পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'खनं অলঙ্কার, স্ত্রীসঙ্গ, গন্ধ ও আলোকাদি পরিত্যাগ এবং উপবাস, একাশন অথবা ৮মী বা ১৪শীতে একবার এক পত্রিমাত্র আহার। * ৩য়, অতিথিসংবিভাগ অর্থাৎ দানের উপযুক্ত তিন সম্প্রদায়কে খাদ্য, ঔষধ, জ্ঞান এবং আশ্রয় প্রদান। উক্ত তিন শ্রেণী যথা মহাব্ৰতাচারী, শ্রাবকত্ৰতাচারী ও সাধারণ ধৰ্ম্মবিশ্বাসী । ৪র্থ, দেশাবকাশিক অর্থাৎ গুণত্ৰত অনুসারে যে যে স্থানে ভ্রমণ করা যাইতে পারে, ক্রমে ক্রমে সে সীমা ও ইন্দ্রিয়গ্রাহাবস্তুসম্ভোগে সংযম এবং বস্ত্র ও অন্তান্ত ভোগ্য বস্তু সম্বন্ধেও উক্ত রূপ আচরণ । লোভ, বাসনা ও পাপ বিনাশ করাই এই সকল আচরণের উদ্দেশু। যে ব্যক্তি প্রশাস্ত অন্তঃকরণে কায়োৎসর্গ করিতে পারেন, তিনি সামাজিক ব্রতধারী । যে ব্যক্তি প্রতি অৰ্দ্ধমাসের সপ্তম এবং ত্রয়োদশ দিবসে অপরাহ্লে জিনমন্দিরে গমন করিয়া বাহ আচার পালন করেন এবং পান, ভোজন, অস্বিাদন ও লেহন পরিত্যাগপূৰ্ব্বক উপবাসী থাকেন, সমস্ত সাংসারিক কাৰ্য্য পরিত্যাগ এবং সমস্ত রাত্রি ধৰ্ম্মচিন্তা করেন, প্রত্যুষে উঠিয়া সৰ্ব্ববিধ প্রাতঃকৃত সমাপন করেন, ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ করিয়া দিনযাপন ও বন্দমার কার্য্য সমাপন করেন, রাত্রিকালেও উক্তরূপ আচরণ করেন এবং পরদিবস প্রাতঃকালে বন্দন ও অর্চনা পালন, এবং তিন সম্প্রদায়ভুক্ত অতিথিদিগকে ভোজন করাইয়৷ পরে নিজে ভোজন করেন, তাহাকে পোষধত্রতধারী বলা যাইতে পারে । যে ব্যক্তি কোন সজীব পদার্থের পত্র, ফল, বল্কল, মূল অথবা পল্লব ভক্ষণ করেন না, তাহাকে সচিত্তবিরত কহে । যে ব্যক্তি রাত্রিকালে পান ভোজন করেন না বা অপরকে করান না, তাহাকে মিশি্রতশ্রাবক কহে । যে ব্যক্তি স্ত্রীবিষয়ে আসক্তিশূন্ত, তাহাকে ব্রহ্মব্ৰতিশ্রাবক কহে । যে ব্যক্তি নিজে কোন কার্য্যের ভারগ্রহণ করেন না কিম্ব অপরকে কোন কাৰ্য্যের ভার গ্রহণ করিতে উৎসাহিত করেন না, তাহাকে ত্যক্তারম্ভ কহে । যে ব্যক্তি পাপ বিবেচনায় সমস্ত বাহ ও আন্তরিক বিষয়ের আসক্তি পরিত্যাগ করিয়াছেন, তাহাকে নিগ্রন্থশ্রাবক কহে । যে ব্যক্তি অবশ্যকর্তব্য মনে করিয়া সাংসারিক কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন, কিন্তু মুখামুভব হইবে বলিয়া তাহ করেন না, তাহাকে অনুমননবিরত শ্রাধক কহে । বিৰুি বিনা প্রার্থনা অপরের নিকট হইতে শাস্ত্ৰবিহিত খাদ্য প্রাপ্ত হন, সেই খাদ্য যদি প্রস্তুতকালে ৯ প্রকার VII له لجد ] 8。 জৈন দোষ রহিত হয় এবং তাহ যদি কায়, বাক্য অথবা মন দ্বারাও আশা করা না হইয়া থাকে এবং সেই খাদ্য যদি তিনি ভক্ষণ করেন, তবে তাহাকে উদ্দিষ্টাহারবিরত কহে । দিগম্বর যতির সম্বন্ধে ১০টা বিধি আছে—উত্তমক্ষমা, উত্তমমাদব, অর্জব, শৌচ, সত্য, সংযম, তপ, ত্যাগ, আকিঞ্চন ও ব্রহ্মচৰ্য্য। চুলিক অর্থাৎ দ্বাদশ প্রকার তপ যথা—১ অনশন, ২ অবমোদর্ঘ্য, ৩ বৃত্তিপরিসংখ্যান, ৪ রসপরিত্যাগ, ৫ বিবিক্তশয্যাসন, ৬ কায়ক্লেশ, ৭ প্রায়শ্চিত্ত (ইহা দশপ্রকার ), ৮ বিনতি ( ৫ প্রকার ), ৯ বৈয়াবৃত্ত, ১০ স্বাধ্যায়, ১১ কায়োৎসর্গ এবং ১২ ধ্যান ।. তপ অতিশয় ব্যাপক। সমিতিগুলি সংযমের অন্তর্গত । অন্যান্ত গ্রন্থে লিখিত দিগম্বরদিগের বিধেয় আচারাবলী তপের কোন না কোন বিভাগের অন্তভূক্ত। শ্বেতাস্বর সম্প্রদায়ের মত । শ্বেতাম্বরদিগের প্রধান জ্ঞানিগণ বলিয়া থাকেন, প্রকৃত জৈনধৰ্ম্ম জানিতে হইলে এই কয়ট বিষয় প্রধানতঃ জানা আবশুক— তত্ত্বস্বরূপ, কুদেবস্বরূপ, গুরুতত্ত্বস্বরূপ, কুগুরুস্বরূপ, ধৰ্ম্মতত্ত্বস্বরূপ, গুণস্থান, সম্যক্‌দৰ্শন ও চারিত্রস্বরূপ। এতদ্ভিন্ন শ্রাবকাচার জানাও জৈনসাধুবৃন্দের অবগু কৰ্ত্তব্য । তত্ত্বস্বরূপ । যে অষ্টাদশ গুণ থাকিলে জিনপদবাচ্য হইতে পারে, সেই অষ্টাদশ গুণকেই তত্ত্বস্বরূপ বা দেবতত্ত্বস্বরূপ বলা যায়। ইহার বিষয় পূৰ্ব্বেই লিখিত হইয়াছে । [ তীর্থঙ্কর শব্দে এ সম্বন্ধে বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য। ] কুদেব স্বরূপ । জৈনদিগের যোগশাস্ত্রে লিখিত আছেযে স্ত্রী, অস্ত্রশস্ত্র ও অক্ষমালাদি চিহ্নে কলঙ্কিত, নিগ্রন্থ ও অনুগ্রহপরায়ণ, শাস্তপদ অতিক্রম করিয়া নৃত্য গীত, অট্টহাস, উপপ্লবাদি দোষে দূষিত, তাহা হইতে জীবের মুক্তি সস্তবে না (৩৩)। অথবা যে স্ত্রীসঙ্গ, কাম, দ্বেষ, আয়ুধ, অক্ষস্বত্রাদি, অশৌচ ও কমণ্ডলুধারণ করে, সেই কুদেব (৩৪) । এরূপ কুদেবকে পরমেশ্বর বা ভগবান বলা যাইতে পারে না, এই জন্যই হিন্দুদেবদেবী জৈনসমাজে কুদেব মধ্যে গণ্য । অনেকান্তজয়পতাকা, সম্মতিতর্ক, দ্বাদশারনয়চক্র, প্রমাণপরীক্ষা, ধৰ্ম্মসংগ্ৰহণী, তত্ত্বার্থসূত্র প্রভৃতি গ্রন্থে কুদেবের স্বরূপ বিস্তৃতভাবে বিচারিত হইয়াছে। মূল কথা কামী, ক্রোধ, (৩৩) “যে স্ত্রীশস্ত্রাক্ষসুত্রাদির গদ্যস্ককলঙ্কিতাঃ । নিগ্রহায়ুগ্রহপর স্তেদেবা; স্থান মুক্তয়ে ॥” (৩৪) “স্ত্রীসঙ্গঃ কামমাচষ্টে দ্বেষং চায়ুধসংগ্ৰহঃ । ব্যামোহং চাক্ষত্রাদিরপুচঞ্চ কমণ্ডলু।”