পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৬৩৬

বৰ্দ্ধমান কালের ৩ ফ্লোশ দূরে সামৰূপবন, (এখানে কতোৱানীপ্রবাহিত ) । ( ৭ অধ্যায় ) . উদ্ভূত গ্রামনগরাদির নাম হইতে বোধ হইতেছে যে, বর্তমান চগলী,মনীয় ও পাৰনা জেলার কতকাংশ পূৰ্ব্বে বর্ধমান প্রদেশের ; छ।सुर्कीत्ठ छिन् । | বর্তমান সময়ে বদ্ধমার জেলার জমাকীর্ণ নগরসমূহের মধ্যে বৰ্দ্ধমান, কালন, খামবাজার, রাণীগঞ্জ, জাহানাবাদ, বালী, কঁটোয়া,টাইহাট এইvট সছর প্রধান। এই ৮টির মধ্যে বৰ্দ্ধমানে । প্রায় ৪০ হাজাৰ এয়ং ক্লাষ্টছাটে প্রায় ১০ হাজার লোকের বাস । বর্তমান গওগ্রামসমূহের মধ্যে থওঘোষ, ইনাল, সলিমাবাদ, গাঙ্গুরিয়া, সাহেবগঞ্জ, ভাতুরিয়া, মঞ্জেশ্বর, ডাউসিংহ, ভগবতীপুর, ' মঙ্গলকোট, উদ্ধানপুর, বুদবুদ, আউলগ্রাম, সোণামুখী, কসবা, | দিগনগর, মানকর, কাক্স, মিয়ামতপুর, গোঘাট, কোতলপুর, বায়ন ও সলিমপুর এই ২৪ খামি গ্রাম প্রধান। ঐ সকল গওগ্রামে বহু লোকের বাস । উক্ত নগর গ্রামাদির মধ্যে কালনা একটি বাণিজ্যকেন্দ্র, এখানে সক্ষম্রাধিক বিপণী সুশোভিত । মুসলমান আমলেও এই স্থানের বিশেষ সমৃদ্ধি ছিল। সে সময়ে কালনার পার্শ্ব দিয়া গঙ্গা প্রবাহিত ছিল। প্রাচীন কালনায় আর বাণিজ্যকেন্দ্র না থাকিলেও তখাঙ্গ বস্থ সম্রাজ্ঞ লোকের অস্থাপি বাস আছে। বহু বিপণীমণ্ডিত মৃভল কালনা বদ্ধমানের মহারাজের যত্বে নিৰ্ম্মিত। { ৬৩৬ ] --- বাণীগঞ্জের ক্যালার খনি জগদ্বিখ্যাত । [ রাণীগঞ্জ দেখ। ] wারিকেশ্বরনদীর তীরে জাহানাবাদ, এথানে মহকুমা ও বড় সম্বা গু লোকের বাস আছে। বালিগ্রাম ও দারিকেশ্বরের তীরে, পূর্কে এই স্থান ব্রাহ্মণকায়ন্থের সমাজ বলিয়া গণ্য ছিল। ভাগীঅর্থী ও অজয়ের সঙ্গমস্থানে প্রসিদ্ধ কঁাটোয়। নগরী, এখানে বহু ধনী বণিকের বাস। বহু পুৰ্ব্ব হইতেই কাটোয়ার সমৃদ্ধির পরিচয় পাওয়ায় যায়। নৰাব আলীবর্দীর সময়ে মরাঠাদিগের উৎপাতে কাটোয়ার যথেষ্ট ক্ষতি হইয়াছে। এখনও কাটোয়৷ একটি প্রধান বাণিজ্য স্থান বলিয়া খ্যাত । [ কাটোয়া দেখ। ] ভাগীরথীর তীরে ট্রাইহাট অবস্থিত। —পূৰ্ব্বে এই স্থানও বিশেষ সমৃদ্ধিশালী বলিয়া গণ্য ছিল। এখনও এখানে নানা ব্যবসায়ীর বাস দেখা ধায় ও বাণিজ্যের জঙ্ক প্রসিদ্ধ। বদ্ধমান জেলায় পতিত জমি নাই। সকল জমিতেই প্রায় 8াধ হইয়া থাকে। এখানে বস্ত পখাদির মধ্যে স্বাণীগঞ্জের জঙ্গলে অল্পসংখ্যক ব্যা, ভদ্রক ও নেকড়ে দেখা যায়। বিষধর সর্শের অভাব নাট ৷ পক্ষীর মধ্যে ষষ্ঠ কুক্কুট, পাতি ইস, ময়ূৰ, রাজস্থাস, ৭ল্প কপোত, ভিত্তির ও বটের পাখী প্রায়ই দেখা যায় । বৰ্দ্ধমান स्रवियांनॆौ ७ जबइ । এই জেলার শতকরা ৮• জন হিন্দু, ১৮ জন মুসলমান, বাকী ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী। হিন্দুর মধ্যে বাগদী ও সগোপের সংখ্যাই অধিক। তৎপরে সংখ্যানুসারে যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, বাউরি, গোয়ালা, চামার, ডোম, বেণিয়া, কায়স্থ, কৈবর্ত, তেলী, কলু, হাড়ী, তন্তুবায়, কৰ্ম্মকার, শুড়ি, নাপিত, চণ্ডাল, কুম্ভার, মোদক, ছুতার ( বড়ই )। মুসলমানের মধ্যে সকলেই প্রায় সুন্নী, অল্পই শিয় । খুঃীন সম্প্রদায়ের সংখ্যা সহস্ৰাধিক হইবে না । তন্মধ্যে যুরোপীয় ও ইউরেসিয়ানদিগের সংখ্যাই বেশী, দেশী খুষ্ঠানের সংখ্যা সাদ্ধ শতাধিক হইবে না । পূৰ্ব্বে বৰ্দ্ধমান জেলায় বহু লোকের বাস ছিল। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে ম্যালেরিয়া দেখা দেয়, সেই পৰ্য্যন্ত ম্যালেরিয়ায় এখানকার লোকসংখ্যা বস্তুষ্ট কমিয়া জাসিক্তেছে । অল্প দিন হইতে সামান্ত উন্নতি বোধ হইতেছে । মাঘ হইতে আষাঢ়ের প্রথমাংশ পর্য্যন্ত এই জেলা বেশ স্বাস্থ্যকর থাকে, তৎপরে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে জরেরও প্রাচুর্ভাব ঘটে। জলে অধিকাংশ স্থলই আর্দ্র থাকে, জলনিকাশেরও তেমন সুবিধা না থাকায় ঠাণ্ডায় ও আহারের দোষে অনেকেই পীড়িত হষ্টয়া পড়ে। কোন কোন বর্ষে আবার । ভীষণাকার ধারণ করে। সাধারণের বিশ্বাস, যে রেলে ওয়ে বাধ হওয়া পৰ্য্যন্ত জল নিকাসের অসুবিধা ঘটায়, বড় বড় নদীৰ গতি পরিবর্তিত হওয়ায়, বস্ত আসিয়া পূৰ্ব্ব সঞ্চিত আবর্জন। সকল ধৌত করিবার সুবিধা না থাকায়, ছোট ছোট নদী নাল শুষ্ক হওয়ায় এবং সেই সঙ্গে অনেক স্থলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব ঘটায় ৰদ্ধমান জেলা এরূপ অস্বাস্থ্যকর হইয়া পড়িয়াছে । তাই জেলার উন্নতিবিধানের জন্ত দামোদর হইতে এডেন খাল, বৰ্দ্ধমান সহরে জলের কল ও অপরাপর স্থানে ভাল পানীয় জল সরবরাহের বন্দোবস্ত করা হইয়াছে ও হইতেছে। রেলওয়ের সুবিধার জন্ত দামোদরের বাধ নিৰ্ম্মিত হইবার शूलं वक्ष्मान cख्शाब्र मिब्रङ बछ झहेड । ५११०,२४२७ ७ »ved খৃষ্টান্ধে যে বস্ত হইয়াছিল, তাহাতে বহু লোক ধনে প্রাণে মারা যায়। বাধ হওয়া পৰ্য্যন্ত বস্তার প্রকোপ কমিয়াছে । ১৮৬৬ খৃষ্টান্ধে ৰন্ধমানে ফুর্ভিক্ষ দেখা দেয় । এ সময়ে মোট চাউলের মণ ১॥• টাকা হইতে ets টাকা হইয়াছিল। कॉनेिछा ! এখানে দেশীয়গশের স্বঘ্নে ধুতি, সাষ্ট্ৰী প্রস্তুত হইয়া নানা স্থানে প্রেরিত হইয়া থাকে। যোণ, রূপ ও পিত্তস্থ কাসার জিনিসও এখানে যথেষ্ট তৈয়ারী হইতেছে। এখানকার জমি ৰেশ উর্বর, সেই জন্ত একটুও পড়িয়া নাই । শস্যাদিও যথেষ্ট উৎপন্ন হয়। এখানকার খরচ কুলাইয় উদ্ভূক্ত থাকে। এখান