বর্ণলিপি ১ তেলও কণাট, গ্ৰন্থতামিল ৩ বাটলেজ ও ৪ দক্ষিীনাগরী। বেঙ্গী, প্রাচ্য ও প্রতীচাচালুক্য ও যাদবলিপি তেলগু কণাষ্ট্রীর অন্তর্গত, ঐ সকল লিপি হইতেই প্রাচীন ও আধুনিক তেলগু ও কণাড়ী লিপির পুষ্ট । চের ও চোললিপি গ্ৰন্থতামিলের অন্তর্গত অর্থাৎ ঐ দুই প্রাচীন লিপি হইতেই প্রাচীন ও আধুনিক তামিল-গ্ৰন্থ ও তুলু-মলয়াল লিপির উৎপত্তি । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, প্রাচীন তামিল লিপির পূৰ্ব্বে বট্রেলেত্ত, নামক এক প্রকার থাটী দ্রাবিড়লিপির উৎপত্তি হইয়া অল্প দিন হইল অপ্রচলিত হইয়া পড়িয়াছে। বাটলেত্ত,। বট্রেলেত্ত্ব, অর্থাৎ বস্তু,ললিপি, এই লিপি গোল গোল হাতের মত বলিয়া এই নাম হইয়া থাকিবে। কত পুৰ্ব্বে এই লিপির উৎপত্তি, তাহা নিশ্চয় করা একপ্রকার অসম্ভব । ডাক্তার বুর্ণেল সাহেবের মতে, এই লিপি অশোকলিপি । হইতে সমুদ্ভূত নহে। অশোকলিপির সহিত ইহার ধষ্ঠাত্মক সাদৃপ্ত নাই। সংস্কৃত বৈয়াকরণদিগের দক্ষিণাত্যে আগমনের পূৰ্ব্বে এই লিপিই দ্রাবিড়লিপিরূপে প্রচলিত ছিল । তাহার মতে, অশোকের মৌর্যালিপির দ্যায় এই সুপ্রাচীন লিপিও সেমিটক লিপি হইতে উদ্ভূত। লেনরমণ্ট বট্রেলেত্ত ও সসনীয় (পহ্লবী ) লিপি মিলাইয়া উভয় অক্ষরে যথেষ্ট সাদৃশু বাহির করিয়াছেন । কিন্তু বট্রেলেত্ত্ব, বহুকাল হইতে ব্রাহ্মাদ্রাবিড়ীলিপির প্রভাবে ক্রমেই অচল হইতে থাকায় ইহার প্রাচীনতম রূপ বাহির হইতেছে না। পুৰ্ব্বেই বলিয়াছি, উত্তরভারত হইতে পণিকগণের এক শাখা দাক্ষিণাত্যে গিয়া পড়িয়াছিল, তাহারাই আদি বট্টেলেণ্ডুলিপি ব্যবহার করিত, তাহারা সেই অতি প্রাচীনকালে কাহারও নিকট হইতে লিপি গ্রহণ করে নাই । মিসবে অতিপ্রাচীন সঙ্কেত (Hierate) লিপিতে অকার ও ইকার লিপি উচ্চারণের যে সঙ্কেত আছে, তাহার সহিত বটেলেক্ট্রর সেীসাপ্ত রতিয়াছে। এরূপ স্থলে আমরা মনে করিতে পারি, দ্রাবিড়বাসী পণিকদিগের বাণিজ্যলিপি সুদূর মিসরে প্রচারিত হইয়া সঙ্কেতলিপির আকার ধারণ করিয়াছে। ডাক্তার টেলর দেখাইয়াছেন যে সেই সঙ্কেতলিপিষ্ট সিদোন, মোআব, অরম, সেবায়, যোক্তান প্রভৃতি স্থানীয় ফিনিক বা সেমিটক লিপির জননী । সুতরাং দ্রাবিড়ের আদি লিপিকেও আমরা সুপ্রাচীন বঙ্গ পাশ্চাত্য-লিপির মূল বলিয়। গণা করিতে পারি। খৃষ্টীয় ৮ম শতাদের প্রারস্তে দ্রাবিড়ের হিন্দুরাজগণ সিরীয়দিগকে যে শাসন দান করেন, তাছাতেও বটেলেগু, অক্ষর | পাওয়া গিয়াছে। ঐ সময়েরই অল্পকাল পরে (খৃষ্টয় * | [ tనన } বর্ণলিপি শতাৰে ) চোলরাজগণ মন্থর অধিকার করিয়া তামিল অক্ষর চালাইতে থাকেন, এই সময় হইতেই বাটলে বিরলপ্রচার হইল, অবশেষে খৃষ্টীয় ১৫ শতান্ধে দ্রাবিড় হইতে এই লিপি একবারে উঠিয়া গেল। কেবল মলবার উপকূলে খৃষ্টীয় ১৭শ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত হিন্দুগণ ঐ লিপি ব্যবহার করিতেন। এই সময়ে বাটলেও, অক্ষরই একটু বিকৃত করিয়া কোলেলেতু ৰাম ধারণ করে, হিন্দুরাজগণ দানপত্রে ঐ লিপি চালাইয়া গিয়াছেন। তেলিচেরি ও নিকটবর্তী দ্বীপবাসী মান্ধিলাগণ সে দিন পর্য্যস্ত বট্রেলেত্ত, অক্ষরেই লেখাপড় করিত, সম্প্রতি ধৰ্ম্মেয় গোড়ামীতে তাধারা ঐ লিপি ছাড়িয়া আরবী অক্ষর ব্যবহার করিতেছে। मङ्गौ ब्रiश्रृौ । দাক্ষিণাত্যে যে নাগরী লিপি প্রচলিত হয়, তাহ মর্মীনাগরী নামে প্রসিদ্ধ। ১৯৩১ খৃষ্টাব্দে আলীরুণী যে সিদ্ধমাতৃকা’ লিপির উল্লেখ করিয়াছেন, ঐ সময়ে এই লিপি বারাণসী, মধ্যদেশ ও কাশ্মীরে প্রচলিত ছিল, তাহাই খুষ্টীয় ১১শ শতাব্দ দাক্ষিণাতে আনীত হয়। তাই আমরা খুষ্ট্ৰীয় ১১শ শতাব্দীর পুৰ্ব্বে দাক্ষিণাত্যে সিদ্ধমাতৃকার ব্যবহার দেখি না, সমস্তই ১০ম শতাব্দীর পরবর্তী। কেবল মহাবলিপুরের শালবন্কল্প: নামক গ্রামের নিকটবর্তী অতিয়ণচণ্ডেশ্বরের মন্দিরে দাক্ষিণাত্যলিপির সহিত নাগরীলিপি দৃষ্ট হয়, এই লিপিখানি দাক্ষিণাত্যবাসীর জন্ত নহে, উত্তরভারতীয় তীর্থযাত্রীর উদ্দেশুে উৎকীর্ণ হইয়াছিল, তাহ দেখিলেই বোধ হয় । ১৩১১ খৃষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে মুসলমান অভিযান ঘটিলে এবং সংস্কৃতচর্চার লীলাভূমি বিজয়নগর মুসলমানকবলিত হইলে সংস্কৃত ও দেশীয় সাহিত্যের অধঃপতনের সহিত এথানে নাগরীলিপির প্রচারও বিরল হুইয়। পড়িল । এ সময়ের পর দক্ষিণাত্যে যে সকল নাগরীলিপি ( কলকপ্পড় ) পুথি ও শাসনাদি পাওয়া যায়, তাহাতে লিপিপদ্ধতির বিরুতি ও অধোগতিই দৃষ্ট হয়। মরাঠার তঞ্জোর অধিকার করিয়া এথানে যে নাগরী প্রচলিত করেন, তাহ বালবোপ’ নামে সাধারণতঃ পরিচিত । গ্রন্থসিপি | দক্ষিণাত্যে এক সময়ে ধৰ্ম্মশাস্ত্র লিখিতে যে লিপি ব্যবস্ত হুইত, তাহাই “গ্রন্থ" নামে পরিচিত। এই গ্রন্থলিপি আবার দুই প্রকার, তন্মধ্যে তঞ্জোরপ্রদেশের ব্রাহ্মণের যে লিপি ব্যবহাল করেন, তাহ কতকটা চতুৰ্বল এবং অরক ও মাশ্রাজের নিকটবgা জৈনেরা যে লিপি ব্যবহার করেন, তাহা কতকট। ૨૬ નાના দক্ষিণাত্যে ব্রাহ্মণদিগের অধিকাংশ ধৰ্ম্মগ্রন্থই উক্ত গ্রন্থলিপিতে লিখিত। দক্ষিণাত্যের পশ্চিমাংশে তুলু-মলয়ালম নামে আর একপ্রকার গ্রন্থলিপি বহুকাল হইতে প্রচলিত
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৫৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।