রোহতক [ *२ ] রোহতক অক্ষা ২৮১৯ হইতে ২৯ ১৭' উঃ এবং মাৰিe ৭৬-১৭ হইতে ৭৭৩- পুং মধ্য। ভূপরিমাণ ১৮১৯ বর্গমাইল। গোহান, ঝাজর, শাপলা ও রোহতক নামক চাটি উপবিভাগ লইয়া এই জেলা গঠিত। বাজর, শাপলা ও রোহতক তহঙ্গীলের সংযোগের মধ্যস্থলে জানা ও মহরাণ নামক সামন্তরাজ্যদ্বয় অবস্থিত। রোহতক নগরে জেলার বিচার-সম্বর প্রতিষ্ঠিত্ত । যমুনা ও শতজ্ঞ নদীর উপত্যক্ষ দেশকে বিচ্ছিন্ন রাখিয়া বে বিস্তৃত অধিতাক ভূমি বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহারই ঠিক মধ্যস্থলে এই জেলা অবস্থিত। এখানকার প্রাকৃতিৰ সৌন্জুর্য্যশোভা সাধারণের চিন্তু হয়ণ করিতে পারে না। তবে পাৰ্ব্বত্য ভূমের ক্ষুদ্র জঙ্গলে বন্তপূকর, হরিণ, খরগোস এবং ধন্তকুকুট, পেক্ষ প্রভৃতি পশু ও পক্ষী প্রভূত পরিমাণে বিদ্যমান থাকায় মৃগয়াপ্রিয় শিকারীদিগের বিশেষ আনন্দবৰ্দ্ধক হইয়াছে। পূর্কে এই স্থান প্রাচীন হরিয়ান রাজ্যের অন্তভূক্ত ছিল এবং সেই প্রাচীন কালে সমৃদ্ধিশালী মহীম নগরই ইহার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল ৰুলিয়া সাধারণের বিশ্বাস। প্রসিদ্ধ সাহাবুদ্দীন খোয়ী ভারতবিজয়কালে এই স্থান অধিকার ও ধবংস করেন। তদনন্তর ১২৬৬ খৃষ্টাৰো উহা পুনরায় সংস্কৃত হয়। কিন্তু উক্ত বৎসর হইতে ১৭১৮ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত এই স্থানের কোন ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধির কথা শুনা যায় নাই। শেষোক্ত বর্ষে সম্রাটু ফরুখসিয়ার সমগ্র হরিয়ান বিভাগ স্বীয় মন্ত্রী রুকন উদ্দৌলাকে দান করেন। অমাতাপ্রধানও পক্ষাস্তরে ঐ সম্পত্তি ফৌজদার খ। নামক এক জন বেলুচীস্থানবাসী ওমরাহকে দান করিয়া ১৭৩২ খৃঃ অঃ তাহাকে ফরুক নগরের নবাবী মসনদে অভিষিক্ত করিলেন । নূতন নবাব রাজতক্তে উপবেশন করিয়া বর্তমান হিসার, রোহতক ও গুরগাঁও জেলার কতক অংশ এবং পাতিয়াল ও ঝিন রাজ্যের কতক অংশ শাসন করিতে থাকেন। তাহার পুত্র ১৭৬০ খৃষ্টাদ পৰ্য্যন্ত উহা নিৰ্ব্বিরোধে ভোগ করিয়াছিলেন। তদনন্তর দিল্লী সাম্রাজ্যের অধঃপতনের সঙ্গে তাহারও অদৃষ্টচক্র ভাঙ্গিয়া পড়িল আলমগীর-ইত্যায় ও সম্রাট শাহ আলমের নাম মাত্র সিংহাসনাধিকারে রাজ্যে অরাজকতার লক্ষণ পূচিত হইতে লাগিল। পরবর্তী বৎসরে পাণিপথ রণক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রশক্তির অধঃপতনের সঙ্গে মোগলশক্তিও হতবল হইল। ফরুখনগরের নবাব প্রতিপালকের কুরবস্থায় আপনাকে দুর্দশাগ্ৰস্ত ঘলিয়া অনুমান করিলেম । তিনি সামর্থ্যহীম হইয়া নাম মা ! মসনদের শোভাবর্জন করিতে লাগিলেন । এই সময়ে সৌভাগ্যাম্বেষী শিখসর্দারগণ দস্যবৃত্তি ও অর্থলালল ছান্ধিয় । রাজ্য জয়পুৰ্ব্বক রাজপাট স্থাপনে মমোনিবেশ করেন, তাহাতে উত্তরোত্তর মৰাৰ ৰিপৰ্য্যস্ত হইয়৷ অৱশেষে ১৭৬২ খৃষ্টাৰে । তলতপুরের জাটসঙ্গার জন্মাছির সিংহ , কর্তৃক রাজ্যবহিষ্কৃত হইয়াছিলেন । ইহার পর প্রায় ২০ বৎসরকাল উত্তর ভারতের অরাজকতানিবন্ধন হরিয়ানায় মানারূপ ৰিশৃঙ্খল আসিয়া সমুপস্থিত হয় । নৰাৰ ফৌজদারের পুঞ্জ কিছুকালের জঙ্গ পৈতৃক সম্পত্তি অধিকারপুঞ্জক পুনরায় রাজ্যশাসনে প্রবৃত্ত হন। অতঃপর নজফथ ५३ ग्रहांन खब्र कब्रिग्ना भाँ*नांग्न छनरु अष्ट्रकब्रक प्रांन করেন । তাছাক্ষ পর সর্দানারাষ্ট্ৰী বেগম সমরুর স্বামী ७ब्रांगऐाद्र ब्रिम्श७ी हैशग्न रुउकांश्न जांब्रगेब्र ऋज cछ* করিতে থাকেন । ১৭৮৪ খৃষ্টাৰো মহারাষ্ট্রগণ এই সকল বিশৃঙ্খলা হইতে রাজ্যরক্ষা করিতে সমর্থ হইলেন বটে, কিন্তু সুসমৃদ্ধ লিপো-রাজশক্তি শিখদিগকে দমন করিতে পারিলেন না । শিখগণ উপৰ্য্যুপরি আক্রমণ করিা স্থানীয় অধিবাসিরুলকে উত্ত্যক্ত করিয়া তুলিল। অবশেষে সিন্দেরাজ ছরিয়ান বিভাগের অধিকাংশ কৈখাল ও ঝিলের সর্দারকে সমর্পণ করিয়া উপদ্রবের হস্ত হইতে পরিত্রাণ লাভ করিলেন। ইত্যবসরে সৌভাগ্যান্বেষী সৈনিক জর্জ টমাস হরিয়ানার অপরাদ্ধ হস্তগত করিয়া একটি জলপথ স্থাপনান্তর স্বয়ং রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন। তিনি খাজরের নিকট জর্জীগড় মামক স্থানে ও হিসার জেলার হাসিতে দুষ্টট দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করাইয় আপনার অধিকার সুদৃঢ় করিয়াছিলেন। ১৮৯২ খৃষ্টান্ধে ফরাসী সেনানায়কের অধীনে পরিচালিত মহারাষ্ট্ৰদল টমাসকে রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দেয়। তৎপর বর্ষে ইংরাজ সেনাপতি চণ্ড লেক শতক্র হইতে শিবালিৰ পাদমূল পৰ্য্যন্ত ইংরাজশাসনভুক্ত করেন । এই সময়ে কৈখল ও ঝিন্দের শিখসর্দারগণ এই জেলার উত্তরাংশ অধিকার করিয়াছিলেন । ইংরাজরাজ বাজরের নবাবকে দক্ষিণ, জাদ্রি ও বাহাকুরগড়ের নবাবকে পশ্চিম এবং জুলানার বাবকে মধ্যভাগ শাসনার্থ ভাগ করিয়া দেন। শেষোক্ত ' মৰাৰ শিখ ও ভটজাতির উপযুপিরি আক্রমণে উত্ত্যক্ত হইয়া রাজ্যশাসমে অসমর্থ হইলে ১৮৯১ খৃষ্টাৰে সেই রাজ্যে শৃঙ্খল স্থাপনাথ ইংরাজসৈন্ত প্রেরিত হয়। এই সময়ে বর্তমান জেলার कdरुपॆी श्रृंद्रशग हेक्ष्ब्रांश्छद्र अधिकांग्नकूख शहेब्राझिण । १४०४ খুটাৰে কৈখল-রাজের মৃত্যুর পর এবং ১৮২• খৃষ্টাৰে বিস্তের সর্দারের নিকট কতক ভূভাগ কৌশলে হস্তগত ক্ষরিক রোহতক জেলা গঠিত হয়। শেষে" বর্থেই ছিলর ও শির্ব বিভাগ রোহতক হইতে বিচ্ছিন্ন এবং ১৮২৪ খৃষ্টাঙ্গে পাণিপথ (রর্তমান কর্ণাল) জেলা স্বতন্ত্র শাসনভুক্ত করা হয় ।
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।