[ و لا ۹ ] বসিষ্ঠ • অর্থাৎ মহাত্মা বসিষ্ঠের শতপুত্র নিধন করিয়া এক জিঘাংসু স্বাক্ষস বশিষ্টের রূপ,ধারণ করা তাঁহাকে বলিয়াছিল, তুমি রাক্ষস, আমি বলিষ্ঠ । এই উপলক্ষে বলিষ্ঠ কতকগুলি ঋকৃ দেখিয়াছিলেন । * তাহাই ঋক্সংহিতার ৭ম মণ্ডলে ১০৪ স্থক্তে ১২ হইতে ১৬ সংখ্যক মন্ত্র, তন্মধ্যে ১৬শ ঋকে স্পষ্ট ست تماrة “বে মারাতুং বাতুধানেত্যাৰ যে বা রক্ষা শুচিরীত্যাহ। ইত্ৰ স্তং হস্তু মহত বধেন বিশ্বস্ত জস্কোরকম্পীই ॥” যে আমাকে “যাতুধান" ( রাক্ষস ) এই সম্বোধন করিতেছে এবং যে রাক্ষল, “আমি গুচি এই কথা বলিতেছে, ইন্দ্র মহাআয়ুধ দ্বারা তাহাকে বিনাশ করুন, সে সকল জস্তুর অধম হইয়া পতিত হউক । বলিষ্ঠ সম্বন্ধে বেদে ঐক্ষপ উল্লেখ দেখিয় অধ্যাপক মুইর সাহেব লিখিয়াছেন—“যদিও বলিষ্ঠ পরবর্তী বৈদিক গ্রন্থে ব্রাহ্মণ বলিয়াই গণ্য হইয়াছেন, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন না, তাহার জন্ম সম্বন্ধে গোল ছিল, এই কারণেই কোন স্থলে তিনি ব্ৰহ্মার মানস পুত্র, কোথাও মিত্রবরুণ ও উৰ্ব্বশীর श्रूझ रुगिग्र अछिहिङ रुहेब्रारझम ।" অধ্যাপক মোক্ষমূলর বেদের প্রমাণ উদ্ধৃত করিয়া তাহাকে আর্য্য ব্রাহ্মণ বলিয়াই গ্রহণ করিয়াছেন । তাহার মতে বেদে বলিষ্ঠ মিত্রাবরুণের পুত্ররূপে বর্ণিত হইলেও তাহাকে মিত্র বা হর্য বলিয়াই মনে হয় । কৃষ্ণবস্তুৰ্ব্বেদ বা তৈত্তিরীয়সংহিতা হইতে জানা যায় যে, সৌদাস কর্তৃক বসিষ্ঠের পুত্র ঙ্কত হইলে, তিনি তাহার প্রতিশোধ লইবার জন্ত চেষ্টা করেন— “বসিষ্ঠে হতপুত্রোইকাময়ত বিদেয় প্রজামভি সৌদাসান ভৰেয়মিতি । স এতমেকন্মান্ন পঞ্চাশমপশুং তমাহরৎ তেনায়ঞ্জত । ততো ৰৈ সোইবিলাত প্রজামভি সৌদাসমভযৎ ।” অর্থাৎ বসিষ্ঠের পুত্ৰগণ হত হইলে তিনি কামনা করিয়াছিলেন, আমার সস্তান হউক, যেন আমি সৌদাসদিগকে পরাভব করিতে পারি। তিনি “একন্মান্নাপঞ্চাশ মন্ত্ৰ পাইয়াছেন, তাহা লইলেন, তাহাতে যজ্ঞ করিলেন । তাহাতে প্রজা হুইল এবং সৌদাসগণ পরাভূত হইল । কৌষীতকী ব্রাহ্মণে ( ৪র্থ অধ্যায়ে ও এইরূপ বসিষ্ঠের পুত্র লাভ ও সৌদাসপয়াড়বের কথা আছে । মনুসংহিতায় দেখা যায়— “মহর্ষিভিশ্চ দেবৈশ্চ কাৰ্য্যাৰ্থং শপথাঃ কৃতা: | বশিষ্টশ্চাপি শপখং সেপে পৈজবনে নৃপে ” ( ৮১১- ) মহর্বিগণ ও দেবগণ কাৰ্য্যসম্পাদনের জন্ত শপথ করিয়া থাকেন। এইরূপে বসিষ্ঠ ঋষিও পৈজবন নৃপতির জন্য শপথ করিয়াছিলেন। কেন শপথ করেন ? মমুটীকায় কুল্পক লিথিয়াছেন, “বসিষ্ঠোইপ্যনেন পুত্রশতং ভক্ষিতমিতি বিশ্বামিত্রেণ আক্রুপ্পে স্বপরিশুদ্ধয়ে পিজবনাপত্যে সুদায়ি রাজনি শপথং চকার।’ অর্থাৎ বিশ্বামিত্র কর্তৃক বসিষ্ঠের শতপুত্র ভক্ষিত হইলে তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া নিজ পরিশুদ্ধির জন্য পিজবনের পুত্র সুদামন রাজার নিকট শপথ করিয়াছিলেন । এখানে কুল্পক বিশ্বামিত্রকে রাক্ষস বানাইয়াছেন এবং সুদামন রাজার নাম করিতেছেন, বাস্তবিক বেদে এরূপ কথা নাই । বিশ্বামিত্র শতপুত্র ভক্ষণ করেন নাই, এক রাক্ষস ভক্ষ: করিয়া সেই আপনাকে বসিষ্ঠ বলিয়া পরিচয় দিবার চেষ্টা করিয়াছিল । ৭৷১০৪৷১২ ঋকের ভাষ্যে সায়ণাচাৰ্য্য বৃহদেবতার মত উদ্ধৃত করিয়া দেখাইয়াছেন, পূৰ্ব্বে সে কথা বলা হইয়াছে। আর পিজবনের পুত্রের নাম সুদামন নহে, তাহার নাম সুদাস্। শাটায়ন ব্রাহ্মণে আছে—“সৌদাসেরয়েী প্রক্ষিপ্যমাণ শক্তিরস্তাং প্রগাথমালেভে সোহর্দ্ধচে উত্তেইজহত। তং পুত্রোক্তং বলিষ্ঠ সমাপয়ত ইতি।” ( বসিষ্ঠের পুত্র ) শক্তি সৌদাস কর্তৃক অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হইবার কালে প্রগাথের শেষাংশ পাইয়াছিলেন । অৰ্দ্ধ ঋকৃ বলার শেযকালে তিনি দগ্ধ হইলেন এবং বসিষ্ঠ পুত্রোক্ত খক্ সম্পূর্ণ উচ্চারণ করিয়াছিলেন ।--এইরূপে বসিষ্ঠ আপনার শপথ রক্ষণ করিয়াছিলেন । কাঠকে (৩৭৷১৭ ) লিখিত আছে— “খুষয়ে বৈ ইন্দ্রং প্রত্যক্ষং ন অপশুংস্তং বশিষ্ঠ; এক প্রত্যক্ষমপশুৎ । সোহবিভেদিতরেভ্যো মা ঋষিভ্য প্রবক্ষার্তাড়ি । সোহব্ৰবীন্দ্র ব্রাহ্মণং তে বক্ষ্যামি যথা তুৎ পুরোহিতা: প্রজাঃ প্ৰজনিষ্যস্তুে । অথ মা ইতয়েভ্য: ঋষিভো মা প্রবোচঃ ইতি তস্মৈ এতান স্তোমভাগান অব্ৰবীৎ । ততো বশিষ্ঠ পুরোহিত: প্রজা প্রজীয়ন্তঃ * ঋষিগণ ইন্দ্রকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পান নাই। একমাত্র বশিষ্ঠই তাহাকে দেখিতে পাইয়াছিলেন । পাছে বশিষ্ঠ ঋবি সমক্ষে তাহার (ইস্ক্রেয় ) বিষয় বর্ণন করেন এই ভয়ে তিনি ৰশিষ্ঠ সাক্ষাতে আসিয়া গোপনে বলিলেন, আমি তোমাকে ব্রাহ্মণ বলিয়া স্বীকার করিতেছি । তুমি আমার বিষয় এই ঋষিগণের সাক্ষাতে বলিও না । পরে যাহারা জন্ম গ্রহণ কল্পিৰে, তাহারাই তোমায় পৌরোহিত্যে বরণ করিবেন। সেইহেতু ইজ বশিষ্টকে কোমভাগ বলিয়াছিলেন।
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৭১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।