বসন্তরায় । [ १०२ ] বসন্তরায় - ঐ দিন এবং হোলীপৰ্ব্বনি রন্ধনীতে ভোজন ও আমোদের ঘটাও নিতান্ত কম নহে। রাজপুতঞ্জাতির মধ্যে বসন্তোৎসবের দিন । উম বা গৌরীর পূর্ব ও মৃগয়ার রীতি আছে। প্রাচীন গ্রীস, । রোম, স্বন্দনান্তু প্রভৃতি দেশের ফর,ৎসব ব্যাপার সেই এক বসন্ত-স্তাবাহনের অমুকল্পমাত্র । [ মদনমহোৎসব দেখ। ] বসন্তমালতারস, ঔষধবিশেষ। প্রস্তুত করিবার প্রণালী—স্বৰ্ণ | ১ ভাগ, যুক্ত ২ ভাগ, হিঙ্গুল ৩ ভাগ, মরিচ ৪ ভাগ এবং কপুর ৮ ভাগ এই সকল দ্রব্য প্রথমে অল্প পরিমাণ মাখন সহ মদন ! করিয়া পরে পাতিনেবুর রসের সহিত বেশ উত্তমরূপে মৰ্দ্দন করিবে, যেমন মাথনের স্নেহাংশ দেথ না যায় । ২ রতি মাত্রায় মধু ও পিপ্পলী চূর্ণ সহ সেবা । ইহা সেবনে, জীর্ণজ্ঞর, বিষম আর, উদরাময় ও কাস প্রভৃতি বিবিধ পীড়া সত্বর উপশমিত । হয় । ষ্টই পশ্চিমপ্রদেশের প্রসিদ্ধ ঔষধ । বসন্তমালিকা ( স্ত্রী ) ছন্দোভেদ । | | | | বসন্তয়াত্র। ( স্ত্রী ) বসন্তোৎসব । বসন্তমেধি ( পুং ) কামদেব । বসন্তরাজ, একজন প্রসিদ্ধ বৈয়াকরণ । ইনি প্রাক্তসঞ্জীবনী নামে প্ররিতপ্রকাশের একথানি টকা প্রণয়ন করেন । বসন্তরাজ, কুমারগিরির একজন বাজ । ইনি কাটয়বেম নামক । শfগুতধরেল প্রতিপালক ছিলেন । ইহাব রচিত বসন্তরাঞ্জীয় । ন!টাশ" নামে একথালি গ্রন্থ পাওয়া যায় । মল্লিনাথ শিশুপাল- | পূৰ্ণ টীকায় উক্ত গ্রন্থের উল্লেখ করিয়াছেন । বসন্তরাজভট্ট, শকুনার্ণল বা শাকুনশাস্ত্র প্রণেতা। ইনি | মিথিবাধীশ্বর চক্ষুদেবের প্রথমানুসারে উক্ত গ্রন্থ রচনা করেন । ইহার পিতার নাম বিজয়রাজ এবং জ্যেষ্ঠভ্রাতা শিবরাজ । বসন্তরাষ্ট্রীয় ( ) বসন্তরাজকৃত নাট্যশাস্ত্রভেদ । বসন্তরীয় ( রাজা ), বঙ্গের স্বাধীন বাঙ্গালী বীর প্রতাপদিত্যের খুল্লতাত। বঙ্গজ-কায়স্ককুলে গুহ বংশে গুণানন্দের ঔরসে তাঙ্কার জন্ম। প্রকৃত নাম জানকীবল্লভ, কিন্তু তিনি বসস্তুধায় নামেই সাধারণে সুপরিচিত ছিলেন । গুণানন্দের অগ্রজ ভবানন্দের পুত্র বিক্রমাদিত্যই প্রতাপের পিতা । বাল্যকাল হইতেই বিক্রম ও বসন্তরায়ে বিশেষ সম্ভাব ছিল । বাজমন্ত্রিপদে নিযুক্ত হইবার পর উভয় ভ্রাতা গৌড়ে বাস করেন । এই সময়ে বিক্রম চাদ খা নামক জায়শীয় পাইয়। তথায় যমুনা ও ইচ্ছামতীর সঙ্গমস্থলে নগর ও গড় পত্তন করিয়া পুত্র ও পরিবারাদি প্রেরণ করেন, কিন্তু উভয় ভ্রাতা রাজধানীতে রহিলেন । মুনাইম খার বঙ্গাক্রমণকালে, গৌড়বাসী বছি ধানী ত্যাগ করিলেও, উভয় ভ্রাতা ছদ্মবেশে তথায় বাস করেন । দাউদের মৃত্যুর পর টোডরমল্লকে বাঙ্গালার রাজস্ব বিষয়ক কাগজ পত্র বুঝাইয়া দিয়া তাহারা উভয়েই মোগল সরকারেয় অনুগৃহীত হইলেন । দিল্লীশ্বরের নিকট হইতে রাজা টোডরমল্ল বিক্রমাদিত্যকে মহারাজ এবং বসন্তরায়কে রাজা উপাধি আনাইয়া দিতে প্রতিশ্রত হইয়া তাহাদের জায়গীর বাহাল রাখিলেন । প্রতাপ কৌশলে ১৮ বৎসর বয়সে পিতা ও পিতৃবাকে জায়গীর হইতে বঞ্চিত করেন। অতঃপর বিক্রমাদিতোর মৃত্যু ঘটে। তিনি স্বীয় পুত্রকে দশ আন এবং ভ্রাতাকে ছয় আন সম্পত্তি ভাগ করিয়া দেন। ভ্রাতু-পুত্র প্রতাপকে রাজ্যাভিষিক্ত করিয়া বসস্তুরায় বার্দ্ধক্যবশতঃ গঙ্গাতীরে রায়গড় নামক স্থানে নিঝ ফুটে হইয়া বাস করিতে থাকেন। প্রতাপের কন্থা বিন্দুমতীর বিবাহোপলক্ষে তিনি বিশেষ অনুরুদ্ধ হইয়া যশোহরে আইসেন। এই সময়ে রামচন্দ্ররায়ের পলায়নের জন্ত খুল্লতাতেব উপর প্রতাপের বিদ্বেষ উপস্থিত হয়। যশোহরে বাস কালেই পিতৃশ্ৰাদ্ধের বার্ষিক তিথি উপস্থিত হওয়ায় বসস্তুরায় প্রতাপ । আত্মীয় স্বজনকে নিমন্ত্রণ করেন। প্রতাপ ও সানুচর নিমন্ত্রণ রক্ষায় উপস্থিত হন । তুর্ভাগ্যক্রমে কালচক্রে সপুত্র বসন্তরায় প্রতাপের হস্তে নিহত হইয়াছিলেন । [ প্রতাপাদিত্য দেখ। ] রাঘবরায়, চন্দ্রশেখররায় প্রভৃতি বসন্তরায়ের অপর পুত্রগণ ঘটনাচক্রে অন্তত থাকায় রক্ষা পাইয়াছিলেন । এই জ্ঞাতিশত্রুদিগের ষড়যন্ত্রে প্রতাপের সর্বনাশ সাধিত হইল। মানসিংহ যশোহরজিৎ উপাধিসহ কচুরায়কে যশোহরে অভিষিক্ত কবিয়; দিল্লীযাত্র করেন । কচুরায় নিঃসন্তান ছিলেন, কিন্তু তাহার ভ্রাত চন্দ্রশেপরের বংশধরগণ অস্থাপি খুলনা জেলার অন্তর্গত নুরনগর ও বসিরহাট উপবিভাগের মধ্যস্থিত খোড়গাছাতে বাস করিতেছেন । রাজা বসন্তরায় একজন উৎকৃষ্ট ভাবুক কবি ছিলেন । পদকৰ্ত্ত গোবিন্দদাসের সহিত তাহার প্রায়ই কবির লড়াই চলিত । বসন্ত রায়, একজন প্রসিদ্ধ বৈষ্ণব কবি। নরোত্তম ঠাকুর মহাশয়ের শিষ্য । নরোত্তমবিলাসে কবি নরহরি ইহাকে মহাকবি বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন “জয় জয় মহাকবি শ্ৰীবসস্ত রায় । সদা ময় রাধাকৃষ্ণ চৈতন্যলীলায় ॥” ( ১২শ বিলাস ) ভক্তিরত্নাকর হইতে আমরা জানিতে পারি যে ইনি শেষ বয়সে বৃন্দাবনবাসী হইয়াছিলেন, মধ্যে জীব গোস্বামীর পর লইয়। একবার শ্ৰীনিবাসাচার্য্যের নিকট আসিয়াছিলেন । “হেনই সময় বিজ্ঞ জীবসন্ত রায় । পত্নী লৈয়া আইল তেহে আচাৰ্য্যসভায় ” ( ১০ তবল্প ) পদকল্পতরুতে বসন্ত রায়ের পদ উদ্ধত হইয়াছে।
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৭০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।