দ নিম্পন্ন হইয়াছে, সুতরাং পণিক ও বণিক একই কথা । ঋগ্বেদে পণি-গুণ গোকুগ্ধ-ব্যবসায়ী অথচ সমৃদ্ধিশালী জাতিরূপেষ্ট পরিচিত। কুঙ্ক, ক্ষীর ও বুতাদি প্রস্তুত করিবার উপযোগী তাঙ্গদের ‘চতুঃশৃঙ্গ’ ও ‘দশযন্ত্র উৎস ( ৬৪৮৷২৪ ) নামক যন্ত্র ছিল। অঙ্গির প্রভৃতি বেদোক্ত যাক্সিকগণ তাছাদের ঘোর শত্রু ছিলেন ; সৰ্ব্বদাই তাছাদেব গোধন কাড়িয়া লইতেন । একারণ উভয় দলে ঘোরতর সংগ্রাম হইত। পণিগণ আক্রতু) ও “অযজ্ঞ বলিয়া ঋষিদিগের নিকট হেয় ছিল । খুকুসংহিতা মনোযোগপূর্বক পাঠ করিলে মনে হইবে যে, বৈদিক আৰ্য্যগণ ভারতে যখন প্রবেশ করেন, সেই সময়ে পশিগণ এথানে বসতি করিতেছিল। তৎকালে এখানকার লোক সমুদ্রযাত্রা করিত, তাহাও ঋকৃসংহিত হইতে জানা যায়। পণির ব্যবসা বাণিজ্য করিত (১।৩৩৩)। অনেকেব বেশ টাকা কড়ি ছিল ( ৪২৫৷৭ )। টাকাও ধার দিত । বৃদ্ধিমান বলিয়াও গণ্য ছিল । খৃঃ পূঃ ৭ম শতাৰো হিরোদোতস্ লিখিয়াছেন, ‘ফিনিকৃগণই আদি বণিক্ বলিয়া পরিচিত ছিল। তাহারা পুৰ্ব্বে পারস্তোপসাগরকুলে বাস করিত’। কেহ কেহ এরূপও লিথিয়াছেন যে, আফগানিস্থানেই তাহাদের আদিবাস। ফিনিকগণ কেদমস ( Redunus ) বা প্রাচ্য বলিয়া আপনাদিগের পরিচয় দিত। গ্রীক ঐতিহাসিকগণ পুৰ্ব্বভারতকে ( মগধ ) Prasii বা প্রাচ্য বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন । এরূপ স্থলে মনে হয় যে, পণিগণের সর্বাদিম বাস কীকট বা মগধ । ঋগ্বেদেও কীকটের গোপ্রাধান্ত বর্ণিত হইয়াছে গোই পণিগণের সর্বস্বধন । বৈদিক বাঞ্জিকগণের উৎপীড়নে ও আক্রমণে পর্যন্ত হইয়া ক্রমে তাহারা কেহ দাক্ষিণাতো, কেহ বা পশ্চিম দিয়া প্রথমে আফগানিস্থান, তথা হইতে পারস্তোপসাগরের উপকূল, তথা হইতে আরব এবং আরব হইত্তে তাহার। তাছাদের সৌভাগ্যকেন্দ্র ফিনিসিয়ায় • Pococke's ladia in Greece, p. 218. * ৰিং তে পূৰি কীৰটেৰুগাষ: " ( ৰক্ত ৩,৩৯৫ ) গিয়া উপনিবেশ করিয়াছিল। তৎপরে সভ্যতার লীলাস্থলী মিশরপ্রান্ত ও ভূমধ্যসাগর তাহদের অধিকারভুক্ত হয়। এখন কথা হইতেছে, পণিক-(ফনিক ) গণ যখন ভারত হইতেই য়ুরোপে গিয়াছে, তখন যুরোপীয় ফনিক হইতে ভারতীয় লিপির উৎপত্তি কিরূপে স্বীকার করা যায় ? আমাদের বিশ্বাস, সভ্যতার লীলাভূমি ভারত হইতেই অসম্পূর্ণ ক্ষণিকলিপির উৎপত্তি ঘটিয়া থাকিবে। পণিগণের মধ্যে যাহার দাক্ষিণাতো গিয়াছিল, সম্ভবতঃ তাহারাই দ্রাবিড়ীয় সভ্যতার মূল। তাহার যজ্ঞবিদ্বেষী ছিল এবং স্থানত্যাগের সহিত তাহাদের স্বভাবপরিবৰ্ত্তন ঘটিয়াছিল । সম্ভবতঃ পরবর্তী কালে তাহাদেরই কোন শাখা বাক্ষসন্ধাপ এবং তাছাদের মধ্যে অপর কোন পাথা বন্ত:ফল মূল দ্বারা উদরপূৰ্ত্তি করিত বলিয়া “বানর” নামে প্রসিদ্ধলাভ করিয়া থাকিবে। অতি পূৰ্ব্বকালে তাহাদের এক শাখা মিসবে গিয়া তথাকার চিত্রলিপি ভাঙ্গিয় ৫ হাজার বর্ষ পূৰ্ব্বে সঙ্কেত লিপির (Hieratic) স্বত্রপাত করেন । দক্ষিণভারতের সুপ্রাচীন বটেলেন্ত, লিপির ‘অ’, ‘ই’ প্রভৃতির রূপ সেই অতি প্রাচীন সঙ্কেত লিপির অনুরূপ, হইতেও কতকটা দাক্ষিণাত্যর সংস্রব সুচিত হইতেছে। p: বাণিজ্য কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহের জষ্ঠ সামান্ত লেখা পড়ার দরকার । সুতরাং পণিকদিগের বৈদিক বা সংস্কৃত বর্ণমালার মত বহুসংখ্যক বর্ণলিপির প্রয়োজন হয় নাই, এই কারণেই ফণিক-বর্ণমালায় অতি অল্প সংখ্যক অক্ষর দেখা যায়। থরোষ্ঠীলিপিমালার উৎপত্তি প্রসঙ্গে এবিষয় আলোচিত হইবে। দ্রাবিড়ায় সভ্যতা সমুদ্রপথে সুদূর পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য জনপদসমুছে বিস্তৃত হইলেও ভারতে আর্য বৈদিকগণের প্রভাবে তাছা অন্যদিকে ধাবিত হইয়াছিল । এখানে অগস্ত্যাদি আৰ্যখষিগণ দ্রাবিড়ী সমাজের সংস্কার করিয়া তাহকে আর্য্যভাবাপন্ন করিয়া লইয়া ছিলেন । তাই আজও অগস্ত্যঋষি দ্রাবিড়ে বর্ণমালা ও ব্যাকরণ-প্রবর্তক বলিয়া পরিগণিত এবং দ্রাবিড়ীলিপিতে ব্রাহ্মীলিপির আদশে বর্ণমালার সংখ্যাও বাড়িয়া গিয়াছে। ব্রাহ্মীলিপির উৎপত্তি । অল বেরুণী ভারতীয় পণ্ডিতগণের মুখে শুনিয়া লিখিয়া গিয়াছেন যে, পরাশরপুত্র বেদব্যাসই বর্ণলিপির উদ্ভাবল্পিতা । জৈনদিগের মতে, ঋষভদেব দক্ষিণ হস্ত দ্বারা ১৮ প্রকার লিপি শিক্ষা দেন, তন্মধ্যে আদি লিপির নাম ব্রাহ্মী। ভাগবতের মতে ঋষভদেব ভগবানের ৮ম অবতার। ( ১।৩।১৩) তিনি লোক, বেদ, ব্রাহ্মণ এবং গো সকলের পরম গুরু,
- "अ५ किकयङएकtषम ऊाक्रौ षचिनं क्tखम आहे॥१* शि°itङ्ग प्र*िछ: "
(লক্ষ্মীবল্লভগরিচিত কল্পসূত্ৰকল্পক্রমঞ্চলিক ,