রোম-সাম্রাজ্য [ gv | রোম-সাম্রাজ্য সিংহাসন সমুজ্জ্বলকারিণী টলেমিৰন্ত বীরাঙ্গণ ক্লিওপেট্রোর মনোমোহনরূপে মুগ্ধ হইয়া তাছাকে অর্ধাঙ্গিনী করিবার জন্ত স্বীয় সাম্রাজ্য বিনিময় করিতে কুষ্ঠিত হইলেন না। কামপ্রবৃত্তির কৃতদাসরূপে তিনি আপনার অমূল্য জীবন রাজকুমারীর চরণতলে বিকাইলেন। র্ত্যহাতে কায়মন সমর্পণ করিয়া প্রণয় ভিক্ষা চাহিলেন । শেষে বিবাহবন্ধনচ্ছেদন করিয়া আপনার প্রিয়তমা পত্নী অক্টেভিয়াকে বিসর্জন করিলেন। একদিকে আণ্টনি যেমন জীবনপণে প্রাশের আরাধ্য প্রণয়প্রতিমা লাভ করিলেন, অপরদিকে তেমনি তিনি অক্টেভিয়ার অপমানে ও কুঃখে তাত্রাতা অক্টেভিয়ানের হৃদয়ে দারুণ প্রতিহিংসাবহি প্রজলিত করিলেন। অক্টেভিয়ান স্বীয় ভগিনীপতি আন্টনিকে সমুচিত দ্বও দিতে প্রস্তুত হইলেন। এই কুকশ্বের জন্য সেনেট আন্টনিকে সেনানায়কত্ব হইতে বঞ্চিত ও পূৰ্ব্ব-সাম্রাজ্যের আধিপত্য হইতে পদচ্যুত বলিয়া ঘোষণা করিলেন এবং রাস্ত্রী ক্লিওপেটার বিরুদ্ধে রোমক অভিযান প্রেরণে আদেশ প্রচার করিলেন । তদনুসারে অক্টেভিয়া রোমকবাহিনীর অধিনায়ক হইলেন। ৩১ খৃঃ পূঃ ২রা সেপ্টেম্বর অষ্টিয়াস রণক্ষেত্রে উভয় পক্ষে ঘোর সংঘর্ষ উপস্থিত হইল। আণ্টনি যুদ্ধে পরাভূত হইয়া প্ৰাণ লইয়া পলাইয়া গেলেন । কিন্তু শক্রহস্তে সন্মানরক্ষায় অসমর্থ হইয়া তিনি ও ক্লিওপেট আত্মহত্যা করিয়া ইহজীবনের ভার হরণ করিলেন (৩০ খৃ: পূ: )। তদনন্তর রোমকসৈন্তু ২৯ খৃ: পুৰ্ব্বাদের মধ্যে সমস্ত প্রাচ্য ভূভাগ বশীভূত করিয়া লইলেন। অক্টেভিয়ান বিজয়বৈজয়ন্তী উড্ডীন করিয়া রোমে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন, মহাসমারোহে বিজয়োৎসব সমাহিত করিলেন। তদনন্তর তিনি এই সুদীর্ঘকালব্যাপী অরাজকতার অবসান দিন জ্ঞাপনার্থ জেনাসের ( Janus ) মন্দিরবার অবরুদ্ধ করিয়া দিলেন। অতঃপর রোম-সাম্রাজ্যের মুশাসন বন্দোবস্তে কিছুকাল অতিবাহিত করিয়া তিনি পরবর্তী বর্ষের শেষ-ভাগে একটা অমামুষিক রাজশক্তির প্রকৃত পত্তন করিয়া লইলেন । ৪৩ খৃঃ পূ রোমের কন্সল হইয়া টুয়াম্ভির অক্টেভিয়ান সহযোগিায়ের সহিত যে শাসনদও স্বীয় হন্তে গ্রহণ করিয়া রোমসাম্রাজ্যশাসনে অগ্রসর হইয়াছিলেন, এতদিনের পর ২৮ খৃঃ পূঃ শেষভাগে তিনি এককই পূর্ণ প্রভাবে ও ধৰ্ম্মবলে সেই শাসনদও পরিচালিত করির প্রকৃত গবমেন্টের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এক্টিটায় রণক্ষেত্রে আন্টনির দর্পচূৰ্ণকারী ডিষ্টেটার সিজারের ভ্রাতৃপৌত্র অক্টেভিয়াস সিজার এক্ষণে রোমবাসী জন সাধারণের পূজার বস্তু হইলেন। প্রায় বিংশতি বৎসরব্যাপী যুদ্ধবিগ্রন্থে ও রাষ্ট্রবিপ্লবে রোমকগণ একরূপ জর্জরিত হইয়া উঠিয়াছিলেন। শাসনবিশৃঙ্খলার রাজ্যময় নানা অনাচার সুচিত হইয়াছিল। এই সকল বিপৎপাতনিবারণোদেশে এৰং রোমসাম্রাজ্যের মৌলিকত্ব ও স্থায়িত্বরক্ষার নিমিত্ত সাধারণ লোকে সাগ্রহে অক্টেভিয়াকে আহালপূর্বক রাজপদে নিয়োগের ব্যবস্থা করিলেন। তাহারা মুক্তকণ্ঠে বলিলেন, একচ্ছত্রাপিত্যের পূর্ণপ্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখিয়া এবং সাধারণ তন্ত্রের সন্মাননা ও শাসনপদ্ধতি রক্ষা করিয়া রাজকাৰ্য্য পরিচালনার কঠোর ভার, তিনি ভিন্ন গ্রহণ করিবার আর দ্বিতীয় নাই। সমগ্র রোমসাম্রাজ্যবাসী জাজ অকপটম্বদয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশপূৰ্ব্বক আপনার শিরোদেশেই রাজমুকুট পরাইতে ইচ্ছুক। তখন অক্টেভিয়ান্ সেনেটের অভিমতে রাজাসন গ্রহণ করিলেন। সেনেট র্তাহার মহামুভবত্ব লক্ষ্য করিয়া তাহাকে “অগাষ্টস" নাম প্রদান করিয়াছিলেন । মহতী শাসন-শক্তি, উদেশ্বসিদ্ধিবিষয়ে গাম্ভীর্যময়ী দৃঢ়তা, মুতীক্ষ বিচার-বিবেক এবং সৰ্ব্বকাৰ্য্যে অসাধারণ কূটবুদ্ধি ও অদম্য উত্তম প্রভৃতি সজগুণে ভূষিত হইয়া তিনি সাধারণের পূজ্যহইয়াছিলেন। তিনি জারিকিয়া নগরের একটা নগণ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। র্তাহাদের বংশোপাধি অক্টেডিয়াস, র্তাহার পিতামহ ভিলেট, নগরের একজন সামান্য নাগরিক বলিয়া গণ্য ছিলেন। পরে তাহার খুল্লতাত তাহাকে দত্তক গ্রহণ করিলেন, তিনি র্তাহার বংশগত সিজার উপাধি প্রাপ্ত হন । তদবধিই তিনি ইতিহাসে অক্টেভিয়াস সিজার নামে পরিচিত হইলেন । পুৰ্ব্বকথিত ডিক্টেটার সিজারের ন্যায় তাহার রক্তপিপাশা বলবতী ছিল না। বরং তাহার অপেক্ষা কোমলতর হৃদয় লইয়া তিনি সাধারণের হৃদয়ে স্বীয় উচ্চাভিলাষের পর - কাষ্ঠী প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন । ২৮-২৭ খৃঃ পূঃ পৰ্য্যন্ত অগাষ্ট্র রাজতক্তে উপবিষ্ট থাকিয়া প্রজাতন্ত্রের পুন-প্রতিষ্ঠাসহকারে তদনুকরণেই রাজ্য শাসন করিয়াছিলেন এবং প্রাদেশিক জনপদসমূহে খওরাজ্য স্থাপনপুৰ্ব্বক স্বয়ং সেই সকল রাজন্তবর্গের অধিনায়ক হইয়া সাৰ্ব্বভৌম আধিপত্য বিস্তার করেন। তাহার প্রবর্তিত এই রাজ্যশাসনGotto otto (Constitution of princepato) Gatoslato, ২৭ খৃষ্ট পূৰ্ব্ব হইতে ২৮৪ খৃষ্টা পৰ্যন্ত শাসিত হইয়াছিল। এক বৎসর এই বিরাটু সামাজ্যের অধীশ্বর হইয়া তিনি মনে মনে পুৰ্ব্ববর্তী অধিনায়কবর্গের সাৰ্ব্বভৌম আধিপত্য স্মরণ করিয়া বুঝিলেন যে প্রন্থার মনোরঞ্জনই শ্রেয়োধৰ্ম্ম। স্বেচ্ছাচারিতার দাস হইয়া প্রজাবর্গের বিদ্বেষভাজন হওয়া নিতান্ত গৰ্হিত কৰ্ম্ম, ইহাতে আপনার অদৃষ্ট অশুভ সংঘটনেরই সম্ভাবনা ৷ সুতরাং যাহাতে প্রজাবৃক্ষ মুখে ও নির্মিরোধে কালযাপন করে
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।