রোমসাম্রাজ্য ( রোমনগর ) করিবার জায়াস হইতেছে এবং তস্থপরি আমেরিকাদেশের লগল্পসমূহের অভুকরণে বৃক্ষশ্রেণীসজ্জিত দ্বাৰার ছকের (Chessboard plan) ছায় প্রশস্ত চতুষ্ক রাস্তার দ্বারা নূতন রোমনগর গঠনের কল্পনা সুসিদ্ধ করা হইতেছে । পুনঃপুনঃ অগ্নিসংযোগে রোমনগরী ভস্মীভূত ও বিধ্বস্ত হওয়ায়, ইহার প্রান্তসীমা নষ্ট হইয়া গিয়াছে ; সুতরাং প্রাচীন রোমরাজধানী কোন স্থান হইতে কোন স্থান পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, তাহা নিৰ্দ্ধারণ করিবার কোন উপায় নাই। অগ্নির দ্বারা ভক্ষ্মীভূত স্থানবিশেষের ঐরূপ ধ্বস্তস্ত,প এবং অপরাপর কারণে বিধ্বস্ত প্রাচীন নিদর্শনসমূহ কোন কোন স্থানে ৪ ফিট নিম্ন ভূগর্ভ মধ্যে দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। উপত্যকাদির মধ্যবর্তী স্বানে ঐক্ষপ ধ্বস্তকীৰ্ত্তিয়ই অধিক পরিচয় পাওয়া যায়। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ মন্থ চেষ্টা সত্ত্বেও উহার প্রকৃত তথ্য নিরূপণে পরায়ুখ হইয়াছেন। . বর্তমান রোম অপেক্ষা প্রাচীন রোমে শৈত্যের আধিক্য ছিল। তৎকালে রোমনগরের মধ্যস্থলে ও চতুস্পার্শ্ববৰ্ত্তী স্বানে মালেরিয়াজরের প্রকোপ অত্যন্ত কম ছিল, কিন্তু এখন তাহ পূর্ণমাত্রায় প্রান্তর্ভূত হইয়াছে। রোমের উপকণ্ঠস্থিত হারিানের è start" (villa of Hadrian ) (nr তন্নিকটবর্তী অপরাপর নিকুঞ্জকানন যাহা একসময়ে স্বাস্থ্যপ্রদ স্থান বলিয়া কীৰ্ত্তিত ছিল, তাহ এক্ষণে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলিয়া সাধারণে ঘোষিত হইয় থাকে। প্রাচীন কালে একমাত্র স্বপ্রণালীবদ্ধ জলই নালীর জন্তু কাম্পানীর (Campagna) স্বাস্থ্য-খ্যাতি প্রসিদ্ধছিল । ঐ স্থান তৎকালে বহুজনপূর্ণ থাকায় স্থানীয় স্বাস্থ্যোন্নতির নানা উপায় অবলম্বিত হইয়াছিল ; কিন্তু তাহ বলিয়া যে তৎকালে আদৌ জয়রোগের প্রাচুর্ভাব ছিল না, একথা বলা যায় না। পালেটাইন, ও জন্তান্ত শৈলচুড়া ফেব্রিস্থ দেবীর উদ্দেশে স্থাপিত বেদীসমূহ এবং একুইলাইন পৰ্ব্বতোপরি মেফাইটসের স্মৃতি ও সন্মানার্থ প্রদত্ত উপবন দর্শন করিলে স্বতঃই মনে রোগ-প্রাবল্যের উদ্বোধন করিয়া দেয় । খৃষ্টীয় ৪র্থ শতাৰ হইতেই রোমের জনসংখ্যা ক্রমশ: বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে। তৎপুৰ্ব্বে ঐ স্থান নিতান্ত অস্বাস্থ্যকর ছিল বলিয়াই wgfirs gą i Monografia di Rome (vol iii, 1878. ) পাঠে জানা যায় যে, উক্ত শতাব্দে রোম-নগরে প্রায় ২৫ লক্ষ লোকের বসতি ছিল। সেই মহাসমৃদ্ধিশালী রোমসগরীও তৎকালে তদুপযোগী সৌধমালার বিভূষিত হইয়া সমগ্র সভ্যজগতে রোমসাম্রাজ্যের কীৰ্ত্তিগৌরব বিকাশ করিয়াছিল। wswttM catar*tt* Tufa, Lapis. Albanus, Lapis 6abinus, Silex, Lapis Tibwrtinus, Pulvis Puteoames. (pozzolana) প্রকৃতি প্রস্তরে অট্টালিকাদি নিৰ্ম্মিত [ هنw ] রোমসাম্রাজ্য (রোমনগর ) হইয়াছিল। ৰিষ্ট রিবাস, প্লিনি প্রভৃতি স্ব শ্ব গ্রন্থে এই সকল প্রস্তর ও তাহার গাথ নীয় মসলার বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। স্থৰ্য্যপঙ্ক ও পাজ-পোড়া ইষ্টকেরও তৎকালে ৰথেষ্ঠ ব্যবহার ছিল। আবার কোন সময়ে প্রাচীন রোমের কোন প্রসিদ্ধ জটালিকা বা প্রাচীর ইষ্টকে নিৰ্ম্মিত হয় মাই, কেবল প্রাচীর, খিলান ও গৃহতল প্রভৃতি কংক্রীট (concrete) করিতেই কাজে লাগিত। গৃহতল সুদৃঢ় করিবার জন্য কুচা ইট, পাখয় ও সিমেন্ট-বিশেষের ব্যবহার ছিল । রোমকগণ সিমেন্ট প্রস্তুত করিতে বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন। প্রাচীন sstig etcs wat tra cl, tectorium, opus albarium, Structura testacea zrşfs arritory firas, ofroits (Stucco ) ও গাখনির মসলা ( Mortar ) ওঁহাদের দ্বারাই উদ্ভূত হইয়াছিল। মৃদঙ্গাও-চুর্ণ বা সুরকিচুর্ণ ও পোঙ্গোলাম নামক লাল রাণুর ছায় আগ্নেয়গিরির নিঃস্রাবজ পদার্থবিশেষের স্বারা প্রস্তুত সিমেন্টৰৎ মসলায় তাহারা গৃহতলের মর্শ্বর-প্রস্তর ভাটিয়া লইত। প্রাচীরদির উপর প্রায় ৪ ইঞ্চি পুরু ৩ বা ৪ স্তবক পলস্তারা ( Coats of stuoco ) দেওয়া হইত। প্রথমে পোঙ্গোলিন ও চূণ এবং সৰ্ব্বোপরি শ্বেতমার-প্রস্তর চুর্ণের ( Opus albarium ) মন্থণ পালিশ দিয়া বিচিত্র বর্ণচিত্র সম্পাদন করিয়া লইত। কোন কোন মৰ্ম্মরপ্রস্তরনিৰ্ম্মিত অট্টালিকায় এইরূপ হুঙ্ক শ্বেতমপ্রচুর্ণ পলস্তারার ব্যবহার দেখা গিয়াছে। বিটু বিয়াস লিখিয়াছেন যে, মসলা ও পলস্তারার জন্ত এখানে সমুদ্র ও নদীকূলজাত GR FfRT ( pit-sand ) বালুকাই ব্যবহৃত হইয়াছিল। খৃঃ পূৰ্ব্ব ১ম শতাৰে সৰ্ব্বপ্রথমে রোমনগরে মর্শ্বরপ্রস্তরের প্রচলন হয়। বিখ্যাত বাণী ক্রেসাল গ্রীক্-ভোগবিলাসের রসাস্বাদনে উৎসুক হইয়া ৯২ খৃঃ পূৰ্ব্বাৰো স্বয় পালেটাইন শৈলস্থ প্রাসাদে হাইমেসিয়ান মৰ্ম্মরের স্তম্ভ গ্রথিত করিয়াছিলেন। উাহার এক্ট বিলাসবশবর্তিতাকে উপহাস করিয়া প্রসিদ্ধ প্রজাতন্ত্রাগ্রণী ম:ব্রটাস র্তাহাকে 'Palatine Wenus' নামে অভিহিত করিয়াছিলেন। তৎপরে ৫৮ খৃষ্টপূৰ্ব্বাঙ্গে এমিলিয়াস স্কাউরাসের কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত রঙ্গমঞ্চের ৩৬•ট স্তম্ভ ও সিনা'র নিম্নভাগ গ্রা দেশীয় মর্শ্বরপ্রস্তরে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ইহার কিছুকাল পরে, সম্রাট অগাষ্টালের শাসনকালে মর্শ্বরপ্রস্তরের আদর সর্বত্র বিস্তৃত হইয় পড়ে। কি সাধারণ ও সম্রাস্তব্যক্তির গৃহ, কি রাজকাৰ্য্যালয় বা প্রাসাদ সকল স্থানেই চাকুচিক্যময়ী মসৃণ মর্শ্বর প্রস্তর বিরাজ করিয়াছিল। • ‘..,' গুস্তাদি নির্মাণার্থ এখানে প্রধানতঃ শ্বেতমার প্রস্তরেরই অধিক প্রচলন ছিল । ঐ গ্রপ্তরসমূহ গান্ধবর্গে ঈষৎ পার্থক্য
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।