রোহতক ১৮৩২ খৃষ্টা পৰ্য্যন্ত দিল্লীরাজধানীস্থ ইংরাজ রেসিডেন্টের অধীনে একজন পলিটিকাল এজেণ্ট এস্থান শাসন করিতে থাকেন। পরে উহাকে যুক্তপ্রদেশের সাধারণ রাজনিয়মের শাসনাধীন করা হয়। ১৮৪৭ খৃষ্টাব্দের সিপোহী বিদ্রোহের সময় এই জেলা ইংরাজরাজের হস্তচু্যত হয় এবং ফরুখ নগর, ঝাক্ষর, ও বাহাদুরগড়ের নবাবত্রয় গুরগাঁও হিসারবাসী বিভিন্ন মুসলমান সম্প্রদায়ের সহিত মিলিত হইয়া এইস্থানে আধিপত্য করেন। পরে শির্ষ ও হিসারের ভট্টসর্দারগণ র্তাহীদের সহিত মিলিত হইলে তাহারা রোহতক আক্রমণ ও লুণ্ঠন করেন। দিল্লী ইংরাজের হস্তগত হইবার পর পঞ্জাবী সেনাদলের সাহায্যে ইংরাজরাজও এখানে শাস্তিস্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ঝাবার ও বাহাঙ্কুর গড়ের নবাবস্থায় ধৃত হইয়া ইংরাজবিচারে দণ্ডিত হইলেন। দিল্লী- ' নগরে ঝাঝরপতির ফাঁসী হইল। তাহার আত্মীয়গণ লাহোর নগরে বন্দী রছিলেন। ঝিনা, পাতিয়ালা ও নাভ রাজবিদ্রোহের সময় ইংরাজরাজের সহায়তা করায় পারিতোষিকস্বরূপ ঝাঝর রাজসম্পত্তির ভাগ পাইলেন । ইহার পর রোহতক পঞ্জাৰগবমেন্টের অধীন হয় এবং ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে কাঝর জেলার কতকাংশ রোহতক জেলার অন্তভুক্ত হয়। এখানকার মধ্যে রোহত, বাবর,বতান, গোহন কালানোর, মহীম, বেরী, বাহাদুরগড়, বরোদ, মওলানা, কানহোর, সিংহী, খড়খণ্ড প্রভৃতি নগর প্রধান। রোহতক সদরের লোকসংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার । ব্যবসা বাণিজ্য ও কৃষিকার্য্যের যথেষ্ট উন্নতি দেখা যায়। ভায়াচার ও তঞ্জাদারী নামে দুইট জমি জমার প্রথা আছে। লেওনার মা নাে ছবি তা", একটা স্বতন্ত্র কর ধার্য্য করিয়া থাকেন। উহাকে “কমিনি” বলে। অনাবৃষ্টি জন্য এখানে প্রায়ই দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়া থাকে। ১৮২৪, ১৮৩০, ১৮৩২, ১৮৩৭, ১৮৬০-৬১ ও ১৮৬৮-৬৯ খৃষ্টাব্দে এখানে ফুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়। শেষোক্ত বর্ষে এই জেলায় প্রায় ৯০ হাজার লোকে অনাহারে ও মহামারীতে কালকবলে পতিত হয়, তাহার উপর গোমহিষাদি বিনষ্ট হওয়ার প্রজাবৰ্গকে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হইয়াছিল । ১৮৭৭-৭৮ খৃষ্টাৰে পুনরায় ফুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এবার জলাভাবে ঘাস পর্য্যন্ত জলিয়া যায়। সুতরাং গোমহ্যিাদি খাস্তাভাবে মরিতে আরম্ভ করে। দুৰ্দ্ধৰ্ষ জাট, ভটি ও মুসলমান প্রজাবৰ্গ অল্পকষ্টে পীড়িত হইন্দ্র দস্থ্যবৃত্তি অবলম্বন করিল। * ডাকাইতিতে পরিতৃপ্ত না হইয় অবশেষে জাটগণ বালীর বাজার লুণ্ঠন করিল। এই সময় লোকের কুর্দশা এরূপ হইয়াছিল যে, তাহারা এক পয়সার জন্য উইবিক্রয় করিতে এবং একবেলার
- XVII
{ ৯৩ ] 38 রোহন্ত কটর জন্য একটা গোরু বেচিতে কুষ্ঠিত হয় লাই। একে একে জেলার সকল গো মহিষ নষ্ট হইয়াছিল। ৩৬টা জাতির মধ্যে ৩৪টী জাতি প্রায় লোপ পাইল, রহিল এক কসাই স্কার ব্যবসায়ী। ৰiহার যাহা ছিল একজন ছুরি বসাইয় তাহা আত্মসাৎ করিয়া লইল এবং অপর পণ দিয়া পাল্লায় হায্যগও ওজন করিয়া ঋণগ্রস্ত অধিবাসিকৃন্দকে ফাকি দিল। ২ উক্ত জেলার একটা তৰলীল। ভূপরিমাণ ৫৮৭ বর্গমাইল। এখানে বিলক্ষণ ইক্ষুর চাল আছে। ৩ উক্ত জেলার প্রাচীন নগর ও বিচার সদর । দিল্লী হইতে হইতে ৪২ মাইল উত্তরপশ্চিমে হিসার যাইবার পথে অবস্থিত। অক্ষা-২৮°৪' উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৬৩৮ পুং । এই নগর অতি প্রাচীন, কিন্তু দুঃখের বিষয়, ইহার সেই প্রাচীন ইতিহাস উদ্ধারের উপায় নাই। বর্তমান নগরের অদূরে উত্তরদিকে খোক্রাকোট মাম স্থানে বহু প্রাচীনত্বের নিদর্শন দেখা যায়। এক সময়ে এই স্থান যে বিশেষ সমৃদ্ধিশালী ছিল, ধ্বস্ত শু,পগুলি তাহা সপ্রমাণ করিতেছে। কিংবদন্তী এইরূপ ১৯৬০ খৃষ্টাৰে দিল্লীশ্বর পৃথীরাজের রাজত্বকালে এই সৌন্দৰ্য্যন্ত্ৰষ্ট নগরের পুনরায় জীর্ণসংস্কার হইয়াছিল ; মতান্তরে প্রকাশ থষ্ট পুঃ ৪ৰ্থ শতাদের মধ্যভাগে ঐ স্থান সংস্কৃত ও সমৃদ্ধিসম্পন্ন হইয়াছিল। মোগল সাম্রাজ্যের অধঃপতন সময়ে এই স্থান উত্তরোত্তর ভিন্ন ভিন্ন সর্দারের অধীনে হস্তান্তরিত হয়। ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে ইহা ইংরাজাধিকৃত একটা জেলারূপে পরিগণিত হইতে থাকে। তদবধি উহ। ইংরাজাধিকারেই রহিয়াছে। প্রতি বৎসর অক্টোবর মাসে এখানে একটী ঘোড়ার মেলা হয় । রোহতকী, উত্তরপশ্চিম ভারতবাসী বেণিয়া জাতির একটা শাখা। রোহতাঙ্গ (রোহিতাঙ্গ ), পঞ্জাব এদেশের হিমালয় শৃঙ্গোপন্থি একটা গিরিসঙ্কট । কর্ণাল জেলায় অবস্থিত। অক্ষা • ৩২°২২-২০% উঃ এবং দ্রাঘি• ৭৭-১৭২• পুঃ । এই পথ লাহুলের অন্তর্গত কোকসর হইতে কুলু বিভাগের পলচা পৰ্য্যস্ত গিয়াছে। এই পথের সৰ্ব্বোচ্চ স্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১৩ হাজার ফিটু উচ্চ। পথের উভয় পার্শ্ববর্তী পৰ্ব্বতমালা ১৬ হাজার ফিট উচ্চ প্রাচীরের স্থায় রহিয়াছে। উহার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার ফিট, উচ্চ এক একটা শৃঙ্গ উন্নত মস্তকে দাড়াইয়া আছে। সুলতানপুর ও কাঙরা হইতে যে প্রশস্ত পথ লেহু ওয়ারখলা গিয়াছে, তাহা এই রাস্তার উপর দিয়া চঞ্জা ও ভাগা নদীর উপত্যক দেশ অতিক্রম করিয়া বারালাচায় পড়িয়াছে। ডিসেম্বন্ধু মাস ব্যতীত সকল সময়ই এই রাস্ত গমনাগমনের উপযোগী থাকে। রোহন্ত (পুং ) রুহাদিতি রুহ ( ক্ষহিনন্দিজীবিপ্রাপিতঃ